আজ অফিসের প্রথম দিন।অনেক কষ্টের পরে চাকরিটা হল।তবে অনেকটা ভাগ্যের সহায়তা ও পেয়েছি।সকাল ৯ টা থেকে অফিস শুরু।রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
-কিছু ফেলে যাচ্ছ না তো?
-ওপস। ফোন টাই তো ফেলে যাচ্ছি।
-থ্যাংকস।মনে করিয়ে দেবার জন্য।
.প্রথম দিন তাই নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই এলাম অফিসে।শুনেছি আমাদের অফিেসর এমডি হলো মহিলা।উনার সাথে একবার দেখা করা দরকার......
-মে আই কাম ইন ম্যাম?
-ইয়েস।
-তু-তু-তুমি। মানে আপনি?
-হ্যা আমিই।সারপ্রাইজট
া কেমন দিলাম?তুমি অবশ্যই আমাকে এখানে আশা কর নি তাই না?
-আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না।
-বলেছিলাম না পৃথিবীটা গোল।ভাগ্যটা কেমন দেখেছো আমরা যা না আশা করি আমাদের সাথে সেটাই হয়।
-তার মানে তুমি আগে থেকেই জানতে সব কিছু।
-অবশ্যই।তোমাকে এত সহযে হারাতে দেই কি করে বল।
-কিন্তু আমি এখানে সেটা তুমি জানলে কি ভাবে।
-তুমি তো বলেছিলে কয়েক মাস পর আমাদের দেখা না হলে আমি তোমাকে ভুলে যাবো।দেখ কয়েক মাস না কয়েক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো তোমাকে ভুলিনি।তুমি যত দূরেই থাক না কেন আমার দৃষ্টি থেকে কখনই দূরে যেতে পারনি।কখনও কি ভেবেছো তোমার প্রতি জন্মদিনে দেওয়া তোমার ছবি,ওই কাচের গোলাপ ফুল,সাগরপাড়ের মুক্তোর মালা, প্রতি জন্মদিনে তোমাকে ফোন করে আই লাভ ইউ বলা , এক্সিডেন্ট করার পর হাসপাতালে নেওয়া, তোমার হারিয়ে যাওয়া ফোন ফিরে পাওয়া, কিভাবে হয়েছে এত সব।
এখনও তোমার মনে হয় এগুলো আমার আবেগ?
-কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও বলতে নেই।
-তোমার মধ্যে দেখছি দার্শনিক ভাবটা এখনও যায়নি।
-সব কিছু তো আর পরিবর্তন করা যায়না।
-চলো সবার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দেই।
-ওকে চল।এতক্ষন যার সাথে কথা বলছিলাম ও নিশা।বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।আর ও তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
একদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।একটা মেয়ে দৌড়ে আমাদের দিকে আসলো তারপর
-আপনি নিশো তাই না?
-হ্যা,।কিন্তু আপনি কে?
-আমি নিশা। আমি আপনার জুনিয়র।প্রথম বর্ষে পড়ি।কাল প্রোগ্রামে আপনার গান শুনেছি।অনেক ভাল গান আপনি।
-তা আমার কাছে কি মনে করে?
-আই লাভ ইউ।
-কি??????
-আই লাভ ইউ বলেছি।শুনেতি পান নি?
-তোমার মাথা ঠিক আছে তো।
-হ্যা।।আছে।ওকে এখন আসি পরেএক সময় উত্তর জেনে নেব।বাই নিশা অনেক সুন্দরি।এক কথায় চোখে ভয়ংকর সুন্দরি।তার উপর বড়োলোক বাবার একমাত্র মেয়ে।মেধাবি ছাত্রী।কিন্তু অন্য কাউকে ভালবাসতাম।
ও এমন করে বার বার আমাকে ওর ভালবাসার কথা বলতে।
-তোমাকে কত বার বলবো আমি অন্য কাউকে ভালবাসি।আর এটা তোমার আবেগ।কয়েকমাস পর তোমার এই আবেগ আর থাকবে না।তুমি আর কখনও আমার সামনে আসবে না।
-ওকে আসবো না।পৃথিবীটা গোল।সো একদিন তুমি নিজেই আমার সামনে আসবে।মাইন্ড ইট।
সত্যই পৃথিবীটা গোল।সো তুমি যাকে এক্সেপেক্ট করো একদিন তার সাথে তোমার দেখা হবেই।আজ নিশা সেটা প্রমান করলো।আজ সারাদিন আমি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।সব কিছু কেমন স্বপ্ন মনে হচ্ছে।
অফিস শেষে নিশা আমার ডেক্সের সামনে আসলো
-বাসায় যাবে না?
-হ্যা যাবো।
-চল তোমাকে নামিয়ে দিবো।
-অন্য দিন যাবো।ওকে।রিক্সায় করে বাসায় আসছি।তুমি আবার কিছু একটা ভুলে যাচ্ছো।হুম মনে পড়েছে।দুইটা গোলাপ নিতে হবে।
থ্যাকস এগেইন।চারিদিকে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার আবির্ভাব।পরিবেশটা খারাপ না।তবে একটু শীতে কাপুনি লাগছে মাঝে মাঝে।
-এখন আসার সময় হলো তোমার?আমি এই শীতের মধ্যে সেই কখন থেকে বসে আছি।
-না আসলেই তো পারো এই শীতের মধ্যে
-হুম ঠিক।তাহলে তুমি আসছো কেন এই শীতের মধ্যে?
-কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে নেই
-কেন-কারন তুমি এই প্রশ্নের উত্তর জানো।
-কিন্তু তোমার মুখ থেকে শুনতে যে বড় ইচ্ছে হয়।
-সব ইচ্ছা তো আর পূরন হবার না।
- সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্য সম্ভব।
-শুধু সাধ্যের মধ্যেই থাকলেই তো হয় না।যদি তাই হতো তাহলে আজ আমাদের মধ্যে কি এত দূরত্ব কি থাকত?
-তা ঠিক।কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমারা শুধু দর্শকের ভূমিকায় থাকি।আসল খিলাডি তো ওই যে উপরে যিনি আছেন তিনি।
- তিনি ভাল কিছুর জন্যই এসব করেছেন।
আফিস কেমন কাটলো আজ।
-অনেকটা স্বপ্নের মত।নিশার সাথে দেখা হল আজ।
-মেয়েটা অনেক ভালবাসে তোমাকে।তোমার তাকে গ্রহন করা উচিত।আমার হৃদয় আগেই থেকেই তুমি আছো।
-কিন্তু এখন তো আমি নেই।আমার কোন অস্তিত্ব নেই এই পৃথিবীতে।কারো কাছে না থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে আছে।যদি সেটাও না থাকে তবে কি করবে?
-থাকবে। কেন থাকবে না? আমার অস্তিত্বের মাঝেই যে তুমি বিদ্যমান।-কত দিন থাকবে এভাবে?
-জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।আমার যাবার সময় হয়ে গেছে।
-চাইলেও তো আটকাতে পারবোনা।
-ভাল থেকো।বিদায়।সামিহা আমকে ছেড়ে গেছে আজ দুই বছর পূর্ন হল।প্রতি মৃত্যুবার্ষিকিতে আমি ওর কবরে আসি।কিন্তু আমি সবসময় আমার পাশে ওকে অনুভব করি।মনে হয় যেন আমার ঠিক পাশেই ও পা মিলিয়ে হাটছে।
# #

