রূপ 💆যাহারা রূপের আগুনে পুড়ছো তোমার কী ভেবে দেখেছো এই রূপ অল্প কিছু দিনের জন্য, তোমার বয়স ৪০হলেই আর রূপের মূল্য নেই। শুধুমাত্র ২০-২৫ বছরের জন্য এতো অহংকার কেন? আবার প্রতিবন্ধী হলে তো কথাই নেই তোমার মূল্য শুন্য। মন দিয়ে একটু ভাবুন তাহলেই সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আল্লাহ সকলকে জ্ঞান দান করেছেন তা সঠিক কাজে লাগান। সবাইকে দন্যবাদ
সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে একদিন সবকিছু ফিরে আসবে- হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান্তি, নিজের জন্য সময়। ফিরে আসবে অবাধ স্বাধীনতা, ফিরে আসবে নিশ্চিন্ত নিশি। কিন্তু যা কোনোদিনও ফিরে আসবে না, তা হলো তোমার এই ছোট্ট শৈশব। আর সকাল সকাল উঠে তোমার ময়লা কাঁথা-চাদর ধোয়ার তাড়া থাকবে না। তোমার জন্য আর শখ করে নতুন খেলনা কেনা হবে না। তুমি আর দাঁতহীন হাসিতে আমার আঙুল কামড়ে ধরবে না, না-না বলার ভঙ্গিতে দুই মুঠো হাত দিয়ে আমার চুল ছিঁড়ে দেবে না। তুমি বাবার চুল ধরে টেনে দুষ্টুমি করে হাসবে না। তোমার জন্য আলাদা রান্নার সেই ছোট ছোট পেরেশানিগুলোও আর থাকবে না। বাড়ির কোণে ছড়িয়ে থাকা খেলনাগুলো তুলে নিতে হবে না। নতুন খেলনা দেখলেই বাবার উচ্ছ্বসিত চোখের সেই ভালোবাসা আর দেখা যাবে না। এই হাতদুটো দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে আদর করে মুছে দেবার মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে। ভরা বুকের উষ্ণতায় তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাবে। একদিন তুমি বড় হয়ে যাবে। আমার শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণার ইতিহাস হয়ে যাবে। যে দিন প্রথমবার ছেঁড়া-ফাটা, সেলাই করা শরীর নিয়ে তোমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছিলাম, সেই দিনটিও স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে যাবে। তারপর... দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে। তমি আমার কোল ছেডে নিজের ছোট দনিয়ায় পা রাখবে।
তারপর... দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে। তুমি আমার কোল ছেড়ে নিজের ছোট্ট দুনিয়ায় পা রাখবে। যে জড়তা মাখা ভাষায় তুমি আমাকে "মা" বলেছিলে, সেই ডাকের সরলতা হারিয়ে যাবে। তুমি বড় ব্যস্ত হয়ে পড়বে তোমার নিজস্ব জীবন নিয়ে। তখন আমাদের -মা-বাবার -সমস্ত ব্যস্ততা ছুটি পাবে। তুমি থাকবে ব্যস্ত, আর আমরা থাকবো অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে। যে শৈশব তোমার মনে আবছা হয়ে যাবে, সেই শৈশব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল ঝকঝকে জ্বলবে। কখনো একটিবার মনে পড়বে হয়তো- তোমাকে ঘুম পাড়াতে, খেলনা গুছাতে, ভালোবাসায় ভিজিয়ে রাখার সেই সব দিনগুলো। আর আমাদের মনে পড়বে- তোমার ছোট্ট হাতের টান, দুধের গন্ধ মাখা শরীরের উষ্ণতা, তোমার নির্ভরতা, তোমার অবুঝ ভালোবাসা। সেই সব অনুভূতির কোনো বিকল্প আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, শৈশব একবারই আসে। আর তা হারিয়ে গেলে, আর কখনও ফিরে আসে না।
