10 u ·Prevedi

নিঃশ্বাস এবাচে

image
4 d ·Prevedi

বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষের চাওয়া-পাওয়া খুব
জটিল কিছু নয়। অধিকাংশ সময়েই এগুলো মুখে আসে
না, বড় কোনো চাহিদার রূপ নেয় না, কিন্তু ভেতরে জমে
থাকে গভীরভাবে। পুরুষের ভালোবাসা শব্দে প্রকাশ পায়
না, যেমন তার চাওয়াগুলোও আসে নিঃশব্দে—হৃদয়ের

ভেতর থেকে, ছোট ছোট মুহূর্তের মাধ্যমে। সমাজ, সংসার,
কর্মক্ষেত্র—সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে হাঁটা পুরুষটির কাছে
স্ত্রীর কাছ থেকে চাওয়াগুলো আসলে খুবই সূক্ষ্ম, কিন্তু
অসাধারণভাবে আবেগময়।
সে চায়, দিনের শেষে কেউ তার অপেক্ষায় থাকুক। অফিস
থেকে ফিরেই দরজা খুলে যেন একটা চেনা গন্ধে মাখামাখি
হয়ে উঠুক চারপাশ—সেই ঘ্রাণ হয়তো রান্নাঘর থেকে আসা
ভাতের গন্ধ, বা স্ত্রীর চুলে লেগে থাকা নারকেল তেলের
ঘ্রাণ। সে চায়, কেউ এক কাপ চা এগিয়ে দিক, কোনো কথা
না বলে পাশে বসে থাকুক, কেবল চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে
দিক—“আমি জানি তুমি ক্লান্ত।” পুরুষটি জানে, এই এক
কাপ চা-ই সারাদিনের সমস্ত ধকল ভুলিয়ে দিতে পারে।

পুরুষেরা চায় প্রশংসা, যদিও সেটা তারা মুখ ফুটে বলে
না। কিন্তু স্ত্রীর মুখে একটি ছোট্ট কথা—“তুমি কত কষ্ট
করো আমাদের জন্য”, অথবা “তুমি ছাড়া আমি এত কিছু
পারতাম না”—এই একবাক্যই তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস
ফিরিয়ে দেয়। কখনো কখনো স্ত্রী রেগে যায়, অভিমান
করে মুখ গোমড়া করে বসে থাকে। কিন্তু সেসব অভিমানেও
থাকে এক মিষ্টি প্রেম—একটা মুঠোফোনের বার্তায় লেখা
থাকে, “তাড়াতাড়ি বাসায় এসো, রাগ তো চা বানিয়ে
ঠান্ডা করে ফেলেছি।” এই অভিমান, এই মিষ্টতা, পুরুষটি
আজীবন লালন করে হৃদয়ের গভীরে।
সকালবেলা অফিসে বের হবার সময়ের মুহূর্তটাও তার খুব
প্রিয়। স্ত্রীটি এসে শার্টের কলার ঠিক করে দেয়, বোতাম
লাগিয়ে দেয় নিঃশব্দে। তার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায় স্বামীর
গলার নিচে। সদ্যস্নাত চুলের গন্ধে মোহিত হয়ে পড়ে সে।
আর তখনই যেন অনুভব করে, এই ছোট্ট মুহূর্তে পৃথিবীর
সমস্ত প্রেম তার জীবনে একত্র হয়েছে। এ এক অনুপম
ছোঁয়া, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়।
আরো এক জিনিস পুরুষেরা চায়—ভরসা। এমন একজন
মানুষ, যার সামনে নিজের দুর্বলতাগুলো খুলে ধরতে পারে।
যে শুনবে, পাশে থাকবে, বিচার করবে না। স্রেফ বলবে
—“সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি।” এই "আমি আছি"
কথাটা পুরুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্বাস। কারণ
বাইরে সে হয়তো শক্ত, সাহসী, দায়িত্ববান; কিন্তু ভেতরে সে
ঠিক একজন মানুষ, যে চায় একটু নির্ভরতা, একটু আশ্রয়।

5 d ·Prevedi

প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী

জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।

জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।

জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।

আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼

1 u ·Prevedi

এমনকি একটু জায়গা নেই যেখানে গিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া যায়,,,***********************†**********************
,**********************************************************
*************************************

image
4 u ·Prevedi

১০৬.
وَكَذَٰلِكَٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيْكَ رُوحًا مِّنۢ أَمۡرِنَاۖ ۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلْكِتَـٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَـٰنُ وَلَـٰكِن جَعَلۡنَـٰهُ نُورًاۚ وَهَدَىٰ بِيَهِ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٲنَنَاۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا لَهُمْ عَذَابٌۭ شَدِيدٌۭ

