🌤️ "ছাদে বসে ওদের প্রথম দেখা"
রমজান মাস, ঢাকার গলির শেষ মাথায় পুরোনো দোতলা বাড়ি। গলির নাম—মদিনা লেন। সেই বাড়ির ছাদে বসে থাকত ওসমান। বিকেলের আলোয় মুরির সঙ্গে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, সর্ষের তেল — ঠিক যেমনটা ওর সবচেয়ে পছন্দ।
একদিন ইফতারের পর ছাদে বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিল ওসমান। হঠাৎ পাশের বাড়ির ছাদে কেউ উঠে এল। ও দেখল, এক মেয়ে—হলুদ শালার নিচে সাদা সালোয়ার কামিজ, খোলা চুলে হাওয়ার সাথে খেলা করছে।
মেয়েটা তাকিয়ে হেসে বলল, “তুমি প্রতিদিন এই সময়েই বসো?”
ওসমান তো কেঁপে গেল! মেয়েরা ওর সঙ্গে এমন করে কথা বলে না সাধারণত।
সে কাঁপা গলায় বলল, “হ্যাঁ, ছাদ আর মুরি—দুটোই পছন্দ।”
মেয়েটা হেসে বলল, “আমি মিষ্টি খাই না। তবে মুগ্ধতা ভালোবাসি।”
ওসমান বুঝতে পারল, এ মেয়ে সাধারণ না। নাম জানা দরকার।
সে জিজ্ঞেস করল, “তোমার নাম?”
মেয়েটা বলল, “নাম দিয়ে কী হবে? নাম থাক বা না থাক, যদি দেখা হয় প্রতিদিন এই ছাদে, তাহলেই তো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।”
এরপর প্রতিদিন ইফতারের পর ওরা ছাদে আসত। কেউ কারো নাম জানত না, তবু অনুভব করত—চোখে চোখ পড়লে ভাষার দরকার হয় না।
ঈদের একদিন আগে, মেয়েটা বলল, “কাল আমি আর থাকব না এখানে। আমরা চলে যাচ্ছি।”
ওসমান থমকে গেল। জিজ্ঞেস করল, “তাহলে এই ছাদ?”
মেয়েটা একটা চিরকুট ছুঁড়ে দিল ছাদ থেকে ছাদে—
> “যদি কখনো ঈদের চাঁদ একা দেখো, মনে করো পাশের ছাদে কেউ তোমার অপেক্ষায় ছিল।”
ওসমান সেই রাতে ছাদে বসে কেবল আকাশ দেখছিল। আর মনের ভেতর গুনছিল—
“অচেনা নামের একটা মেয়েও কখনো এমন চেনা হয়ে যেতে পারে?”
---
শেষ কথা:
ভালোবাসা সবসময় মুখে বলে না কেউ, অনেক সময় চোখে, চিরকুটে, কিংবা একটা নির্জন ছাদে জমে থাকে।
Saymon Ahmed
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?