“দুঃসাহসিক বানর আর হাতির বন্ধুত্ব”
এক জঙ্গলে এক দুঃসাহসিক বানর আর এক শক্তিশালী হাতি ছিল। একদিন বড় বন্যা এল, নদী এতটাই বেড়ে গেল যে অনেক প্রাণী তাদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হলো।
বানরটা দেখল, হাতি নদীর অন্য পাড়ে আটকা পড়েছে। বানর ভাবল, “যদি আমি সাহায্য না করি, তখন ওটি বিপদে পড়বে।”
বানর দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ল নদীর ওপর ঝুলে থাকা ডালের ওপর আর হাতিকে সাহায্য করতে গেল। হাতিও বানরের সাহস দেখে খুব খুশি হল।
দুজন মিলে একসাথে বন্যার হাত থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেল। সেই থেকে তারা গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হল।
এই গল্প শেখায়— সাহস আর বন্ধুত্ব মিললে বড় বিপদও কাটিয়ে ওঠা যায়।
#sifat10
গল্প: সে এসেছিল
রাত এগারোটা লন্ডন শহরে অ্যাডিনবার্গ অঞ্চলের রাস্তাঘাট নির্জন নিস্তব্ধ পথে লোকজনের যাতায়াত খুবই কম রাস্তার ধারে এক হোস্টেলের চার তলায় থাকে ম্যারিয়ট অনির্বাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সে এই হোস্টেলে তার মত কিছু ছাত্র এবং সাধারণ কেরানি চাকরিজীবী থাকি
ম্যারিয়ট মন দিয়ে পড়া মুখস্ত করছি দরজায় ক্ষীর লাগানো সে বেশ কয়েকবার পরীক্ষায় ফেল করায় তার বাবা মা হুমকি দিয়েছে এটাই তার শেষ সুযোগ আর তারা টাকা-পয়সা খরচ করতে পারবে না মিরিয়ড সে কথা মনে রেখে এবার জান-পান দিয়ে লড়ে যাচ্ছি এবার তাকে পরীক্ষায় পাস করতেই হবে কারণ তাদের আর ঠিক অবস্থা তেমন ভালো নয় বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সে এরকম নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে যাচ্ছি তার পরিচিতরা ব্যাপারটা জানতো তাই তারপর আর কোন ব্যাঘাত ঘটতো না হঠাৎ করে কলিং বেল বেজে উঠলো এত রাতে বেল বাজায় শব্দের মেরিউড অবাক হলো এত রাতে কে এলো বাড়িওয়ালী রোজ ঠিক রাত দশটার সময় খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে যায় এরপর দোয়া চাই বেল বাজলো সে না সোনার ভান করে আগুন তাকে আসার উদ্দেশ্য জেনে নিয়ে তাকে বিদায় করে দেব তাই সে দরজা খোলার জন্য টেবিল ছেড়ে উঠলো পাথর বাঁধানো সিটি সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মেরি বেল বাজানো শব্দ শুনতে পায় রাগ অভিরূপ দের সঙ্গে দ্রুত পায়ের নিচে নেমে এলো দরজা খুলে বলল সবাই জানে আমি পরীক্ষায় পড়া তৈরি করছি আর এই অসময়ে এসে কেন বিরক্ত করা হচ্ছে বই হাতে মেয়ের দরজা খুলে দাড়িয়া আপন মনে বুকে যা ছিল কিন্তু আগন্তুক শব্দ শোনা যাচ্ছে। এত কাছে এবং এত রাত জোরে যে যেন আগে আগে আসছি আগন্তুক যেই হোক না কেন অসময়ে কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য তাকে করা কথা শোনা মিরিয়ড রেডি