Tamim:thik bolse ami age vabtam ami amar baba k besi valobasi but biyer pore bujte pereci ami asole ma k besi valobasi
Posts
Mga gumagamit
Mga pahina
Grupo
Blog
Merkado
Mga kaganapan
Forum
Mga pelikula
Mga trabaho
Mga pondo
Tamim:thik bolse ami age vabtam ami amar baba k besi valobasi but biyer pore bujte pereci ami asole ma k besi valobasi
হাতির দড়ির গল্প
এক লোক হাতির পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল, হটাৎ থেমে গেলন। একটি বিষয় মনে দ্বিধা তৈরী করায় তিনি থমকে যান। তিনি দেখলেন এতো বড় প্রাণী গুলো শুধুমাত্র সামনের পায়ে ছোট্ট একটি দড়ি দ্বারা বাঁধা হচ্ছিল। কোন চেইন বা কোন খাঁচা নয়। এই দড়ি এতো বড় প্রাণীর পক্ষে ছেড়া খুব মামুলি ব্যাপার। যেকোন সময় চাইলে এটি ছিড়ে তারা মুক্তভাবে চলে যেতে পারে কিন্তু বিশেষ কোন কারণে তারা তা করে না। কারণটাই তাকে ভাবাচ্ছিল।
কাছেই তিনি একজন প্রশিক্ষককে পেলেন এবং জানতে চাইলেন কেন এই প্রাণী গুলো এভাবে দাঁড়িয়ে থাকছে, দূরে পালিয়ে যাবার কোন চেষ্টা কেন করছে না। তখন প্রশিক্ষক উত্তরে বললেন-যখন তারা খুব ছোট ছিল, তখনও তাদেরকে এই সাইজের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো, যা বেঁধে রাখার জন্য তাদের ঐ সময়ের সাইজের জন্য যথেষ্ট ছিল। বড় হতে হতে তারা ধারনা করতে থাকে এই দড়ি তাদের নিয়ন্ত্রন করছে, এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাবে না। এক সময় এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, যেমন এখন, তাদের সাইজ দড়ির চেয়ে বহুগুন বড় হলে বিশ্বাস যে এই দড়ি এখনো তাদের ধারণ করতে পারে। তাই তারা তা ছিড়ে বাইরে যাবার কোন প্রচেষ্টা কোন দিন করে না।
লোকটি খুব অবাক হয়েছিল। এই প্রাণীগুলো চাইলেই তাদের বন্ধন থেকে বাইরে আসতে পারে কিন্তু শুধুমাত্র “তারা পারবে না ” এই বিশ্বাসের কারণে তারা সেখানেই আটকে থাকে ,যেখানে তাদের আটকে রাখা হয়।
হাতির মত , আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করে বসে আছেন যে জীবনে কিছু করতে পারবেন না। শুধুমাত্র, জীবনে কোন এক সময় ব্যর্থ হয়েছিলেন এই কারণে।
আলু, ডিম, কফির গল্প
একদিন মেয়ে তার বাবাকে নিজের জীবন নিয়ে হতাশার অভিযোগ করছিল। বলছিল সে আর পারছে না, সে জানে না কিভাবে কি করতে হবে ,লড়তে লড়তে সে আজ ক্লান্ত। এই যেন একটি সমস্যা শেষ হলে আরেকটি হাজির হওয়া।
মেয়েটির বাবা পেশায় একজন রন্ধনশিল্পী। মেয়ের হতাশার কথা শুনে তিনি মেয়েকে রান্না ঘরে ডেকে আনলেন। তারপর তিনটি পাত্রে পানি ভর্তি করে তা আগুনের উপর বসিয়ে দিলেন। যখন পাত্র তিনটিতে বলক আসল, তখন তিনি একটিতে আলু, একটিতে ডিম আর অন্য একটিতে কফি ঢেলে দিলেন। এভাবে আরো কিছুক্ষন সিদ্ধ হতে থাকল, মেয়ের সাথে কোন কথা বললেন না। অপর দিকে মেয়ে অধৈর্য্য হয়ে দেখে যাচ্ছিল বাবা কি করছিল।
বিশ মিনিট পর তিনি চুলা বন্ধ করে একে একে প্রথমে আলু উঠিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে রাখলেন, ডিম রাখলেন আর কফি একটি কাপে ঢাললেন। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন” তুমি এখন কি দেখছো”
