বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষের চাওয়া-পাওয়া খুব
জটিল কিছু নয়। অধিকাংশ সময়েই এগুলো মুখে আসে
না, বড় কোনো চাহিদার রূপ নেয় না, কিন্তু ভেতরে জমে
থাকে গভীরভাবে। পুরুষের ভালোবাসা শব্দে প্রকাশ পায়
না, যেমন তার চাওয়াগুলোও আসে নিঃশব্দে—হৃদয়ের
ভেতর থেকে, ছোট ছোট মুহূর্তের মাধ্যমে। সমাজ, সংসার,
কর্মক্ষেত্র—সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে হাঁটা পুরুষটির কাছে
স্ত্রীর কাছ থেকে চাওয়াগুলো আসলে খুবই সূক্ষ্ম, কিন্তু
অসাধারণভাবে আবেগময়।
সে চায়, দিনের শেষে কেউ তার অপেক্ষায় থাকুক। অফিস
থেকে ফিরেই দরজা খুলে যেন একটা চেনা গন্ধে মাখামাখি
হয়ে উঠুক চারপাশ—সেই ঘ্রাণ হয়তো রান্নাঘর থেকে আসা
ভাতের গন্ধ, বা স্ত্রীর চুলে লেগে থাকা নারকেল তেলের
ঘ্রাণ। সে চায়, কেউ এক কাপ চা এগিয়ে দিক, কোনো কথা
না বলে পাশে বসে থাকুক, কেবল চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে
দিক—“আমি জানি তুমি ক্লান্ত।” পুরুষটি জানে, এই এক
কাপ চা-ই সারাদিনের সমস্ত ধকল ভুলিয়ে দিতে পারে।
পুরুষেরা চায় প্রশংসা, যদিও সেটা তারা মুখ ফুটে বলে
না। কিন্তু স্ত্রীর মুখে একটি ছোট্ট কথা—“তুমি কত কষ্ট
করো আমাদের জন্য”, অথবা “তুমি ছাড়া আমি এত কিছু
পারতাম না”—এই একবাক্যই তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস
ফিরিয়ে দেয়। কখনো কখনো স্ত্রী রেগে যায়, অভিমান
করে মুখ গোমড়া করে বসে থাকে। কিন্তু সেসব অভিমানেও
থাকে এক মিষ্টি প্রেম—একটা মুঠোফোনের বার্তায় লেখা
থাকে, “তাড়াতাড়ি বাসায় এসো, রাগ তো চা বানিয়ে
ঠান্ডা করে ফেলেছি।” এই অভিমান, এই মিষ্টতা, পুরুষটি
আজীবন লালন করে হৃদয়ের গভীরে।
সকালবেলা অফিসে বের হবার সময়ের মুহূর্তটাও তার খুব
প্রিয়। স্ত্রীটি এসে শার্টের কলার ঠিক করে দেয়, বোতাম
লাগিয়ে দেয় নিঃশব্দে। তার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায় স্বামীর
গলার নিচে। সদ্যস্নাত চুলের গন্ধে মোহিত হয়ে পড়ে সে।
আর তখনই যেন অনুভব করে, এই ছোট্ট মুহূর্তে পৃথিবীর
সমস্ত প্রেম তার জীবনে একত্র হয়েছে। এ এক অনুপম
ছোঁয়া, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়।
আরো এক জিনিস পুরুষেরা চায়—ভরসা। এমন একজন
মানুষ, যার সামনে নিজের দুর্বলতাগুলো খুলে ধরতে পারে।
যে শুনবে, পাশে থাকবে, বিচার করবে না। স্রেফ বলবে
—“সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি।” এই "আমি আছি"
কথাটা পুরুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্বাস। কারণ
বাইরে সে হয়তো শক্ত, সাহসী, দায়িত্ববান; কিন্তু ভেতরে সে
ঠিক একজন মানুষ, যে চায় একটু নির্ভরতা, একটু আশ্রয়।
প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী
জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।
জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।
জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।
আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼
১০৬.
وَكَذَٰلِكَٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيْكَ رُوحًا مِّنۢ أَمۡرِنَاۖ ۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلْكِتَـٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَـٰنُ وَلَـٰكِن جَعَلۡنَـٰهُ نُورًاۚ وَهَدَىٰ بِيَهِ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٲنَنَاۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا لَهُمْ عَذَابٌۭ شَدِيدٌۭ
এভাবেই আমরা তোমাকে আমাদের পক্ষ থেকে একটি বিধানময় নিঃশ্বাস-রূহ প্রদান করেছি, যেটা তুমি জানোও না—কি হল কিতাব, কি হল ঈমান; বরং আমরা এটিকে আলো (নূর) বানিয়েছি; এবং এর দ্বারাই যিনি আমাদের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি অনুসরণ করবে, আমরা তাকে পথ দেখাব। আর যারা আমাদের আয়াত অস্বীকার করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ১০৬ )
কুয়োর ফিসফিসানি (The Whispers from the Well)
ডায়েরির পাতা থেকে: এক গ্রামের প্রান্তে একটি বহু পুরনো, পরিত্যক্ত পাতকুয়ো আছে, যা এখন শ্যাওলা আর আগাছায় ঢাকা। গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে, কুয়োটির ভেতর থেকে রাতের বেলা ফিসফিসানির শব্দ শোনা যায়। কেউ বলে কান্নার শব্দ, কেউ বলে সাহায্যের জন্য আকুতি। একদল প্যারানরমাল গবেষক এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সেখানে যায় এবং কুয়োর গভীরে একটি হাই-সেনসিটিভিটি মাইক্রোফোন এবং নাইট-ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেয়। রেকর্ড করা অডিও শুনে তাদের রক্ত হিম হয়ে যায়। তারা কোনো একক ফিসফিসানি নয়, বরং শুনতে পায় বহু মানুষের সম্মিলিত আর্তনাদ, নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ, আর বাঁচার জন্য আকুতি। ইতিহাস ঘেঁটে তারা জানতে পারে, এক ভয়াবহ মহামারীর সময় গ্রামবাসী অসুস্থদের চিকিৎসার বদলে রোগ ছড়ানোর ভয়ে জীবন্ত অবস্থায় এই কুয়োতে ফেলে দিত। সেই থেকে শত শত অতৃপ্ত আত্মা ঐ কুয়োর শীতল, অন্ধকার গভীরে আটকে আছে। সেই রাতে, দলের একজন সদস্য কৌতূহলী হয়ে কুয়োর ভেতরে উঁকি দিতেই একজোড়া ফ্যাকাশে, শীতল হাত কুয়োর ভেতর থেকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে এসে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে এবং তাকে জলের গভীরে টেনে নিয়ে যায়।
#hauntedwell #villagehorrorstory #paranormalinvestigation #banglabhoutikgolpo #oloukikdiary
কুয়োর ফিসফিসানি (The Whispers from the Well)
ডায়েরির পাতা থেকে: এক গ্রামের প্রান্তে একটি বহু পুরনো, পরিত্যক্ত পাতকুয়ো আছে, যা এখন শ্যাওলা আর আগাছায় ঢাকা। গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে, কুয়োটির ভেতর থেকে রাতের বেলা ফিসফিসানির শব্দ শোনা যায়। কেউ বলে কান্নার শব্দ, কেউ বলে সাহায্যের জন্য আকুতি। একদল প্যারানরমাল গবেষক এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সেখানে যায় এবং কুয়োর গভীরে একটি হাই-সেনসিটিভিটি মাইক্রোফোন এবং