_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।
-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।
যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।
-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।
-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।
তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও
তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!
দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।
-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!
-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।
-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!
-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,
তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!
এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️🩹
_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।
-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।
যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।
-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।
-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।
তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও
তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!
দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।
-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!
-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।
-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!
-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,
তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!
এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️🩹
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
দরজায় দরজায় বিক্রি হচ্ছে, 'বিয়ের নামে'
'ফ্রি স্যাম্পল',
একটা 'লাইভ ডেমো' যার এক্সপায়ারি ডেট আজই!
ব্যাপারটা এমন,, অনেকদিন ভালো খায় না,,
চল, 'মেয়ে দেখার নামে,, চা-বিস্কুটের বিলটা সেভ করি...
কাস্টমার ফিডব্যাক' নেওয়া ,, অর্ধেকটাই সমালোচনা,
সাপ্লাই চেইনের দর কষাকষি— এই আরকি!
শুভদৃষ্টি"? "পাত্রী দেখা"? — ভণ্ডামির শীতল প্রলেপ!
ভিতরে বিদ্রুপ হাসি নিয়ে যাওয়া চোদ্দগুষ্টি,,
খুঁজবে প্রিমিয়াম সব ভার্সন—
'রাশিয়ান লেদার', রান্নায় অস্কার জিতা,
``বয়স হাঁটুর নিচে,,
দক্ষতা: সংসার ঘানি থেকে,, তেল বের করে সবাইকে তেলতেলে রাখা,,!
যেন, প্রডাক্ট স্পেসিফিকেশন' চেকলিস্টে,,
একটা বাদ পড়লে,, এই ভার্সন রিজেক্ট,,
কিছু টাকার,, সান্ত্বনা-বন্ড হাতে ধরিয়ে,, মূল্যবোধ রিফান্ড করে দেয়া।।
বিয়ের নামে,, মেয়েদের পণ্যের ডেমো" বানিয়ে রাখা,,
কতবার দেখলে 'ফুল ভার্সন' নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে?"
সম্মানের পলিসি কী?"
এই ক্লান্তিকর, অস্বস্তিকর প্রক্রিয়ায়,,
অস্তিত্বের সংকট:,, পাত্রী দেখার নামে,,
তার,, রঙিন নখের নিচে লুকানো কতটা আঁচড়?
কতটা 'রক্তপাত?
ম্যানিকিউর হাসিতে তবুও চাই এই সমাজ নিখুঁত আর্ট,
ভেতরের বিষাদ-চিৎকারের,, কোনো দাম নেই,,
অন্যের ফ্রি দেখার আত্মসন্তুষ্টিতে।"
"একটা মানুষের আত্মা নিয়ে খেলা 'ফ্রি ট্রায়ালের' 'জিগস পাজলে?"
"মায়ের চোখে চাপা উদ্বেগ",
বাবার হতাশা নামে,, 'অভিশাপ হয়ে যাওয়া কন্যা শব্দটাতে,,
..সমাজের বানানো নিয়মের পণ্যায়নে,,..
ছেলের পছন্দ, খালু, মামাদের পছন্দ না,,
``প্রত্যাখ্যান,, সেই ক্ষতচিহ্ন এই সমাজ আবার আঙ্গুল দিয়ে দেখায়,,
,,এই উপুযুক্ত না!!
তার চিৎকার পোঁছে না,, 'অন্ধ নীরবতা চারদিক',
নিজের ভিতর দুমড়ে যাওয়া,, আর্তনাদ বলে,,
``শোরুমের ডামি নই আমি,
না কোনো 'রিটার্ন পলিসি' সম্বলিত জিনিস!
তবুও... 'বিয়ের নামে'
সস্তা নাটকের রিহার্সাল কেন বারবার হয়?
হ্যাঁ,, দেখার নিয়মে দেখুক,, পথের কাকও যেন শব্দ শুনতে না পায়"
``রিজেক্ট বাটন সবার অধিকারে থাকুক,,
``চাপিয়ে দেয়া না``।
——————
বিয়ের নামে!
