5 i ·Översätt

এই নাও।(জেনিয়া)
-কি এটা (তামীম)
-অামার বিয়ের কার্ড (জেনিয়া)
-ও,ভালো (স্বাভাবিক ভাবে) বললো তামীম।
-ভালো মানে, অামার বিয়ের কার্ড দেখে তোমার কষ্ট লাগছেনা? (জেনিয়া)
-না,তোমার বিয়ের খবরে অামি অারো খুশি হয়েছি। এখানে কষ্টেও পাওয়ার কি অাছে। (তামীম)
-সত্যিই তোমার কষ্ট হচ্ছেনা? (জেনিয়া)
-সত্যিই হচ্ছে না।অাবারো স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো তামীম।
তামীমের মুখে স্বাভাবিক ভাবে উত্তর শুনে মনটা খারাপ করে চলেগেলো জেনিয়া। তামীমের কাছ থেকে এমনটা অাশা করেনি জেনিয়া।। জেনিয়া ভেবে ছিলো জেনিয়ার হাতে বিয়ের কার্ড দেখে তামীম তাকে বিনয়ের সুরে বলবে। কি বলছো এইসব। অামাদের এতদিনের সম্পর্কের কি হবে। কিন্তু না তামীম এইসব কিছুই বললো না।।তাতে খুব কষ্ট পেয়েছে জেনিয়া।অন্যদিকে তামীমের কোন কাজে মন বসছে না কিছুদিন যাবৎ ।।ঠিকমত পড়তে পারেনা, ঠিকমত টিউশনিতেও যেতে পারেনা।অাজ এক ছাত্রীর মা ফোন করেরে বলেছে ঠিকমত না গেলে অন্য টিচার নিয়ে নিবে।।
কি করবে বুঝতে পারছিনা। হঠাৎ করে জেনিয়া এমন কথা বলবে এটা তামীম কখনোই কল্পনা করতে পারেনি।।তাদের এতদিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে।। বিয়েতে রাজি হওয়ার অাগে এতটুকুও ভাবলো না জেনিয়া।।
কেনো ভাবলোনা অামি তো অাগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেইনি।। সেই তো দিয়েছে।। কি দরকার ছিলো এত অভিনয়ের।। ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চটাই বসতাম।। সবসময় উসকো খুসকো ভাবে থাকতাম।। কি দরকার ছিলো এত ভালোবাসার অামাকে।। তাহলে অাজ ভালোবেসে কেনো চলে যাচ্ছে।।
তাকে থামানোর মত ক্ষমতা অামার নেই।। গরীব কৃষক বাবার সন্তান অামি।।অার জেনিয়া বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে।। এদিকে অামার দিকে চেয়ে অাছে অামার পুরো ফ্যামিলি।। না অামাকে অার এভাবে বসে থাকলে চলবেনা।।তাহলে অামার ফ্যামিলির কি হবে।। না অাজ থেকেই অাবার সবকাজে মন দিবো।। মন থেকে জেনিয়ার স্মৃতি সব বাদ দিবো।। এখন নিজের ফ্যামিলির চিন্তা ছাড়া অার কিছুই মাথায় রাখবোনা।।এই মামুন তামীমের কোন খুজ জানো। না তো জেনিয়া। তার সাথে অামার কোন যোগাযোগ নেই।। প্লিজ মামুন বলোনা তামীম কোথায় অাছে।। তার সাথে অামার প্রায় একমাস যাবৎ কোন যোগাযোগ নেই, প্লিজ বলো অামি তোমার পায়ে ধরছি।। তামীমের সাথে একটু কথা বলিয়ে দাও।।ওকে এই নাও এটা তামীমের নতুন নাম্বার 01756**** বাট অামার কথা বলিও না।।অাচ্ছা ঠিক অাছে বলবোনা। ধন্যবাদ তোমাকে।।ক্রিং ক্রিং
হ্যালো অাসসালামু অালাইকুম।
-ঐ পাশে নীরব।। হ্যালো কে বলছেন।। কি অাশ্চয্য কথা বলছেন না কেনো।।এই কুত্তা বান্দর বিলাই হনুমান কোথায় তুমি।। কত জায়গাতে তোমায় খুজেছি কোথাও পাইনি ।। ঐ দিনের পর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত তোমাকে খুজে বেরিয়েছি।।
জেনিয়া তামীম কে কেঁদে কেঁদে বলছে।।
-এই
কাঁন্না থামিয়ে যা বলার বলেন,,, অামার হাতে সময় নেই।।
তোমার হাতে সময় হতে হবেনা।। লাস্ট একটু সময় দাও অাজ।।
অামি পারবোনা।। পারতে হবে।অামি পারবোনা।। তোমার জন্য অামি বিকেল তিনটাই পার্কে অপেক্ষা করবো।। তোমাকে অাসতে হবে, এখন বাই।।অামি জানি যতক্ষণ অামি না যাবো ততক্ষণ সে পার্কেই বসে থাকবে।। তাই অামাকে যেতে হবে।।বিকেল তিনটা পার্কের এক কোনে জেনিয়া বসে অাছে। কাছে গিয়ে জিঙ্গাসা করলাম,
কিসের জন্য অাসতে বলছেন এখানে।। কথাটা বলতেই ঠাস করে একটা শব্দ হলো।। হ্যা জেনিয়া একটা চড় মেরেছে গালে।।
চড়টা মেরে অামার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেললো।। তারপর অামাকে রিক্সায় নিয়ে সোজা কাজী অফিসের সামনে।।
সেখানে গিয়ে দেখি অামার বন্ধুরা সবাই।। সাথে জেনিয়ার বাবাও অাছে।। অামি কিছুই বুঝিবার অাগে সবকিছু ওরাই অামাকে বুঝিয়ে দিলো।। অামার অার জেনিয়ার বিয়ে দিয়ে।পাঁচ বছর পর এই কেরে সকাল বেলা অামার ঘুমের মধ্যে পানি ঢেলে দিলো।। কেরে, অামি অাপনার একমাত্র বউ জেনিয়া।। সকাল নয়টা বাজে তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো,এদিকে তানজীমের স্কুলের সময় চলে যাচ্ছে।। অার তোমাকে অফিস যেতে হবেনা।।অাজ না তোমার অফিসের কাজে বাবা তোমাকে কোথায় পাঠাবে।।
-তানজীম রেডি হয়েছে।। হ্যা হয়েছে।।
অার শোন তুমি অামার একমাত্র বউ না দুই মাত্র বউ।।কারণ অাজকে অামি অামার অারেক বউকে স্বপ্ন দেখতে ছিলাম।। দিলাতো অামার স্বপ্নের বারোটা বাজিয়ে।।
কি অামাকে রেখে অন্য মেয়েকে স্বপ্ন দেখা।। যাও অাজ থেকে অার তোমার সাথে কোন কথা নেই।।
এই জানটুসি রাগ করো কেনো।। ঐটা কে শুনবেনা।। ঐটা হলো অামার তানজিমের অাম্মু।। তাকে সেই নতুন বিয়ের অবস্থায় দেখছিলাম।।।উফ ঐ কি সুন্দর লাগছিলো।।
ও বুঝছি অার বলতে হবেনা।।
ঐ জানটুসি একটা দাও না।।কি, ঐযে ঐটা।।
অামি পারবোনা।। অাগে অফিসের জন্য রেডি হও পরে।। ওকে ম্যাডাম তাই হবে।।
এটাই হলো অামি অার অামার পরিবার।। খুব সুখেই অাছি।।। # #