নাইট-ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেয়। রেকর্ড করা অডিও শুনে তাদের রক্ত হিম হয়ে যায়। তারা কোনো একক ফিসফিসানি নয়, বরং শুনতে পায় বহু মানুষের সম্মিলিত আর্তনাদ, নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ, আর বাঁচার জন্য আকুতি। ইতিহাস ঘেঁটে তারা জানতে পারে, এক ভয়াবহ মহামারীর সময় গ্রামবাসী অসুস্থদের চিকিৎসার বদলে রোগ ছড়ানোর ভয়ে জীবন্ত অবস্থায় এই কুয়োতে ফেলে দিত। সেই থেকে শত শত অতৃপ্ত আত্মা ঐ কুয়োর শীতল, অন্ধকার গভীরে আটকে আছে। সেই রাতে, দলের একজন সদস্য কৌতূহলী হয়ে কুয়োর ভেতরে উঁকি দিতেই একজোড়া ফ্যাকাশে, শীতল হাত কুয়োর ভেতর থেকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে এসে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে এবং তাকে জলের গভীরে টেনে নিয়ে যায়।
#hauntedwell #villagehorrorstory #paranormalinvestigation #banglabhoutikgolpo #oloukikdiary
তোমাকে কতটা ভালবাসি সেটা হয়তো তুমি কখনো পুরোপুরি বুঝতে পারবে না.... হয়তো আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে তোমার নাম লেখা, সামিরা কিন্তু তুমি সেটা শুনতে পাও না... আমি শুধু এটুকু বলতে পারি তুমি আমার সুখের কারণ, তুমি আমার হাসির পেছনের মানুষ। তুমি না থাকলে আমার দিনগুলো ফাকা মনে হয়, মনে হয় কিছু একটা অপর্ণা থেকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত.... তোমার কথা মনে পড়লে মনটা কেমন যেন হালকা হয়ে যায়, আবার সেই না পাওয়ার ব্যথায় বাড়িও হয়ে ওঠে। তুমি আমার স্বপ্ন, তুমি আমার অনুভব আর সব থেকে বড় কথা তুমি আমার শান্তি। তুমি পাশে না থাকলেও আমি প্রতি মুহূর্তে তোমাকে অনুভব করি সামিরা I miss you all time, without any reason without any condition. ☺️তুমি হয়তো দূরে আছো, কিন্তু আমার ভালবাসা সব সময় তোমার চারপাশে ছায়ার মত ঘুরে বেড়ায়... যতদিন বেঁচে আছি ততদিন তোমারিই "হ্যাপিনেস "হয়ে থাকতে চাই... চুপচাপ,, নিঃশব্দে.... শুধু তোমার জন্য
❤️❤️নিশীথের অন্ধকারে, একাকীত্বের মাঝারে,
বুকের ভেতরে কাঁদে, স্মৃতির পাথুরে গজারে।
যেখানে ছায়া পড়ে, সুখের আলো দূরে,
প্রেমের সপ্ন জ্বলসে, মিথ্যার ছায়া কূলে।
ভাঙা হৃদয়ের কথা, কেউ শুনে না আজ,
ঝড়ে ভেসে যায় সব, শুধু থেকে নিঃশ্বাস।
দু:খের ছায়ায় লুকায়, হাসির মুখাবয়ব,
চোখে জমে অশ্রু ধারা, স্বপ্নেরই অঙ্গীকার।
পথ হারানো ভ্রমণ, অচেনা জীবনের খেলা,
বেদনার সুর বাজে, শূন্যতায় বেলা।
কখনো ফিরবে না, সে দিন আলোয় ভরা,
দু:খের ছোঁয়ায় লেখা, অজানা এক কথা।
🚧চোখে জল, বুকে ব্যথা, দিন যেন থেমে যায়,
স্মৃতিরা আজ বিষ হয়ে হৃদয়ে বিষায়।
শূন্য রাতে নিঃশ্বাস পড়ে, নিঃসঙ্গতা ডাকে,
প্রিয়জনের হারানো ছায়া মনে মনে হাঁকে।
শব্দহীন গল্পগুলো বোবা চোখে ভাসে,
হারানো সুখের স্মৃতি হৃদয় মাঝে হাসে।
তবুও বাঁচি, তবুও চলি, দুঃখকে সাথি করি,
জীবন বলে, “এটাই পথ”, চোখের জলে ভরি।
আকাশ আজ মেঘে ঢাকা, নেই আলো কোনো তারা,
তবুও মনে আশার ক্ষীণ রেখা ধরে সারা।
দুঃখই কি তবে চিরসাথী, নাকি ভোর হবে একদিন?
