নাট্যরূপ: “নদীর বুকে ছোট্ট পাথর”
(মূল ভাবনা: জীবন মানে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য বাঁচাও)
চরিত্র:
পাথর – একজন কণ্ঠস্বর; কল্পনাপ্রসূত
নদী – শান্ত ও মায়াবী কণ্ঠ
শিশু, পাখি, জেলে, পথিক – ছোট ছোট সংলাপ
---
দৃশ্য ১ – পাহাড়ের কোণে এক পাথর
পাথর:
(দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
“এই পাহাড়ে পড়ে আছি কত বছর ধরে...
আকাশের চাঁদ, সূর্য সব দেখি, কিন্তু ছুঁতে পারি না।
আমি কি শুধু একটি বোঝা?”
(বৃষ্টি শুরু হয়, মিউজিক ধীরে বাজে)
---
দৃশ্য ২ – নদীর স্রোতে পাথরের ভেসে যাওয়া
পাথর (আতঙ্কিত):
“ওহ না! আমি গড়িয়ে যাচ্ছি!
এই জল... এই গতি... আমি কোথায় যাচ্ছি?”
নদী (শান্তভাবে):
“ভয় পেও না পাথর। জীবন কখনো কখনো গড়িয়ে নেয়,
যেখানে তোমার প্রয়োজন সেখানে পৌঁছে দেয়।”
---
দৃশ্য ৩ – নদীর মাঝখানে পাথর থেমে যায়
(এক শিশু পাথরের উপর দাঁড়িয়ে জল ছিটায়)
শিশু (হাসি):
“এই পাথরটা দারুণ! দেখো মা, আমি এখানেই দাঁড়িয়ে খেলব!”
(এক পাখি এসে বসে)
পাখি:
“অহ্! একটু বিশ্রাম... এই পাথরটা তো বেশ শান্ত।”
(এক জেলে বসে মাছ ধরছে)
জেলে:
“এই পাথরের উপর বসে কত মাছ ধরেছি আমি। ও না থাকলে হয়তো পেটই চলত না!”
(এক পথিক পা ডুবিয়ে বসে)
পথিক:
“হায় রে ক্লান্তি! এই পাথরটাকে ধন্যবাদ — পা রেখে শান্তি পেলাম।”
---
দৃশ্য ৪ – পাথরের উপলব্ধি
পাথর (আবেগভরে):
“আমি তো ভেবেছিলাম, আমি তুচ্ছ… আমি অপ্রয়োজনীয়…
কিন্তু আজ বুঝতে পারছি, আমি নিজেই এক আশ্রয়।
জীবন মানে কেবল নিজের চাওয়া না, অন্যের প্রয়োজনেও নিজেকে খুঁজে পাওয়া।”
নদী (নরম গলায়):
“তোমার স্থিরতা থেকে চলা শুরু হয়েছিল…
এগিয়ে গিয়ে তুমি অর্থ পেয়েছো।
এটাই জীবনের প্রকৃত রূপ।”
---
🎬 শেষ দৃশ্য – পাথর আর নদীর মাঝখানে সূর্য অস্ত যাচ্ছে
পাথর (একটুখানি হাসি দিয়ে):
“ধন্যবাদ জীবন… আমাকে হারিয়ে দিয়ে খুঁজে পাওয়ার জন্য…”
---
🎭 সমাপ্ত

Suraiya Soha
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?
Ali Ahmod
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?