ঘোরের মধ্যেও বুঝতে পারা যাচ্ছে, দুজন মানুষ সঙ্গমে লিপ্ত। তাদের শীৎকার কানে আসছে উর্মির। বারবার বোঝার চেষ্টা করছে, সে যা শুনছে তা মনের ভুল নয়তো? এই বাড়িতে উর্মি আর সানি ছাড়া কেউই থাকে না। সানি এখন ওর পাশেই শুয়ে আছে, তাহলে কারা এখন সঙ্গমে লিপ্ত?....

একমাস হলো বিয়ে হয়েছে উর্মি আর সানির। আর এই একমাসেই উর্মির জীবন কেমন যেন ওলট-পালট হয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকেই সে মানসিক রোগে ভুগছে, অসময়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে, সারাদিন ক্লান্তি ভাব, কোনো কিছুই তার ভালো লাগে না, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। এই একমাসে একবারও সানির সাথে কোনোরকম শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি তার। তবে সানি উর্মিকে ভীষণ আগলে রাখে, ভালোবাসে। বারবার বুঝিয়ে বলে, উর্মি সুস্থ হয়ে যাবে। সময়মতো ওষুধ খাইয়ে দেয় সে। উর্মির যত্নের কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না সানি।

অনেকদিন পর অফিসে যায় উর্মি। অবশ্য সানি বারবার বারণ করেছিল। শেষে উর্মির জেদের কাছে হার মেনে সানি নিজেই তাকে অফিসে পৌঁছে দেয়। উর্মি অফিসে ঢোকার আগে সানি হঠাৎ তাকে জড়িয়ে ধরে। কতক্ষণ ধরে জড়িয়ে ছিল তা উর্মি জানে না, শুধু বুঝতে পারছিল, সানির মতো কেউ তাকে আজ পর্যন্ত ভালোবাসেনি, তাকে যেভাবেই হোক সুস্থ হতে হবে।
এইসবটাই ব্যালকনি থেকে দেখছিল ঋষি। রা গে অভিমানে তার চোখ দিয়ে জল ঝরতে লাগলো। নিজের কেবিনে গিয়ে খানিকটা সামলে নিয়ে, উর্মির সামনে গিয়ে, কিছুটা রাগান্বিত গলায় বললো, এটা অফিস নাকি আড্ডার জায়গা? যখন খুশি আসবেন, না বলে ছুটি নেবেন.....
ঋষির কাছে এইরকম ব্যবহার কোনোদিন আশা করিনি উর্মি, তবে সবচেয়ে অবাকের বিষয়, ঋষি তাকে 'আপনি' দিয়ে কথা বলছে। উর্মির শরীর ভীষণ দুর্বল এই মুহুর্তে, কোনো কিছু বলার মতো অবস্থায় সে নেই, তাই অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকলো সে ঋষির দিকে।
ঋষি এর আগে কোনোদিনও এইরকম অবস্থায় দেখেনি, বড্ড ক্লান্ত লাগছে মেয়েটাকে, বোধহয় শরীর ভালো নেই, তবে বেশিক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না, আবার হয়তো মায়ায় জড়িয়ে যাবে। তাকে যে অনেক কঠোর হতে হবে।

উর্মি সব থেকে বেশি ভালোবাসে তার সৎ বোন সৌমিকে। উর্মির মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা যখন আবার বিয়ে করেন, তা কিছুতেই উর্মি মানতে পারেনি, তবে একবছর পর বোনকে পেয়ে তার কিছুটা হলেও ক ষ্ট লাঘব হয়েছিল। সৎ মাকে কোনোদিনও মা বলে ডাকেনি উর্মি, সে ভাবে কথাও হয়নি আজ পর্যন্ত। তবে তার সৎ মা মালিনী দেবী যতটা সম্ভব উর্মিকে কাছে টানার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কোনোদিনই মনের দূরত্ব ঘুচেনি। তবে সৌমির প্রতি উর্মির এই ভালোবাসা দেখে মালিনী দেবী খুব খুশিই হয়েছিলেন।
সানির সাথে হঠাৎই বন্ধুত্ব হয়েছিল উর্মির, সে কথা শুধু জানতো সৌমি। তারপর মালিনী দেবী জানতে পারায়, একটু বাধা দিয়েছিলেন উর্মিকে। আর সেই জেদেই উর্মি সানিকে বিয়ে করার সিন্ধান্ত নেয়।
বিয়েটা এইরকম তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়াতে সব থেকে ক ষ্ট পেয়েছিল উর্মির অফিসের বস ঋষি।
ঋষি যে তার মনের কথাগুলো কোনোদিনই বলতে পারলো না উর্মিকে। আর উর্মিও কোনোদিন ঋষির না বলা কথাগুলো বুঝতে পারলো না। সবকিছুই যেন একটা ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দিল।

