সেহরিশ:- এখন কোথায় যাবেন…
আয়ান সেহরিশ কে কোনো উত্তর দেয়না..উঠে দাড়িয়ে দরোজা এর দিকে যেতে যেতে বলে..
আয়ান:- খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজে , টেনশন নিও না । আর হ্যাঁ অবশ্যই খেয়ে নেবে রাতে আমার হয়তো আসতে লেট হবে বাইরে খেয়ে নেব..।
সেহরিশ আর বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে আয়ান বেরিয়ে গেলো । সেহরিশ আর বেশি কিছু বলল না কারণ সে যানে এখন আয়ান কে আটকালেও সে তার কথা শুনবে না । তাই আয়ান
এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো..
পেজ https://www.facebook.com/share/1HUWWBaNtZ/
__________________
রাত ১২ টা বেজে ৩০ মিনিট …
সেহরিশ বেলকনিতে বসে বই পড়ছে …হঠাৎ এক যান্ত্রিক শব্দে তার ধ্যান ভাঙ্গে..
পাশে তাকাতেই দেখে আয়ান ফোন করেছে ।।
ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে আয়ান বলে…
আয়ান:- কি করছ?
সেহরিশ:- বই পড়ছি।
আয়ান:- ঘুমাওনি কেনো?
সেহরিশ:- আপনি দিলেন কই?
আয়ান:- তা আমি যদি আপনার কাছে থেকে দুষ্টুমি করতাম তখন নয় বলতেন যে আপনি ঘুমাতে দিলেন কই ?
তা এখনও ঘুম না আসার কারণ টা কি জানতে পারি।
সেহরিশ এর নিরস উত্তর …
সেহরিশ:- জানিনা ।
আয়ান বুঝলো মেয়ে অভিমান করেছে তাই বলল…
আয়ান:- কেও কি যানে যে তার জন্য পৃথিবীতে এমন এর ব্যক্তি আছে যে তার হাঁসি মুখ টা দেখার জন্য সব কিছুর সাথে লড়তে পারে.. সে মেয়ের রাগ অভিমান সব কিছু ভাঙাতে তার জীবন বাজি দিতে পারে…
সেহরিশ শেষের কথাটা শুনে রাগী কন্ঠে বলে…
সেহরিশ:- আপনি আমার রাগ অভিমান ভাঙাতে আপনার জীবন কেনো বাজি দিবেন ।
পর পর চুপ থেকে অভিমানী কন্ঠে বলে…
সেহরিশ:- সেই ব্যক্তি কে বলে দেবেন যে সেই মেয়ের রাগ অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য তার জীবন দেওয়া লাগবে না । সে যদি জীবন দেওয়ার জন্য কল্পনা ও করে তাহলে আল্লাহর কাছে সেই মেয়ের একটাই চাওয়া যে তার আগে যেন সেই মেয়ের মৃত্যু হয়…
শেষের কথাটা বলতে সেহরিশ এর কন্ঠ কেঁপে উঠল…
আয়ান সেহরিশ এর কথা টা শুনে মধুর কন্ঠে গেয়ে উঠলো…...
পৃথিবীর যত সুখ যত ভালবাসা
সবই যে তোমায় দেব একটাই আশা
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাক
ভাবিনি কখনো এ হৃদয়ে রাঙানো
ভালবাসা দেবে তুমি
দুয়ারে দাঁড়িয়ে দু'বাহু বাড়িয়ে
সুখেতে জড়াব আমি
সেই সুখেরই ভেলায়..
ভেসে স্বপ্ন ডানা মেলব হেসে
এক পলকে পৌঁছে যাব রুপকথারই দেশে
তুমি ভুলে যেও না আমাকে...
আমি ভালবাসি তোমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে
সেহরিশ ছোট উল্টো করে মুচকি হাসলো বললো..
সেহরিশ:- আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?
আয়ান:- তুমি যা বোঝো?
সেহরিশ:- কথা ঘোরাচ্ছেন?
আয়ান হাঁসলো তারপর বলল…
আয়ান:- শোনো মেয়ে …মানুষ পৃথিবীতে আসে অতি ক্ষুদ্র সময়ের জন্য। এই ক্ষুদ্র সময়ে নিজের রাগ অভিমান একটু কম রেখো..বেশি রাগ অভিমান ভালো না। একটু রেখো শুধু,কারণ মেয়ে মানুষ রাগ অভিমান না করলে মানায় না। আর এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতে অল্প সময়ে নিজের মনের মানুষ কে ..নিজের করে যত্নে রেখো.. একদিন না একদিন নিশ্চই এই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হবে। হয়তো কেও আগে আবার কেও পরে আবার কেও একসাথে..
সেহরিশ আয়ান এর কথা শুনে হাঁসলো..
আয়ান পুনরায় বলল..
আয়ান:- সিফা কোথায়?খেয়েছে?
সেহরিশ :- না। আমি আর মিস জেনি মিলে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো মতে খাওয়াতে পারেনি…
আচ্ছা আপনি ওদের ব্যাপার টা দেখেন না এমন ….
সেহরিশ এর কথার মাঝে আয়ান বলে….
আয়ান:- ওদের ব্যাপার টা দেখার জন্য ই তো এত কিছু ….
সেহরিশ :- মানে ??
*********************************
পেজ https://www.facebook.com/share/1HUWWBaNtZ/
কেটে গেছে দুই দিন সিফা সারাদিন ঘরের মধ্যে ই থাকে ভালো করে খায় না কিছু না ।
ওদিকে অন্তু এর অবস্থা ও করুন আয়ান অফিসে আসতে বলায় অফিসে আসে চুপ চাপ নিরিবিলি কাজ করে চলে যায়!
____
সকাল সকাল সিফা ঘুম থেকে উঠে দেখে পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে…
সিফা খানিকটা চমকালো …
সেহরিশ সিফা এর পাশে দাড়াতেই সিফা জিজ্ঞেস করে…
সিফা:- ভাবী বাড়ি কেনো সাজানো হচ্ছে?
পিছন থেকে গম্ভীর কন্ঠে ভেসে আসে…
আয়ান:- সময় হোক সব জানবি.. এখন চুপ চাপ খেয়ে নে..কেঁদে কেঁদে তো মুখ ফুলিয়ে রেখেছিস আর দুই দিনে শরীর টা দেখেছিস কি হয়েছে?
সিফা চুপ চাপ মাথা নিচু করে নেই…
__________
বিকাল ৪ টা। সিফা তার নিজের ঘরের ব্যাল