ডাইরী থেকে সাদা কাগজটা ছিঁড়ে কলম দিয়ে বেশ বড় বড় অক্ষরে সুন্দর করে "আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়" লিখে ফেললো অদ্রি। কাগজটা ভাজ করে টেবিলের উপরে রাখা গ্লাসের নিচে রেখে দিলো সে।
হ্যাঁ... প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ, এবার নতুন ব্লেডটা খোলার পালা।নতুন চকচকে ব্লেডটা দেখছে আর ভাবছে একটু পরই হাতের শিরা কাটবে সে এ ব্লেড দিয়ে। কি মনে করে ব্লেডটা টেবিলের উপর রেখে জানালা দিয়ে শেষবারের মত জোছনা দেখতে লাগলো অদ্রি। আনমনে ফিরে গেলো পুরোনো স্মৃতিতে।অরণ্যের সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো ভার্সিটিতে। প্রথম প্রথম অরণ্যকে ভালো না লাগলেও অরণ্য ছিল খুব নাছোড়বান্দা ছেলে। সে তার পাগলামো দিয়ে ঠিকই অদ্রির মন জয় করে নিয়েছিলো। তারপর শুরু হলো এ জুটির সম্পর্ক। ভার্সিটিতে এ জুটির সুনামের কোনো কমতি ছিলো না। এভাবে দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি আর একটু ঝগড়া নিয়েই চলছিলো তাদের দিনগুলো।
দেখতে দেখতে তিনটি বসন্ত একে অপরের হাত ধরে যে কিভাবে কাটিয়ে দিয়েছে তারা নিজেরাও জানতো না। কিন্তু অরণ্য হঠাৎ করেই কেমন জানি বদলে যেতে লাগলো। যে অরণ্য অদ্রির সাথে ফোনে কথা বলার জন্য অপেক্ষায় থাকতো, আজকাল তাকে কল দিলেই ওয়েটিংয়ে পায় অদ্রি। প্রথম প্রথম বিষয়টা সিরিয়াসলি না নিলেও একসময় অদ্রি খুব কষ্ট পেতো অরণ্যের ব্যবহারে। অরণ্য বলতে গেলে যোগাযোগই বন্ধ করে দেয় অদ্রির সাথে। আর এ যোগাযোগের চির সমাপ্তি হয় আজকে বিকেলে....
-অরণ্য তুমি এমন হয়ে গেলে কেন?
-এমন হয়ে গেছি মানে? কি বলতে চাও স্পষ্ট করে বলো অদ্রি।
-তুমি আমাকে অবহেলা করছো। ফোন দিলে ওয়েটিংয়ে থাকে। তুমি তো আগে এমন ছিলে না অরণ্য!
-শুনো অদ্রি সবসময় মানুষকে যে একই রকম থাকতে হবে তা তো নয়। সময় মানুষকে বদলে দেয়। সো, এখানে অপরাধ কি?
-হ্যাঁ সত্যিই তো এখানে কোনো অপরাধই নেই!
-আমি আসলে তোমাকে আর সহ্য করতে পারছিনা অদ্রি। আই থিংক আমাদের রিলেশন কন্টিনিউ করা ঠিক না। সো....
-প্লিজ অরণ্য আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি যেমন আছো তেমনই থাকো তারপরও প্লিজ ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ....
-লিসেন অদ্রি, আমার পক্ষে রিলেশন কন্টিনিউ করা পসিবল না! কারণ আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না। আই এম এক্সট্রেমলি স্যরি।
-মানে? কি বলছো এসব? মাথা ঠিক আছে তোমার?
-হ্যাঁ... কারণ ভেবে দেখলাম তোমার সাথে আমার যায় না। তাছাড়া কোথায় আমাদের ফ্যামিলি আর কোথায়.....
- থামো অরণ্য... রিলেশন করার আগে মাথায় আসেনি এসব তোমার?
-দেখো আমি মানছি আমার ভুল ছিল বাট আমি সিরিয়াসলি আর এই পেইন নিতে পারতেছিনা।
-প্লিজ এমন করো না প্লিজ....আমি বাঁচবো না তোমায় ছাড়া অরণ্য প্লিজ!!
সেদিন অনেক অনুরোধের পরও অরণ্য ফিরে আসেনি। খুব কেঁদেছিলো অদ্রি কিন্তু লাভ হয়নি!
