বহুরূপী
ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় সে, এক বহুরূপী সত্তা
কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি কখনো ঝলমলে রোদ।
এক রূপে স্থির থাকা তার ধর্ম নয়,
রঙিন মুখোশের ভিড়ে খুঁজে ফেরে জীবনের শোধ।
সকালে সাধু বেশে, বিকেলে সেজে ওঠে চোর
রাতের আঁধারে আবার প্রেমিকের ছদ্মবেশ।
সবুজ পাতায় মিশে হয়ে যায় গাছেরই ডোর,
নীলিমায় মিশে যায় আকাশের নেই কোনো শেষ।
কষ্টের সাগরে ভাসে, তবু হাসি মুখে রাখে
ভেতরে ভেতরে ভাঙে বাইরে দেখায় কঠিন।
আলো-ছায়ার খেলায় নিত্য নতুন বেশ আঁকে,
কোনটা তার আসল তা তো বোঝে না কোনো দিন।
এই রংধনু জীবনে কত যে রং মাখে,
প্রতিটি মুহূর্তে বদলায় নতুন করে শুরু।
আঁধারের কালো বুকে আলো হয়ে জ্বলে থাকে,
তার এই বহুরূপ কে আর বুঝবে গুরু?
আয়নার সামনে দাঁড়ায়,চেনা যায় না নিজেকে আর
ভেতরের মানুষটা কে, সে তো আজও অজানা।
এই জীবনের পথে শুধু সাজ বদলের বাহার,
বহুরূপী সে এটাই তার মন্ত্রণা।