হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? এই বর্ষাবাদল দিনে মন ভালো থাকারই কথা। এখন ষড়ঋতু বর্ষাকাল চলে। এই সময়ে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়। আমার কাছে অবশ্য ভালোই লাগে। তবে জ্বর আসার ভয়ে এখনো ভিজা হয়নি। প্রচন্ড গরমের পর এখন একটু ঠান্ডা লাগে বলে ভালোই লাগে। যাই হোক কাজের কথায় আসি আজ একটু ভিন্ন রকম পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। কখনো গল্প লেখা হয়নি আর সেজন্য ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। চলুন শুরু করা যাক...
গল্পের নায়ক আকাশ আর নায়িকা বৃষ্টি। তাদের দু'জনের বাড়ি একই গ্ৰামে। মেয়েটির বাড়ি থেকে ছেলেটির বাড়ি যেতে দশ মিনিট সময় লাগে। তারা দু'জন সমবয়সী। একই স্কুলে তারা পড়ালেখা করতো। যখন তারা ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন তাদের দুজনের সম্পর্ক হয়। কিন্তু এই কথা কেউ জানতে পারেনা। এভাবে তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। তাদের এই সুন্দর ভালোবাসা চিরদিন ধরে রাখবে বলে ওয়াদা করে।
কিন্তু কেন জানি এই সমাজসহ পরিবারের মানুষ জন কেন জানি দু'জন মানুষকে এক হতে দেয় না। কখনো ভালোবাসার সম্পর্ক কেন জানি কেউ মেনে নিতে পারেনা। এমন কি বয়সের সাথে সাথে ভালোবাসার মানুষ গুলোও পরিবর্তন হতে থাকে। ঠিক তেমনি আকাশ আর বৃষ্টি প্রাইমারি স্কুল থেকে যখন হাইস্কুলে যায় তখন আকাশের মনের একটু পরিবর্তন হতে থাকে।বৃষ্টির মনে আকাশকে নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে। বৃষ্টির সবসময় মনে হতে লাগলো আকাশ মনে হয় অন্য মেয়েকে ভালোবাসে। এর জন্য তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে মান অভিমান চলতে থাকে। তারা দু'জন যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখন তাদের সম্পর্কের কথা সবাই জেনে যায়। এরপর থেকে তাদের সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল। এজন্য আকাশ আর বৃষ্টির মধ্যে দূরত্ব শুরু হতে থাকে। আগে তাদের প্রতিদিন দেখা হতো। কিন্তু এখন সপ্তাহে একবার দেখা যায়। এই দূরত্ব তাদের দু'জনের মনে সন্দেহ তৈরি করে।
আকাশের পরিবার একটু গরিব বলে বৃষ্টির পরিবার একদমই পছন্দ করতো না। এভাবে প্রতিনিয়ত তাদের জীবনে ঝড় বৃষ্টি আসতে শুরু করে। একদিন আকাশ পড়ালেখা বাদ দিয়ে বিদেশ চলে যায়। এরপর আরও সমস্যা বাড়তে থাকে। আকাশের সাথে বৃষ্টির তখন খুব কম কথা হতো। একদিন আকাশ বৃষ্টির সাথে রাগ করে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে নেয়। এই খবর শোনার পর বৃষ্টি খুব ভেঙ্গে পড়ে। বৃষ্টি এই শোক কাটিয়ে উঠতেই তার বাবা মারা যায়।
এদিকে আকাশ অন্য মেয়েকে বিয়ে করে সুখী হতে পারেনি। সেই মেয়ের সাথে তার সবসময় ঝগড়া হতে থাকে। এদিকে বৃষ্টির বাবা মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর তার ভাই ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেয়। আকাশ অন্য জায়গায় সুখী হতে না পারলেও বৃষ্টঁকা তার নতুন সংসার নিয়ে খুব সুখে আছে। এভাবেই বৃষ্টি আর আকাশের ভালোবাসা অসমাপ্ত রয়ে যায়।
যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
Md Abdullah Al Mamun
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?
Tajrin Nesa
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?