Abdul Aziz  membuat artikel baru
48 di ·Menerjemahkan

শ্রীকান্ত ৫ম পার্ট | #tags

শ্রীকান্ত ৫ম পার্ট

শ্রীকান্ত ৫ম পার্ট

সমস্ত ব্যাপারটা শুনিতে শুনিতে ইন্দ্রর দিদি হঠাৎ বার-দুই এম্‌নি শিহরিয়া উঠিলেন যে, ইন্দ্রর সেদিকে যদি কিছুমাত
1 di ·Menerjemahkan

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

1 di ·Menerjemahkan

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

1 di ·Menerjemahkan

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

3 di ·Menerjemahkan

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজের জন্য ২৫ জন ছাত্র/ছাএী/গৃহবধূ
প্রয়োজন
বয়স-১৮-২৬
যোগ্যতা-১২ম থেকে যেকোন ডিগ্রি
আগ্রহী প্রাথীরা Inbox meযোগ্যতা: সর্বনিম্ন ssc পাস
বেতন: ১২,০০০-২৫,০০০ টাকা
ইমারজেন্সি লোক লাগবে।

4 di ·Menerjemahkan

''সময় কাটে না,, গেলাম.. ``হতাশা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর``
``যেখানে প্রতিটি ফ্লোরে সাজানো,, ভিন্ন ভিন্ন দুঃখের বিভাগ``।
পুরো সেটিংটাই `নরকের,, বাণিজ্যিকীকরণে রমরমা,,
শুরুতে নিলাম,,
,,ভালোবাসার হালকা নাস্তা: শূন্যতার প্লেটে!"

...,গেলাম,, 'ফুর্তি ডিসকাউন্ট নিতে'! এখনই শেষ সময়!"
``আত্মার অধঃপতন শপিং স্টোরে,, পপকর্ন ফ্রি!
আরও নিলাম,,
''গুজব গপ্পো ভাজা! গরম গরম মিথ্যা,, মনের জিলাপি পেঁচানো সাপ,, শক্তিশালী 'টেনশন।
নিলাম,, ভ্রমের আইসক্রিম,, হাতে নিতে গলে যায়!

গেলাম গর্ব করে হাঁটা স্টোরে,,
``অহংকারের হাই-হিল: উঁচুতে তোলে, পড়তেও সাহায্য করে!
"পিউর টাকার কুমিরের,, চামড়া দিয়ে বানানো``

গেলাম অতীত ভেজাল স্টোরে,,
""স্মৃতির ডাস্টবিনে,, পুরোনো আবেগ পঁচে গলে পড়ে আছে,, আহাঃ কি দাম,,
নগদে চোখের জল ফেলে কিনে নিলাম, তবুও।,,
..বন্ধুরা এলো, বলে,, চল আরও তলিয়ে কাঁদি গলা মিলে``।

গেলাম হতাশা রিচার্জ স্টোরে,,
"দুঃখের রিফিল কার্টিজ! চিরস্থায়ী উৎকণ্ঠা!
ফুল লোড,,
"নিলাম- লোভের EMI স্কিম! প্রথম কিস্তি: সামান্য বিবেক পে!"

একটু হাঁটতেই দেখি,, "শয়তান দোকান খুলেছে 'নরকের 'রসগোল্লা' নামে,
বলে, আসুন,, 'একটা খেয়ে দেখুন, স্বাদ পাবেন অনুতাপের চিনি!'
জিজ্ঞেস করলাম, 'ক্যালোরি কত?'
উত্তরে হাসে, 'এক গ্লাস 'পাপের সমান!'"
..মুখে নিতেই,, কপালে পড়লো,, 'দুর্ভাগ্যের শুকনো পাঁউরুটি'..

অবশেষ,, 'শয়তান মুচকি হেসে বলে,,
নেন, আরও একটা হতাশার ডোজ, সারাক্ষন মিথ্যা কুয়াশার তৃপ্তি পাবেন !'
জিজ্ঞাস করলাম, 'মেয়াদ কতদিন?'
প্যাকেটের গায়ে লিখা আছে , 'সত্যের আলো উত্থান পর্যন্ত"!

———————
'হতাশা স্টোর।
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।

4 di ·Menerjemahkan

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

5 di ·Menerjemahkan

গল্প : অভিশপ্ত শাড়ি

পুরনো দিনের শাড়ির প্রতি রেশমার একটা অদ্ভুত টান ছিল। নিউ মার্কেটের এক অ্যান্টিক দোকান থেকে সে একটা টুকটুকে লাল বেনারসি কিনেছিল, সোনালী জরির কাজে ভরা। শাড়িটা গায়ে জড়াতেই তার মনে হলো, এ যেন শুধু কাপড় নয়, একটা ইতিহাস। সেদিন রাতে পার্টিতে শাড়িটা পরে যেতেই সবাই খুব প্রশংসা করল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর থেকেই শুরু হলো বিপত্তি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়িটা খোলার সময় রেশমার মনে হলো, তার প্রতিবিম্বটা হাসছে না, বরং করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। রাতে ঘুমানোর সময় সে স্বপ্ন দেখল, সে নিজে নয়, অন্য কোনো এক বধূ ওই শাড়ি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে এবং তার স্বামী তাকে বিষ খাইয়ে দিচ্ছে। ঘুম ভেঙে সে দেখল, শাড়িটা আলমারিতে নেই, তার বিছানার পাশে সুন্দর করে ভাঁজ করে রাখা। যেন কেউ এইমাত্র রেখে গেল। এরপর থেকে প্রায়ই সে শাড়ির মালিকের শেষ মুহূর্তের যন্ত্রণা অনুভব করত।


