9 Trong ·Dịch

চিঠি দিবসে আমার উপন্যাসের চিঠি
-------------------------
প্রিয় হাসান

ভালবাসা অবান্তর নয়।
মেঘ ছুঁয়ে মোসল ধারায় বৃষ্টি নামলো,
জলের খেলায় মেতে উঠলো কিছু দুষ্ট
বালক বালিকা।
গন্তব্যে ফিরা কিছু মানুষ, বাহির ঘরে বসা।
বৃষ্টি থেমে গেলেই ফিরে যাবে আপন নীড়ে।
সবারই ফিরে যাবার পথ আছে ?
শুধু আমারই নেই।
কত দিন ভাবছি তোমায় লিখবো,
কিন্তু সময় হয়ে উঠে না।
তুমি কি আগের ঠিকানায় আছো,
না কি অন্য কোন ঠিকানায় ।
তাই বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠালাম।

নিরুদ্দেশ ভাবনাটা রুখে দিতে চাই,
সময়ের সাথে পেরে উঠছি না।
কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়ালো বিবেক, এ বয়সে
কাউকে ঠকানো সম্ভব নয়।
দেহের কার-বার সবাই করে,
শুধু আমিই পারলাম না হাসান ।
মনের দাম যেখানে নেই
সেখানে বৈবাহিক সম্পর্কটা গড়তে
সবাই পারলে ও ?
আমি পারবো না, আর এখন যে বয়স !
তাতে ও পথে না যাওয়াই ভাল।
তোমার লিখা সব চিঠি গুলো বাঁধাই করে
রেখেছি যাতে নষ্ট না হয়।
দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা আছে,
ময়লা জমলে মুছিয়ে দেই নিজ হাতে।

তখন ৯০দশক আমি অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।
পদ্মার করাল গ্রাসে আমাদের গদাধর ডাংগী
প্রায় নদী গর্ভে বিলিনের পথে।
কিছু স্মৃতির অঙ্গুর রয়ে গেছে।
আমাদের একটা আম গাছ ছিল বাড়ির
উঠানে বাবা ইচ্ছে করেই কাটলো না,
গাছটা আমার দাদুর হাতে লাগানো ছিল বলে।
আজ মা বাবা পৃথিবীতে কেউ নেই,
সবাই গত হয়ে গেছে।
তুমি ও গাছটা
দেখেছো মন্দির ঘরের পাশেই ছিল।
সেও কালের বিড়ম্ভনায় হারিয়ে গেল,
কেউ তার খবর রাখেনি।
ভুলে গেছে সবাই ভুলে যেতে হয় বলে।
কিন্তু এই আমি নবনীতা তোমাকে ভুলতে
পারলাম না বলেই,
সমাজ আমায় ভাল চোখে দেখে না।

কাছে থাকলে হয়তো তোমাকে এমন
করে ভাল বাসতে পারতাম না। মিলনের
সুখ পরিসীমা থাকে। আর আমি তোমার
সীমানার বাহিরে। তোমার প্রিয় ঋতু বর্ষা
কাল জানালার পর্দা ভিজিয়ে গেল ---
কিছুক্ষন আগে।
চোখে জল এসে গেল, আর পারছি না।
------------ইতি---তোমারই
নবনীতা, নদীয়া

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image