এক বনে একটা শেয়াল বাস করত। সে নিজেকে বনের অন্য পশুপাখির চেয়ে বেশি চালাক মনে করত। এই চালাক শেয়ালের প্রতিবেশী একটা বক। শেয়াল বককে ঠকিয়ে একটু মজা করতে চেয়েছিল।
তাই সে একদিন বককে নিমন্ত্রণ করেছিল। বক শেয়ালের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এল। শেয়াল চালাকি করে একটা থালায় কিছু পাতলা ঝোল পরিবেশন করল।
বক তার লম্বা ঠোঁট দিয়ে থালা থেকে এক ফোঁটা ঝোলও খেতে পারল না। একদিকে শেয়াল নিজেই থালার সবটুকু ঝোল চেটেপুটে খেয়ে নিল। বককে ঠকাতে পেরে শেয়াল মনে মনে খুব খুশি হয়েছিল।
কিন্তু সে মুখে বলল, “আমি খুব দুঃখিত যে ঝোলটা আপনার পছন্দ হয়নি, তাই একটুও খাননি।” বক বলল, “আমি বেশ খেয়েছি!“” তারপর সে শেয়ালকে বলল, “কাল আপনি আমার বাড়িতে খাবেন।”
পরদিন এই চালাক শেয়াল সেজেগুজে বকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেল । বক জানত, শেয়াল কাঁকড়া খেতে খুব ভালোবাসে। বক তাই কাকড়ার ঝোল রান্না করেছিল।
কিন্তু সে থালায় পরিবেশন না করে ভারী কুঁজোর মধ্যে ঝোল পরিবেশন করেছিল। কুজোর সরু গলায় শেয়াল মুখ ঢুকাতে পারল না ।
কাকড়ার ঝোলের সুগন্ধে তার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছিল। তাই সে খিদের জ্বালায় কেবল কুঁজোর গা চাটতে লাগল। এদিকে বক তার লম্বা গলা কুঁজোর মধ্যে ঢুকিয়ে সহজেই সবটুকু ঝোল খেয়ে নিল।
শেয়ালের অবস্থা দেখে বক জিজ্ঞাসা করল, “কেমন হয়েছে ঝোলটা?” শেয়াল আর কী বলে? সে জিভ চাটতে চাটতে বলল, “তা মন্দ কী!”
বাড়ি ফিরবার সময় শেয়াল আপন মনে বলল- বক আজ আমায় উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
১০৭.
ﭐلَّذِى أَنزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِۦ لِيَكُونَ لِلْعَـٰلَمِينَ نَذِيرًۭا
“তিনি, যিনি তাঁর বান্দার ওপর এটি নাজিল করেছেন, যেন পৃথিবীবাসীকে হুঁশিয়ারি করে।”
১০৮.
لِتَكُونُوا۟ لِلنَّاسِ عَلَىٰ بَيِّنَةٍۢ وَيَهْدِيَكُمُ ٱلرَّحْمَـٰنُ ۚ وَمَا أَنتُم بِخَـٰسِرِينَ
“যাতে তোমরা মানুষের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন হয়ে ওঠ, আর দয়া করে তোমাদেরকে পথ দেখাবেন। আর তোমরা ক্ষতিগ্রস্তও হবে না।”
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত১০৭-১০৮ )
মৃ'ত্যু আসার আগেই আপনার পরিবারকে যেসব বিষয়ে ওসিয়ত করে যাবেন।
১. আমার মৃ'ত্যুর সংবাদ শুনলে "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন" পড়বেন।
২. আমার মৃ'ত্যুকে অকাল মৃত্যু বলবেন না, কারণ আমি আমার নির্ধারিত রিযিক ভোগ করে ফেলেছি।
৩. আমাকে নিয়ে বিলাপ মাতম করবেন না, জোরে জোরে কান্নাকাটি করবেন না কারণ এটা সুন্নাহ বিরোধী এবং রাসুল (সাঃ) কতৃক নিষিদ্ধ কাজ।
৪. আমার মৃ'ত্যুতে চল্লিশা, কুল-খানি, মিলাদ করবেন না। কারণ এটা স্পষ্ট বিদ'আত।