মেয়ে উত্তর দিল ” আলু , ডিম আর কফি”
বাবা বললেন ভালো করে দেখো এবং ধরে দেখো।
মেয়ে বাবার কথা মত ধরে দেখলো আলু নরম হয়ে গেছে, ডিমের খোসা খুলে দেখা গেল সিদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে কফির কাপ থেকে বের হয়ে আসা ঘ্রাণে তার মুখ হাসোউজ্জল হয়ে যায়।
‘এসবের অর্থ কি বাবা”মেয়ে জানতে চাইল।
বাবা ব্যাখ্যা করলেন-
আলু, ডিম, কফি বিন যদিও একই তাপমাত্রার ফুটন্ত পানিতে অর্থাৎ একই দৈব পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু নিজের মত করে অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়। শক্ত আলু নরম হয়ে যায়। পাতলা আবরণে সুরক্ষিত নরম ডিম শক্ত হয়ে যায়। আর কফিবিনগুলো ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। ফুটন্ত পানিতে এরা নিজেদের মেলে ধরে পানিটাকেই পরিবর্তন করে ফেলে। নতুন এক জিনিস সৃষ্টি করে।
” তুমি কোনটা?” মেয়ের কাছে বাবা জানতে চাইলেন। প্রতিকুল পরিবেশ যখন তোমার দুয়ারে কড়া নাড়বে তখন তুমি কিসের মত প্রতিক্রিয়া দেখাবে?।
এক গ্লাস পানির ওজন কত
একজন মনোবিজ্ঞানী স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পড়ানোর সময় রুমে চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় শ্রাতাদের সামনে এক গ্লাস পানি উপর করে তুলে ধরলেন। তখন সবাই ভেবে ছিল হয়তো তিনি গ্লাস অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভর্তি এই প্রশ্নটি করবেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। তিনি হাসিমুখে প্রশ্ন করলেন ” এই এক গ্লাস পানি কত ভারী”। উত্তর আসল আট আউন্স থেকে বিশ আউন্সের ভেতর।
তিনি বললেন এর আসল ওজন এখানে কোন ব্যাপার না। ব্যাপার হলো আমরা এটাকে কতক্ষন ধরে রাখছি। ওজনটাও তার উপর নির্ভর করছে।
যদি আমি এটাকে এক মিনিটের জন্য ধরে রাখি, তবে কোন সমস্যা হবে না। যদি এটাকে এক ঘন্টা ধরে রাখি তবে আমার হাতে ব্যাথা অনুভূত হবে। আর যদি একদিনের জন্য এভাবে ধরে থাকি তবে আমি অসাড় এবং পক্ষঘাতগ্রস্থ বোধ করব। প্রতিটা ক্ষেত্রে এর আসল ওজনে কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ধরে রাখার সময় বাড়ার সাথে সাথে এটি ভারী থেকে ভারী লাগতে শুরু করে।
তিনি আরো বিশদে গিয়ে বলেন আমাদের জীবনের চাপ এবং উদ্বেগগুলো এই গ্লাসের পানির মত। যা নিয়ে কিছুক্ষন ভাবলে তেমন কোন কিছু হবে না। কিন্তু এই চাপ আর উদ্বেগ যদি আমরা সারাদিনের জন্য ধরে রাখি, মনে রাখি ।তবে তা আমাদের কোন কিছু করার সামর্থ্যটা কেড়ে নিতে পারে। তাই চাপ কখনো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানতে যাবেন না। এটাকে সব সময় ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্লাস নামিয়ে রাখতে হবে মনে করে।
