5 w ·çevirmek

পুতুল
ছোট্ট মেয়েটার নাম ছিল মিষ্টি। তার প্রিয় পুতুলটা হারিয়ে গিয়েছিল। এক ভিক্ষুক তা কুড়িয়ে পেয়েছিল। দেখে মিষ্টির চোখে আনন্দ ঝিলিক দিল, আর ভিক্ষুকের চোখে শান্তি।

5 w ·çevirmek

বৃষ্টি
রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিল অর্ণব। হঠাৎ বৃষ্টি নামল। ছাতা ছিল না, তবে একজোড়া চোখ ছাতা করল তার জন্য। সেদিন প্রথম বার চেনা-অচেনার মাঝখানে ভালোবাসার শুরু হয়েছিল।

5 w ·çevirmek

চিঠি
রাতের নির্জনতায় পুরোনো একটা চিঠি খুঁজে পেল রুবি। মায়ের হাতে লেখা—“ফিরে এসো, অপেক্ষায় আছি।” চোখ ভিজে উঠল। মা এখন নেই। কিন্তু সেই চিঠির গন্ধে আজো মায়ের আঁচল খুঁজে পায় রুবি।

5 w ·çevirmek

রূপ 💆যাহারা রূপের আগুনে পুড়ছো তোমার কী ভেবে দেখেছো এই রূপ অল্প কিছু দিনের জন্য, তোমার বয়স ৪০হলেই আর রূপের মূল্য নেই। শুধুমাত্র ২০-২৫ বছরের জন্য এতো অহংকার কেন? আবার প্রতিবন্ধী হলে তো কথাই নেই তোমার মূল্য শুন্য। মন দিয়ে একটু ভাবুন তাহলেই সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আল্লাহ সকলকে জ্ঞান দান করেছেন তা সঠিক কাজে লাগান। সবাইকে দন্যবাদ

5 w ·çevirmek

ঢাকা শহর ঢাকা ঢাকার রাস্তা ফাঁকা#bangladesh #national #aface1 😍

5 w ·çevirmek

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে একদিন সবকিছু ফিরে আসবে- হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান্তি, নিজের জন্য সময়। ফিরে আসবে অবাধ স্বাধীনতা, ফিরে আসবে নিশ্চিন্ত নিশি। কিন্তু যা কোনোদিনও ফিরে আসবে না, তা হলো তোমার এই ছোট্ট শৈশব। আর সকাল সকাল উঠে তোমার ময়লা কাঁথা-চাদর ধোয়ার তাড়া থাকবে না। তোমার জন্য আর শখ করে নতুন খেলনা কেনা হবে না। তুমি আর দাঁতহীন হাসিতে আমার আঙুল কামড়ে ধরবে না, না-না বলার ভঙ্গিতে দুই মুঠো হাত দিয়ে আমার চুল ছিঁড়ে দেবে না। তুমি বাবার চুল ধরে টেনে দুষ্টুমি করে হাসবে না। তোমার জন্য আলাদা রান্নার সেই ছোট ছোট পেরেশানিগুলোও আর থাকবে না। বাড়ির কোণে ছড়িয়ে থাকা খেলনাগুলো তুলে নিতে হবে না। নতুন খেলনা দেখলেই বাবার উচ্ছ্বসিত চোখের সেই ভালোবাসা আর দেখা যাবে না। এই হাতদুটো দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে আদর করে মুছে দেবার মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে। ভরা বুকের উষ্ণতায় তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাবে। একদিন তুমি বড় হয়ে যাবে। আমার শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণার ইতিহাস হয়ে যাবে। যে দিন প্রথমবার ছেঁড়া-ফাটা, সেলাই করা শরীর নিয়ে তোমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছিলাম, সেই দিনটিও স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে যাবে। তারপর... দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে। তমি আমার কোল ছেডে নিজের ছোট দনিয়ায় পা রাখবে।
তারপর... দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে। তুমি আমার কোল ছেড়ে নিজের ছোট্ট দুনিয়ায় পা রাখবে। যে জড়তা মাখা ভাষায় তুমি আমাকে "মা" বলেছিলে, সেই ডাকের সরলতা হারিয়ে যাবে। তুমি বড় ব্যস্ত হয়ে পড়বে তোমার নিজস্ব জীবন নিয়ে। তখন আমাদের -মা-বাবার -সমস্ত ব্যস্ততা ছুটি পাবে। তুমি থাকবে ব্যস্ত, আর আমরা থাকবো অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে। যে শৈশব তোমার মনে আবছা হয়ে যাবে, সেই শৈশব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল ঝকঝকে জ্বলবে। কখনো একটিবার মনে পড়বে হয়তো- তোমাকে ঘুম পাড়াতে, খেলনা গুছাতে, ভালোবাসায় ভিজিয়ে রাখার সেই সব দিনগুলো। আর আমাদের মনে পড়বে- তোমার ছোট্ট হাতের টান, দুধের গন্ধ মাখা শরীরের উষ্ণতা, তোমার নির্ভরতা, তোমার অবুঝ ভালোবাসা। সেই সব অনুভূতির কোনো বিকল্প আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, শৈশব একবারই আসে। আর তা হারিয়ে গেলে, আর কখনও ফিরে আসে না।

