11 sa ·Isalin

ডেকে, হয়তো গান নয়তো চুমু আর নয়তো থাপ্পর এসব করার জন্য? জুথি দাঁতে দাঁত চিপে কোমরে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিবে তার আগেই আরিশ জুথি কে ঘুরিয়ে বিছানার উপর ফেলে জুথির উপরে উঠে জুথির হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরতে, জুথি আরিশের ভর নিতে না পেরে দম আটকে বললো,
‘আল্লাহ ‘গো’ মুই মনে হয় মরেই যামু, এইটা কি? আমার উপর থেকে সরেন।

আরিশ জুথি কে চোখ মুখ খিচে কথাটা বলতে দেখে জুথির কানের লতিতে কামড় দিয়ে ফিসফিস করে বললো,
‘একটু আগে যেভাবে কথা বললি, আবার একটু বলতো।
‘ওরে বাবা,গো কানটা আমার শেষ। কানটা ঘাড়ের সাথে চেপে ধরে।

আরিশ জুথি কে ওভাবেই কোলের ভিতর আঁকড়ে নিয়ে উন্মুক্ত গলায় যখন চুমু খেতে যাবে তখন, বিছানায় রাখা ফোনে লুসিয়ানের -‘ও ভাই’ ডাক শুনে,জুথির থেকে সরে বিছানায় বসে জুথি কেও এক টানে ওর পাশে বসিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে বললো,
‘ছোটু ডাকটা দেওয়ার আর টাইম পেলিনা?
‘মনে?

আরিশ লুসিয়ানের কথায় রাগি,নিশ্বাস ফেলে বললো,
‘কিছু না, গাধা।
‘ভাই তমি অমায় গাধা ভোললা?
‘বলবো না তো কি করব? তোর বাংলা শুনে আমার মাথা ঘুরছে।

লুসিয়ান আরিশের কথায় কেবলা মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
‘ঔত,একঠা হয়ইলেই হলো। তুমি ভাবির কছে ফোন টা দও ত।

আরিশ লুসিয়ানের কথায় নাক মুখ কুঁচকে ফোনটা জুথির কাছে দিয়ে বললো,
‘ওদের সাথে কথা বল।

জুথি কে ফোনটা নিতে সংকোচবোধ করতে দেখে, আরিশ ইশারায় ফোনটা নিতে বললে, জুথি ফোনটা নিয়ে বললো,
‘আসসালামু-আলাইকুম।
‘অলাইকুম-আসসালাম ভাবি ম,, — এতোটুকু বলে লুসিয়ান ম শব্দটায় আটকে যায়। অতঃপর ভ্রু চুলকে বোকা হেসে বললো,
‘তমি তো অনেক সন্দর দখতে,

লুসিয়ানের কথায় জুথি আরিশের দিক তাকাতে আরিশ ফোনটা ছো মেরে ওর হাত থেকে নিয়ে বললো,
‘ও তোর সম্পর্কে কি হয় মনে আছে তো?
‘আরে হ,হ মনে আছে। দও ত ভাবির কছে।

আরিশ ফোনটা জুথির কাছে দিতে লুসিয়ান গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
‘তমি কি বাঙালি মে? সতি বলবা।
‘জি আমি খাঁটি বাঙালি।
‘তমি সধারণ কোন বাঙালি নয় লা, তুমি আমার মন খাড়া এক বাঙালি,

জুথি লুসিয়ানের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিল,জুথি কে হাসতে দেখে লুসিয়ান চোখ বড় বড় করে বললো,
‘ওমা তমর দখি গালে টোল পরে, আমি ত জানতম বাঙালি মেরা মটু হয়, এখন দখছি বাঙালি মেরা ত অনক সন্দর। — বলে আরিশ কে ডেকে বললো,
‘ভাই ও ভাই?
‘হুম বল।
‘ভাই আমি তমার বউয়ের মোত সুন্দর মে বিয়ে করবো।
‘তাহলে তো তোকে বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে হবে?
‘হ ভাই তমার বউয়ের মোত বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে রাজি। — ও আরো কিছু বলবে তার আগেই ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন লুসিয়ানের থেকে ফোনটা নিয়ে বললেন,
‘তুই পরে বাঙালি মেয়ে বিয়ে করিস, এখন আমি একটু মেয়েটার সাথে কথা বলি, বলে বললেন,
‘কেমন আছো সোনা,মা?
‘আলহামদুলিল্লাহ, আপনি কেমন আছেন? মিষ্টি কন্ঠে।
‘ফাইন আম্মু। আমিও তো বলি, ছেলে ছুটে দেশে গেল কেন।
‘মানে?
‘আরি,, —ওনার কথা শেষ করার আগে উনার স্বামী ‘জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার' উনার থেকে ফোনটা নিয়ে মধু কন্ঠে বললেন,
‘এই যে ছোট মামনি হাউ আর ইউ?
‘জি আলহামদুলিল্লাহ।
‘এই বাবাইটাকে জিজ্ঞেস করবে না?
‘জি, আপনি কেমন আছেন?
‘আই এম অলমোস্ট ফাইন, ছোটমা। — ওনারা ওর সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে,আরিশের সাথে দু একটা কথা বলে ফোন রাখতে, জুথি কৌতূহল নিয়ে বললো,
‘আরিশ ভাই ওনারা কে?

