গল্প : দর্জির দোকানের ভূত
বাবার মৃত্যুর পর তার পুরনো দর্জির দোকানটা আবার চালু করেছিল করিম। দিনের বেলা ভালোই চলত। কিন্তু রাতে দোকান বন্ধ করার পর থেকেই শুরু হতো অদ্ভুত ঘটনা। সে পাশের চায়ের দোকান থেকে প্রায়ই দেখত, তার বন্ধ দোকানের ভেতর আলো জ্বলছে আর সেলাই মেশিনের খটখট শব্দ হচ্ছে। চোর ভেবে একদিন সে লুকিয়ে রইল। মাঝরাতে দোকানের ভেতরটা হিমশীতল হয়ে গেল। সে দেখল, একটা ছায়ামূর্তি তার বাবার চেয়ারে বসে সেলাই মেশিনে কাজ করছে। মূর্তিটা একটা সাদা কাপড় সেলাই করছিল—ঠিক যেন কাফনের কাপড়। করিমের বাবা মৃত্যুর আগে একটা কাজ শেষ করতে পারেননি। হয়তো তার অতৃপ্ত আত্মাই সেই কাজ শেষ করতে আসে। করিম ভয়ে আর কোনোদিন রাতে ওই দোকানের কাছে যায়নি।
#অতৃপ্তআত্মা #দোকানেরভূত #ভৌতিককাহিনী #প্যারানরমাল #ছমছমেগল্প
গল্প : ঘুমপাড়ানি গান
মা হওয়ার পর থেকে তানিয়া রাতে ঘুমাতে পারত না। তার ছোট্ট ছেলেটাও খুব কাঁদত। একদিন মাঝরাতে কান্নার শব্দে তার ঘুম ভাঙলে সে শোনে, কেউ একজন খুব মিষ্টি সুরে ঘুমপাড়ানি গান গাইছে। গানের সুরে তার ছেলেটা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তানিয়া ভাবল, হয়তো পাশের ফ্ল্যাট থেকে আওয়াজ আসছে। কিন্তু এরপর থেকে প্রায় রাতেই সে গানটা শুনতে পেত। গানটা শুনলে তার নিজেরও ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছা করত। একদিন তার শাশুড়ি বেড়াতে এলেন। রাতে গানটা শুনে তিনি আঁতকে উঠলেন। তিনি বললেন, "এই গান তো অকল্যাণের সুর। এটা গেয়েই ডাইনিরা বাচ্চাদের নিয়ে যায়।" সেদিন রাতে তানিয়া জেগে রইল। সে দেখল, জানালার বাইরে একটা কুৎসিত বুড়ি তার ছেলের দিকে তাকিয়ে গান গাইছে আর হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
#ডাইনি #ঘুমপাড়ানিগান #ভৌতিককাহিনী #বাচ্চারভূত #evilspirit
গল্প : মিষ্টিমুখ
মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসত গ্রামের পরান মন্ডল। ডায়াবেটিসে ভুগে মারা যাওয়ার আগে তার শেষ ইচ্ছা ছিল, রসগোল্লা খাবে। কিন্তু ডাক্তার বারণ করায় তা আর হয়নি। তার মৃত্যুর পর থেকেই গ্রামের মিষ্টির দোকানদার ননী পালের দোকানে অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে লাগল। প্রতি রাতে সে যখন দোকান বন্ধ করে চলে যায়, পরদিন এসে দেখে, রসগোল্লার হাঁড়ি খালি। অথচ দোকানের তালা ভাঙা হয়নি। একদিন রাতে ননী পাল চোর ধরার জন্য দোকানে লুকিয়ে রইল। মাঝরাতে সে দেখল, একটা ধোঁয়ার মতো অবয়ব দোকানের দেয়াল ভেদ করে ভেতরে ঢুকল এবং সরাসরি রসগোল্লার হাঁড়ির কাছে গেল। তারপর শুধু চপচপ করে খাওয়ার শব্দ। ননী পাল ভয়ে জ্ঞান হারায়। পরদিন থেকে সে দোকানের একপাশে পরান মন্ডলের নামে প্রতিদিন একটা রসগোল্লা আলাদা করে রাখতে শুরু করে। তারপর থেকে চুরি বন্ধ হয়ে যায়।