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।
তাহলে এবার আমি তোর জন্য ওই ইমোশনাল রোমান্টিক গল্পটা (নীরা আর সোহান এর গল্প) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা ছোট্ট কবিতা লিখে দিলাম — ঠিক যেন সোহানের মনের কথা, নীরাকে উদ্দেশ্য করে লেখা।
---
কবিতা: "চোখে চোখ রেখেই বিদায়"
তুই বলেছিলি —
“চোখে চোখ রাখলেই সব বোঝা যায়,”
তাই তো আজও,
তোর অনুপস্থিত চোখে
আমি ভালোবাসা খুঁজি।
তুই বলেছিলি —
“মরে গেলে ভুলে যাস না যেন,”
আমি মরিনি…
প্রতিদিন তোর চিঠির লাইনে বেঁচে থাকি।
বৃষ্টিতে ভিজলে তোর হাসি দেখি,
আকাশের তারা গুনলে তোর চোখ মনে পড়ে,
আর রাত গভীর হলে
তোর ফেলে যাওয়া ‘শেষ চিঠি’
বালিশের পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।
তুই ভালোবাসিস…
জানি…
তাই তো চোখে চোখ রেখেই
বিদায় বলে গেলি।
---
কেমন লাগল বল? 💔
তুই চাইলে এই কবিতাটাকে গান বানিয়ে দিতেও পারি — সুরের মতো করে।
নাকি আরেকটা ইমোশনাল বা প্রেমের কবিতা/গল্প চাস? 😊
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
যখন কোনো সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে, তখন আমাদের মনের ভেতর থেকে এক ধরনের চাওয়া জন্ম নেয়। আমরা চাই প্রিয় মানুষটা আমাদের জন্য সময় দিক, গুরুত্ব দিক, আগের মতোই প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিক। এই প্রত্যাশাগুলো মুখে বলি না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সেই চাহিদা তৈরি হয় নিঃশব্দে। আর যখন সেই প্রত্যাশা পূরণ হয় না, তখনই জন্ম নেয় অভিমান। ছোট ছোট উপেক্ষা, সময় না দেওয়া, বদলে যাওয়া আচরণ-সব মিলিয়ে মনটা ভারী হয়ে ওঠে। সেই অভিমান দিন দিন বাড়তে থাকে, জমে যায় কষ্টের পাহাড় হয়ে। একটা সময় সে পাহাড় ভেঙে পড়ে অভিযোগ হয়ে-প্রিয় মানুষটার দিকেই। এই অভিযোগ-অভিমান বাড়তে বাড়তে একসময় মনে হয়, মানুষটাকে বুঝি হারিয়ে ফেলবো। সেই ভয়টা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, তখন আমরা অজান্তেই কিছু অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকি। হুটহাট রাগ, তুচ্ছ ব্যাপারে অভিমান, সবসময় খোঁজ নেওয়া, কারও সাথে বেশি মিশলে হিংসে হওয়া-সবকিছুর শিকড় সেই ভয় থেকে, হারিয়ে ফেলার আতঙ্ক থেকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, প্রিয় মানুষটা সব সময় আমাদের সেই ভয়টা বোঝে না। বরং সে ধীরে ধীরে বিরক্ত হতে শুরু করে। প্রতিদিনের অভিযোগ, বারবার অভিমান, একটানা মানসিক টানাপোড়েন তাকে ক্লান্ত করে তোলে। তখন সে একরকম হাঁপিয়ে ওঠে সম্পর্কটা থেকে, আর একসময় সে বেরিয়ে যেতে চায়। যে মানুষটাকে এত ভালোবেসে আগলে রাখতে চেয়েছি, তাকে নিয়েই একসময় সম্পর্ক বিষিয়ে ওঠে। আর সম্পর্কের অপর প্রান্তে থাকা মানুষটা যখন চলে যায়, তখন আমরা ভেঙে পড়ি ভেতর থেকে। সব কিছু থাকা সত্ত্বেও ভীষণ একা হয়ে যাই। এই সত্যটা খুব নির্মম-যে যত গভীরভাবে ভালোবাসে, তার কষ্টটাও হয় গভীর। আর যে গা ছাড়া ভাবে ভালোবাসে, সে কখনোই অতটা কষ্ট পায় না, কখনোই হারানোর ভয়টুকু বোঝে না। সম্পর্ক তখনই টিকে থাকে, যখন দুজন মানুষ একসাথে গভীর হয়। না হলে একপক্ষ ভালোবেসে ক্লান্ত হয়, আর অপরপক্ষ স্রোতের মতো ভেসে চলে যায়-নির্বাক, নিঃশব্দে, কোনোরকম উপলব্ধি ছাড়াই। এভাবেই একদিন সম্পর্কের শেষ হয়। ভালোবাসা থাকলেও, বোঝা পোড়ার অভাবে। ভয় থাকলেও, ভাষাহীনতার কারণে। আমরা সবচেয়ে আপন মানুষটাকেই হারিয়ে ফেলি-যার জন্য একসময় নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছিলাম.!😅
১২৮.
وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِيمُ رَبِّ اجۡعَلۡ هَـٰذَآ أُمَّةًۭ وَّٱحِدَةًۭ وَّأَرۡزُقۡ أَهۡلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَـٰتِ مَنۡ ءَامَنَ مِنۡهُمۡۚ قَالَ وَلَـٰكِنۡ لَّيَبۡلُوَنَّهُمۡۖ وَلَيَقُولَنَّ ٱلۡكٰفِرُونَ إِنۡ أَشَآءَ ٱللَّهُ مَا هَـٰذَآ بِشَىٍۭٔۢۚ وَظَنُّوا۟ أَنَّمَآ أَمَرَهُۥۤ لِيَتَمَيَّزَ بَعۡضُهُم مِّنۡ بَعۡضٍۢۖ ۖ وَمَاَكَثَ إِلَّآ قَلِيلًۭاۚ فَبَدَّلۡنَـٰهُم مَّا بَدَّلُوا۟ۗ وَلَبۡسُنَا عَلَيْهِمۡۖ وَلَيَذُوقُنَّ ٱلْعَذَابَ
“আর যখন ইব্রাহিম বললেন, ‘হে প্রভু! এই একটি সমষ্টিকে এক জাতি বানিয়ে দাও এবং যারা বিশ্বাস এনেছে তাদের মধ্যে রিযিক দিয়ো।’ তিনি বললেন, ‘তবে অবশ্যই আমি তাদের পরীক্ষা করব; আর কাফিররা বলবে, ‘যদি আল্লাহই চাইতো, তাহলে এটি কোনো বিষয়ই হত না।’ এবং তারা ধারণা করে যে এটা একটি সুযোগ, যাতে তারা একে অপরকে পৃথক করে। তবে তাদের ক্ষুদ্র কালের মধ্যেই; ফলস্বরূপ, আমরা তাদের যা পরিবর্তন করেছিল তারা তা পরিবর্তন করেছিল এবং তাদের ওপর অচলতা সৃষ্টি করলাম। তারা শাস্তি দেবে অবশ্যই।”
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ১২৮ )
মানুষের উপকার করা মহান ইবাদত। এটি মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দরিদ্র, অসহায়, অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকা ও সেবা করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। মানুষকে অসহায়ত্ব থেকে, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য খরচ করাকে মহান আল্লাহ বিনিয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং সেই বিনিয়োগ তিনি বহুগুণে ফেরত দেওয়ার ওয়াদা করেছেন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম কর্জ প্রদান করবে? তাহলে তার সেই কর্জকে তার জন্য আল্লাহ বহুগুণ বর্ধিত করে দেবেন এবং আল্লাহই সীমিত ও প্রসারিত করে থাকেন এবং তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহকে কর্জ বা ঋণ দেওয়ার অর্থ হলো তাঁর পথে খরচ করা। গরিব, অসহায় ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করা। একে ঋণ বলা হয়েছে রূপকার্থে। কেননা এর বিনিময় দেওয়া হবে উত্তমরূপে। অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম কর্জ (ঋণ) দেয়, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান। (সুরা হাদিদ: ১৮)
মানুষের উপকার করলে সৌভাগ্যময় মৃত্যু হয়। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, সৎ কাজ করার ফলে মন্দ মৃত্যু থেকে সুরক্ষা মেলে; গোপনে কৃত দান রবের ক্রোধ নিভিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষায় আয়ু বৃদ্ধি পায়। (সহিহুত তারগিব: ৮৯০)
আরও পড়ুন: মানুষের সম্মান রক্ষা করলে যে প্রতিদান পাবেন
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুমিন জাতিকে বানিয়েছেন এক দেহের মতো করে। দেহের কোনো অংশ আক্রান্ত হওয়া মানে গোটা দেহ আক্রান্ত হওয়া। তাই মুমিন অন্যের সেবা করাকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করবে, এটাই ইসলামের শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের ন্যায়; যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (মুসলিম: ৬৪৮০)
কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি। এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা অসহায়দের পাশাপাশি আমাদেরও পরীক্ষা নিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি তা দেখছেন। এই পরীক্ষায় পাস করতে হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন, দরিদ্র প্রতিবেশী, এতিম-মিসকিন, নির্যাতিত মুসলিমসহ প্রত্যেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এতেই নীহিত রয়েছে মহান আল্লাহর দয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে জীবনের উপকরণ দিয়েছি, তা থেকে তোমরা ব্যয় করো সেদিন আসার আগেই যেদিন কোনো বেচাকেনা, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৫৪)
আরেক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
আরও পড়ুন: কাউকে কষ্ট দেওয়ার পর ক্ষমা না পেলে করণীয় কী
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, ‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানবতার আদর্শ মহানবী (স.)-এর জীবনের মহিমান্বিত অভ্যাস ছিল মানুষের উপকার করা, দরিদ্রদের উদারচিত্তে দান করা, অন্যের প্রতি বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এসব কাজের মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
মানুষের উপকার করতে পারা মূলত ভাগ্যের ব্যাপার। এই সুযোগ ও সৌভাগ্য সবার হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর জন্য নিবেদিত এমন অনেক বান্দা আছে যাদেরকে আল্লাহ তাআলা মানুষের উপকার করার জন্য বিশেষ নিয়ামত দান করেন। যতক্ষণ তারা সেগুলো মানবকল্যাণে ব্যয় করে ততক্ষণ তিনি তাদের সেসব নিয়ামতের মধ্যে বিদ্যমান রাখেন। কিন্তু যখন তারা সে উপকার করা বন্ধ করে দেয়, তখন তিনি তাদের থেকে নিয়ামত ছিনিয়ে নিয়ে অন্যদের দিয়ে দেন। (সহিহুত তারগিব: ২৬১৭)
তাই আসুন, আমরা আমাদের আশপাশে থাকা অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই। মানুষের উপকারে মনোনিবেশ করি। আল্লাহ আমাদের মানবতার কল্যাণে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সম্পাদক: মহিউদ্দিন সরকার
২১.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের প্রভুর উপাসনা করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন—যেন তোমরা পরহেজগার হতে পারো।
২২.
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ বানিয়েছেন, এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তাতে বিভিন্ন ফল-ফসল উৎপন্ন করেছেন, যা তোমাদের জীবিকা। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না।
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ২১-২২ )
২১.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের প্রভুর উপাসনা করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন—যেন তোমরা পরহেজগার হতে পারো।
২২.