আজও হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল উর্মির। আজ অবশ্য সে কোনো সঙ্গমের শীৎকার শুনতে পায়নি, তবে নীচের রুম থেকে তার একটা প্রিয় গান শুনতে পাচ্ছে। পাশেই সানি শুয়ে আছে, তাহলে নীচে কে গান শুনছে? তবে উর্মি সানিকে বির'ক্ত করতে চায়না। সে নিজেই বেড থেকে নামলো, আজও সে একটা ঘোরের মধ্যে, বোধহয় ওষুধের জন্য। ডাক্তার যে তাকে বারবার রেস্টে থাকার কথা বলেছেন। কোনোরকমে দেওয়াল ধরে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে লাগলো, হঠাৎ একটা মিষ্টি গন্ধ পেয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই পর্দার মতো কি যেন একটা এসে তাকে ঠে'লে দিল, আর উর্মিও গড়িয়ে পড়ে গেল সিঁড়ি থেকে।

উর্মির যখন বাবা মা'রা যান, তখন উর্মির ১৫ বছর বয়স। সৎ মায়ের কাছে বাধ্য হয়ে থাকতে হতো তাকে। এত বড় বাড়িতে ভীষণ একলা লাগতো তার। প্রিয় মানুষ বলতে, সৎ বোন সৌমিই ছিল একমাত্র।
সৌমিরও তার দিদির প্রতি ভালোবাসা ছিল অগাধ। হয়তো আজও আছে, তাই উর্মির এই অবস্থার কথা শুনে মেঘালয় থেকে ছুটে এসেছে কাজ ফেলে। উর্মির বিয়ের পর দিনই তাকে যেতে হয়েছিল মেঘালয়।

তখনও উর্মির জ্ঞান ফেরেনি, সৌমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আর অবাধ্য চোখের জল গড়িয়ে আসছে চোখ থেকে। উর্মির আর এক পাশে বসে আছে সানি, ঋষি কিছুটা দূরে আর উর্মির সৎ মা দেয়ালে ঠেস দিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রতিটা মানুষ এই সময় কি ভাবছে তা শুধু নিজেরাই জানেন। ঋষি অবাক হয়ে উর্মির মুখের দিকে চেয়ে আছে, কিছুতেই বুঝতে পারছে না, উর্মির এইরকম অবস্থার কারণ। বেশ একটা রহস্য আছে এর মধ্যে।
সৌমি জানিয়ে দেয়, সে উর্মির ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবে। এই বাড়িতে কি হচ্ছে, তা তাকে জানতেই হবে। কথাটা বলে একটু সন্দেহের নজরে তাকালো সানির দিকে। সানি অবশ্য উর্মির হাতটা ধরে আনমনে কিছু ভাবছিল। আর এইদিকে উর্মির সৎ মা মালিনী দেবী এখানে থাকার কথা বলতে গেলে, সৌমি বাধা দেয়। সে একাই উর্মির কাছে থেকে তাকে সুস্থ করবে।
এইসবটাই বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে শুনছিল এই বাড়ির পরিচারিকা রমা।
ঋষির চোখ তার দিকেই যায়, দুজনে চোখাচোখি হতেই রমা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়, তারপর সেখান থেকে চলে যায়। ঋষি রমাকে দেখে একটু অবাক হয়, আর যায় হোক তাকে দেখে বাড়ির পরিচারিকা বলে মনে হচ্ছে না।

☄️🌸 🦋🕌☄️আজ সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ☄️🌸🦋🕌
••••✨ পবিত্র শুক্রবার ✨••••

🕋 আল্লাহুম্মা সল্লি’ ওয়া সল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ﷺ 🕋

❤️ সবাইকে জানাই জুম্মা মুবারাক ❤️
🕊️ শান্তি, রহমত আর বরকতের দিন হোক আজকের জুমা 🕊️

image

★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

3 d ·翻訳

☄️🦋☄️🕌আমার প্রিয় মুসল্লি বাঙালি ভাইয়েরা কারো কাছে
আর্নিং ভালো কোন ওয়েবসাইট থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে☄️🦋☄️🕌

4 d ·翻訳

গল্প: ছেঁড়া বই

পুরনো ছেঁড়া বই রাস্তায় পড়ে ছিল।
রুহুল তুলে ধুলা ঝেড়ে দেখে, ভিতরে একটা নাম লেখা—“মা”
বইটা নিয়ে সে ঘরে ফেরে—জ্ঞানও একেক সময় আবেগের মতো।

4 d ·翻訳

গল্প: বেল বাজে

ক্লাসে বেল বেজে যায়, সবাই দৌড়ায়।
রিনা চেয়ার গুছিয়ে যায়। শিক্ষক বলেন, “তুমি যদি সবার মতো না হও, তবেই আলাদা।”
ভালো আচরণ চুপিচুপি নজরে পড়ে।

4 d ·翻訳

গল্প: ভুল নাম

শিক্ষক বারবার সাকিফকে ‘শাকিল’ নামে ডাকেন।
সে শুধরে বলে না কিছুই।
শেষদিন শিক্ষক বলে, “তুমি এত ভদ্র কেন?”
সে হাসে, “সম্মান নামের চেয়ে বড়।”

4 d ·翻訳

গল্প: মাটির ঘ্রাণ

বৃষ্টি শুরু হলে রাহিলা ছুটে যায় উঠোনে।
মাটি ভিজে সোঁদা গন্ধে সে বলে, “এটাই আমার শৈশব!”
গন্ধেও জেগে ওঠে স্মৃতি।