টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। টেংরা মাছ চাষের জন্য একটি উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করা, পোনা মজুদ করা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, এবং রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি:
পুকুরের আয়তন কমপক্ষে ৮-১০ শতাংশ হওয়া উচিত এবং গভীরতা ১ মিটার হওয়া ভালো।
পুকুরের চারপাশ নেট দিয়ে ঘিরে দিতে হবে, যাতে অন্য মাছ প্রবেশ করতে না পারে বা চাষ করা মাছ বেরিয়ে যেতে না পারে।
পুকুর শুকিয়ে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে এবং ৫ দিন পর প্রতি শতাংশে ইউরিয়া সার ১০০ গ্রাম, টিএসপি ৭৫ গ্রাম ও গোবর ৪ কেজি ব্যবহার করতে হবে।
পোনা মজুদ:
পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে, পুকুরের পরিবেশ পোনা-বান্ধব করে তুলতে হবে।
পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে, প্রতি শতাংশে ৫-৭ কেজি চুন এবং প্রতি মাসে একবার করে সার ব্যবহার করা উচিত।
প্রতি শতাংশে ৮০০-১০০০টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে। খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
পুকুরে পোনা ছাড়ার পর, প্রতিদিন দুইবার খাবার দিতে হবে।
খাবারের তালিকায় চালের কুঁড়া (২৫%), ফিশ মিল (৩০%), সরিষার খৈল (২০%), এবং মিট অ্যান্ড বোন মিল (২৫%) ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাবার এমন পরিমাণে দিতে হবে, যাতে মাছ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারে এবং অতিরিক্ত খাবার পুকুরে পঁচে না যায়।
রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ:
পুকুরে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং রোগের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রয়োজনে অভিজ্ঞ মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে।
রোগাক্রান্ত মাছকে আলাদা করে চিকিৎসা করতে হবে।
অন্যান্য বিষয়:
টেংরা মাছ চাষে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক খাতে পরিণত হতে পারে।
টেংরা মাছের পোনা সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং এদের মাথায় দুই জোড়া গোঁফ থাকে। এদের দেহ পিচ্ছিল এবং এদের গায়ে কোনো আঁশ থাকে না। আত্মরক্ষার জন্য ফুলকার দুই পাশে দুইটি এবং পিঠে একটি করে কাঁটা থাকে। এদের পিঠের উপরের অংশ কালচে এবং পেটের দিকটা সাদা হয়ে থাকে।
টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। আকারে ছোট হলেও টেংরার অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বেশ। মাছটি নিয়ে আজকের আয়োজন
মাছের নাম টেংরা। নামটি অদ্ভুত, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। অন্যান্য মাছের তুলনায় টেংরায় কাঁটা কম হওয়ায় অনেকের কাছে বেশ প্রিয়। একসময় খালবিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে এ মাছ দেখা যেত। খালবিল কমে যাওয়া ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এর প্রজনন বৃদ্ধি না পেয়ে বরং হ্রাস পেয়েছে। অথচ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ মাছকে বাঁচিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য টেংরার কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে চাষ করে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব। টেংরা চাষের জন্য কিছু কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।

Samser Alam
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?
Saeid Islam
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?