গল্পের নাম: শেষ চিঠি
নয়ন একটা পুরনো ট্রাঙ্ক খুলে বসেছিল দুপুরবেলা। প্রায় দশ বছর পর সে ফিরে এসেছে তার ছোটবেলার বাড়িতে—মফস্বলের নিঃস্তব্ধ এক গলিতে। ঘরের কোণার ধুলো জমা বাক্সগুলো এক এক করে খুলছিল সে। হঠাৎ একটি হলুদ হয়ে যাওয়া খাম তার চোখে পড়লো। তাতে লেখা ছিল – “নয়নের জন্য”।
নয়ন থমকে গেল।
চিঠিটা মায়ের হাতে লেখা।
সে পড়তে শুরু করল:
"বাবা,
যখন তুমি এই চিঠি পড়বে, আমি হয়তো আর থাকব না। তুমি হয়তো ব্যস্ত হয়ে পড়বে নিজের জীবনে, দূরে চলে যাবে আমাদের গ্রাম থেকে। কিন্তু মনে রেখো, এই বাড়িটা শুধু দেয়াল নয়, এখানে তোমার শৈশব লুকিয়ে আছে। এখানে আমি প্রতিদিন তোমার অপেক্ষায় থাকি – দরজার ফাঁকে তাকিয়ে থাকি, যদি একদিন ফিরে আসো।
ভালো থেকো, আর যদি কখনো ফিরে আসো – শুধু একটা বারান্দায় বসে একটু গল্প করো আমার সাথে।
— মা"
চোখের কোণে জল এসে জমেছিল নয়নের।
সে বারান্দায় গিয়ে বসল। হঠাৎ হালকা বাতাসে জানালার পর্দা নাড়ল, যেন কেউ তাকে ছুঁয়ে বলল – “ফিরেছো, বাবা...”
শিক্ষা: কখনও কখনও আমরা যত দূরেই যাই না কেন, শেকড়ের টান একদিন আমাদের ফিরিয়ে আনে—নীরবে, নরম হাতে।
আরও চাচ্ছেন? গল্প হতে পারে প্রেমের, ভৌতিক, রোমাঞ্চকর বা ঐতিহাসিক – আপনি কী ধরণের গল্প পছন্দ করেন?