বাসায় আসার পর সোজা নিজের রুমে গেলো। মা অবশ্য কিছুক্ষণ ডাকলেন তাতেও সে পাত্তা দেয়নি।
সিদ্ধান্ত ফাইনাল, আজই পৃথিবীর মায়া ছাড়বে। পৃথিবীতে যে ভালোবাসার মত আর কেউ নেই। হঠাৎ মায়ের ডাকে কল্পনার জগৎ থেকে বের হলো অদ্রি। কি মনে করে ভাবলো শেষবারের মত মা-বাবার সাথে দেখা করা উচিত তার। সেই ভেবে দরজা খুলতেই মা বললো,
-দেখ তো মা ড্রেসটা তোর পছন্দ হয়েছে কিনা?
-হুম খুব হয়েছে মা।
-সেদিন মার্কেটে দেখছিলি ড্রেসটা বারবার।তখন আমার হাতেও টাকা ছিলো না তাই কিছু জমানো টাকা আর তোর বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে বাজার করতে গিয়ে কিনে আনলাম।
-তুমিও না মা কি যে করো!
-নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে রে মা। আজ সামর্থ্য তেমন নেই বলে কিছুই কিনে দিতে পারিনা।
এমন সময় অদ্রির বাবা বাসায় আসলেন। হাতে মনে হচ্ছে মাছের ব্যাগ হবে।
ব্যাগটা অদ্রির মায়ের হাতে দিয়ে বললেন,
-মেয়েটা সেদিন বলেছিলো চিংড়ী মাছ খাবে। তাই ভাবলাম আজ বেতন পেয়েছি ক'টা চিংড়ী নিয়ে যাই মেয়ের জন্য। মজা করে রান্না করো তো অদ্রির মা যেমনটা অদ্রি পছন্দ করে।
অদ্রি এসব দেখছে আর চোখের পানি ফেলছে। কিছু না বলেই নিজের ঘরে এসে বালিশ চেপে খুব কান্না করলো। ঠিক এমন সময় ছোট ভাইটা এসে জিজ্ঞেস করলো,
-আপু কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ?
-না রে ভাই এমনি। কিছু হয়নি আমার।
-কি হয়েছে বলনা রে আপু! ও বুঝেছি আমি তোর ব্যাগ থেকে টাকা নিয়েছিলাম সেজন্য? আচ্ছা আমি কাল টিফিন না খেয়ে টাকাগুলো তোকে দিয়ে দিবো আপু। প্লিজ আর কাঁদিস না বিশ্বাস কর আর এমন করবো না।
অদ্রি আর সহ্য করতে পারলো না! হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। কান্নার শব্দ শুনে বাবা-মা ছুটে এলেন অদ্রির রুমে। অদ্রি শক্ত করে তার মাকে জড়িয়ে ধরলো।
ভাবতে লাগলো, "ভালোবাসা তো আমার ঘরেই আছে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। আর আমি কিনা মরতে যাচ্ছিলাম এক প্রতারকের জন্য? আমি মরলে তো ওর কোনো ক্ষতি হতো না। বরং আমার বাবা-মা কষ্ট পেতো। আমি না থাকলে তারা কাকে এভাবে ভালোবাসতো।"
গ্লাসের নিচ থেকে কাগজটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে জানালা দিয়ে ফেলে দিলো।
জোছনার আলোয় অন্ধকার ঘরটা আলোকিত হয়ে গেলো, অদ্ভুত সুন্দর লাগছে সবকিছু।
জীবন অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে অদ্রির। কাগজের টুকরোর সাথে পুরোনো সবকিছু টুকরো টুকরো হয়ে গেলো, শুরু হলো অদ্রির জীবনের নতুন অধ্যায়। # #

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

1 h ·Prevedi

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Prevedi

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·Prevedi

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.