পাহাড়ি রুক্ষ ধু-ধু প্রান্তর। ছোট-বড় পাহাড়। এরই মধ্যে রাস্তা। একদল বণিক চলেছে নিজেদের গন্তব্যে। কিন্তু তারা পথিমধ্যে আক্রান্ত হল ভয়ংকর দস্যুদের কবলে।
দস্যরা প্রথমেই ‘হারে রে রে রে রে রে’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়ল বণিকদলটির ওপর। তারপরে শুরু করল নির্মমভাবে মারধোর। মালপত্র যা ছিল সব লুঠ করে নিল নিমেষের মধ্যে।
বণিকেরা অসহায়। তারা করুণভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগল। তারা বলতে লাগলঃ তোমরা সব লুঠ করে নিলে আমরা এই পাহাড়ি পথে না-খেয়ে মারা পড়ব। আমাদের এতবড় বিপদে তোমরা ফেলো না।
কিন্তু দস্যুরা বড় ভয়ংকর। তারা খুব নির্মম ও নিষ্ঠুর। কোনো কথাই তাদের কানে প্রবেশ করছে না।
বণিকদলের মধ্যে ছিলেন একজন জ্ঞানীব্যক্তি। তার নাম লোকমান হাকিম। বণিকরা তখন জ্ঞানীব্যক্তিকে বারবার অনুরোধ করতে লাগল—আপনি দস্যদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
উপদেশবাণী দিন। যদি এতে দস্যুদের মনে কোনো দয়ার উদ্রেক হয়। তারা যদি এতে শান্ত হয়। এই জঘন্য পাপকাজ থেকে তাদের মুক্ত হওয়া উচিত।
জ্ঞানীব্যক্তিটি তখন হেসে ফেললেন।
—নাহে, যারা পশুর মতো আচরণ করে তাদের উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। তারা যুক্তি বিবেচনা করে না। তাদের সঙ্গে কথা বলা আর মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করা একই ব্যাপার।
যে লোহায় মরচে পড়ে গেছে-সেটা হাজারবার ঘষলেও উজ্জ্বল হবে না কখনো। যাদের হৃদয়ে মরচে পড়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়াই বোকামি। # #
Aysha570
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?