৫. যারা আমার মৃ'ত্যুর খবর শুনবেন তারা অবশ্যই আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
৬. আমার লাশ মাহরাম ছাড়া অন্য কাউকে দেখাবেন না।
৭. আমার লা"শকে সুন্দরভাবে বিশ্বস্ত মানুষ দ্বারা গোসল করানোর ব্যবস্থা করবেন।
৮. লা"শ দাফনে ইসলামিক রীতিনীতি অবলম্বন করবেন, সমাজের নয়।
৯. আমাকে কবরস্থ করার পর কিছুক্ষণ সেখানেই থাকবেন আর পড়বেন "আল্লাহুম্মা সাব্বিতহু আল্লাহুম্মা সাব্বিতহু"। আমার কবরের আজ!ব লাঘবের জন্য ও মুনকার নাকিরের প্রশ্নের উত্তর যেন দিতে পারি সেই দোয়া করবেন "আল্লাহুম্মা সাব্বিত হু আলাল ইমান"।
১০. আমার হয়ে দান-সাদাকা করবেন। আমার সাদাকায়ে জারিয়া চালু থাকলে সেটার খবর নিবেন, সে গুলোকে সমুন্নত করার চেষ্টা করবেন।
১১. আমার মৃ'ত্যু থেকে এই শিক্ষা নিয়ে ফিরে যাবেন। আপনার সময়ও অতি নিকটে।
১২. আমার ছবি কোথাও দিবেন না, আমার আইডি বা অন্য কারো কাছে আমার ছবি থাকলে তা ডিলিট করে দিবেন। বাসায় আমার ছবি থাকলে ফেলে দিবেন, দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখবেন না।
১৩. আমার পাওনা আমার পরিবারকে ফিরিয়ে দিবেন, না পারলে আমার জন্য সাদকাহে জারিয়া করবেন, তাও না পারলে আজীবন আমার জন্য দু'আ করবেন, আমি ক্ষমা করে দিব ইনশাআল্লাহ।
১৪. আপনি আমার কাছে কিছু পেয়ে থাকলে আমার জীবিত অবস্থাতেই আমার কাছে চেয়ে নিবেন, আর যদি ম"রে যাই পরিবারের কাছে চাইবেন (পরিবারের লোকেদের বলবো আপনারা তাদের পাওনা দয়া করে দিয়ে দিবেন)। আর পরিবার না দিলে আল্লাহর জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, এতে আল্লাহ ও আপনাকে ক্ষমা করবেন।
১৫. আমার জন্য বেশি বেশি দুআ করবেন। আমার নামে গী'বত করবেন না। কারণ, আমি আমার স্থানে পৌঁছে গিয়েছি।
আল্লাহর কাছে আকুলতা, আল্লাহ যেন আমাদের ইমানের সহিত ক!লিম! উচ্চারণের মাধ্যমে শ"হী'দি মৃ'ত্যু দান করেন। আমিন।
#চিন্তা করবেন Md Alamin Miah
গ্রামের মধ্যে সবচাইতে বড়লোক আমাদের খাঁ সাহেব; কিন্তু বড়ই কৃপণ। একটি পয়সাও তার হাতের কানি আঙুল গড়িয়ে পড়ে না। তার বাড়িতে কেহ কোনোদিন দাওয়াত খেতে পায় না।
সেবার তার ছেলের বিবাহ। সমস্ত গ্রামের লোক এসে ধরল, “খাঁ সাহেব! এবার আর আপনাকে ছাড়ব না; আপনার ছেলের বিবাহ। আমাদিগকে দই চিনি খাওয়াতে হবে।”
খাঁ সাহেব অনেক ওজর আপত্তি করল, “এ বছর ক্ষেতের ধান তেমন হয় নাই। পাটের দামও কম। দই-চিনিটা বাদ দাও। আমি তোমাদেরকে মাছ-ভাত খাওয়াব।”
গ্রামের লোকেরা কি আর তা মানে? অগত্যা খাঁ সাহেবকে রাজি হতে হল।
কিন্তু গ্রামের সমস্ত লোককে দই-চিনি খাওয়াতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে। সারারাত এই খরচের চিন্তায় তার ঘুম হল না। শেষরাতে খাঁ সাহেব মনে মনে একটি ফন্দি আঁটল।
সকাল হলে সে মতি গোয়ালার বাড়ি গিয়ে তাঁকে ঘুম হতে জাগাল। মতি চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞাসা করল, “তা খাঁ সাহেব কি মনে করে?”
