11 在 ·翻译

#সতেরো হবে! চোখে-মুখে কী এক টান মেয়েটার! তার তাকানো, তার হাসি কেমন যেন ঘোর লাগানো। সে সামনের মানুষটাকে পুরোদমে হাসি আর তাকানো, কথার ভঙ্গি দিয়ে যেন মাত দিতে চাচ্ছে। কিন্তু বাহার ভাই ঠিক তেমন ভাবে তাকাচ্ছে না। তার জন্য এত তোরজোর করে হাসি দেওয়ার ব্যাপারটাকে যেন সে গায়েই লাগাচ্ছে না। কী যেন ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলে আবার ভেতরেও চলে গেলো।
মেয়েটা দাঁড়িয়ে রইলো উদাস চোখে, আশাহত হয়ে। একটা গাঢ় সবুজ রঙের জামা পরনে মেয়েটির। চোখ ভর্তি কাজল, কপালে সবুজ টিপ আর বিরাট কোমড় ছাড়ানো চুলগুলো দেখে খুব অনায়াসেই আঁচ করা যায় যে মেয়েটি এরকম সাজগোজ করেছিলো এই পুরুষ মানুষটার একটু দৃষ্টি পাওয়ার জন্য। একটু প্রশংসা পাওয়ার জন্য কিন্তু সেটা মেয়েটি পায়নি। চিত্রার তো রাগ হওয়ার কথা, তার বাহার ভাইয়ের দিকে কেউ এরকম মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়েছে সেটা ভেবে ঈর্ষায় জ্বলে যাওয়ার কথা অথচ তেমন কিছুই হলো না। বরং করুণা জন্মালো বেশ। মায়া হলো মেয়েটার কথা ভেবে। মেয়েটার ভেতরে কোথাও একটা সে যেন নিজেকে দেখতে পেলো। বহু গুলো বছর, মাস কিংবা দিন আগে সে-ও তো এরকম করতো। বাহার ভাই যেন একটু তার দিকে তাকান, একটউ মুগ্ধ হোন সেই ভেবে কত আয়োজন ছিলো তার! কী না করেছে একটু মুগ্ধ দৃষ্টির জন্য। আজ যেন মেয়েটার এই ভগ্ন মোহের আদলটা সেই পুরোনো চিত্রাকে মনে করিয়ে দিলো।

চিত্রা নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলো না। হেঁটে চলে গেলো ঐ পাশটায়। বাহার ভাইদের বাসার সামনে। ঠিক মেয়েটার এক হাত পাশে গিয়েই দাঁড়ালো। খুব নরম, কোমল স্বরে শুধালো,
"তুমি কে?"

মেয়েটি অন্য এক ঘোরে ছিলো। কোনো এক ভাবনায় খুব গভীর ভাবে ডুবে ছিলো। তাই চিত্রার আচমকা প্রশ্নে কিছুটা কেঁপে উঠলো। ঘোর লাগানো স্বরে বলল, "হু, হু?"

চিত্রা এবার মেয়েটার বাহুতে হাত দিলো। আশ্বস্ত করল ছোঁয়ায়,
"নাম কী তোমার? বাহার ভাইদের আত্মীয় হও তুমি?"

মেয়েটা ডানে-বামে মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ সে বাহার ভাইদের আত্মীয় নয়। অতঃপর বলল,
"আমি তমসা। তমু ডাকে সবাই। আর আপনার বাহার ভাই আমার টিচার হন। এই কিছুদিন আগেই পড়ানো শুরু করেছেন।"

গরম এক অদৃশ্য বাতাস যেন ছুঁয়ে গেলো চিত্রার শরীর। তমসার ভেতরে যে সে পুরোনো চিত্রাকেই দেখেছিল সেটা এক ফোঁটাও ভুল দেখা ছিলো না।
চিত্রা কৌতূহল থেকে আবার জিজ্ঞেস করল, "কীসের জন্য এসেছিলে? কোনো কাজ ছিলো?"

তমসার ভেতরে আড়ষ্টতা। মিথ্যে বলবে না-কি সত্যি বলবে তা ভেবে ভেবে হয়তো হয়রান। চিত্রা সেই হয়রান হওয়া মুখ চোখকে চিনতে পারলো। কিন্তু কিছু বললো না। তার মনে হলো মেয়েটা তাকে সত্যিই বলবে। তাই আগে একটু ভেবেচিন্তে নিচ্ছে। এবং চিত্রার মনের কথা মিলেও গেলো। তমসা কতক্ষণ ভাবুক থেকে অতঃপর মিনমিন করে বলল,
"কাজ না অকাজ ঠিক বুঝতে পারছি না, আপু।"

"আমায় বলো কী করতে এসেছিলে, এরপর আমি বুঝে নিবো কাজ ছিলো না অকাজ।"

তমসা এবার চিত্রার কাছাকাছি এলো। ছাতার নিচে এঁটে গেলো দু'জনের শরীর। তমসা ফিসফিসিয়ে বলল,
"আগে বলুন আপনি কাউকে বলবেন না কিছু। স্যারকেও না।"

চিত্রা ভরসা দিয়ে বলল, "বলবো না।"

এবার তমসা মেয়েটা তুমুল উৎসাহ নিয়ে বলল,
"আসলে আমার আজ জন্মদিন ছিলো। স্যারকে আমি অনেক দিন যাবত বলে রেখেছিলাম জুলাইয়ের দুই তারিখ আমার জন্মদিন। কিন্তু স্যার একটু কল করে উইশও করেননি। আজ যেহেতু শুক্রবার স্যার পড়াতে যাবেন না তাই ভাবলাম আমিই আসি। আমাকে সামনে দেখলে উইশ না করে তো থাকতে পারবেন না। তাই বই কেনার উছিলায় স্যারের কাছে এসেছিলাম। স্যারকে জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম ম্যাথম্যাটিকসের সলিউশনের জন্য কোন বইটা কিনবো। কিন্তু আমার মূলত উদ্দেশ্য তো ছিলো অন্য। কিন্তু স্যার বুঝলে তো! উনি বুঝলেনই না! উইশ করবেন তো দূরের কথা।"

চিত্রা এক মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। মেয়েটা কত্ত বোকা হলে এরকম অবলীলায় মনের সবটুকু কথা বলে দিলো! নিশ্চয় মনে মনে ভীষণ কষ্ট পেয়েছে। তাই চিত্রার সাথে সেটা ভাগ করে নিয়েছে। মানুষ যে এমনই। কষ্ট পেলে কিংবা দুঃখ পেলে তারা আশ্রয় খোঁজে, একটা কোল খোঁজে যেন দুঃখের ভারটা কমানো যায়। যেমন করে উত্তপ্ত রোদে পুড়ে পথিক একটি বিশাল বটগাছের সন্ধান করে। এই মুহূর্তে তমসার বটগাছটা যেন চিত্রাই হয়ে উঠলো। তার বাহার ভাইকে দেখানোর জন্য মেয়েটা এত আশা নিয়ে ছিলো এটা ভেবে একটু রাগও হলো না তার। বরং মেয়েটার প্রতি মায়া থেকেই পুরো ব্যাপারটাকে হালকা করতে বলল,
"শুভ জন্মদিন, তমসা। হ্যাপি বার্থডে সুইটি। সবুজ জামাটাতে তোমায় পুরো রাজকন্যা লাগছ

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.