11 w ·Vertalen

থাকতে দেখি।

_ এই বাড়িতে তো কাজ করতে হয় না তাই নামাজ পড়ে আবার ঘুমাই।

_ তুমি আগে কাজ করতে ?

_ হ্যাঁ।

_ কেনো করতে ?

_ কাজ করতে হবে না ?

_ না , আমি তো করি না।

নাদিয়া হেসে বলে,

_ এটা আপনার বাবার বাড়ি, এখানে কাজ না করলে আপনাকে কেউ কিছু বলবে না। ওটা তো আমার বাবার বাড়ি ছিল না। কাজ কম করলে বকা শুনতে হয়েছে। বকা যেন শুনতে না হয় তাই কাজ করতাম।

উদয় চোখে মুখে রাগী ভাব ফুটিয়ে বলে,

_ কে বকেছে তোমাকে ?

_ সেসব বাদ দিয়ে উঠে ফ্রেস হয়ে নিন।

_ শরীর ব্যাথা করছে, মাথা ভার ভার হয়ে আছে। কেমন যেন লাগছে, একটুও ভালো লাগছে না।

_ উঠে গোছল করুন ভালো লাগবে।

উদয় শোয়া থেকে উঠে বসে। দুই হাতের সাহায্যে চুল গুলো পেছনে দেয়। ঘুম ঘুম চোখ দুটো জোর করে খুলে রেখে বলে ,

_ মাথা ঘুরছে তো।

_ মাথা ঘুরছে ?

_ হ্যাঁ।

_ আগেও এমন হয়েছে ?

_ না।

_ আগে কখনো এমন লাগেনি ?

_ না।

নাদিয়া উদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। উদয় কে দেখতেও যেন কেমন লাগছে গত কাল রাত থেকে।

বেড থেকে নেমে দাড়ায় নাদিয়া। আলমারি থেকে উদয়ের ট্রাউজার নিয়ে ওয়াশরুমে রেখে আসে।
তারপর আবার বেডের কাছে এগিয়ে আসে।

_ জান গোছল করে আসুন ভালো লাগবে।

_ আমি হাটতে পারবো না মাথা ঘুরছে।

_ আমি ধরে নিয়ে যাচ্ছি।

_ হুম ঠাস করে ফেলে দেওয়ার জন্য তাইনা! পড়ে গিয়ে মাজা ভেঙ্গে গেলে কি হবে আমার ? আমি যাবো না।

_ পড়বেন কেনো ? কিচ্ছু হবে না।

_ না না আমি যাবো না।

_ পা/গ/ল হয়েছেন নাকি ? কিচ্ছু হবে না বলছি তো আসুন।

_ আমি পা/গ/ল ? তুমি পা/গ/ল মেয়ে একটা।

বলেই দ্রুত বেড থেকে নেমে দাড়ায়। সাথে সাথেই মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। দুই হাতে নাদিয়া কে ধরে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বলে ,

_ পুরো দুনিয়া ঘুরছে। আল্লাহ এখন আমার কি হবে ?

_ কিচ্ছু হবে না ওয়াশরুমে চলুন।

ধীরে ধীরে হেঁটে ওয়াশরুমে প্রবেশ করে।
,
,
ফ্রেস হয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে নিচে নেমে আসে উদয়। ওর সাথে সাথে নাদিয়াও আসে।
উদয় নিচে এসেই সোফায় বসে পড়ে ছোট ভাইয়ের পাশে। নাদিয়া দাঁড়িয়েই রইলো। প্রহর বড় ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে চিন্তিত হয়ে বলে ,

_ ব্রো কি হয়েছে তোমার ? চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেনো ?

_ জানিনা ভাই কি হয়েছে আমার। মাথা ঘুরছে , ব/মি ব/মি ভাব হচ্ছে। কেমন যেন লাগছে।

_ অনেক খা/রা/প লাগছে ?

_ হুম।

উদয় সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। প্রহর ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। উদয়ের তো এমন কিছু কোনো দিন হয়নি। কি হলো ? ফুড পয়জনিং ? কিন্তু এরকম কিছু হওয়ার তো চান্স নেই। উদয় বাহিরের খাবার খায় না , যা খায় সব বাড়িতেই রান্না হয়। আর উদয় যা খায় ওরাও তাই খায়। তাহলে ওদের এমন কিছু হলো না কেনো ? নাকি উদয়ের শরীর দূর্বল হয়ে পড়েছে ? কিন্তু শরীর দূর্বল হওয়ারও কোনো চান্স নেই। উদয় কে রোজ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কি হলো তাহলে ? রাতেও কেমন অদ্ভুত আচরণ করলো। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে কি ?
নাকি সাইক্রিয়ার্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যাবে ?

আয়শা চৌধুরী খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলে খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিলের কাছে এগিয়ে যায় ওরা তিন জন। আয়শা চৌধুরী বাকি সবাই কে ডেকে আনার জন্য চলে যায়। নাদিয়া উদয় আর প্রহর কে খাবার বেড়ে দেয়। প্রহর নাদিয়া কে খেতে বসতে বললে নাদিয়া নিজেও খেতে বসে।

ডাইনিং টেবিলের উপর পানির জগ রাখার সময় উদয় কে ভালো ভাবে দেখে নেয় নিলুফা। দুই ভাইয়ের কথপোকথন কানে ভেসে এসেছিল ওর। একবার
ড্রা/গস দেওয়া তেই এই অবস্থা ! পাওয়ার আছে

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

37 m ·Vertalen

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Vertalen

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·Vertalen

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.