হারানো ছাদের মানুষটা
নতুন বিয়ের পর রাফা আর অর্ক উঠল শহরের এক পুরনো দোতলা বাড়িতে। ছাদটা ছিল একদম ফাঁকা, সেখানে সন্ধ্যায় হাওয়া খেতে যেত রাফা। কিন্তু আশেপাশের লোকেরা বলত—ছাদে নাকি কেউ থাকে।
রাফা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল, “ছাদে কেউ থাকে না, আমি নিজে দেখি রোজ।”
কিন্তু একদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ ছাদে সে দেখল এক মানুষ—পেছন ঘোরা, মাথায় সাদা পাগড়ি, দাঁড়িয়ে আছে একদম ছাদের কিনারে।
রাফা ভয় না পেয়ে বলল, “কে আপনি?”
মানুষটা ঘুরে তাকাল না, শুধু বলল—
“আমি যার জন্য ছাদটা ছিল, তাকে হারিয়ে ফেলেছি। এখন শুধু অপেক্ষা।”
রাফা কিছু বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই লোকটা নিঃশব্দে অদৃশ্য হয়ে গেল।
পরদিন অর্ক বলল, “তুই ছাদে কার সঙ্গে কথা বলছিলি?”
রাফা বলল, “একজন দাঁড়িয়েছিল, তুমি দেখোনি?”
অর্ক কপাল কুঁচকে বলল, “রাফা… এই বাড়িতে ছাদে ওঠার দরজা আটকে দেওয়া আছে। কেউ যেতে পারে না।”
রাফা ছুটে গিয়ে দেখল—দরজা সত্যিই তালাবদ্ধ। অথচ সে তো গতকাল ছাদে গিয়েছিল!
তখনই দেয়ালে চোখ পড়ল—এক পুরনো ছবি টাঙানো, ছবিতে সেই একই মানুষ, সাদা পাগড়ি পরা। নিচে লেখা—
“শেষবার দেখা গেছে ১৯৭৫ সালে, এই ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে।”
#sifat10