ক্লাসের এক ছাত্র দু্ষ্টুমি করে কাগজে "I’m stupid" লিখে একজন ছাত্রের পেছন লাগিয়ে দিয়ে অন্যান্যকে নিষেধ করলো-আর কাউকে না বলতে। সবাই ছেলেটিকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। কিছুক্ষণের মাঝে অংক স্যার ক্লাসে এসে নির্দেশ দিলেন- জটিল একটা অংকের সমাধান করতে। একটা ছেলে হাত ওঠালো। স্যার বললেন- বোর্ডে এসো।
ছেলেটি যখন বোর্ডের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তখন হাসাহাসি আরো বাড়ে। কিন্তু সে বুঝতে পারছেনা। এতো হাসির কারণ কি। সে বোর্ডে গিয়ে অংকটির সমাধান করলো। স্যার এবার তার পেছন থেকে স্টুপিড লেখা লেভেলটি তোলে নিয়ে বললেন- তুমি হয়তো জানোনা- তোমার কোনো বন্ধু তোমার শার্টের পেছনে স্টুপিড লিখে দিয়েছে। আর, এ জন্যই তোমাকে নিয়ে সবাই এতো হাসিতামাশা করছে। যাও, তুমি আসনে গিয়ে বসো। আমি তোমাদের কাউকে শাস্তি দিবোনা। বরং তোমাদের সাথে দুটি জিনিস শেয়ার করবো।
এক) বইয়ের কভার দেখে যেমন বই বুঝা যায়না। ঠিক তেমনি লেভেল দেখেই আসল জিনিস চেনা যায়না। জীবনের নানা ক্ষেত্রে একে অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য নানা রকমের লেভেল সেঁটে দেয়। ওরা তোমার পেছনে স্টুপিড লিখে রেখেছে -সেটা যদি তুমি বুঝতে পারতে আর বুঝে তার গুরুত্ব দিয়ে-হীনমন্যতায় ভুগতে- তবে তুমি সবার সামনে বোর্ডে এসে অংকের সমাধান করতে পারতে না। তাই, মানুষের দেয়া এইসব লেভেল সব সময় প্রত্যাখ্যান করেই চলতে হয়। মনে রেখো- মধুর শিশিতে বিষের লেভেল লাগিয়ে দিলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু মধুর গুনাবলীর তাতে কোনো পরিবর্তন হয়না। ওরা তোমাকে নিয়ে হাসি তামাশা করছে। আমি তোমাকে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
দুই) জীবনে অনেক রয়েল ফ্রেন্ড পাবে, কিন্তু লয়েল ফ্রেন্ড খুবই বিরল। তোমার যদি লয়েল ফ্রেন্ড থাকতো তবে তোমাকে এসে বলতো। অথবা না বলেই- তোমার পেছন থেকে স্টুপিড লেখা লেভেলটি তুলে নিতো। তাই, জীবনে তোমার কতজন রয়েল বন্ধু থাকবে সেটা ম্যাটার না। বরং, তোমার কয়জন লয়েল বন্ধু থাকবে সেটাই সবচেয়ে বড় ম্যাটার। # #
Shakil Hossain
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?