খাঁ সাহেব বলল, “দেখ মতি! কাল আমার ছেলের বিয়ে। তোমাকে দশ মণ দই করে দিতে হবে।”
মতি খুশি হয়ে বলল, “সে আর এমন বেশি কথা কি? আমি ঠিক সময়ে দই বানিয়ে হাজির হব।”
খাঁ সাহেব গোয়ালাকে আরও একটু নিকটে ডেকে বলল, “দেখ মতি! এর মধ্যে আমার একটি কথা আছে। তুমি আমাকে একমণ মিষ্টি দই বানিয়ে দিবে। আর বাদ বাকি নয় মণ দই টক করে তৈরি করবে।”
মতি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “খাঁ সাহেব! সবাই তো মিষ্টি দই চায়। আপনি টক দই চান কেন?”
খাঁ সাহেব হেঁসে বলল, “দেখ মতি! তুমি বুঝবে না। তুমি যদি আমাকে সব মিষ্টি দই দাও, তবে দশ মণে কুলাবে না। গ্রামবাসীরা যেভাবে রাক্ষসের মতো খায়, বিশ মণ দই না হলে তাদের পেট ভরাতে পারব না। সে অনেক টাকার খরচ।”
গোয়ালা হেঁসে বলল, “আচ্ছা! আপনি যেভাবে বলছেন, সেভাবেই দই তৈরি করব।”
খাঁ সাহেব গোয়ালার কানে কানে বলল, “দেখ মতি! আরও একটা কথা, তোমার টক দই খেয়ে গ্রামের লোকেরা যখন নিন্দা করবে, তখন আমি তোমাকে খুব বকব। কিন্তু তুমি একটি কথাও বলতে পারবে না। এজন্য আমি তোমার টক দইয়ের প্রতি মণের দামে আরও চার আনা করে ধরে দিব। মনে থাকে যেন, আমি টক দই আনার জন্য তোমাকে যতই গালাগালি করব, তুমি টু শব্দটিও করবে না।”
মতি হেঁসে বলল, “আচ্ছা।”
নিমন্ত্রণের দিনে গ্রামের লোক খেতে এসেছে। মাছ-ভাত খাওয়ার পর প্রত্যেকের পাতে যখন মিষ্টি দই পড়ল; তখন সকলেই খাঁ সাহেবের তারিফ করতে লাগল। কিন্তু এক চামচ দুই চামচ করে যখন পাতে পাতে টক দই পড়তে লাগল, তখন সকল লোকের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গেল। কেউ খাওয়া ছেড়ে উঠে পড়ল, কেউ খাঁ সাহেবকে গালি দিতে লাগল।
খাঁ সাহেব তখন গোয়ালাকে ডেকে খুব রাগের সঙ্গে বলল, “দেখ! তুমি এত টক দই দিয়েছ কেন?”
গোয়ালা কোনো কথা বলে না। খাঁ সাহেব গলা আরও চড়িয়ে বলে, “কি, এখন যে মুখ দিয়ে কথা বের হয় না। বেটা পাজি নচ্ছার এত টাকা দাম নিয়ে আমাকে টক দই দিয়েছিস? দাঁড়া, তোকে আমি মজা দেখাচ্ছি!”
গোয়ালা তখনও কোনো কথা বলে না।
খাঁ সাহেব আরও রেগে বলে, “বেটা পাজি নচ্ছার! ভেবেছিস তোকে আমি এমনি এমনি ছেড়ে দিব? এত লোকের খাওয়া নষ্ট করলি, তার শাস্তি তোকে দিব না?”
তাঁকে এইভাবে বকতে বকতে খাঁ সাহেবের মাথা গরম হয়ে উঠল। রাগের মাথায় গোয়ালার মুখে বিরাশির দশ আনা ওজনের এক থাপ্পড় মেরে বসল।
মার খেয়ে গোয়ালা নিমন্ত্রিত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে বলল, “দেখেন, সব লোকজন আপনারা দশজনে ইহার বিচার করেন। খাঁ সাহেব কোরান শরিফ মাথায় নিয়ে বলুন, দই টক হলে আপনারা কম খাবেন, তাই আমাকে টক দই আনার জন্য বায়না দিয়েছিলেন কি না?”
শুনে গাঁয়ের সকল লোক খাঁ সাহেবের উপর ভীষণ চটে গেল। খাঁ সাহেব এর মেজাজ নরম হয়ে এলে কানে কানে আস্তে গোয়ালাকে বলল, “কিরে মতি, তোর সঙ্গে কথা হয়েছিল না, টক দই দেখে আমি খুব রাগারাগি করব, তুই কিছু বলবি না? এখন কেন সকল কথা ফাঁস করে দিলি?”