আরিশ জুথির প্রশ্নে, ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘ওনাদের বিষয়ে তোকে কেউ বলেনি?

জুথি মাথা দুই পাশে নাড়ালো যার মানে না, তাকে কেউ এ বিষয়ে বলেনি। জুথিকে না করতে দেখে আরিশ বললো,
‘ওনারা আমার মামনি, বাবাই হন।
‘ওনাদের সাথে আপনার কিভাবে পরিচয় হলো?

জুথির এমন প্রশ্নের মনে পরে সেই সাত বছর আগের ঘটনার কথা, যখন আরিশ সুইজারল্যান্ড গিয়েছিল দুমাসও ঠিক করে পূর্ণ হয়নি।
~ফ্ল্যাশ~
“এমন এক দিনে, রাতের বেলায় আরিশের মনটা বিষন্নতায় ঘিরে আরিশ কে অস্থির করে তুলছিল। তার মৌ কে এক নজর দেখার তৃষ্ণায়,আরিশ কোনভাবেই নিজেকে ঘর বন্দী করে রাখতে পারছিল না, তাই এই মুহূর্তে এই পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য প্রকৃতির হওয়া দরকার। তাই কোন রকম একটা টি-শার্ট গায়ে জড়িয়ে সিগারেট মুখে পুরে বাসা থেকে বের হয়ে, একটা নির্জন ঝঞ্ঝাটহীন লেকের কাছে বসে পিছন দিক থেকে চুলগুলো মুঠ করে ধরে, আকাশের দিক অশান্ত ভাবে চেয়ে রইল। এভাবে যে, ও কতক্ষণ কলঙ্ক গায়ে জড়ানো চাঁদের দিকে চেয়েছিল, সময়টা হয়তো ওর স্মরণে আসলো না। ওর মনে কোন অনুভূতি ও হলো না। শুধু ফেল ফেল করে চেয়ে রইল দূর বিহীন ঝলঝল করা গোল চাঁদের দিক। হঠাৎ ওর কানে কয়েকজন লোকের চাপা কন্ঠ, পাশাপাশি কারো গোঁড়ামির আওয়াজ শুনে ভ্রু কুঁচকে আসে ওর। শব্দের উৎস খুঁজতে চাঁদের দিক থেকে চোখ সরাতে তাতে কেমন ঝাপসা দেখলো। এটাতো হওয়ারই কথা? চোখ যদি এক দিকে নির্দিষ্ট ভাবে তাকিয়ে থাকে পর মুহূর্তে অন্যদিক তাকালে কেমন ঝাপসা লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আরিশ চোখ দুটো হাত দিয়ে মুছে স্বাভাবিক করতে, শব্দটা যেন ক্রমশেই বেড়ে যাচ্ছে। আরিশ এমন শব্দে আশেপাশটা তাকালো তবে ওর চোখে কিছুই বাজল না। তাই উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কণ্ঠে উচ্চারণ করল -‘কে শব্দটা? ওর একটা শব্দ যেন পুরো লেকটা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে গেছে, এটা দেখে আরিশ কেমন চোখদুটো ছোট ছোট করে বাঁকা হাসলো, এমন সময় ওর মাথা বরাবর পিছন থেকে কেউ হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করতে যাবে, ঠিক সেই সময়টাই আরিশ ব্যাক ভাবে হকিস্টিকটা ধরে এক টানে লোকটাকে সামনে এনে ঘাড়টা কাত করে বললো,
‘-*কুত্তার কলিজা নিয়ে পিছন থেকে আঘাত করা, বন্ধ কর *শুয়োরের বাচ্চা। চোখ দুটো রক্ত আবা করে।

আরিশ হকিস্টিক এতটাই জোরে চেপে ধরেছে যে, সামনে থাকা লোকটার হাত কিছুটা বাঁকিয়ে যায়, লোকটার মনে হচ্ছিল আরিশ হকিস্টিকটা না ছাড়লে হয়তো ওনার হাতটা এখনই ভেঙে যাবে। হলোও তা

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে-
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে-
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার -ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে-
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

======

image
image