#অভিশপ্তশাড়ি #hauntedsaree #ভৌতিকগল্প #হররস্টোরি #bengalihorror

5 di ·Menerjemahkan

গল্প : প্রতিশ্রুতির বাঁধন

বিয়ের মাত্র এক মাস পরেই যুদ্ধে মারা যায় সেনাশ্রীকান্ত। তার স্ত্রী মালতীকে সে কথা দিয়েছিল, যেমন করেই হোক সে ফিরে আসবে। শ্রীকান্তর মৃত্যুর পর মালতী শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল। সে সারাদিন শ্রীকান্তর ছবির দিকে তাকিয়ে থাকত। একদিন রাতে মালতীর মনে হলো, ঘরে কেউ এসেছে। সে দেখল, শ্রীকান্তর ইউনিফর্ম পরা ছায়ামূর্তি তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছায়ামূর্তিটা বলল, "আমি কথা রাখতে এসেছি, মালতী।" সেই থেকে প্রতি রাতে শ্রীকান্তর আত্মা তার কাছে আসত। মালতী ধীরে ধীরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিল। সে বলত, "ও আমাকে ডাকছে।" কিছুদিন পর এক সকালে মালতীকে তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। তার মুখে ছিল এক অনাবিল হাসি, যেন সে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে।


#প্রেমেরভূত #অতৃপ্তপ্রেম #প্রতিশ্রুতি #ভৌতিকপ্রেমকাহিনী #romantichorror

5 di ·Menerjemahkan

গল্প: না পাঠানো চিঠি

পুরোনো বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে দাদার টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা হলদে হয়ে যাওয়া চিঠি পেয়েছিলাম। চিঠিটা আমার দাদামশাই তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, কিন্তু পাঠানো হয়নি। চিঠিতে লেখা ছিল, কীভাবে তিনি আর তাঁর এক বন্ধু মিলে তাঁদের এক ব্যবসায়িক পার্টনারকে খুন করে এই বাড়ির বাগানে পুঁতে দিয়েছিলেন। আমি চিঠিটা পড়ে ভয়ে জমে গেলাম। সেদিন রাতেই শুরু হলো উপদ্রব। ঘরের জিনিসপত্র নিজে থেকেই এদিক-ওদিক হতে লাগল। রাতের বেলা বাগানের দিক থেকে কেউ যেন মাটি খোঁড়ার শব্দ করে। একদিন রাতে আমি দেখলাম, বাগানের সেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটা কঙ্কালসার হাত মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে। মনে হলো, চিঠিটা পড়ার মাধ্যমে আমি এমন এক গোপন কথা জেনে ফেলেছি, যার সাক্ষী শুধু মাটি আর ওই অতৃপ্ত আত্মা। এখন সেই আত্মা রোজ রাতে আমার দরজায় টোকা দেয়, যেন তার অসমাপ্ত প্রতিশোধের জন্য আমার সাহায্য চাইছে।


#না_পাঠানো_চিঠি #ভয়ঙ্কর_গোপন #অতৃপ্ত_আত্মা #বাংলা_হরর #ভৌতিক_গল্প #ভূতের_চিঠি #রাতের_টোকা #গোপন_হত্যা #অলৌকিক_প্রতিশোধ #hauntedletter

5 di ·Menerjemahkan

গল্প: লিফটের অতিথি

অফিস থেকে ফিরতে রাত হয়েছিল শ্রেয়ার। সে অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে একা উঠেছিল। পাঁচতলায় এসে লিফটটা হঠাৎ থেমে গেল। দরজা খুলতেই সে দেখল, বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার করিডোর। কেউ নেই। দরজা বন্ধ হতেই লিফটের ওভারলোড অ্যালার্ম বেজে উঠল, যদিও সে ভেতরে একা। তার মনে হলো, পাশে কেউ এসে দাঁড়িয়েছে। একটা ঠান্ডা, ভারী নিশ্বাস সে নিজের ঘাড়ের কাছে অনুভব করতে পারছিল। লিফট নিচে নামছিল, কিন্তু তার ওজন যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

#লিফটেরঅতিথি #ভৌতিকগল্প #বাংলাঘোস্ট #horrorstorybangla #ghostinlift #banglahorror #ভয়েরগল্প #creepylift #elevatorghost #scaryshorts