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ বানিয়েছেন, এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তাতে বিভিন্ন ফল-ফসল উৎপন্ন করেছেন, যা তোমাদের জীবিকা। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না।
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ২১-২২ )
সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক মূল্যবান কথা। মানুষ সত্যিকেও মিথ্যা করতে পারে নিজের সুবিধার জন্য। সবাই চাই সুবিধা আর সুবিধা আর কিছু না।
ইদানিং এমন সময় এসেছে যে কিছু বিবেকহিন মানুষ নিজের জন্য সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যি সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারে,,,,বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে থেকে আল্লাহর ভয় কমে গেছে😓😓😓😭হায় রে দুনিয়া,,,
সবচেয়ে কষ্টের জায়গা হলো যখন কাউকে নিজের জীবনের অমূল্য অংশ বানিয়ে ফেলি অথচ তার কাছে আমরা থাকি শুধুই একটা নামহীন সম্পর্কের মতো তখন হাজারটা শব্দ থাকলেও কিছু বলার থাকে না হাজারটা অনুভূতি থাকলেও প্রকাশ করার মতো সাহস থাকে না মানুষ চাইলেই তো ভুলে যেতে পারে না যাকে সত্যি করে ভালোবেসেছে একবার ভালোবাসা মানেই সবকিছু দিয়ে দেওয়া কিন্তু সেই মানুষটা যদি বুঝতে না পারে তবে ভালোবাসাও হয়ে যায় একটা বোঝা তখন বেঁচে থাকাটা হয়ে ওঠে শুধুই অভ্যাস
তুমি যার জন্য সবকিছু করো সে যদি একদিন তোমাকে অচেনা বানিয়ে ফেলে তাহলে কষ্ট পাওয়ার অধিকারটাও হারিয়ে ফেলো এমন কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলো ছাড়তে গিয়ে হৃদয়ের একটা অংশ রেখে আসতে হয় তবুও ছাড়তে হয় কারণ নিজেকে হারিয়ে ফেলার আগে কিছু হারানোই ভালো সময়কে বিশ্বাস করলে সে তোমাকে শেখাবে কাকে ধরে রাখতে হয় আর কাকে ছেড়ে দিতে হয় ভালোবাসা মানেই নয় থেকে যাওয়া কখনো কখনো বিদায়ও প্রমাণ হয় ভালোবাসার...।
বিয়ের এক মাসের মধ্যে অনীক অনুধাবন করল বিয়ে করাটা তার মোটেই উচিৎ হয়নি। জীবনের সবথেকে ভুল পদক্ষেপ ছিল বিয়ে করা। বিয়ে করে সে কঠিন ফ্যাসাদে পড়ে গেছে। রাত নেই দিন নেই নিধির ঝাড়ি খেতে হয়। শুধু নিধি না। বাড়িসুদ্ধ লোক আজকাল তাকে উঠতে বসতে ঝাড়ি দেয়। সবাই অনীকের বিপক্ষে। নিধির পক্ষে। অনীকের থেকে নিধিই এখন তাদের কাছে আপনজন। কি আশ্চর্য। এই জন্য প্রেম করে বিয়ে করা উচিৎ না। প্রেম করে বিয়ে করলে সম্মান থাকে না। ঝাড়ি খেতে হয় শুধু।