#অরণ্য রাজ চৌধুরী বউ হয়ে যদি এইটুকু তেজ না থাকে তাহলে কি করে হয়। তবে আপনার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হাত কাটতে পারবেন কিন্তু গলা না তাই শুধু শুধু কষ্ট করতে যাবেন না।
"- অরণ্য যদি কখনো আমাকে আপনি টার্চ করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনাকে খুন আমি অবশ্যই করব। যদি ছুরি দিয়ে করতে না পারি বন্ধুক দিয়ে হলে ও করবো "।
"- ইনায়া আপনাকে টার্চ করার কোনো আগ্রহ আমার বর্তমানে নাই না ভবিষ্যতে কোনো দিন থাকবে ও না । কোনো নারীর অনুমতি না নিয়ে তাকে টার্চ করা কোনো পুরুষ মানুষের শিক্ষা হতে পারে না। আর আপনার সাথে আমার শএুতা শুধু একটাই আপনি ওই চৌধুরী বাড়ির বিজনেস দেখা শোনা করেন।
অরণ্যর কথা শুনে ইনায়া বুঝতে পারে না তার সাথে চৌধুরী পরিবারের কি শএুতা থাকতে পারে। ইনায়ার যানা মতে অরণ্য সাথে চৌধুরী বাড়ির রক্তের সম্পর্ক আছে। মিলন সাহেবের ছোট ভাই মাহবুব সাহেবের ছেলে অরণ্য রাজ চৌধুরী। তবে অরণ্য বা তার পরিবার চৌধুরী বাড়ির কাউকে পছন্দ করে না বরং তাদের ঘৃণা করে। ইনায়া বলে -
"- আপনার সাথে চৌধুরী পরিবারের কি শএুতা থাকতে পারে অরণ্য? আমার মামণি আর ভালো বাবা কি ক্ষতি করেছে আপনার?
ইনায়ার মুখে অরুণা বেগম আর মিলন সাহেবের নাম শুনে অরুণ্যর মুখে থাকা হাসি ফুরিয়ে যায়। অরণ্যের চেহারায় রাগ আর ঘৃণা স্পষ্ট ফুটে উঠে অরণ্য বলে -
"- ওই চৌধুরী পরিবার আমাদের থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আর ওই মিলন সাহেব আর অরুণা বেগম শুধু মাএ সম্পত্তির জন্য আমার বাবাকে খুন করেছে। শুধু মাএ এই চৌধুরী পরিবারের লোভের কারণে আমার মাকে বিধবা হতে হয়েছে আমার আর আমার বোনকে অনাথ পরিচয়ে বাঁচতে হয়েছে "।
ইনায়া কথাটা শুনে একটু অবাক হয় কারণ তার মামণি বাবা এখনো সম্পত্তির জন্য কাউকে খুন করতে পারে না। ইনায়া বলে -
"- আমার মামণি আর ভালো বাবা কখনো এমন করতে পারে না। নিশ্চয়ই আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে অরণ্য?
"- কোনো ভুল হচ্ছে না আমার ইনায়া আপনার ভালো বাবা আমার আব্বুকে খুন করেছে। আর তার জন্য তাদের শাস্তি এই অরণ্য চৌধুরী অবশ্যই দিবে । তবে এখন আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন আমার কিছু জরুরি কাজ আছে যার জন্য বাহির যেতে হবে "।
অরণ্য ইনায়াকে কথাটা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায় ইনায়া দেখে মেঝেতে রক্তের বিন্দু বিন্দু ফোঁটা পড়ে আছে। ইনায়ার করা ছুরির আঘাতের কারণে হয়তো অরণ্যর হাত কেটে গেছে যা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়েছে মেঝেতে। ইনায়া অল্প কিছু সময় অরণ্যর বলা কথা ভাবে কিন্তু কোনো কথার মানে সে বুঝতে পারে না। এরপর ইনায়া অরুণ্যর কথা অনুসারে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে নিজের গলা থেকে ভারী ভারী গয়না খুলে ফেলে। সারাদিন অনেক টার্য়াড থাকার কারণে বিছানায় শুয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় ইনায়া।
রাত যখন বারোটা তখন দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে অরণ্য ওর হাতে বেন্ডেজ করা। মূলত হাতের কাটা স্থানে বেন্ডেজ করার জন্য বাহিরে চলে গিয়ে ছিলো অরণ্য। রুমে এসে দেখে ইনায়া বিছানায় ঘুমিয়ে আছে অরণ্য সেইদিকে একবার তাকিয়ে দেখে। এরপর নিজের আলমারি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ে। ইনায়ার ঘুমিয়ে থাকার কারণে অরণ্যর উপস্থিতির বিষয়ে তার কোনো ধারণা নাই।
সকাল সাতটা জানালার কাঁচ ভেদ করে সূর্যের আলো এসে পড়ে ইনায়ার সারা মুখে। ইনায়ার পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে সে অচেনা একটা রুমে শুয়ে আছে। ইনায়ার মনে পড়ে কালকে তার বিয়ে হয়েছে তাও আবার তার চিরশত্রু অরণ্যর রাজ চৌধুরীর সাথে। ইনায়া রুমের আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অরণ্