প্রশ্ন শুধু বয়ে চলে, বাতাসে জড়ায় বিন্দু বিন্দু বেদনার ছায়াছবির দিন।
নীরব রাতে কান্না আসে, চাঁদটাও আজ একা,
হৃদয়ের মধ্যে ঝড় বয়ে যায়, শান্তি যে নাই দেখা।
ভাঙা স্বপ্ন, স্মৃতির ছায়া, মনের মাঝে ব্যথা,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে জমে থাকে, হাহাকার আর কথা।
বন্ধুরা গেছে দূরে কোথায়, ফিরে আসে না কভু,
ভালোবাসা ফুরায় যখন, ভাঙে হৃদয় তখনও।
কেন এমন শূন্য লাগে, জীবনের এই পথ,
ভালোবাসা মিথ্যে যেন, ফুরায় তার ঐ রথ।
তবু বাঁচি আশা নিয়ে, একদিন হবে শান্তি,
এই দুঃখের শেষে একদিন, আসবে সুখের বান্দি।
নীরব রাতে চোখে নামে জলের ধারা,
ভাঙা হৃদয় খোঁজে শান্তির সারা।
স্মৃতিগুলো ঘুরে ফিরে করে আঘাত,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে জমে ওঠে দুঃখের বাক্যপাঠ।
হাসির আড়ালে লুকানো কান্না,
ভাঙা স্বপ্ন গড়ে দেয় যন্ত্রণার বান্না।
প্রিয়জন চলে যায়, রেখে যায় শূন্যতা,
মন খোঁজে শুধু একফোঁটা সহানুভূতি আর সত্যতা।
এই জীবনে সুখ আসে ক্ষণিক দেখা,
দুঃখ যেন চিরসাথী, হয়ে থাকে বেঁধে রাখা।
চিঠি
আমার পৃষ্ঠপোষক,
আপনি মরুভূমির শব্দ ধারণ করে এমন একটি গান চেয়েছিলেন। এক মাস ধরে, আমি আমার লাইয়ার (lyre) নিয়ে বালিয়াড়ির মধ্যে বসে সুর রচনার চেষ্টা করেছি। আমি এমন সুর লিখেছি যা বাতাসের গর্জন এবং বালির বিটলদের চলার ছন্দ অনুকরণ করে। প্রতিটি প্রচেষ্টা মিথ্যা মনে হয়েছে, কেবল একটি অনুকরণ। আমার রচনাগুলো ছিল কোলাহলপূর্ণ, নোটে ভরা, মরুভূমির শূন্যতা বর্ণনা করার জন্য বাতাসকে পূর্ণ করার চেষ্টা। পরাজিত হয়ে, আমি অবশেষে আমার লাইয়ারটি নামিয়ে রেখে কেবল বসে রইলাম। আমি শুনলাম। আর সেই বিশাল বিস্তারে, সবচেয়ে গভীর শব্দটি ছিল বাতাসের ঝাপটার মাঝখানের নীরবতা। নোটগুলোর মাঝখানের ফাঁক। সঙ্গীতটি শব্দে ছিল না, বরং সেই নীরবতায় ছিল যা শব্দকে ভেঙে দিচ্ছিল। আমি ফিরে এসে একটি নতুন সঙ্গীত রচনা করলাম। এতে মাত্র কয়েকটি, বিক্ষিপ্ত নোট রয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘ, ইচ্ছাকৃত বিরতি রয়েছে। গানের শক্তি সেই নীরবতার মধ্যে যা এটি দাবি করে। যখন আমি এটি বাজালাম, তখন দরবার নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনছিল, নীরবতা শুনছিল। মরুভূমির গান নকল করার মতো কোনো শব্দ নয়, বরং সম্মান করার মতো একটি নীরবতা।
আপনার চারণকবি,
রিয়ান
শিক্ষা:
১. প্রায়শই, কোনো কিছুর सार তার শব্দে নয়, তার নীরবতায় থাকে; যা বলা হয় না তা যা বলা হয় তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হতে পারে।
