#ভুল ট্রেনে যদি উঠেই পড়ো ; তবে পরের স্টেশনে নেমে যেও..।কারণ ট্রেন যত দূরে যাবে , তোমার ফেরার কষ্টটাও ততটা বেশি হবে ..।😊
#ভুল ট্রেনে যদি উঠেই পড়ো ; তবে পরের স্টেশনে নেমে যেও..।কারণ ট্রেন যত দূরে যাবে , তোমার ফেরার কষ্টটাও ততটা বেশি হবে ..।😊
বাবুলার ভূত ধরা
পাড়ার বাবুলা ছিল এক নম্বর পাকা, দুই নম্বর আম-চোর। যেই গাছে আম, সেদিকে বাবুলার নজর — এমনকি পুলিশও জানত, “পাকা আম মানেই বাবুলার শিকার!”
তবে পাড়ার মোকলেছ কাকুর আমগাছ ছিল একটা ব্যতিক্রম — কেউ কাছে যায় না। কাকু গম্ভীর মানুষ, গাছ পাহারা দেয় এমন করে, যেন সোনার গুপ্তধন রাখছে।
কিন্তু বাবুলা থেমে থাকার ছেলে না। একদিন প্ল্যান কইরা রাত ১২টায় গাছে উঠল। চাঁদের আলোয় আম ঝুলছে, বাবুলার চোখ চকচক করছে।
কিন্তু ওইদিন... কাকু আগেই আঁচ পেয়েছিল। তাই গাছের নিচে সাদা কাপড় জড়িয়ে পাটের বস্তা পরে চুপচাপ বসে ছিল, যেন ভূত!
বাবুলা প্রথমে দুইটা আম পেড়ে পকেটে ঢুকাচ্ছে, এমন সময় হঠাৎ নিচ থেকে আওয়াজ —
“আম চুরি করলি... এখন তোরে লইয়া যাবো...!”
বাবুলা নিচে তাকিয়ে দেখে সাদা কাপড়ে মোড়া এক ‘ভূত’ উঠে দাঁড়ায় — কাঁপা গলায় বলছে, “বস-স-ম!”
এই কথা শোনার পর বাবুলা তো চেঁচামেচি শুরু —
“মা গো ভূত! আমি আর করব না! দেহের উপর দয়া কর!”
এক লাফে গাছ থেকে পড়ে প্যান্ট ছিঁড়ে, পকেটের আম ছড়িয়ে, দৌড়! সোজা পুকুরে ঝাঁপ!
পরদিন সবাই জানল, বাবুলা আম চুরি করতে গিয়ে “ভূতের হাতে ধরা” খেয়েছে। কিন্তু কাকু পরদিন ঘোষণা দিল,
“এই গাছ এখন ‘ভূত মার্কা’, বুঝলা? মোকার না, ভূতের কৃতিত্ব!”
বাবুলা এখনো গাছ দেখলেই চশমা ঠিক করে বলে, “আসলে আমি তখন ভূত গবেষণা করতেছিলাম।”
#sifat10
টেপা পুতুলের প্রেম
পাড়ার হরিচরণ বয়সে বুড়ো, চোখে মোটা চশমা, কানে কম শোনে, কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে একেবারে কলেজের পোলাপান! একবার গ্রামের মেলায় গিয়ে একটা মাটির টেপা পুতুল কিনে আনল। সবাই ভেবেছিল নাতনির জন্য — কিন্তু না! হরিচরণ নিজেই বুকের কাছে রেখে বলল, “এটা আমার লক্ষ্মী, ঘরের বউ।”
সেই থেকে পুতুল নিয়ে তার রকমারি কাণ্ড। দিনে শাড়ি পরায়, রাতে পাশে শুইয়ে রাখে। একদিন তো মন্দিরে নিয়ে গিয়ে প্রসাদও খাইয়েছে!
এক রাতে পাশের বাড়ির শ্যামল মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে শুনল, হরিচরণ হঠাৎ রেগে চিৎকার করছে —
“তুই কারে চোখ টিপলি? আমি দেখেছি! ওই মাটির পাশের পুতুলটা তোকে দেখে হাঁসছিল!”
শ্যামল তো থ! গিয়ে জানলা দিয়ে দেখে, চাচা একহাতে পুতুল, আরেকহাতে চশমা খুলে দাঁড়িয়ে — রীতিমতো বকা ঝকা দিচ্ছে পুতুলকে!
পরদিন সকালের পর থেকেই গাঁয়ে ভাইরাল — “হরিচরণের বউ বেয়াদব হইয়া গেছে!”
একদিন কেউ জিজ্ঞেস করল, “চাচা, পুতুলরে বউ বানাইলেন কেন?”
হরিচরণ গম্ভীর মুখে বলল, “মানুষের বউ ঝগড়া করে, এইটা শুধু হ্যাঁ করে আর মিষ্টি হেসে!”
পাশ থেকে বাচ্চারা হাঁক ছাড়ল, “চাচার বউ টেপা পুতুল, চেপে ধরলে বলে ‘টুপ!’”
#sifat10
হাঁড়িচাচার গরু চুরি
হাঁড়িচাচা পাড়ার সবচেয়ে কৃপণ আর ধ্যানী টাইপ মানুষ। মুখে সবসময় আল্লাহর নাম, হাতে লাঠি, আর পেছনে একটা গরু — নাম “লক্ষ্মী”। এই লক্ষ্মীই হাঁড়িচাচার প্রাণ।
একদিন সকালে দেখা গেল গরু নাই! চাচা তো ভোরেই উঠেন, উঠেই দেখেন খোঁয়াড় ফাঁকা! চিৎকার দিয়ে উঠলেন, “ডাকাত! আমার লক্ষ্মীরে নিয়া গেল!”
পাড়ার ছেলেপুলে, বড়রা, এমনকি রিকশাওয়ালা রফিকও লাইন দিয়ে হাজির — সবাই গরু খোঁজে। হাঁড়িচাচা কাঁদে কাঁদে বলেন, “ওরে লক্ষ্মী, কারে ফাঁকি দিছিস?”
পুলিশে খবর দেওয়া হলো। এক কনস্টেবল এসে বলল, “খোঁয়াড়ে তালা দেন নাই?” চাচা গম্ভীর মুখে বললেন, “তালা দিলেই যদি গরু থাকে, তাহলে আমারে তালা দিয়া ঘরে রেখে দিত!”
যাই হোক, বিকেলের দিকে ছোট্ট নান্টু খবর দিল, “চাচা, আপনার গরু তো মন্দিরের সামনে বসে, ভোগের থালার পাশে!”
চাচা ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখেন, লক্ষ্মী গরু আরাম করে বসে আছে, পাশেই কেউ একটা কলা ছুড়ে দিচ্ছে। আর গরু খাচ্ছে মহা শান্তিতে!
হাঁড়িচাচা জোরে জোরে বললেন, “হেই রে! আমার লক্ষ্মী এত নাস্তিক হইলো কবে?”
একজন বলল, “চাচা, নাস্তিক না, ভোজনরসিক!”
সবাই হেসে গড়াগড়ি, আর চাচা হাঁড়ি মুখ করে গরু ধরে বাড়ি ফিরলেন, গলা নামিয়ে বললেন, “আজ থেইকা নাম দিলাম — পেটুক লক্ষ্মী।”
#sifat10
samiha38
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
samiha38
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?