11 i ·Oversætte ·Facebook

সেহরিশ:- এখন কোথায় যাবেন…

আয়ান সেহরিশ কে কোনো উত্তর দেয়না..উঠে দাড়িয়ে দরোজা এর দিকে যেতে যেতে বলে..

আয়ান:- খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজে , টেনশন নিও না । আর হ্যাঁ অবশ্যই খেয়ে নেবে রাতে আমার হয়তো আসতে লেট হবে বাইরে খেয়ে নেব..।

সেহরিশ আর বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে আয়ান বেরিয়ে গেলো । সেহরিশ আর বেশি কিছু বলল না কারণ সে যানে এখন আয়ান কে আটকালেও সে তার কথা শুনবে না । তাই আয়ান
এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো..

পেজ https://www.facebook.com/share/1HUWWBaNtZ/
__________________

রাত ১২ টা বেজে ৩০ মিনিট …

সেহরিশ বেলকনিতে বসে বই পড়ছে …হঠাৎ এক যান্ত্রিক শব্দে তার ধ্যান ভাঙ্গে..

পাশে তাকাতেই দেখে আয়ান ফোন করেছে ।।
ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে আয়ান বলে…

আয়ান:- কি করছ?

সেহরিশ:- বই পড়ছি।

আয়ান:- ঘুমাওনি কেনো?

সেহরিশ:- আপনি দিলেন কই?

আয়ান:- তা আমি যদি আপনার কাছে থেকে দুষ্টুমি করতাম তখন নয় বলতেন যে আপনি ঘুমাতে দিলেন কই ?
তা এখনও ঘুম না আসার কারণ টা কি জানতে পারি।

সেহরিশ এর নিরস উত্তর …

সেহরিশ:- জানিনা ।

আয়ান বুঝলো মেয়ে অভিমান করেছে তাই বলল…

আয়ান:- কেও কি যানে যে তার জন্য পৃথিবীতে এমন এর ব্যক্তি আছে যে তার হাঁসি মুখ টা দেখার জন্য সব কিছুর সাথে লড়তে পারে.. সে মেয়ের রাগ অভিমান সব কিছু ভাঙাতে তার জীবন বাজি দিতে পারে…

সেহরিশ শেষের কথাটা শুনে রাগী কন্ঠে বলে…

সেহরিশ:- আপনি আমার রাগ অভিমান ভাঙাতে আপনার জীবন কেনো বাজি দিবেন ।

পর পর চুপ থেকে অভিমানী কন্ঠে বলে…

সেহরিশ:- সেই ব্যক্তি কে বলে দেবেন যে সেই মেয়ের রাগ অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য তার জীবন দেওয়া লাগবে না । সে যদি জীবন দেওয়ার জন্য কল্পনা ও করে তাহলে আল্লাহর কাছে সেই মেয়ের একটাই চাওয়া যে তার আগে যেন সেই মেয়ের মৃত্যু হয়…

শেষের কথাটা বলতে সেহরিশ এর কন্ঠ কেঁপে উঠল…
আয়ান সেহরিশ এর কথা টা শুনে মধুর কন্ঠে গেয়ে উঠলো…...

পৃথিবীর যত সুখ যত ভালবাসা
সবই যে তোমায় দেব একটাই আশা
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাক

ভাবিনি কখনো এ হৃদয়ে রাঙানো
ভালবাসা দেবে তুমি
দুয়ারে দাঁড়িয়ে দু'বাহু বাড়িয়ে
সুখেতে জড়াব আমি
সেই সুখেরই ভেলায়..
ভেসে স্বপ্ন ডানা মেলব হেসে
এক পলকে পৌঁছে যাব রুপকথারই দেশে
তুমি ভুলে যেও না আমাকে...
আমি ভালবাসি তোমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে

তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে

সেহরিশ ছোট উল্টো করে মুচকি হাসলো বললো..
সেহরিশ:- আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?

আয়ান:- তুমি যা বোঝো?

সেহরিশ:- কথা ঘোরাচ্ছেন?

আয়ান হাঁসলো তারপর বলল…

আয়ান:- শোনো মেয়ে …মানুষ পৃথিবীতে আসে অতি ক্ষুদ্র সময়ের জন্য। এই ক্ষুদ্র সময়ে নিজের রাগ অভিমান একটু কম রেখো..বেশি রাগ অভিমান ভালো না। একটু রেখো শুধু,কারণ মেয়ে মানুষ রাগ অভিমান না করলে মানায় না। আর এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতে অল্প সময়ে নিজের মনের মানুষ কে ..নিজের করে যত্নে রেখো.. একদিন না একদিন নিশ্চই এই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হবে। হয়তো কেও আগে আবার কেও পরে আবার কেও একসাথে..

সেহরিশ আয়ান এর কথা শুনে হাঁসলো..

আয়ান পুনরায় বলল..

আয়ান:- সিফা কোথায়?খেয়েছে?

সেহরিশ :- না। আমি আর মিস জেনি মিলে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো মতে খাওয়াতে পারেনি…

আচ্ছা আপনি ওদের ব্যাপার টা দেখেন না এমন ….

সেহরিশ এর কথার মাঝে আয়ান বলে….

আয়ান:- ওদের ব্যাপার টা দেখার জন্য ই তো এত কিছু ….

সেহরিশ :- মানে ??

*********************************

পেজ https://www.facebook.com/share/1HUWWBaNtZ/

কেটে গেছে দুই দিন সিফা সারাদিন ঘরের মধ্যে ই থাকে ভালো করে খায় না কিছু না ।
ওদিকে অন্তু এর অবস্থা ও করুন আয়ান অফিসে আসতে বলায় অফিসে আসে চুপ চাপ নিরিবিলি কাজ করে চলে যায়!
____

সকাল সকাল সিফা ঘুম থেকে উঠে দেখে পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে…

সিফা খানিকটা চমকালো …
সেহরিশ সিফা এর পাশে দাড়াতেই সিফা জিজ্ঞেস করে…

সিফা:- ভাবী বাড়ি কেনো সাজানো হচ্ছে?

পিছন থেকে গম্ভীর কন্ঠে ভেসে আসে…

আয়ান:- সময় হোক সব জানবি.. এখন চুপ চাপ খেয়ে নে..কেঁদে কেঁদে তো মুখ ফুলিয়ে রেখেছিস আর দুই দিনে শরীর টা দেখেছিস কি হয়েছে?

সিফা চুপ চাপ মাথা নিচু করে নেই…

__________

বিকাল ৪ টা। সিফা তার নিজের ঘরের ব্যাল

13 m ·Oversætte

Premiere Dentistry For Expert Dental Care | Bergen-dentistry.com

 Visit Bergen-dentistry.com, the leading provider of specialist dentistry, for the best dental treatment you've ever had. Put your grin in our hands.

https://bergen-dentistry.com/

image
32 m ·Oversætte

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image
33 m ·Oversætte

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image
33 m ·Oversætte

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image
33 m ·Oversætte

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image