লোমহর্ষক ভৌতিক ছোট গল্প ----
নতুন ফ্ল্যাটে উঠার পর থেকেই, প্রতি রাতে দিয়া ঘুমের মধ্যে প্রায় অনুভব করে কেউ যেনো থাকে কানে ফিস ফিস করে বলে " দিয়া উঠে এসো, বাগানে ঐ জিনিসটা নিবে না "। এমন কথা শুনে দিয়া ভয়ে আর ঘুমাতে পারে না। ব্যাপারটা তার মাকে জানায়। পরের দিন রাতে দিয়ার মা দিয়ার সঙ্গে থাকবে ব্যাপারটা আসলেই সত্যি নাকি মিথ্যে এই সত্যতা জানার জন্য। রাত যতো গভীর হয় ততোই দিয়ার রুমে অদ্ভুত রকমের বাচ্চাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে দিয়ার মা। এটা দেখে ভয়ে শিউরে ওঠেন। মেয়ে কে হাতে দিয়ে বার বার ধাক্কাধাক্কি করছে কিন্তু দিয়া তার কোনো সাড়াশব্দ নেই! যেনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। হঠাৎই ডিম লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন দিয়ার মা, একজন বুড়ো লোক দেওয়াল ভেদ করে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে একদম দিয়ার মার পাশে এসে দাঁড়ায়। এটা দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠেন বসেন দিয়ার মা আর তখনেই দিয়ার মায়ের মাথাটা ঘুরিয়ে দেন ঐ বুড়ো লোকটা। দিয়ার মা কোনো শব্দ কিংবা চিৎকার দিবেন তার কোনোটার সময়ে হয়ে উঠেনি বরং তার আগেই ঘারটা মটকে ঘুড়িয়ে দিলো ঐ বুড়ো লোকটা।
এদিকে দিয়া ঘুমে সেই এখই কথোপকথন শুনতে পেয়ে প্রচণ্ড ভয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। আর তখনেই দিয়ার নজরে পরে তার মায়ের দিকে, দেখে মায়ের মাথাটা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে আছে। ভয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে দিয়া। ঠিক তখনেই কালো একটা ছায়া দিয়ার সামনেই দৃশ্যমান ঘটে, আর মুহূর্তের মধ্যে কালো ছায়াটা ধোঁয়াশার মতো হয়ে দিয়ার মুখে ঢুকে পড়ে। দিয়া নিজের মধ্যে থাকে না। চোখ জোড়া তার রক্তজবার মতো হয়ে ওঠে। ফর্সা শরীরটা মুহূর্তের মধ্যে কালো কুচকুচে, ভয়ংকর বীভৎস চেহারা রূপ ধারন করে। দু'হাতে দিয়া মায়ের দেহটা উঠিয়ে নিয়ে দেয়াল ভেদ করে ঢুকে পরে। পরের দিন দিয়ার রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকাতে দিয়ার বাবা সিকিউরিটি কে দিয়ে দরজাটা ভেঙে রুমে প্রবেশ করতেই তিনি ভয়ে আৎকে উঠেন। দেখেন পুরো রুমটা রক্তে মাখামাখি অবস্থা। স্ত্রী সন্তান কাউকে তিনি রুমে পাননি বরং দেয়ালে শুধু চার-পাঁচটে ছোট ছোট বাচ্চাদের রক্তাক্ত হাতের স্পর্শ দেখতে পান।