বাবা... আজ এতদিন পর লিখছি... অথচ যতবার তোমায় বলতে চেয়েছি, একবারও বলা হয়নি- কতটা ভালোবাসি তোমায়... কতটা গভীর শ্রদ্ধায় তোমার মুখটা এখনো বুকের ভিতরে আঁকা তুমি তো সব বুঝতে... আমার না বলা কথাগুলোও ভেঙে পড়া মুখটা দেখে তোমার চোখেই জলে ভিজে যেতো কান্না আজ সেই চোখ নেই, আজ সেই সান্ত্বনা নেই, আজ শুধু আছে এক বিশাল বেদনার নীরবতা... তোমার হাত ধরে হাঁটা শিখেছিলাম আর আজ... তুমি ছেড়ে গেলে চুপচাপ, একটুও না বলে... আমি পারিনি বলতে- 'I love you, Baba...! আজও হঠাৎ ভেসে আসে সেই গান... যেটা তুমি গাইতে গাইতে আমাকে ঘুম পাড়াতে- "আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়..."* এই সুরটা যেন আজও দেয়ালের ফাঁকে বাজে, একটা ব্যথা-ভেজা কণ্ঠে যেন বলে- "ফিরে আয় খুকু, আমি এখনো বসে আছি..." বাবা... তুমি তো চলে গেলে... কিন্তু রেখে গেলে হাজারটা বেদনা না বলা শতশত কথা আর এক পৃথিবী ভরা ভালোবাসা... যা আজও আমার হৃদয় কুরে কুরে খায়
আজ শুধু বলি- তোমার অভাবটা নয়, তোমার অস্তিত্বটাই আমার নিঃশ্বাসে মিশে আছে... বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি আমি তোমায় শ্রদ্ধা করি তুমি আমার জীবনের প্রথম ও শেষ বটবৃক্ষ যেখানে আজও আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি... শুধু তোমার জন্য...
শিক্ষা গ্রহণ করলেই শিক্ষিত হয় না...... বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি। রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "চিঠিটা খুলো না। সোজাসুজি বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে দেবে।" এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?" মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।" তারপর থেকে এডিসন মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই। হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।" পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। তখনই তিনি ডায়েরিতে লিখলেন: টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
"ভালোবাসা যখন ফিরে তাকায় না, তখন বিকেলও বিষণ্ন হয়ে পড়ে…"//
পড়ন্ত বিকেল।
ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।
আকাশে মেঘের জলরাশিকে অস্তমিত সূর্যের আলো এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করছে।
মনে হচ্ছে সোনালি মেঘখণ্ডগুলো আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।
তখনই মনে পড়ে যায়—তোমাকে।
আমার ভালোবাসা আজ দুঃখের অশ্রু ঝরাচ্ছে।
জানিনা কীভাবে আমার ভালোবাসা প্রকাশ করবো।
অনুভবে, অনুক্ষণে যার অস্তিত্ব অনুভব করি—সে কেন বোঝে না,
কি কারণে আমার এই নির্বাসন?
প্রথমত "তোমাকে চাই"—এই কথাটি বলার স্বপ্ন
ভাঙা ঘুমের মতো বিষণ্ন এক প্রহরে
আমি চেয়ে দেখি, তুমি নাই।
আমার কষ্টের দেয়ালটা ঘুমকাতুরে জোছনায় সময় কাটিয়েছিল।
আজ কেন দুঃস্বপ্ন এসে বাসা বাঁধে ঐ দুটি চোখে?
কেন দুঃস্বপ্ন তোমাকে আমার কাছ থেকে বারবার কেড়ে নিয়ে যায়?
আমার মাঝে—আমার ভালোবাসার এই বিশাল হৃদয়ের গভীরে—তুমি ঘুমিয়ে ছিলে।
জোছনা রাতে তুমি এখানটেই বিলিয়ে দিতে তোমার ভালোবাসা,
কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে রূপ নিতে।
এই আলো-আঁধারের খেলায় তুমি আমায় ক্লান্ত করে দিয়েছো,
ভুলিয়ে দিয়েছো আমার অচেনা অতীত।
—
#ভেতরঘরেরশব্দ
#মনখারাপেরবিকেল
#নীরবভালোবাসা
#bengalipoetry #poetry
sabuz hossain
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?
Nadim Ahmed
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?