.
ছোঁয়া ::: একি আপনার গায়ে তো অনেক জ্বর ।
জলপট্টি দিতে হবে এখনি ।
জ্বরের জন্য গায়ে হাত দেওয়াই যাচ্ছে না ।
.
ছোঁয়া এক দৌড়ে নিচে থেকে একটা বাটিতে করে পানি নিয়ে আসল ।
কিন্তু কিছুতেই একটা কাপড় খুঁজে পাচ্ছে না ।
তারপর কোন উপায় না পেয়ে শাড়ির আঁচল টা ছিড়ল ।
তারপর তাড়াতাড়ি করে উপরে চলে গেল ।
আর কনকের পাশে যেয়ে বসল ।
আর সারারাত কনকের মাথায় জলপট্টি দিতে লাগল ।
.
সকাল হয়ে গেছে ।
সারারাত জলপট্টি দেওয়ার পর কনকের জ্বর একটু কমেছে ।
কনক ছোঁয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে ।
আমেনা একটু পরে দরজা ধাকাচ্ছে ।
আর বলছে ,,
.
আমেনা ::: কি হল বউমা এখনও নিচে আসছ না কেন?
কোন কিছু কি হয়েছে বউমা ।
দরজাটা খোল ।
.
ছোঁয়া দরজাটা খুলে দিল ।
আমেনা দেখে ছোঁয়ার চোখে পানি ।
ছোঁয়ার চোখে পানি দেখে আমেনা ছোঁয়াকে জিজ্ঞাসা করছে ,,,
.
আমেনা ::: কি হয়েছে বউমা ।
তুমি কান্না করছ কেন?
.
ছোঁয়া আমেনাকে সব খুলে বলল ।
তারপর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছে ,,,
.
ছোঁয়া ::: তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কি করব ।
আপনাদেরকে যে ডাকব সেই শক্তিও পাচ্ছিলাম না ।
তবুও অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে সারারাত জলপট্টি দিতে লাগলাম ।
.
আমেনা ::: শান্ত হও বউমা ।
রিলেক্স ।
এখন কি কিছুটা জ্বর কমেছে কিনা ।
.
ছোঁয়া ::: হুম কমেছে ।
.
আমেনা নিচে যেয়ে খাবার নিয়ে আসল ।
আর ছোঁয়াকে বলে দিল খাবারটা খাইয়ে দিয়ে ওষুধটা খাইয়ে দিতে ।
কনক কিছুতেই এই জ্বরওলা মুখ নিয়ে কোন কিছুই খেতে চাচ্ছে না ।
কিন্তু অনেক কষ্টে ছোঁয়া কনককে বুঝিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে ।
একটু খানি খাওয়ার পর কিছুতেই কনক আর খেতে পারছে না কনকের বারবার বমি আসছে ।
কনকের কষ্ট হচ্ছে দেখে ছোঁয়াও আর কোন জোর করল না ।
ছোঁয়া কনককে ওষুধটা খাইয়ে দিল ।
.
অনন্যা কিছুখন পর এই ঘরে আসল ।
তারপর কনকের জ্বরটা মেপে দিয়ে গেল ।
দেখে স্বাভাবিকই আছে ।
কনক এখন কিছুটা সুস্থ ।
.
কনক এখন কিছুটা সুস্থ দেখে কনক বিছানা উঠতে যাচ্ছিল ঠিক তখন ছোঁয়া কনককে আটকে দিয়ে বলছে ,,,
.
ছোঁয়া ::: আপনি এখন যাচ্ছেন টা কোথায়?
.
কনক ::: কেন অফিসে যাচ্ছি ।
.
ছোঁয়া ::: না আপনি কোথাও যাবেন না ।
.
কনক ::: কেন যাব না ।
এখন তো আমি কিছুটা সুস্থ ।
.
ছোঁয়া ::: কিন্তু আপনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি ।
আজকে আপনি আমার চোখে চোখে থাকবেন ।
আজকে আমি আপনাকে কোথাও যেতে দিব না ।
বুঝতে পেরেছেন ।
.