এভাবেই আমরা তোমাকে আমাদের পক্ষ থেকে একটি বিধানময় নিঃশ্বাস-রূহ প্রদান করেছি, যেটা তুমি জানোও না—কি হল কিতাব, কি হল ঈমান; বরং আমরা এটিকে আলো (নূর) বানিয়েছি; এবং এর দ্বারাই যিনি আমাদের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি অনুসরণ করবে, আমরা তাকে পথ দেখাব। আর যারা আমাদের আয়াত অস্বীকার করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।

-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ১০৬ )

4 u ·Prevedi

কুয়োর ফিসফিসানি (The Whispers from the Well)

ডায়েরির পাতা থেকে: এক গ্রামের প্রান্তে একটি বহু পুরনো, পরিত্যক্ত পাতকুয়ো আছে, যা এখন শ্যাওলা আর আগাছায় ঢাকা। গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে, কুয়োটির ভেতর থেকে রাতের বেলা ফিসফিসানির শব্দ শোনা যায়। কেউ বলে কান্নার শব্দ, কেউ বলে সাহায্যের জন্য আকুতি। একদল প্যারানরমাল গবেষক এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সেখানে যায় এবং কুয়োর গভীরে একটি হাই-সেনসিটিভিটি মাইক্রোফোন এবং নাইট-ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেয়। রেকর্ড করা অডিও শুনে তাদের রক্ত হিম হয়ে যায়। তারা কোনো একক ফিসফিসানি নয়, বরং শুনতে পায় বহু মানুষের সম্মিলিত আর্তনাদ, নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ, আর বাঁচার জন্য আকুতি। ইতিহাস ঘেঁটে তারা জানতে পারে, এক ভয়াবহ মহামারীর সময় গ্রামবাসী অসুস্থদের চিকিৎসার বদলে রোগ ছড়ানোর ভয়ে জীবন্ত অবস্থায় এই কুয়োতে ফেলে দিত। সেই থেকে শত শত অতৃপ্ত আত্মা ঐ কুয়োর শীতল, অন্ধকার গভীরে আটকে আছে। সেই রাতে, দলের একজন সদস্য কৌতূহলী হয়ে কুয়োর ভেতরে উঁকি দিতেই একজোড়া ফ্যাকাশে, শীতল হাত কুয়োর ভেতর থেকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে এসে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে এবং তাকে জলের গভীরে টেনে নিয়ে যায়।


#hauntedwell #villagehorrorstory #paranormalinvestigation #banglabhoutikgolpo #oloukikdiary

4 u ·Prevedi

কুয়োর ফিসফিসানি (The Whispers from the Well)

ডায়েরির পাতা থেকে: এক গ্রামের প্রান্তে একটি বহু পুরনো, পরিত্যক্ত পাতকুয়ো আছে, যা এখন শ্যাওলা আর আগাছায় ঢাকা। গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে, কুয়োটির ভেতর থেকে রাতের বেলা ফিসফিসানির শব্দ শোনা যায়। কেউ বলে কান্নার শব্দ, কেউ বলে সাহায্যের জন্য আকুতি। একদল প্যারানরমাল গবেষক এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সেখানে যায় এবং কুয়োর গভীরে একটি হাই-সেনসিটিভিটি মাইক্রোফোন এবং নাইট-ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেয়। রেকর্ড করা অডিও শুনে তাদের রক্ত হিম হয়ে যায়। তারা কোনো একক ফিসফিসানি নয়, বরং শুনতে পায় বহু মানুষের সম্মিলিত আর্তনাদ, নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ, আর বাঁচার জন্য আকুতি। ইতিহাস ঘেঁটে তারা জানতে পারে, এক ভয়াবহ মহামারীর সময় গ্রামবাসী অসুস্থদের চিকিৎসার বদলে রোগ ছড়ানোর ভয়ে জীবন্ত অবস্থায় এই কুয়োতে ফেলে দিত। সেই থেকে শত শত অতৃপ্ত আত্মা ঐ কুয়োর শীতল, অন্ধকার গভীরে আটকে আছে। সেই রাতে, দলের একজন সদস্য কৌতূহলী হয়ে কুয়োর ভেতরে উঁকি দিতেই একজোড়া ফ্যাকাশে, শীতল হাত কুয়োর ভেতর থেকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে এসে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে এবং তাকে জলের গভীরে টেনে নিয়ে যায়।