এবার বই মেলা থেকে কেনা বইয়ের মধ্যে প্রথমেই যে বইটা পড়া শেষ করেছি সেটা হচ্ছে “অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প” । আমার অন্যতম প্রিয় লেখক শাহাদুজ্জামানের ছোটগল্পের বই । বর্তমান সময়ে শক্তিমান গল্পকারদের একজন তিনি । নিজস্ব এক স্বতন্ত্র গল্প বলার ঢঙের জন্য বাংলা সাহিত্যে তিনি নিজের একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন । বইটিতে মোট দশটি ছোটগল্প আছে । প্রথম গল্পটির নামেই বইটির শিরোনাম ।
প্রথম গল্পটিই লেখক এবং তার এই বইটির বৈশিষ্ট ধারণ করে । দুই বন্ধুর কথোপকথনের মাধ্যমে জীবনানন্দ দাশের একটি গল্পের ভেতর দিয়ে পাঠককে বৈচিত্রময় এক ভ্রমণে নিয়ে যায় ‘অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প’ ছোটগল্পটি । এরপর ‘৩০৬ নম্বর বাস’, ‘পৃথক পৃথিবী’, ‘রফিকের নোটবুক’, এইগল্পগুলো যেন একি সঙ্গে অনেক পৃথিবীর কথন । মসৃণ লেখনী আর আর গল্প বলার এক ভিন্ন ধারায় লেখক পাঠককে ভাবনার এক জগত থেকে ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যান । কখনো কখনো গল্পের বিচিত্র অথচ অতি-বাস্তব চরিত্রগুলোর সাথে এই পরিচয় আত্মতৃপ্তিও জাগায় । ‘মান্না দে’, ‘গোয়েন্দা ঘরানার গল্প’, ‘অপুস্পক’, গল্পগুলো আমাদের সামাজিক বিভিন্ন কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস নিয়ে । স্বাভাবিক ভাবেই এসব ঘটনায় সব সময় নারীরাই বেশি ভুক্তভোগী । তবে গল্পের শিরোনাম দিয়েই বোঝা যায় এ ক্ষেত্রেও লেখকের গল্প বলার আঙ্গিক রীতি-বিরুদ্ধ । যা শেষ লাইন পর্যন্ত পাঠকের মনযোগ আকড়ে ধরে রাখে ।
তবে এই বইয়ে যে দুটি গল্পের কথা আলাদা করে বলতে হয় তা হচ্ছে ‘মুরাকামির বিড়াল’ আর ‘সাইপ্রাস’ । ‘মুরাকামির বিড়াল’ মানব মনের চির-রহস্যময়তার কাহন । নিরাপদ-নিশ্চিন্ত জীবনের জন্য মানুষের যে প্রতিনিয়ত আকাংক্ষা – সে কি সত্যিই তা চায় ? প্রকৃতপক্ষে মানব জীবনের এই পথ চলার উদ্দেশ্য কি ? এই প্রশ্নগুলোরই উদ্ভব ঘটায় এই গল্পটি । সেখানে ‘সাইপ্রাস’ গল্পটির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন । একদম আমাদের চারপাশে তাকালেই পাওয়া যায় এমন দুটো চরিত্রের পাশাপাশি এক বাস যাত্রার গল্প । সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্র ও পর্যায়ের দুটো মানুষের মাধ্যমে উঠে আসে চিরায়ত বাংলার শতাব্দী প্রাচীন কিছু বচন আর বর্তমান সময় ।
একদম শেষ গল্পটি হচ্ছে ‘সাড়ে সাতাশ’ । এটিকে মূলত লেখকের রচিত সব চরিত্রের এক মিলন মেলা বলা যায় । রাইটার্স ব্লকের সময়টায় লেখক তার সব চরিত্রদের নিয়ে বসেন এক আলোচনায় । সেখানে এক কথায় বলতে গেলে লেখক যেন তার চরিত্রগুলোর ময়নাতদন্ত করেন । যারা লেখকের অন্যান্য ছোটগল্পের বইগুলো পড়েননি ‘সাড়ে সাতাশ’ গল্পটি দিয়ে সেসব সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন ।
অত-শত এক ঘেয়েমী বইয়ের ভিড়ে যেসব পাঠক ভিন্ন স্বাদের এবং প্রথাগত ধারা ভঙ্গকারী বই পড়তে আগ্রহী তারা নির্দ্বিধায় বইটি পড়তে পারেন । বইটি এবারের বইমেলায় মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ।
Md.Mosarof Islam
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?