হয়ে এসেছি অনেকক্ষণ সে কিভাবে দাঁড়িয়ে রইল কিন্তু এখন তোকে দেখা নেই পায়ের শব্দটা খুব কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে তবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না এবার ভয়ে তাছাড়া চুল কাটা দিয়ে উঠলো একবার ভাবো চিৎকার করে অদৃশ্য আগন্তুকটিকে ডাকবে তারপর ভাবল না দরজা বন্ধ করে দিয়েছি আবার উপরে গিয়ে পড়ে মন দেবে এইসব সাত পাঁচ ভাব ছিল মিরিয়ড হঠাৎ সে জুতা শব্দটা একেবারে কাছে শোনা গেল এবং আগন্তক দেখা গেল আগন্তক বয়সে তরুণ পেটে খাটো মোটা মুখটা চুনের এত সাদা উজ্জ্বল চোখ দুটো তলায় কালি পড়েছি একমুখ ধারি চুল আলু থালু আর পোশাকের পরিপাটা দেখে তাকে অভদ্র লোক বলে মনে হল মেরিউডে সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার তার মাথায় কোন টুপি নিয়ে এমনকি গায়ে অভারকোট বা হাতে ছাতাও নেই অথচ সন্ধ্যা থেকে অঝরে বৃষ্টি পড়ছে লোকটিকে দেখে মেরি উডের মনে নানা রকম প্রশ্ন কি দিচ্ছিল তাই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিল কে আপনি আর কেনই বা এত রাতে এখানে এসেছে রাস্তায় গ্যাসের আলোয় তার মুখের ওপর পড়লো চমকে উঠল মেরুদ চিনতে পারল আগন্তুক কি ফিল্ড ফিল্ড তুমি বেঁচে আছো ভয় মেরে ওঠে দম বন্ধ হবার জোগাড় হল স্কুলে পড়তো তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল তার সঙ্গে পড়ে একবার এইমাত্র দেখা হয়েছিল মেরিউডের বাড়ির কাছেই ফিল থাকতো তাই তার বোনের মারফত সব খবরি মারি উঠবে তো রিয়েল জীবন যাপন করতো মত ভূত হয়ে থাকতো একেবারে উৎসুনি চলে যায় ম্যারিয়ডের রাগ বিরক্তি মুতে দূর হয়ে গেল সেটা আগে ভেতরে আসতে বলল বল মনে হচ্ছে কিছু কোড পাঠিয়েছি এসো ভিতরে সব শুনছি আমাকে সব খুলে বল হয়তো আমি কোন সাহায্য আর কি বলবে মেরি ও ভেবে ফেলো না শুধু সে তত করতে লাগলো তারপর নিজেকে সংযত করে সদর দরজা টা বন্ধ করে বন্ধুকে নিয়ে গেল ফিল খুব পরিশ্রান্ত এবং ক্লান্ত চেহারা দেখে মনে হচ্ছে অনেকদিন সে কিছু খায়নি মেয়ের গুদে আবার হাসিমুখে সমবেদনা ঝরে বলল আমার সঙ্গে এসো তোমাকে দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি এইমাত্র আমি খেতে যাচ্ছিলাম তুমি ঠিক সময় এসেছ সিলেটিক থেকে কোন সারা শব্দ নিয়ে সে এতই দুর্বলভাবে হাঁটছিল যেন মেরিউ তার হাতটা ধরে নিয়ে চলল এই প্রথম সে লক্ষ্য করলে ফিল্ডের জামা কাপড় তার গায়ে মোটেই ফিট করেনি খুব ঢিলেঢালা লাগছিল তার বিরা চেহারাটা ভেসে ফিলকে ঘরে নিয়ে গিয়ে শুকাতে বসে দমেরিউড আশ্চর্য হচ্ছিল ভেবে কোথা থেকে ফিল্ড এলো আর কি করে বা সেটা ঠিকানা জানলো ম্যারেড মেরি উড বলল তুমি সোফায় বিশ্রাম করে কিছুক্ষণ তুমি খুব ক্লান্ত পরে তোমার কাছে সব শুনবো তখন দুজনে মিলে যা হোক একটা কিছু ঠিক করা যাবে কোন কথা