খবর পেয়ে দূতের কাছে আদিঅন্ত সবকিছু জেনে সুলতান মাহমূদ রাজ্যপালের জন্যে পালনীয় শর্তাদি ঠিক করে দিলেন। সুলতান যে সব শর্ত দিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-
'রাজ্যপাল কখনো গযনীবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন না। গযনী বাহিনীর বিরুদ্ধে কাউকে প্ররোচনা দেয়া বা সামরিক সহযোগিতা করতে পারবেন না।
নতুন রাজধানীতে রাজা রাজ্যপালের যে সব সৈনিক থাকবে তারা শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজ করবে; কিন্তু তারা থাকবে গযনীর নিয়ন্ত্রণে। স্বায়ত্তশাসনের মতো রাজ্যপাল সুবিধাদি ভোগ করবেন, প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা ট্যাক্স ইত্যাদি উসূল করবেন। কিন্তু তার সবকিছু থাকবে গযনী সরকারের কাছে জাবাদেহিমূলক। রাজ্যপালের উপর যদি কোন বহিঃশত্রু আক্রমণ করে তবে গযনী বাহিনী তাকে সাহায্য করবে। মোটকথা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে রাজ্যপালের উপর। তবে সার্বিক নিরাপত্তা ও সামরিক কর্তৃত্ব থাকবে গযনী বাহিনীর হাতে! বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ ও রাড়ীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে গযনী বাহিনীর কাছে।
গযনী সুলতানের দেয়া সব শর্তই রাজা রাজ্যপাল মেনে নিলেন এবং তিনি সুলতানকে নির্ধারিত অংকের ক্ষতিপূরণ ও বার্ষিক খাজনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
স্বেচ্ছায় গযনীর গভর্ণর আব্দুল কাদেরের কাছে আত্মসমর্পণের পর রাজ্যপাল
হারকিউলিস (Hercules) প্রাচীন গ্রিক ও রোমান পুরাণে একজন বিখ্যাত নায়ক। গ্রিক পুরাণে তাকে হেরাক্লিস (Herakles) বলা হয়, আর রোমানরা তাকে হারকিউলিস নামে ডাকে। তিনি ছিলেন একজন অতি-শক্তিশালী মানুষ, যার পিতা ছিলেন দেবতাদের রাজা জিউস (Zeus), আর মা ছিলেন একজন মানবী, আলকমেনা (Alcmene)।
হারকিউলিসের সবচেয়ে বিখ্যাত কাহিনি হলো "হারকিউলিসের বারোটি কাজ" (The Twelve Labors of Hercules), যেখানে তাকে বিভিন্ন অসম্ভব কাজ করতে বলা হয়—for example:
নেমিয়ার সিংহকে হত্যা করা
হাইড্রা নামক বহু-মাথাওয়ালা সাপকে বধ করা
একটি বিশাল হরিণ ধরা
অ্যাজিয়ান ঘোড়ার গোয়াল পরিষ্কার করা
এই কাজগুলো করে তিনি অমরত্ব অর্জন করেন এবং দেবতা হিসেবে স্বর্গে স্থান পান।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা" বলতে একসময়কার বৃহৎ প্রশাসনিক এলাকাকে বোঝানো হয়, যা বর্তমানে বিভক্ত হয়ে কয়েকটি আলাদা জেলায় পরিণত হয়েছে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্ভুক্ত এলাকা ছিল:
১. ময়মনসিংহ
২. নেত্রকোনা
৩. জামালপুর
4. শেরপুর
৫. তাংগাইল (প্রথম দিকে কিছু অংশ)
৬. কিশোরগঞ্জ (আগে ময়মনসিংহের অংশ ছিল)
মূল কারণ ও পটভূমি:
আগে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে অনেক বড় জেলা ছিল।
পরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য এই বৃহত্তর জেলার ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করা হয়।
বিভাজনের সুবিধা:
জনগণের সেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া
প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা
উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে গতি
Mdsayed
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