11 ב ·תרגם

#

মুহিত আমেনা বেগমের আচারণে হাসল। মুসাওয়াদও সন্তুষ্ট হল যেন, যাক মা কোনো প্রতিক্রিয়া করে নি।

সোনালী তো একটু পর পরই মুহিতের দিকে তাকাচ্ছে। সাবরিহা কিছু সময় ফোনে ব্যস্ত ছিল। এদিকে মুসাওয়াদ অনেকটা সময় সাবরিহার মুখে অপলক দৃষ্টি তাকিয়ে ছিল। সাবরিহার কি একটা মনে হতেই চোখ তুলে তাকাতেই মুসাওয়াদের চোখে চোখ পড়ে। তাতেই থতমত খেয়ে আবারো মাথা নিচু করে ফেলল। সাবরিহাকেথতমত খেতে দেখে মুসাওয়াদের ঠোঁটে হাসি ফুঁটল। তারপর উঠে গিয়ে সোজা সাবরিহার সামনে দাঁড়াল। উঁচু-লম্বা লোক, হুট করে এতো সামনে আসায় ভরকে গেছে মেয়েটা তবে কিছু বলার পূর্বেই উপর থেকে দুটো ভারী শাড়ি নামায়। একটা মিন্ট গ্রীন আরেকটা লেভেন্ডার। তারপর আমেনা বেগমকে ডেকে কি একটা বলতেই আমেনা বেগম মাথা নাড়িয়ে সোনালীকে ডাকে আর সাবরিহাকে তারপর দুইজনকে জিজ্ঞেস করতেই সাবরিহা অনেকটা সময় তাকিয়ে থাকে শাড়ির দিকে। এর মধ্যে সোনালী আগেই আমেনা বেগমের দিকে তাকায় তারপর মুহিতের দিকে তাকিয়ে লেভেন্ডার রংয়ের শাড়িটা তুলে নেয়। তারপর মিন্ট গ্রীন শাড়িটা সাবরিহার দিকে এগিয়ে দেয়। সাবরিহা বার-কয়েক না বলে। তাতে সোনালী একটু চোখ গরম দেয়। আমেনা বেগম সাবরিহার মাথায় হাত রেখে বলল,

“প্রথমবার কিছু দিচ্ছি, নিও নেও সাবরিহা।”

“কিন্তু আন্টি—”

কথাটা সম্পূর্ণ করতে পারল না। আমেনা বেগম মৃদুহেসে বলল,

“আদর ফিরিয়ে দিতে নেই মেয়ে। আদর করে দিয়েছি, বিয়ের দিন এটাই পড়বে। আর কিছু শুনতে চাই না।”

সাবরিহা পড়ল বিপাকে। সোনালী ঠেলে দিয়ে নিচু-গলায় বলল,

“নে নে। আন্টি এতো করে বলছে, না নিলে বেয়াদবি দেখায়।

অগত্যা সাবরিহা ঢোক গিলল তারপর হাত বাড়িয়ে শাড়িটা তুলে নিল। তারপর হেসে বলল,

“ধন্যবাদ আন্টি। যদিও এটার দরকার ছিল না। তবুও বিয়ের দিন অবশ্যই পড়ব।”

কথাটা শুনতেই আমেনা বেগম মাথায় হাত বুলিয়ে দিল সাবরিহার। মুসাওয়াদ সাবরিহাকে শাড়ি নিতে দেখে বিশ্বজয়ী হল যেন। তারপর ধীরে সেখন থেকে সরে এলো। সবরিহা শাড়ি তুলে আশেপাশে তাকিয়েছিল। কিন্তু মুসাওয়াদকে না দেখে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তারপর বাকি কেনাকাটা গুলো করল এবার আর মুসাওয়াদকে তেমন দেখা যায়নি তাতেই যেন একটু স্বস্তিবোধ করল সাবরিহা।

—---------------

আজকে রতে বিয়ে তাই পার্লারে এসেছে সোনালী, সাবরিহা আর ওদের কিছু কাজিন। সাবরিহা বুঝতে পারছে না, সোনালী তাকে নিয়ে এতো আদিখ্যেতা দেখাচ্ছে কেন? যদিও সোনালী সাবরিহাকে আলাদা ভাবেই আদর করে। সাবরিহা শান্ত চোখে সোনালীকে দেখলো। বিয়ের মধ্যে কে এমন লেভেন্ডার শাড়ি পড়ে? সেওমজোর করে মিন্ট গ্রীন শাড়িটা পড়েছে। শ্বাস ফেলল সাবরিহা এর মধ্যে সোনালী নিজের নাকের নলক ঠিক করে সাবরিহার উদ্দেশ্য বলল,

“এই সাবরিহা শোন না, আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করছে রে। তুই একটু বাহির থেকে আমার জন্য কিছু এনে দিবি?”