ভালবাসার গল্প, প্রেমের গল্প, ভালোবাসার গল্প এই এক মাসে অনীক সাতদিন ছুটি পেয়েছে। একদিনও আটটার বেশি ঘুমোতে পারেনি। সাতটা বাজতেই নিধি চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। ঘুমের মধ্যে এলার্মের শব্দ শুনতে না পেলেও নিধির চিৎকার অনীক ঠিকি শুনতে পায়। শুধু নিধি না। নিধির সাথে সাথে আম্মাও আজকাল যোগ দিয়েছেন। নিধি যখনই বলে, কি ব্যাপার গন্ডারদের মত এখনো ঘুমোচ্ছ কেন? কয়টা বাজে দেখেছ? এখনি ওঠো। উঠে বাজারে যাও। আম্মাও সাথসাথ বলে ওঠেন, বউমা দেও তো হারামজাদাটার গায়ে পানি ঢেলে। এত বেলা হয়েছে তার পরেও ওঠে না। কি ভয়ানক ব্যাপার। এই কথা শোনার পর আর বিছানায় শুয়ে থাকা যায় না। অনীক লাফ দিয়ে উঠে পড়ে। নিধির কোন ভরসা নাই।অনীক আজকাল বাজারেও যায়। প্রথমদিকে পচা সবজি কিনে আনত। আগে কখনো বাজার করে নি সে। বাজার করা আরেক দুঃসাহসিকতার ব্যাপার। কোনটার দাম কেমন হতে পারে কিছুই জানে না সে। তবুও নাকি তাকেই বাজারে যেতে হবে। নিধির কড়া নির্দেশ। বাবাটাও হয়েছেন কেমন যেন। ছুটির দিনগুলোতে আগে বাজারে যেতেন। এখন পেপার নিয়ে বসে থাকেন। সব দায়িত্ব অনীকের। এটা কেমন কথা। বিয়ে করেছে জন্য কি সব একাই সামলাবে সে। বাসার কিছু একটা নষ্ট হলেই অনীককে দৌড়াতে হয়। অথচ বিয়ের আগে সে পরম সুখে ছিল। অফিস গেছে আর আসছে। অফিস থেকে এসেই লম্বা ঘুম। এখন অফিস থেকে এসে ঘুম দেওয়ার জো নেই। এ কাজ সে কাজ লেগেই থাকে।আজকাল বাড়িতে অনীকের দাম একেবারে চতুর্থ স্তরের গরু ছাগলের পর্যায়ে নেমে গেছে। ছোট বোনটাকে আগে ধমকালেই সব কাজ করে দিত। এখন সে পর্যন্ত ভয় পায় না। অনীকের চা খাওয়ার অভ্যাস আছে। নিধি বারণ করে দিয়েছে। দিনে দুকাপের বেশি চা খাবে না। সকালে এক কাপ, বিকালে এক কাপ। নিধি নিজ হাতে সেই চা বানিয়ে আনে। নিধির চা পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর চা। কিন্তু সেই চা শুধুমাত্র দুইবেলা বরাদ্দ। সেদিন দুপুরবেলা অনীক তার ছোট বোন অর্পিতাকে বলল, ‘এক কাপ চা বানিয়ে দেত। তোর ভাবী এই সময় গোছলে গেছে। চুপচাপ বানাবি। বকশিশ পাবি।‘অর্পিতা রাগী স্বরে বলে উঠল, ‘টাকা দিয়ে আমাকে কিনতে পারবে না ভাইয়া। ভাবীর বারণ আছে। দিতে পারব না।‘ চোখ রাঙ্গিয়ে লাভ নেই। ভাবীকে বলে দিব কিন্তু।বোনের এই কথা শুনে অনীকের চোখে পানি চলে এল। অনেক কষ্টে আটকাল। এ তো মহা সমস্যা। নিজের বাসায় আজকাল নিজেকে চোর চোর হয়ে থাকতে হচ্ছে।অনীকের একটু সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে। নিধি আগে থেকেই জানত। অনেক নিষেধও করেছিল। অনীক শোনে নি। বিয়ের পর না শুনে উপায় নেই। বাসায় সিগারেট খাওয়া একদম নিষিদ্ধ। অনীক বাইরে থেকে আসার সাথে সাথেই নিধি অনীকের শার্ট শুঁকে শুঁকে দেখে। কি মুশকিল। এই মেয়ের জন্য কিছুই করা যায় না। সেদিন আম্মাও রাগত স্বরে বললেন, ‘বউমা হারামজাদাটা কি এখনো সিগারেট খায়।‘নিধি উৎসাহের সহিত বলল, ‘না মা! কন্ট্রোলে রাখছি।‘ঠিক করেছ। সিগারেট খেলেই আমাদের সামনে এনে দুই গালে দুটা চড় লাগিয়ে দিবে।