কনক ::: হুম বুঝতে পেরেছি ।
ঠিক আছে আজকে যাব না ।
কিন্তু তোমার শাড়ির আঁচল ,,,
.
ছোঁয়া ::: কালকে রাতে আপনার মাথায় জলপট্টি দেওয়ার জন্যই তো ছিড়েছি ।
.
কনক ::: কিন্তু এই শাড়িটা তো তোমার অনেক প্রিয় ।
.
ছোঁয়া ::: এই প্রিয় শাড়ির থেকে আপনি আমার কাছে অনেক কিছু ।
.
রাত হয়ে গেছে ।
ছোঁয়া কনকের পাশে বসে রয়েছে ।
একটু পরে ছোঁয়ার ফোনটা বেজে উঠল ।
সাদিকা ফোন করেছে ।
ছোঁয়া কলটা রিসিভ করল ।
কল রিসিভ করার সাথে সাথেই ওই পাশ থেকে সাদিকা বলে উঠল ,,,
.
সাদিকা ::: দোস্ত আমাদের ইয়ার চেন্জ পরীক্ষা শুরু হবে ।
.
ছোঁয়া ::: কবে থেকে ।
.
সাদিকা ::: তেইশ তারিখ থেকে ।
.
ছোঁয়া ::: ও ,,,
.
ছোঁয়া একদম মন খারাপ করে বসে পড়ল ।
কনক সেটা খেয়াল করল ।
তাই কনক ছোঁয়াকে জিজ্ঞাসা করল ,,,,
.
কনক ::: কি হয়েছে মন খারাপ করে বসে রয়েছ কেন?
.
ছোঁয়া ::: এক সপ্তাহ পরে ইয়ার চেন্জ পরীক্ষা ।
আমি তো কিছুই পারি না ।
কালকে কলেজেই যেয়েই কত কাজ করতে হবে আমাকে ।
পরীক্ষার রুটিন নিতে হবে এই কয়েকদিন কি কি পড়িয়েছে তা নিতে হবে আর স্যাররা কি সিলেবাস দিয়েছে তা নিতে হবে ।
কত জ্বালা আমার ।
.
কনক ::: রিলেক্স ।
তুমি এইদিকে এসে বস ।
এখন আর রাত জাগতে হবে না তোমাকে ।
তুমি এখন ঘুমিয়ে পড় ।
আর এমনিতে কালকে সারারাত তুমি ঘুমাওনি ।
লাইটটা অফ করে দিয়ে তুমি শুয়ে পড় ।
.
ছোঁয়া ::: হুম ।
.
ছোঁয়া লাইটটা অফ করে দিয়ে কনকের পাশে যেয়ে শুয়ে পড়ল ।
সকাল সকালই ছোঁয়ার ঘুমটা ভাঙ্গল ।
তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিল ।
আর ব্যাগটা গুছিয়ে নিল তারপর কনককে ডাক দিল ।
আর বলতে লাগল ,,,
.
ছোঁয়া ::: এই যে সকাল হয়ে গেছে তো ।
আপনি কি উঠবেন না আজকে ঘুম থেকে ।
.
কনক হালকা করে চোখটা খুলল ।
তারপর ছোঁয়ার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে আসল ।
ছোঁয়ার নিজেকে ছুটানোর চেষ্টা করছে আর বলছে ,,,
.
ছোঁয়া ::: ছাড়ুন আমাকে ।
কালকে তো অফিসে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছিলেন আর আজকে কি অফিসে যাবেন না ।
আর আমাকে ছাড়ুন আমাকে এখন কলেজে যেতে হবে ।
.
কনক ::: না আজকে আমি অফিসে যাব না আর তোমাকেও কলেজে যেতে দিব না ।
.
ছোঁয়া ::: কেন ?
.
কনক ::: যতখন না পর্যন্ত তুমি আমাকে কিস দিচ্ছ আমি তোমাকে যেতে দিব না ।
আর আজকে কলেজে না গেলে তুমি পরীক্ষায় ফেল করবে ।
ভালো
Joy10
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?