সাবরিহা মাথা নাড়িয়ে বলল,

“আচ্ছা বসো। আমি আসছি!”

কথাটা বলে পার্লার থেকে বেড়িয়ে আসে। এখন রাত দশ-টার কাছাকাছি। এখনি নাকি দোকান বন্ধ কি একটা অবস্থা। এসব ভেবে রাস্তার একটু সামনে আগাতেই কেউ কোনো রুমাল দিয়ে তার মুখ চেপে ধরতেই সাবরিহা ভরকায়। তবে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কিছুতে নিজেকে মুক্ত করতে পারল না। উল্টো চোখে বন্ধ হয়ে নেতিয়ে পড়ল সাবরিহা।

—-------

সাবরিহা এতক্ষণেও না আসায় সোনালীর বুঝতে সময় লাগেনি কি হয়েছে। তবুও কিছু না বলে চুপচাপ বসে থাকে। এর মধ্যে বাসা থেকে ফোন দেয়াতে যখন সবাই বাসায় যাবে ভাবল। তখন এক কাজিন বলল,

“সোনালী আপু সাবরিহা আপু তো এখনো এলো না।”

সোনালী অবাক হবার ভান করে বলল,

“এই রে, আসলেই তো আমি আসলেই ভুলে গেছি। এই গিয়ে দেখতো ওর আসতে এতো দেরি হচ্ছে কেনো?”

ওদের মধ্যে দুজন বাহিরে গেল। খানিকক্ষণ পর ফেরত এলো সাথে হাঁপিয়ে যাওয়া গলায় বলল,

“সোনালী আপা, সাবরিহা আপুকে কোথাও পাচ্ছি না। আমরা দুইপাশই ভালো মতো দেখেছি!”

চমকানোর চেষ্টা করে ভীতু গলায় বলল,

“কি বলছিস? সাবরিহা… “

মুহুর্তেই সবাই যেন আরো ভয় পেল। সোনালী একটা চেয়ারে বসে পড়ে। এদিক থেকে বাসা থেকে লাগাতার কল আসতে থাকে। সোনালী এবার সত্যিই ঘাবড়ে যায়। তারপর সবার মুখ দেখে বলল,

“কল ধরার দরকার নেই।”

আরেক কাজিন রাগত্ব গলায় বলল,

“পা গল তুমি আপা? সাবরিহাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের বাসায় জানানো উচিত।”

যেতে যায় সোনালী চিৎকার করে বলল,

“তোরা বুঝতে পারছিস, ওকে না পেলে কি একটা হবে? আমি তোদের নিয়ে এসেছি। আমি ওকে বাহিরে পাঠালাম। আর এখন ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। ও বাহিরে গেছে অনেকটা সময়! এখনো ফেরেনি।”

“তাহলে আমাদের বাসায় জানানো উচিত আপু। যদি সাবরিহার সাথে খারাপ কিছু হয়।”

মুহুর্তেই টনক নড়ল। দ্রুত ফোন বের করে আগে কল দিল মুসাওয়াদের ফোনে। নম্বরটা সুইচড-অফ বলছে৷ এবার আরো ভয় পেয়ে যায় সোনালী। ঢোক গিলে সবার দিকে তাকায় তারপর আবারো নম্বরে ডায়াল করে এবারও ফোন বন্ধ। সাবরিহার নম্বরে কল দিতেই তা বেজে উঠল সামনে ড্রেসিংটেবিলের সামনে। এতে যেন আরো আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। বাসা থেকে অনবরত কল আসছে। কাঁপা কাঁপা হাতে কল রিসিভ করতেই সোনালীর মা বলল,

“কিরে কোথায় তোরা? কখন থেকে কল দিচ্ছি?

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে-
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে-
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার -ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে-
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

======

image
image