11 の ·翻訳

#

ওরা পনেরো মিনিট পর পৌঁছালো বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইমরান তালুকদারের ফ্ল্যাটে। বড়ো ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। গুটি কয়েক মানুষ জন সেখানে। শ্রাবণ ও জেসিয়া পৌঁছাতেই সাদা গাউন পড়া, সোনালী চুল ও নীল চোখের মেয়েটির হাতে সৌভিক আংটি পড়িয়ে দিলো। সিন্ডারেলা চোখেমুখে প্রগাঢ় প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে সৌভিকের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর নীল চোখের ঝলমলে দৃষ্টিতে খেলা করছে আনন্দ। সৌভিকের হাতে আংটি পড়িয়ে দিয়ে এনগেজমেন্ট সম্পন্ন করলো।

তখনই বেজে উঠলো কলিংবেল। সৌমি চিকেন ফ্রাই খেতে খেতে দরজাটা খুলে দিতেই ক্লান্ত ঘর্মাক্ত আরিফ ইন করা শার্টের কলার টেনে পেছনে ফেলে ভেতরে এলো। সৌমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। আরিফ সোফায় বসা বিগ্রেডিয়ার জেনারেলকে বললো,

‘ স্যরি স্যার দেরি হয়ে গেলো। ’

ইমরান তালুকদার রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ আমার একমাত্র মেয়ের এনগেজমেন্টে এসেছো তা-ও আংটিবদল হওয়ার পর। ’

আরিফ ক্লান্ত শরীরটা সোফায় এলিয়ে দিলো,

‘ কাজ ছিল স্যার। সেজন্য আসতে দেরি হয়ে গেলো। স্যরি সৌভিক, কথা দিচ্ছি বিয়েতে বিয়ে পড়ানোর আগেই উপস্থিত হবো। ’

সৌভিকের পড়োনে কালো স্যুট। সিন্ডারেলা ও সৌভিককে পাশাপাশি অসম্ভব সুন্দর লাগছে। সৌমি সেদিকে তাকিয়ে একটু উচ্চস্বরেই বলল,

‘ নজর না লাগুক নিরামিষ মানুষদের। ’

আরিফ তৎক্ষনাৎ ওর দিকে তাকালো। ওর খেয়ে ফেলবো লুকটা দেখে সৌমি দাঁত বের করে হাসলো। জেসিয়াকে টেনে নিয়ে এলো সিন্ডারেলার সাথে ছবি তুলার জন্য।

আসওয়াদ ও জয়নাল আসেনি। একেবারে বিয়েতে আসবে তারা।

‘ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে, মাশাআল্লাহ। ’

সিন্ডারেলা স্বভাবসুলভ হাসলো। জেসিয়া নিজেই চোখ ফেরাতে পারছে না। সিন্ডারেলাকে আগুন সুন্দরী বলা যায়। ওর সুনালী চুল ও নীল চোখ মুগ্ধ করার মতো। জেসিয়া দেখেছে সৌভিক সিন্ডারেলার দিক থেকে চোখ ফেরাচ্ছে না। সিন্ডারেলার গলায় মুক্তোর মালা। জেসিয়া ইশারায় জিজ্ঞেস করতেই সিন্ডারেলা আঙুল দিয়ে সৌভিককে দেখালো। সৌমি বলল,

‘ আমার ভাইকে তো পুরো দেওয়ানা বানিয়ে ছেড়েছো ভাবি। ভালো বাসলে তো এমন করেই বাসা উচিত। ভাইয়া নিজের রুমে নতুন নতুন সব ফার্নিচার যুক্ত করছে তুমি আসবে বলে। ’

জেসিয়া অপলক তাকিয়ে থাকে সিন্ডারেলার দিকে। কোথাও না কোথাও সিন্ডারেলা আর জেসিয়া একই। ওদের দুজনেরই মা বাবা নেই। অবশ্য সিন্ডারেলার এখন মা বাবা হয়েছে। জেসিয়ার দুঃখের থেকে হয়তো সিন্ডারেলার দুঃখটাই বেশি। বেচারি জানে না তার আসল মা বাবা কে। জেসিয়া ওর হাতে গিফটের ব্রেসলেটটা পড়িয়ে দিয়ে বলল,

‘ আমি চাই তুমি সুখী হও সিন্ড্রেলা। ভাগ্যবতী হও, সৌভিকের সাথে সারাজীবন সুখে থেকো। ’

জেসিয়া ও সৌমি উঠে চলে যেতেই সৌভিক এসে পাশে বসলো৷ সিন্ডারেলা হাতের ব্রেসলেটটা দেখালো। সৌভিক ছুয়ে বলল,

‘ সুন্দর, তোমার হাতে সুন্দর লাগছে। ’

‘ এটা আমাকে সিয়া দিয়েছে, এবং বলেছে আমি যেন সারাজীবন তোমার সাথে সুখে থাকি। কেন বলেছে জানো? ’

সৌভিক কৌতূহল নিয়ে বলল,

‘ কেন? ’

‘ কারণ সে জানে আমার সুখ একমাত্রই তুমি। এই পৃথিবীতে একটা মানুষ যাকে আমি নিজের সবকিছু ভাবি, যার জন্য সবকিছু করতে পারি। যাকে পাওয়ার জন্য ত্যাগ করতে পারি সব

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.