image
5 w ·çevirmek

বাবা... আজ এতদিন পর লিখছি... অথচ যতবার তোমায় বলতে চেয়েছি, একবারও বলা হয়নি- কতটা ভালোবাসি তোমায়... কতটা গভীর শ্রদ্ধায় তোমার মুখটা এখনো বুকের ভিতরে আঁকা তুমি তো সব বুঝতে... আমার না বলা কথাগুলোও ভেঙে পড়া মুখটা দেখে তোমার চোখেই জলে ভিজে যেতো কান্না আজ সেই চোখ নেই, আজ সেই সান্ত্বনা নেই, আজ শুধু আছে এক বিশাল বেদনার নীরবতা... তোমার হাত ধরে হাঁটা শিখেছিলাম আর আজ... তুমি ছেড়ে গেলে চুপচাপ, একটুও না বলে... আমি পারিনি বলতে- 'I love you, Baba...! আজও হঠাৎ ভেসে আসে সেই গান... যেটা তুমি গাইতে গাইতে আমাকে ঘুম পাড়াতে- "আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়..."* এই সুরটা যেন আজও দেয়ালের ফাঁকে বাজে, একটা ব্যথা-ভেজা কণ্ঠে যেন বলে- "ফিরে আয় খুকু, আমি এখনো বসে আছি..." বাবা... তুমি তো চলে গেলে... কিন্তু রেখে গেলে হাজারটা বেদনা না বলা শতশত কথা আর এক পৃথিবী ভরা ভালোবাসা... যা আজও আমার হৃদয় কুরে কুরে খায়
আজ শুধু বলি- তোমার অভাবটা নয়, তোমার অস্তিত্বটাই আমার নিঃশ্বাসে মিশে আছে... বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি আমি তোমায় শ্রদ্ধা করি তুমি আমার জীবনের প্রথম ও শেষ বটবৃক্ষ যেখানে আজও আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি... শুধু তোমার জন্য...

image
5 w ·çevirmek

রাজি ছিলো

image
5 w ·çevirmek

কুড়িয়ে নেয়

image
5 w ·çevirmek

কেনো এসেছিলে

image
5 w ·çevirmek

আমার জন্য একটু

image
5 w ·çevirmek

শিক্ষা গ্রহণ করলেই শিক্ষিত হয় না...... বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি। রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "চিঠিটা খুলো না। সোজাসুজি বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে দেবে।" এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?" মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।" তারপর থেকে এডিসন মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই। হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।" পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। তখনই তিনি ডায়েরিতে লিখলেন: টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

image
5 w ·çevirmek
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রমঃ

প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নানা ধরণের কর্মকা- পরিচালনা করে থাকে। যেমন-

* আউটরিচ কর্মসূচীর আওতায় জাদুঘরের ব্যবস্থাপনায় ছাত্র-ছাত্রীদের জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে আসা হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে এই কর্মসূচী পরিচালিত হয়ে আসছে।

* আউটরিচ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর বিশাল আকারে আয়োজন করা হয় ‘মুক্তির উৎসব’। এটি শুরু হয় ২০০১ সালে, প্রতিবছর এতে অংশ নেয় ১৫,০০০ শিক্ষার্থী।

* বৃহৎ আকারের একটি বাসকে ভ্রাম্যমান জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিভ্রমণ করে প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে।

* পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদরদের বীভৎস হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তুলেছে ‘বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ’।

* ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর সপ্তাহব্যাপী আয়োজন করে আসছে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব। যুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ক তথ্যচিত্র এতে প্রদর্শিত হয়।

* ২০০৬ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সবরমতী গান্ধী আশ্রম, আহমেদাবাদের সহযোগিতায় সেই ঐতিহাসিক স্থানে শান্তি ও সহনশীলতা বিষয়ক এশীয় তরুণদের ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছে।

* ২০০৮ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গণহত্যা বিষয়ক আর্ন্তজাতিক সম্মেলন করে আসছে।

* ২০০৮ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ চালু করেছে।

* মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করেছে ‘স্বেচ্ছাকর্মীদল’। যারা জাদুঘরের নানামুখী কর্মকা- পরিচালনায় সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখছে।

* বিশ্বের অন্যান্য আটটি সমভাবাপন্ন দেশের সঙ্গে মিলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গঠন করেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব হিস্টরিক মিউজিয়ামস অব কনসান্স’। এছাড়া এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব মিউজিয়াম ও আইকম-বাংলাদেশের সদস্য।
5 w ·çevirmek
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

বর্তমানে জাদুঘরে মাত্র ১৪শ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভান্ডারে জমা আছে ১৫ হাজারের অধিক স্মারক। শুধু স্থান স্বল্পতার দরুন এই বিশাল সংগ্রহভান্ডার প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী জাদুঘর নির্মাণের জন্য ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্দ পেয়েছে জাদুঘর ট্রাস্ট। এমতাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আগামী পরিকল্পনাসমূহ-