★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

2 d ·Isalin

☄️🦋☄️🕌আমার প্রিয় মুসল্লি বাঙালি ভাইয়েরা কারো কাছে
আর্নিং ভালো কোন ওয়েবসাইট থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে☄️🦋☄️🕌

3 d ·Isalin

গল্প: ছেঁড়া বই

পুরনো ছেঁড়া বই রাস্তায় পড়ে ছিল।
রুহুল তুলে ধুলা ঝেড়ে দেখে, ভিতরে একটা নাম লেখা—“মা”
বইটা নিয়ে সে ঘরে ফেরে—জ্ঞানও একেক সময় আবেগের মতো।

3 d ·Isalin

গল্প: বেল বাজে

ক্লাসে বেল বেজে যায়, সবাই দৌড়ায়।
রিনা চেয়ার গুছিয়ে যায়। শিক্ষক বলেন, “তুমি যদি সবার মতো না হও, তবেই আলাদা।”
ভালো আচরণ চুপিচুপি নজরে পড়ে।

3 d ·Isalin

গল্প: ভুল নাম

শিক্ষক বারবার সাকিফকে ‘শাকিল’ নামে ডাকেন।
সে শুধরে বলে না কিছুই।
শেষদিন শিক্ষক বলে, “তুমি এত ভদ্র কেন?”
সে হাসে, “সম্মান নামের চেয়ে বড়।”

3 d ·Isalin

গল্প: মাটির ঘ্রাণ

বৃষ্টি শুরু হলে রাহিলা ছুটে যায় উঠোনে।
মাটি ভিজে সোঁদা গন্ধে সে বলে, “এটাই আমার শৈশব!”
গন্ধেও জেগে ওঠে স্মৃতি।

3 d ·Isalin

গল্প: কৃতজ্ঞতা

রায়হান বাজারে বৃদ্ধকে রাস্তা পার করায়।
বৃদ্ধ বলেন, “তুমি তো আমার নাতির মতো।”
রায়হান মুচকি হেসে বলে, “তাই তো করলাম নাতির কাজ।”