গোয়ালা আরও আস্তে আস্তে খাঁ সাহেবকে বলল, “আপনার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, আপনি যতই গালাগালি করবেন, যতই আমাকে বকবেন, ধমকাবেন আমি টু শব্দটিও করব না। যতক্ষণ আপনি রাগারাগি করতে থাকবেন আমি কিছুই বলব না। কিন্তু আপনি আমার মুখে বিরাশির দশ আনার একটি থাপ্পড় মারলেও যে আমি কথা বলব না, একথা তো চুক্তিতে ছিল না।”
গ্রামের সমস্ত লোকের কাছে খাঁ সাহেবের মাথা হেঁট হল।
গল্পের নাম: “নাসিরের নসীব”
প্রথম অধ্যায়: স্বপ্ন দেখা যুবক
নাসির ঢাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। মেধাবী, কর্মঠ, আর স্বপ্নবাজ। ছোটবেলা থেকেই সে চেয়েছে বিদেশে পড়াশোনা করে বড় একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে। তার মনে একটাই কথা—"নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে।"
এই উদ্দেশ্য নিয়ে সে দিনরাত পড়ে, বৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করে, ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপের সব প্রস্তুতি নেয়। অবশেষে, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে একটি ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণ স্কলারশিপ পায় সে।
পরিবারে খুশির জোয়ার—তাদের ছেলে বিদেশে যাবে, নাম কামাবে!
দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রতিকূলতার হাওয়া
যখন সব কিছু ঠিক, তখন হঠাৎ ঘটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। নাসিরের বাবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
নাসির বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি স্থগিত করতে বাধ্য হয়। মা অসুস্থ, ছোট বোন স্কুলে পড়ে। পরিবারের ভার তার কাঁধে এসে পড়ে।
সবাই বলে, “নাসির, বিদেশ যেতে পারলে জীবন বদলে যেত!”
কিন্তু নাসির চুপ থাকে, তার চোখে অশ্রু—আর অন্তরে দোয়া, “হে আল্লাহ, তুমি যেমন ভালো জানো, তেমনই করো।”
তৃতীয় অধ্যায়: জীবন বদলানো এক রাত
নাসির একটা চাকরি নেয় স্থানীয় একটি সফটওয়্যার ফার্মে। মধ্যম মানের বেতন, কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তি অটুট। রাতে বাসায় ফিরে মাকে খেতে দেয়, বোনকে পড়ায়, তারপর নিজে ফজরের আগে পর্যন্ত কুরআন পড়ে।
এক রাতে অফিস ফেরার পথে গলির এক কোণায় একটি লোককে দেখে—ময়লা কাপড়ে ঢাকা, ক্ষুধার্ত, হেলে পড়েছে। নাসির পাশে যায়, বলে, “চাচা, কিছু খাবেন?” লোকটি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে।
নাসির নিজের ব্যাগে থাকা রাতের খাবার দিয়ে দেয়, আর বলে, “আল্লাহ আপনার সহায় হোন।”
সেই বৃদ্ধ তাকিয়ে থাকে তার দিকে। হঠাৎ বলে, “তুমি জানো না, আজকে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম, কেউ যেন খাবার দেয়। তুমি সেই দোয়ার উত্তর।”
নাসিরের চোখে পানি চলে আসে। মনে পড়ে, "রাসূল (সা.) বলেছেন, যে দয়ালু, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন।"
সেদিন রাতে সে সেজদায় গিয়ে বলে, “হে আল্লাহ, তুমিই যথেষ্ট আমার জন্য। আমি তোমার ইচ্ছায় রাজি।”
চতুর্থ অধ্যায়: পুরস্কার অপেক্ষা করে
কয়েক মাস পরে, অফিসে একদিন একটি ক্লায়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তার কাজ দেখে এক বিদেশি বিনিয়োগকারী খুব মুগ্ধ হন। তিনি বলেন, “তোমার প্রতিভা অসাধারণ! আমি বাংলাদেশে একটি নতুন টেক ফার্ম খুলতে চাই, তুমি যদি নেতৃত্ব দাও, আমি বিনিয়োগ করব।”
নাসির অবাক! সে বিদেশে যেতে পারেনি, কিন্তু এখন বিদেশই তার ঘরে এসেছে!
তবে সে তখনও দ্বিধায়—কেননা এ দায়িত্ব মানে আরও সময় দিতে হবে, আর ঘরের দায়িত্ব কে নেবে?