#পেটুকভূত #মিষ্টিরদোকান #গ্রামেরগল্প #অতৃপ্তইচ্ছা #bengalifolklore
গল্প : লিফটের ভেতরে
অফিসের লিফটে রাত দশটায় একাই উঠছিল স্নেহা। চোদ্দ তলায় তার ফ্ল্যাট। লিফটটা সাত তলায় এসে হঠাৎ থেমে গেল। আলো নিভে গিয়ে এমার্জেন্সি লাইট জ্বলে উঠল। স্নেহা ভয় পেলেও ভাবল, যান্ত্রিক ত্রুটি। সে ইন্টারকমে ফোন করার চেষ্টা করল, কিন্তু লাইন পেল না। হঠাৎ তার মনে হলো, লিফটের মধ্যে সে একা নয়। একটা ভেজা কাপড়ের গন্ধ আর ঠান্ডা বাতাস সে অনুভব করল। তার ঠিক পেছনে কেউ যেন দাঁড়িয়ে নিশ্বাস ফেলছে। স্নেহা ভয়ে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল। লিফটের স্টিলের দেওয়ালে আবছা প্রতিবিম্বে সে দেখল, তার পেছনে একটা লম্বা, ভেজা চুলের মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। মহিলাটি ধীরে ধীরে তার দিকে হাত বাড়াচ্ছিল। ঠিক তখনই লিফটের দরজা খুলে গেল এবং আলো জ্বলে উঠল। পেছনে তাকিয়ে স্নেহা দেখল, কেউ নেই, শুধু মেঝেতে খানিকটা জল পড়ে আছে।
#লিফটেরভূত #শহরেরহরর #ভৌতিকঅভিজ্ঞতা #claustrophobia #ভয়ঙ্করগল্প
গল্প : শেষ ট্রেন
অমিত অফিস থেকে ফিরতে অনেক রাত করে ফেলেছিল। স্টেশন প্রায় ফাঁকা। শেষ লোকাল ট্রেনটা আসতেই সে কোনোমতে একটা খালি কামরায় উঠে পড়ল। কামরায় সে ছাড়া আর মাত্র একজন যাত্রী ছিল, এক বৃদ্ধা। ট্রেন চলতে শুরু করার পর বৃদ্ধা অদ্ভুতভাবে হাসতে লাগলেন। অমিত অস্বস্তি বোধ করলেও চুপ করে রইল। হঠাৎ বৃদ্ধা বললেন, "খোকা, পরের স্টেশনে নামবে না।" অমিত অবাক হয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করতে বৃদ্ধা বললেন, "কারণ পরের স্টেশনটা এখনও তৈরিই হয়নি।" এই বলে বৃদ্ধা বাতাসে মিলিয়ে গেলেন। অমিত দেখল, ট্রেনটা একটা অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকছে, যার শেষ দেখা যাচ্ছে না। তার মনে পড়ল, এই লাইনে একটা দুর্ঘটনার পর থেকে শেষ ট্রেনটা আর চালানো হয় না।
#ভূতুড়ট্রেন #ভৌতিকগল্প #শেষট্রেন #হররস্টোরি #রহস্যময়ঘটনা
🛖🛖🛖আলোর হাসিতে ভরে ওঠে সকাল,
ফুলের সুবাসে মিশে যায় প্রাণের গান।
হাওয়ার নরম স্পর্শে নাচে বরণ,
সুখের সুরে ভাসে মন প্রাণ।
আকাশে মেঘেরা হেসে যায় দূরে,
জীবনের পথে জ্বলছে আশা উঁচু।
প্রতিটি মুহূর্তে মেলে নতুন রং,
সুখের ছোঁয়ায় সজীব প্রাণ।
বন্ধুর হাসিতে মিলায় ভালোবাসা,
পরিবারের মাঝে বাজে মধুর কথা।
সপ্নেরা পাখা মেলে উড়ে যায় মুক্তি,
সুখের আলোয় জীবন হয় অনন্ত রঙ্গিন।
এই মধুর দিনে থাক সুখ অগাধ,
মন ভরে উঠুক ভালোবাসার গান।
জীবনের প্রতিটি শ্বাস হোক হাসি,
সুখের আলোয় ঝলমলাকৃত জীবন।