1 d ·Översätt

★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂

1 d ·Översätt

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·Översätt

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·Översätt

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

2 d ·Översätt

☄️🦋☄️🕌আমার প্রিয় মুসল্লি বাঙালি ভাইয়েরা কারো কাছে
আর্নিং ভালো কোন ওয়েবসাইট থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে☄️🦋☄️🕌

3 d ·Översätt

গল্প: ছেঁড়া বই

পুরনো ছেঁড়া বই রাস্তায় পড়ে ছিল।
রুহুল তুলে ধুলা ঝেড়ে দেখে, ভিতরে একটা নাম লেখা—“মা”
বইটা নিয়ে সে ঘরে ফেরে—জ্ঞানও একেক সময় আবেগের মতো।

3 d ·Översätt

গল্প: বেল বাজে

ক্লাসে বেল বেজে যায়, সবাই দৌড়ায়।
রিনা চেয়ার গুছিয়ে যায়। শিক্ষক বলেন, “তুমি যদি সবার মতো না হও, তবেই আলাদা।”
ভালো আচরণ চুপিচুপি নজরে পড়ে।

3 d ·Översätt

গল্প: ভুল নাম

শিক্ষক বারবার সাকিফকে ‘শাকিল’ নামে ডাকেন।
সে শুধরে বলে না কিছুই।
শেষদিন শিক্ষক বলে, “তুমি এত ভদ্র কেন?”
সে হাসে, “সম্মান নামের চেয়ে বড়।”

3 d ·Översätt

গল্প: মাটির ঘ্রাণ

বৃষ্টি শুরু হলে রাহিলা ছুটে যায় উঠোনে।
মাটি ভিজে সোঁদা গন্ধে সে বলে, “এটাই আমার শৈশব!”
গন্ধেও জেগে ওঠে স্মৃতি।

3 d ·Översätt

গল্প: কৃতজ্ঞতা

রায়হান বাজারে বৃদ্ধকে রাস্তা পার করায়।
বৃদ্ধ বলেন, “তুমি তো আমার নাতির মতো।”
রায়হান মুচকি হেসে বলে, “তাই তো করলাম নাতির কাজ।”