হৃদয় একটু বাইরে আয় তো। (সাফা)
- কেন রে? কিছু বলবি? (হৃদয়)
- বলার জন্যই তো ডাকছি।চল।
- আরে বাবা যাচ্ছি তো।
- হুম।সাফা আর হৃদয় একই ভার্সিটিতে পড়ে।ভাগ্যক্রমে দুজনই সে কলেজ লেভেল থেকে একই সাথে।আজ হঠাৎ ক্লাসে যখন সবার সামনে হৃদয়কে সাফা এভাবে ডাকছিলো তখন খানিকটা আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলো ক্লাসে বসে থাকা সবাই।বল কেন ডাকছিলি? (হৃদয়)
- কেন ডাকছি তুই বুঝিস না? (সাফা)
- আরে বাবা বুঝলে কি তোরে জিগাইতাম নাকি?
- তুই তখন সায়মার সাথে ওভাবে কথা বলছিলি কেন? কয়দিন এভাবে বললে নিশ্চিত ও তোর প্রেমে পড়বে।
- পড়লে পড়বে।প্রেম তো পড়ার জিনিষ।সেজন্য কি তুই আমাকে এখানে ডেকেছিস?
হুম।সেজন্যই তোকে এখানে ডেকেছি।আর হ্যাঁ নেস্কট টাইম এভাবে কারো সাথে কথা বললে খবর আছে।দরকার ছাড়া কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না।
- কি বলিস এগুলা! তুই কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি?
- হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি।কোন মেয়েকে তোর সাথে দেখলে আমার সহ্য হয় না।
এটা কোন কথা হলো! কেন সহ্য হবে না?
- কারণ আমি তোকে ভালোবাসি।
- ভালোবাসিস!
- হ্যাঁ তোকে আমি ভালোবাসি সেই কলেজ লাইফ থেকে। সত্যিই বলছি হৃদয়।তোকে হারানোর ভয়ে বলতে পারি নি।সবসময় তোর কাছাকাছি থেকেছি।
- পাগলামি বন্ধ কর সাফা।তুই কত বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে।আর আমি মধ্যবিত্ত বাবার সন্তান।বুঝতে চেষ্টা কর।
কি বুঝতে চেষ্টা করবো? তোকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি নাহ।তুই তো বলেছিস বন্ধুত্ব টাকা পয়সার উপর বিচার করে হয় না।তাহলে ভালোবাসার ক্ষেত্রে কেন এমন পার্থক্য?
- তুই আসলে পাগল হয়ে গেছিস। চল তোকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসি।একটু বিশ্রাম নে।দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে।
- দরকার নেই আমাকে বাড়িতে রেখে আসার।আমি কচি বাচ্চা নই যে বাড়িতে রেখে আসবি।ভালো থাক তুই।
কথাগুলো কান্নাজনিত কন্ঠে বলে দৌড়ে বাড়ি চলে গেল সাফা। সাফা মেয়েটা হৃদয়কে অনেক ভালোবাসে।কিন্তু
হৃদয় শুধু চায় এই সম্পুর্কটা বন্ধুত্বের মাঝে সিমাবদ্ধ থাক।তাইতো ভালোবাসা বুঝেও না বুঝার ভান করে সবসময়।
আজ ১ শনিবার।
গত এক সপ্তাহ থেকে সাফা ভার্সিটিতে আসে নাহ।যতবার হৃদয় সাফাকে ফোন দিয়েছে ততবারই কেটে দিয়েছে।তবুও বাড়িতে যায় নি।যদিও সাফার বাবা অনেক ভালোবাসেন হৃদয়কে।সাফা খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। সবসময় ঘরের ভেতর লাইট অফ করে কাঁদে আর দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে।মনে মনে ভাবতে থাকে,ভালোবাসা বুঝি এমনি কষ্টদায়ক ও যন্ত্রনাদায়ক হয়।বারবার চোখের জল মুছে।মাঝে মাঝে মায়ের ছবিটার দিকে তাকিয়ে কি যেন বলে আবার হুহু করে কেঁদে উঠে।সাফার বাবা রাহাত চৌধুরী মেয়ের এই অবস্থা দেখে শঙ্কিত।কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।একমাত্র মা মরা মেয়ে তার।
সব লজ্জা ভুলে সাফাদের বাড়িতে ঢুকেই পরে হৃদয়।সাফার বাবা বাড়ির বাইরেই ছিলেন।হৃদয়কে দেখে মেয়ের অবস্থার জন্য হুহু করে কেঁদে উঠলেন।হৃদয় রাহাত চৌধূরীর কথা শুনে সাফার রুমের দিকে দৌড় দিলো।রুমের লাইট অফ ছিলো।লাইটা অন করে দিলো হৃদয়। একি হৃদয়,তুই?(সাফা)
- হ্যাঁ সাফা,আমি।গত ১ সপ্তাহে তোকে ছাড়া আমি খুব কষ্টে ছিলাম রে।আমিও তোকে বড় ভালোবাসি সাফা।
- সত্যিই বলছিস হৃদয়?
- হ্যাঁ সাফা সত্যিই বলছি।
- তুই আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবি না তো? কথা দে।
- কথা দিলাম সাফা, তোকে ছাড়া আমি কোনদিনই যাবো না।
(অতঃপর সাফা হৃদয় কে জড়িয়ে ধরে আরেকবার কেঁদে উঠলো।নাহ! এ কান্না দুঃখের কান্না নয়,সুখের কান্না।) # #
Sf shahib Islam
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Sf shahib Islam
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?