এইরকম একটা ভয়াবহ আলাপচারিতা শোনার পর বাসায়আর সিগারেট খাওয়া চলেনা।নিধির সাথে অনীকের কথা পর্বটা বলা যাক। দুইজন একই পাড়ায় থাকত। একই কলেজে পড়ত। কিন্তু কেউ কারো সাথে কোনদিন কথা বলে নি। এইচএসসি বাংলা পরীক্ষার আগের রাত। অনীকের একটা নোটের প্রয়োজন পড়ল। যে ফ্রেণ্ডকেই ফোন দেয় বলে দোস্ত পারব না। নিধিকে বল। ও তোর বাসার পাশেই থাকে। আমি বের হতে পারব না। অবশেষে নাম্বার যোগাড়করে অনীক নিধিকে ফোন দিল।হ্যালো নিধি-কে?-আমি অনীক। একটা নোট লাগত। শুনলাম তোমার কাছে আছে। দিতে পারবে?আচ্ছা বাসার সামনে দাঁড়াও আমি আসছি। কি নোট?এরপর থেকেই কথা বলা শুরু। তুমি থেকে তুই। সময় যায়। দুজন অনেকটা কাছাকাছি চলে আসে। বাউণ্ডুলে অনীক অনেক গোছালো হয়ে যায়। নিধি তাকে গুছিয়ে দেয় ধীরে ধীরে। তারপর? অনীক ধীরে ধীরে নিধির প্রতি দুর্বল হতে থাকে। অনীক ভাবে নিধিও হয়ত তার প্রতি দুর্বল। এভাবেই চলে যায় দিনগুলি। একদিন অনীক হঠাত বলে বসে, ‘তোকে ভালবেসে ফেলেছি।‘ নিধি অবাক হয়। এই ছেলে বলে কি! অনেক বোঝায় অনীককে। অনীক বোঝে না। শেষে একসময় মেনেই নেয় নিধি। মাঝে ঘটে যায় অনেক কাহিনী। থাক! এতসব বলে কাজ নেই। তুই থেকে তুমি তে আসা ব্যাপারটা অনেক কষ্টকর। ভালবাসি বাক্য বিনিময় করার পর দুইজন তুমি তুই নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়ে গেল। ওপাশের মানুষটাকে তুমি বলাটা অনেক কষ্টকর। লজ্জার বিষয়। কি করিস তুই থেকে সোজা কি কর তুমি, দুজনই বলে আর হাসে। লজ্জা পায়। আবার চেষ্টা করে। এরপর গল্পটা চলতে থাকে। মাঝে কত বাধা বিপত্তি, কত ঝগড়া ঝাটি। তারপরও দুজনে এক হয়ে থাকে।অনীক সকালে উঠতে পারত না। নিধি রোজ সকালে অনীককে বারবার ফোন দিয়ে তুলে দিত। কি অলস ছেলে। নিধি একবার ফোন দেয় অনীক ফোন ধরে বলে, ‘এই যে উঠছি আমি। আহ কি ফ্রেশ লাগছে। গুড মর্নিং।‘ বলে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। নিধি আবার ফোন দেয়। সাত আটবার ফোন দিয়ে অনীককে ঘুম থেকে তোলে। তারপর নিজে রেডি হয়ে ভার্সিটি যায়। এই মেয়ের এত ধৈর্য কিভাবে কে জানে! সারাদিন খোঁজ খবর নেয়া চলত। তারপর অনেক দিন পরপর যখন দেখা হত দুজনের নিধি আস্তে করে মাথাটা অনীকের ঘাড়ে রাখত। জীবনটা দুজনেরকাছেই রঙ্গীণ লাগত। এত সুখ কেন তাদের!আজকাল আর এইসব সুখের কথা মনে পড়লেই অনীকের কান্না পায়। এখন উঠতে বসতে নিধি ঝাড়ি দেয়। বিয়েটা না করে সারাজীবন প্রেম করাই ভালছিল।নিধি চায়ের কাপ নিয়ে অনীকের সামনে দাঁড়াল, ‘কি ব্যাপার? কি ভাবছ?’তোমাকে আজ সুন্দর লাগছে-এটা ভাবার কিছু হল নাকি?কিভাবে বল # #
Suraiya Soha
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Tajrin Nesa
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