সে আবার আল্লাহর কাছে রুকুতে গিয়ে বলে, “হে রব্ব, যদি এটা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তবে সহজ করে দাও।”
পঞ্চম অধ্যায়: কল্যাণের রাস্তা
নাসির আল্লাহর উপর ভরসা করে দায়িত্ব গ্রহণ করে। নতুন কোম্পানি গড়ে ওঠে—"ইখলাস টেক"। প্রথম ছয় মাসে তারা দেশের অন্যতম উদীয়মান স্টার্টআপ হিসেবে উঠে আসে। তারপর একে একে অনেক বেকার মুসলিম যুবকদের চাকরি দেয়। অফিসে নামাজের স্থান, জুমার বিরতি, ইসলামী মূল্যবোধে পরিচালিত এক আধুনিক প্রতিষ্ঠান।
নাসির জানত, দুনিয়া উপার্জন করতে গিয়ে আখিরাত হারালে কিছুই থাকবে না।
তার কোম্পানির মূলনীতিই ছিল:
“হালাল রুজি, হালাল পথ, আল্লাহর সন্তুষ্টি।”
শেষ অধ্যায়: আল্লাহর পরিকল্পনা সর্বোৎকৃষ্ট
কয়েক বছর পরে, তার সেই ছোট বোন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, মা হজে গেছেন, আর নাসির দেশের সেরা তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে।
তাকে একদিন প্রশ্ন করা হয়:
“আপনি তো বিদেশে যেতে পারতেন, সেটা মিস করলেন না?”
সে মুচকি হেসে বলে:
“আমি যা চেয়েছিলাম, তার চেয়ে ভালো দিয়েছেন আল্লাহ। আমি চেয়েছিলাম বিদেশে পড়তে, আর আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন এমন সুযোগ, যাতে আমি দেশেই দুনিয়া ও আখিরাত দুই জয় করতে পারি।”
গল্পের শিক্ষা
এই গল্প আমাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখায়:
আল্লাহর পরিকল্পনা আমাদের চাওয়ার চেয়ে ভালো — আমরা যা চাই, তা সব সময় আমাদের কল্যাণে হয় না।
তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর নির্ভরতা) সব সমস্যার চাবিকাঠি — নাসির নিজের পরিকল্পনার পরিবর্তে আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছিল।
দয়ালু হও, আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করবেন — একজন ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া ছিল নাসিরের ভাগ্য উন্মোচনের মুহূর্ত।
হালাল পথে থেকে সফল হওয়া সম্ভব — ইসলামিক মূল্যবোধ নিয়েও সফলতা অর্জন করা যায়।
এই গল্পটি এখন প্রায় ১৪০০+ শব্দ দীর্ঘ।
আপনি চাইলে এই গল্পকে:
ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারি
ভিডিও বা নাটকের স্ক্রিপ্টে রূপান্তর করতে পারি
ছোটদের উপযোগী সংক্ষিপ্ত সংস্করণ তৈরি করতে পারি
কিন্তু দেখুন—এরকম একটা নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েও মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে সেভাবে দুআ করেননি। তিনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাননি, মাথা গোঁজার ঠাই চাননি, এমনকি একবেলা আহারের ব্যবস্থার জন্যও দুআ করেননি। বরং তিনি বললেন – আমার রব! আমার প্রতি যে অনুগ্রহই আপনি দেখাবেন, আমি তার-ই মুখাপেক্ষী!”
আমার প্রতি যে অনুগ্রহই আপনি দেখাবেন’—এই কথাটার মানে কী?
মানে হলো—যদি আপনি আমাকে খেতে দেন তো আলহামদুলিল্লাহ, খেতে না দিলেও আলহামদুলিল্লাহ। আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলেও আলহামদুলিল্লাহ, যদি আমাকে নিরাশ্রয় করে রাখেন, তা-ও আলহামদুলিল্লাহ। আমার জন্য যা কিছুই আপনি নির্ধারণ করবেন— আমি নিঃসংকোচে, নির্ভাবনায় সেগুলোকে মাথা পেতে নেবো।
কিন্তু দেখুন—এরকম একটা নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েও মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে সেভাবে দুআ করেননি। তিনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাননি, মাথা গোঁজার ঠাই চাননি, এমনকি একবেলা আহারের ব্যবস্থার জন্যও দুআ করেননি। বরং তিনি বললেন – আমার রব! আমার প্রতি যে অনুগ্রহই আপনি দেখাবেন, আমি তার-ই মুখাপেক্ষী!”
shakhawat josim Shah
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?