না বলে একদিক দিয়ে তাকিয়ে রইল মেরি ওড আলমারি থেকে বাদামী রঙের পাউরুটি কেক এবং এটা বড় পাত্রে কমলালেবুর আচার বের করল ঘাড় ফিরিয়ে দেখল ফিল্ডের চোখ দুটো ভীষণ চকচক করছি মেরি উড ভাবল এটা নিশ্চয়ই কোন সুদের প্রভাব ওর অবস্থা খুবই শোচনীয় কথা বলবা সুখ দিব তো তা নেই পানি যখন পড়ছে তখন খাবার টেবিল কাছে টেনে নিয়ে এলো যাতে ফিল্ডের চেয়ারে উঠে গিয়ে বসতে কষ্ট না হয় এসো এখন খাওয়া যাক বলো মেরি তারপর পাইপটা আনতে টানতে গল্প করব এবার পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছি যদিও খুব ব্যস্ত এখন আমি তবু তোমার এত বন্ধুকে কাছে ভালো লাগছে। মেরি বেটা আবার ফিল্ডের দিকে তাকিয়ে দেখল তার অতিথি বন্ধুটি তার দিকে আকৃষ্টে তাকিয়ে আছি মেরি উডের মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটা শিহরণ বয়ে গেল ফিল্ডের মুখ মরার মত ফেক আসে ব্যথা ও মানুষের কষ্টের একটা চ্যাপ্টার মুখে ফুটে উঠেছে এরে মেরি উতলা পিউটলো একেবারে ভুলেই গেছিলাম বলে আর বাড়ি থেকে মদের বোতলায় গেলাস বের করল গ্লাসে মোট ঢেলে ফিল্ড কে দিল ফিল্ড পানি নামে আমি শেষ করল মেরে উঠলো কখন ফিল্ডের কেকটা ধুলোয় ভর্তি কাঁধে মাকড়সার জাল গোটা শুকনো খটখটি বৃষ্টি ঝরা রাতে ফিরতে এসেছে টুপি ছাতা ওভারক কিছুই নিয়ত শুকনো এমনকি ধুলো ভর্তি ব্যাপারটার অর্থ কিছুতে মিলাতে পারছিল না মেরিট তবে কি ফিল্ড এই বাড়িতে কোথাও লুকিয়ে ছিল তবু মেরিউদ কিছু জিজ্ঞেস করল না ঠিক করেছে ফিল্টের খাওয়া ও ঘুম না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করবো না খাবার এবং ঘুম দুটোই এখন তার খুবই প্রয়োজন একটু সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ফিল কি কিছু জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবে না তারা দুজনে খেতে লাগল মেয়ে উঠে একাই কথা বলে যাচ্ছে তা নিজে সম্বন্ধে তার পরীক্ষার ব্যাপারে বুড়ি বাড়িওয়ালার কথা একা না গাড়ি
“সতর্ক বুদ্ধিমান খরগোশ”
একবার এক জঙ্গলে একটা ধূর্ত শেয়াল বাস করত। সে সবসময় খরগোশকে ধরে খাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করত। কিন্তু খরগোশ খুবই সতর্ক আর বুদ্ধিমান ছিল।
একদিন শেয়াল শিকার ধরার জন্য এক ফাঁদ পেতেছিল। সে বলল, “খরগোশ, আমি তোমার বন্ধু। আসো, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করি।”
খরগোশ বুঝতে পেরেছিল এটা ফাঁদ। তাই সে শেয়ালের কথায় ভুল করল না। সে দ্রুত বুদ্ধি করে গাছের গর্তে লুকিয়ে গেল।
শেয়াল অনেকক্ষণ অপেক্ষা করল, কিন্তু খরগোশ বের হলো না। শেষে শেয়াল রেগে গিয়ে চলে গেল।
এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি, সতর্কতা আর বুদ্ধি আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আরো কিস্সা চাই?
#sifat10