"তুই আমার বাসার সামনে কোনোদিন আর আসবি না। আজকে থেকে তুই আমার কেউ না। তোরে আমরা চিনি না"
মেয়ে বলে, "আরো ২/ ১ বার আসতে হবে আমার বই-খাতার জন্য"
"না! বই-খাতার জন্যও আসতে পারবি না। প্রয়োজনে বই পাঠিয়ে দিবো তুই যেখানে থাকবি।"
স্টাম্পে সিগনেচার নিতে নিতে এভাবে পিতা তার মেয়েকে ত্যাজ্য করে দিচ্ছেন।
পিতা আরো বলে, "তোকে কি জোর করে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছি?"
মেয়ে বলে, "না।"
"তোর থেকে কি জোর করে স্টাম্পে সিগনেচার নিচ্ছি?"
মেয়ে বলে, "না।"
"যা, এবার তুই কোথায় যাবি, কার সাথে যাবি, আমাদের আর দেখার বিষয় নয়।।"
ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীতে।
মেয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, মা-বাবা যখন জানতে পারে, তখন বাবা খুজতে বের হয়ে যায় মেয়েকে।
খুজতে খুজতে ফেনীর "হক টাওয়ার" এর সামনে মেয়ের দেখা পায়। কোনো এক ছেলের সাথে পালিয়ে যাচ্ছিলো। বাবা যখন মেয়েটিকে তার সাথে বাসায় ফিরে আসতে বলে, মেয়েটি বলে "আমি বাসায় যাবো না"। বাবা তখন মেয়ের হাত ধরে টেনে বাসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলো। তখন মেয়েটি চিৎকার করা শুরু করে, আর বলে, "এই লোকটি আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।"
বাবার মাথায় তখন আকাশ ভেংগে পড়ে।
ইতিমধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছিলো। মেয়েটিকে সবাই জিজ্ঞেস করে, "তুমি কি লোকটিকে চিনো?"
মেয়ে বলে, "না।"
লোকজন তখন প্রায় উত্তেজিত। অনেকেই বাবার উপর আক্রমণ করতে চেয়েছিল। আবার কয়েকজন বাবার কথা শুনতে চাইলো। বাবা তখন বিষয়টা খুলে বললো। সৌভাগ্যবশত অনেক কষ্ট করে বাবা তখন তাদেরকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছিল যে, এটি তার নিজের মেয়ে। নির্ঘাত গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেয়ে, মেয়েটিকে বাসায় এনে ক্ষোভে-দু:খে-অপমানে মেয়েটিকে স্টাম্পে সিগনেচার নিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতে বাধ্য হলো। মেয়েটিও বাবার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দ্বিমত করেনি।
ঘটনাটা কেমন হৃদয়বিদারক, একজন পিতার জন্য! মেয়েটির জন্যও অবশ্যই কষ্টের একটি বিষয়, কিন্তু মেয়েটি এই মূহূর্তে তা উপলব্ধি করতে পারছে না।
এর পর কি হবে, ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে এমন কষ্টের দাগ সহজে উঠবার নয়........ 😪
#parents #bangladesh
©️

Tajrin Nesa
Удалить комментарий
Вы уверены, что хотите удалить этот комментарий?