২. কোনো কিছুকে সত্যিই বুঝতে হলে, আমাদের সেটিকে বর্ণনা করার চেষ্টা বন্ধ করে কেবল শুনতে হবে।
#বাংলাগল্প #রূপকগল্প #চিন্তাশীলগল্প #storywithlesson #মরুভূমিরগান #শব্দওনীরবতা #banglawriting #artofsilence #minimalmusic #innerlistening
গল্প: প্রিয় বন্ধু
[আমি আবার কাচের বাগানের পরিচর্যা করছিলাম। আজকের কাজ ছিল একটি মনার্ক রোজ (Monarch Rose), যার পাপড়িগুলো এত পাতলা যে ভারী নিঃশ্বাস নিলেও কেঁপে ওঠে। যখন আমি এর কাণ্ডে গলিত অ্যাম্বারের শেষ প্রলেপ লাগাচ্ছিলাম, তখন আমার হাত কেঁপে গেল। হতাশা থেকে জন্ম নেওয়া একটি গরম অশ্রুবিন্দু বাইরের পাপড়ির উপর পড়ল। এটি সঙ্গে সঙ্গে একটি ত্রুটি তৈরি করল—নিখুঁত কাচের উপর তারার মতো একটি ক্ষুদ্র ফাটল। আমার প্রথম প্রবৃত্তি ছিল পুরো গোলাপটা ভেঙে ফেলে নতুন করে শুরু করা। কিন্তু আমি থেমে গেলাম। আমি এটিকে আলোর দিকে ধরলাম, আর সূর্য সেই ফাটলে পড়ে কয়েক ডজন ক্ষুদ্র রামধনুতে বিভক্ত হয়ে গেল, যা দেয়ালে নাচছিল। ত্রুটিটি গোলাপটিকে নষ্ট করেনি; এটি তাকে একটি গল্প দিয়েছে। এটি এখন তার ধরণের একমাত্র, যা মানবিক অনুভূতির এক মুহূর্ত দ্বারা চিহ্নিত। এটি তার অপূর্ণতার জন্য আরও সুন্দর, তা সত্ত্বেও নয়। আমি এটিকে বাগানের কেন্দ্রে রেখেছি, একটি অনুস্মারক হিসাবে যে আমাদের তথাকথিত ব্যর্থতাগুলো এক অনন্য এবং অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য তৈরি করতে পারে যা সতর্ক পরিপূর্ণতা কখনও পারে না।]
শিক্ষা…
…. আমরা যাকে ত্রুটি বা ভুল হিসাবে দেখি, তা প্রায়শই অনন্য সৌন্দর্য এবং চরিত্রের উৎস হতে পারে।
…সত্যিকারের শিল্প কেবল ত্রুটিহীন সৃষ্টি নয়, বরং জীবনের অপ্রত্যাশিত চিহ্নগুলোকে গ্রহণ এবং একত্রিত করার মধ্যেও নিহিত।
#বাংলাগল্প #চিন্তাশীলগল্প #রূপকগল্প #কাচেরবাগান #ভালোবাসারগল্প #storywithmeaning #মননশীলগল্প #অপূর্ণতায়সৌন্দর্য #artofimperfection #banglawriting
মাঝে মাঝে খুব মনে পড়ে সেই মানুষটাকে, যে আমার একসময় সব ছিল এখন সে নেই, তবুও প্রতিটা গানে, প্রতিটা স্মৃতিতে, প্রতিটা নিঃশ্বাসে তার ছায়া লেগে থাকে আমি ভুলতে চেয়েছি, অনেক চেয়েছি কিন্তু কিছু মানুষ ভোলা যায় না তারা রয়ে যায় মনের গভীরে, এক অনন্ত যন্ত্রণার মতো ভালো থেকো তুমি, আমি তো অনেক আগেই হারিয়ে গেছি, শুধু আমার ছায়াটা এখনো তোমায় খুঁজে ফেরে"
✨ পর্ব ৯: ফিরে আসা