#hauntedwell #villagehorrorstory #paranormalinvestigation #banglabhoutikgolpo #oloukikdiary

তোমাকে কতটা ভালবাসি সেটা হয়তো তুমি কখনো পুরোপুরি বুঝতে পারবে না.... হয়তো আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে তোমার নাম লেখা, সামিরা কিন্তু তুমি সেটা শুনতে পাও না... আমি শুধু এটুকু বলতে পারি তুমি আমার সুখের কারণ, তুমি আমার হাসির পেছনের মানুষ। তুমি না থাকলে আমার দিনগুলো ফাকা মনে হয়, মনে হয় কিছু একটা অপর্ণা থেকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত.... তোমার কথা মনে পড়লে মনটা কেমন যেন হালকা হয়ে যায়, আবার সেই না পাওয়ার ব্যথায় বাড়িও হয়ে ওঠে। তুমি আমার স্বপ্ন, তুমি আমার অনুভব আর সব থেকে বড় কথা তুমি আমার শান্তি। তুমি পাশে না থাকলেও আমি প্রতি মুহূর্তে তোমাকে অনুভব করি সামিরা I miss you all time, without any reason without any condition. ☺️তুমি হয়তো দূরে আছো, কিন্তু আমার ভালবাসা সব সময় তোমার চারপাশে ছায়ার মত ঘুরে বেড়ায়... যতদিন বেঁচে আছি ততদিন তোমারিই "হ্যাপিনেস "হয়ে থাকতে চাই... চুপচাপ,, নিঃশব্দে.... শুধু তোমার জন্য

❤️❤️নিশীথের অন্ধকারে, একাকীত্বের মাঝারে,
বুকের ভেতরে কাঁদে, স্মৃতির পাথুরে গজারে।
যেখানে ছায়া পড়ে, সুখের আলো দূরে,
প্রেমের সপ্ন জ্বলসে, মিথ্যার ছায়া কূলে।

ভাঙা হৃদয়ের কথা, কেউ শুনে না আজ,
ঝড়ে ভেসে যায় সব, শুধু থেকে নিঃশ্বাস।
দু:খের ছায়ায় লুকায়, হাসির মুখাবয়ব,
চোখে জমে অশ্রু ধারা, স্বপ্নেরই অঙ্গীকার।

পথ হারানো ভ্রমণ, অচেনা জীবনের খেলা,
বেদনার সুর বাজে, শূন্যতায় বেলা।
কখনো ফিরবে না, সে দিন আলোয় ভরা,
দু:খের ছোঁয়ায় লেখা, অজানা এক কথা।

🚧চোখে জল, বুকে ব্যথা, দিন যেন থেমে যায়,
স্মৃতিরা আজ বিষ হয়ে হৃদয়ে বিষায়।
শূন্য রাতে নিঃশ্বাস পড়ে, নিঃসঙ্গতা ডাকে,
প্রিয়জনের হারানো ছায়া মনে মনে হাঁকে।

শব্দহীন গল্পগুলো বোবা চোখে ভাসে,
হারানো সুখের স্মৃতি হৃদয় মাঝে হাসে।
তবুও বাঁচি, তবুও চলি, দুঃখকে সাথি করি,
জীবন বলে, “এটাই পথ”, চোখের জলে ভরি।

আকাশ আজ মেঘে ঢাকা, নেই আলো কোনো তারা,
তবুও মনে আশার ক্ষীণ রেখা ধরে সারা।
দুঃখই কি তবে চিরসাথী, নাকি ভোর হবে একদিন?
প্রশ্ন শুধু বয়ে চলে, বাতাসে জড়ায় বিন্দু বিন্দু বেদনার ছায়াছবির দিন।

নীরব রাতে কান্না আসে, চাঁদটাও আজ একা,
হৃদয়ের মধ্যে ঝড় বয়ে যায়, শান্তি যে নাই দেখা।
ভাঙা স্বপ্ন, স্মৃতির ছায়া, মনের মাঝে ব্যথা,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে জমে থাকে, হাহাকার আর কথা।

বন্ধুরা গেছে দূরে কোথায়, ফিরে আসে না কভু,
ভালোবাসা ফুরায় যখন, ভাঙে হৃদয় তখনও।
কেন এমন শূন্য লাগে, জীবনের এই পথ,
ভালোবাসা মিথ্যে যেন, ফুরায় তার ঐ রথ।

তবু বাঁচি আশা নিয়ে, একদিন হবে শান্তি,
এই দুঃখের শেষে একদিন, আসবে সুখের বান্দি।

image