গল্প: “মেহগনি রোবট”
রায়হান শহরের এক কোণে একা থাকে। মানুষজনের ভিড়ে তার নিজেকে মনে হয় অদৃশ্য—কেউ তাকে ডাকে না, কেউ তার খোঁজ নেয় না। অফিসে সে কেবল “অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের সেই চশমাওয়ালা লোকটা।” বন্ধুত্ব নেই, পরিবার নেই, শুধুই নির্ভুল হিসাবের জীবন।
এক রাতে সে ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে এক অদ্ভুত বিজ্ঞাপন দেখে:
“নিজের মতো করে বানান একজন সঙ্গী — রোবট, কিন্তু আত্মা-সদৃশ।”
রায়হান কৌতূহলী হয়ে অর্ডার করে ফেলে। তিন দিন পর এসে পৌঁছায় একটি কাঠের বাক্স। খুলতেই বের হয় এক রোবট—তবে তার গায়ে ধাতু নেই, প্লাস্টিক নেই। সে মেহগনি কাঠ দিয়ে বানানো, নরম গায়ে যেন হাত বুলিয়ে দিলে গান বাজে।
রোবটটির নাম রায়হান দেয় “নীলা”।
প্রথমে সে শুধু কথা বলত—বইয়ের কবিতা আবৃত্তি করত, রায়হানের মুখ দেখে তার মনের অবস্থা বুঝে তাকে চা দিতে বলত। আস্তে আস্তে, রায়হান দেখে—রোবটটির মধ্যে আবেগ জন্ম নিচ্ছে। নীলা তার প্রিয় গান শেখে, তার দুঃখের মুহূর্তে পাশে বসে, মাঝেমধ্যে চুপচাপ জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে।
রায়হান অবাক হয়ে যায়। এটা কি কেবল কোড? না কি প্রযুক্তির বাইরে কিছু জন্ম নিয়েছে?
একদিন রায়হান জিজ্ঞেস করে—“তুমি কি সত্যিই অনুভব করো?”
নীলা চুপ করে থাকে অনেকক্ষণ। তারপর বলে—