মিমের ঢাকায় যাওয়ার কয়েক মাস কেটে গেল। দূরত্বের ব্যথা, মিসের অজস্র রাত কেটেছে তাদের জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। কিন্তু ভালোবাসার সেতু টিকিয়ে রাখতে দুজনেই লড়াই করেছে, কখনো ভেঙে না পড়ে।
অবশেষে সেই দিন এল, মিম বাড়ি ফিরে আসছে। রাহাতের মন উত্তেজনায় ভরে উঠল। কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাহাত বারবার ফোনে মিমের আসার খবর যাচাই করছিল।
যখন মিম রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে এল, রাহাত যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো তার দিকে ছুটে গেল। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কিছু বলল না। শুধু চোখের জল আর নিঃশ্বাসে বোঝাল তাদের হারানো দিনের বেদনাকে।
সেই সন্ধ্যায় কলেজের পেছনের সেই পুরনো গাছতলায় তারা বসে একে অপরের হাত ধরে গল্প করল— কষ্ট, স্বপ্ন, আশা আর ভালোবাসার কথা।
মিম কাঁদতে কাঁদতে বলল—
— “দূরত্বের প্রতিটি দিন আমি তোমায় ভোলার চেষ্টা করতাম, কিন্তু পারিনি। তুমি ছিলে আমার মনের একমাত্র ঠিকানা।”
রাহাত বলল—
— “আমি তোমার কথা ভেবে বেঁচে ছিলাম। তোমাকে ছাড়া আমার কোনো স্বপ্ন নেই।”
তারা বুঝল, দূরত্বের কষ্ট যতই বড় হোক, তাদের ভালোবাসা তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
পরের দিন থেকে তারা আর কখনো একে অপরকে ছেড়ে দেয়নি। প্রতিদিন ছোট ছোট খুশির খোঁজে তারা নতুন নতুন গল্প তৈরি করল।
তাদের ভালোবাসা ছিল না শুধুমাত্র কণ্ঠস্বরের গান, বরং নীরবতার মধ্যেও অনুভূতির গভীর প্রকাশ।
এভাবেই তারা ধীরে ধীরে ফিরে এলো একসঙ্গে, এক নতুন আশা আর স্বপ্ন নিয়ে।
✨ পর্ব ৫: সাহসী স্বীকারোক্তি
কয়েকদিন ধরে রাহাতের ভেতর অদ্ভুত এক অস্থিরতা। মিমের সঙ্গে যতই সময় কাটছে, ততই তার বুকের ভেতর যেন ঝড় উঠছে। প্রতিদিন মিমের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হয়, আর কত লুকিয়ে রাখা সম্ভব? আজ না হয় সব বলে দেয়া যাক।
সেদিন বিকেলটা ছিল রোদ ঝলমলে। কলেজ শেষে মিমকে মেসেজ পাঠিয়ে জানাল— “আজ তোমায় একটা কথা বলবো। কলেজের পেছনের গাছতলায় আসো।”
মিম জবাব দিল— “ঠিক আছে।”
গাছতলার ছায়ায় দাঁড়িয়ে রাহাত বারবার হাতের আঙুল কচলাচ্ছিল। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। মনে হাজার রকম ভাবনা— মিম কি রাগ করবে? না, মিমও কি একই অনুভব বয়ে নিয়ে চলছে?
অবশেষে মিম এল। নরম লাল কামিজ, খোলা চুল, চোখে সেই চেনা উজ্জ্বলতা।
— “কী ব্যাপার? এমন সিরিয়াস মুখে ডাকলে কেন?”
মিম বসতে যেতেই রাহাত হাত বাড়িয়ে তাকে থামিয়ে বলল—
— “না… আজ বসে নয়। দাঁড়িয়েই শোনো। আর… কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলবে না।”
মিম একটু অবাক হয়ে তাকাল। রাহাত একগাল নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করল—
— “তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে সব বদলে গেছে। তোমার হাসি দেখলে মন হালকা হয়ে যায়। তুমি কথা না বললে পুরোদিন কেমন ফাঁপা ফাঁপা লাগে। তোমার চোখে তাকালে নিজেকে খুঁজে পাই। আমি জানি না ভালোবাসা আসলে কীভাবে হয়… কিন্তু আমি জানি, আমি তোমায় ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না।”
কথা শেষ করে সে মিমের দিকে তাকাল। গলার স্বর কেঁপে উঠল—
— “তোমায়… ভালোবাসি মিম। খুব ভালোবাসি।”
কয়েক সেকেন্ড যেন পুরো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেল। বাতাসও থমকে। মিম মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। রাহাত ভাবল হয়তো মিম কষ্ট পেয়েছে। হয়তো বন্ধুত্বটাও আজ ভেঙে যাবে।
কিন্তু হঠাৎ মিম তার চোখ তুলে তাকাল। চোখে জল। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি।
সে আস্তে করে বলল—
— “তুমি জানো… সেই প্রথমদিন তোমার করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে আমারও মনে হয়েছিল, এই ছেলেটার সঙ্গে গল্পটা অন্যরকম হবে। আমি জানতাম না, কীভাবে বলবো… কিন্তু এখন যখন বললে… আমি আর লুকাবো না।”
এক ধাপ এগিয়ে এসে মিম আলতো করে রাহাতের হাতটা ধরে বলল—
— “তোমাকেও ভালোবাসি। অনেক।”
রাহাত অবাক হয়ে মিমের হাতের উষ্ণতা টের পেল। তার চোখ ভিজে উঠল। বুকের ভেতর যে ঝড় ছিল, তা যেন থেমে গিয়ে মধুর স্রোত হয়ে বয়ে গেল।
সেদিনের শেষ রোদে দাঁড়িয়ে দুজন একে অপরকে দেখছিল। চারপাশের পৃথিবী মুছে গিয়ে যেন শুধু দুজনেই ছিল।
এক সাহসী স্বীকারোক্তি তাদের বন্ধুত্বের বাঁধন ছিঁড়ে এক অটুট ভালোবাসায় গেঁথে দিল।
ভালোবাসা এখন আর অনুভবের বিষয় না, বরং একটা হিসেবি খেলায় পরিণত হয়েছে যে যতটা দেয়, ততটাই পায় আর আমি যেহেতু নিঃস্বভাবে সবটুকু দিয়ে ফেলেছিলাম, তাই আমার প্রাপ্তির খাতাটা এখন শূন্য কিছু সম্পর্কের গল্প যেন একতরফা যুদ্ধ, যেখানে একপক্ষ ভালোবাসে আর অন্যপক্ষ অবহেলা করে কেউ বোঝে না সেই একতরফা ভালোবাসার কষ্ট কতটা বিষাক্ত হয়ে ধরা দেয় প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
কিছু অনুভূতি আছে যেগুলো কাউকে বলা যায় না শুধু চোখের কোনে জমে থাকা অশ্রুর মতো জমে থাকে মনে কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো ভোলা যায় না হাজার চেষ্টাতেও কিছু মানুষ থাকে যাদের চলে যাওয়ার পরও তারা থেকে যায় প্রতিটি নিঃশ্বাসে কিছু সম্পর্ক হয়তো পরিণতি পায় না তবুও তারা হয়ে থাকে জীবনের অমূল্য অংশ সময় যতই এগিয়ে যাক কিছু কিছু অনুভব ঠিক আগের মতোই রয়ে যায় কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউকে না বলেও সয়ে যেতে হয় কারণ সবাই বুঝতে পারে না ভাঙা হৃদয়ের ভাষা... ।
ভালোবাসা মানেই সবসময় একসাথে থাকা নয় কখনো কখনো দূরে থেকেই কাউকে ভালোবাসা যায় হয়তো দেখা নেই কথা নেই তবুও প্রতি রাতে তার কথা মনে পড়ে প্রতিটা নিঃশ্বাসে তার জন্য দোয়া করে যাই কখনো কখনো মানুষ এতটা মিশে যায় হৃদয়ে যে সে হারিয়ে গেলেও তার ছায়া রয়ে যায় চারপাশে তখন চাইলেও ভোলা যায় না শুধু অভ্যাস হয়ে যায় একা চলার ভেতরে তাকে সাথে করে নেওয়ার ভালোবাসা মানে কখনো কখনো হারিয়ে ফেলার পরও তার জন্য কাঁদে মন চুপিচুপি ।
Suraiya Soha
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