- বরাদ্দপ্রাপ্ত জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ। ইতোমধ্যে এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।

- নতুন জাদুঘর ভবনে ‘স্থায়ী’ ও ‘পরিবর্তনশীল’ দুই ধরণের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হবে।

- মূল স্থায়ী প্রদর্শনীর জায়গায় থাকবে দু’টি ভাগ: (ক) বাংলার জনপদ ও ঐতিহ্য এবং (খ) ইতিহাসের গতিধারা।

- প্রদর্শনীতে ইতিহাসের মূলধারার পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষের জীবন ও আত্মদানের পরিচয় মেলে ধরা হবে বিশেষ গুরুত্বসহকারে।
5 w ·çevirmek
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

বর্তমানে জাদুঘরে মাত্র ১৪শ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভান্ডারে জমা আছে ১৫ হাজারের অধিক স্মারক। শুধু স্থান স্বল্পতার দরুন এই বিশাল সংগ্রহভান্ডার প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী জাদুঘর নির্মাণের জন্য ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্দ পেয়েছে জাদুঘর ট্রাস্ট। এমতাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আগামী পরিকল্পনাসমূহ-

- বরাদ্দপ্রাপ্ত জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ। ইতোমধ্যে এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।

- নতুন জাদুঘর ভবনে ‘স্থায়ী’ ও ‘পরিবর্তনশীল’ দুই ধরণের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হবে।

- মূল স্থায়ী প্রদর্শনীর জায়গায় থাকবে দু’টি ভাগ: (ক) বাংলার জনপদ ও ঐতিহ্য এবং (খ) ইতিহাসের গতিধারা।

- প্রদর্শনীতে ইতিহাসের মূলধারার পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষের জীবন ও আত্মদানের পরিচয় মেলে ধরা হবে বিশেষ গুরুত্বসহকারে।



উপসংহারঃ

বাঙালি জাতিসত্তার স্মৃতিবাহী প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। যুদ্ধদিনের আয়না মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হৃদয়ে ধারণ করে আছে মুক্তিযুদ্ধেও স্মারক চিহ্ন। এটি অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ এ তিন কালের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করে শেকড় সন্ধানী প্রজন্মকে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ জন্মের সঠিক ইতিহাস। তাই বহুমাত্রিক জাদুঘর না হলেও বাঙালির জীবনে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
5 w ·çevirmek
ভ্রমণের পথসমূহঃ

সাধারণত স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে ভ্রমণ করা যায়। নদীমাতৃক দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। এ দেশের বিস্তীর্ণ মাটির বুকে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল। এদেশের মানুষ একসময় নৌপথেই বেশি যাতায়াত করতো। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বর্তমানে নৌপথ ততো বেশি ব্যবহৃত না হলেও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে নৌকাতেই ভ্রমণ করতে হয়। এমনি এক ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল আমারও।
5 w ·çevirmek
ভ্রমণের পরিকল্পনাঃ

বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমার স্কুল তখন বন্ধ। বন্ধুরা মিলে কোথাও বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু কোনো পরিকল্পনাতেই সবাই একমত হতে পারছিলাম না। হঠাৎ একজন বলে উঠলো নৌকা ভ্রমণের কথা। যেহেতু আমরা বন্ধুরা সকলেই শহরে বড় হয়েছি, কখনো নৌকা ভ্রমণের সুযোগ আসেনি তাই আমরা সবাই একবাক্যে নৌকা ভ্রমণে যেতে রাজি হয়ে গেলাম। দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হলো। আগামী শুক্রবার আমরা গৌমতী নদীতে নৌকা ভ্রমণে যাব।



যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতিঃ

যাত্রার আগের দিন একটি মাঝারি আকারের নৌকা ভাড়া করা হলো। নৌকায় দুজন মাঝি নেওয়া হলো। যাত্রাপথে সাথে নিলাম ক্যামেরা, টেপরেকর্ডার, পানি এবং কিছু শুকনো খাবার বিস্কুট, চানাচুর, চিপস, কলা ইত্যাদি। একটা বড় ফ্ল্যাক্সে চাও নেওয়া হলো।
5 w ·çevirmek
যাত্রা শুরুঃ

সকাল ৮টায় আমরা দ্বেবীদ্বার ঘাটে এসে পৌঁছলাম। কিন্তু সময়টা ছিল শীতকাল ফলে চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা ছিল। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কুয়াশা কিছুটা কাটলে তবেই আমরা যাত্রা শুরু করব। কুয়াশা কেটে রোদ উঠতে উঠতে সকাল ১০টা বেজে গেল। রোদ ওঠার পর আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে নিয়ে নৌকায় উঠে পড়লাম। সাথে সাথে মাঝি নোঙর তুলে, নৌকা ছাড়লো। আমরা আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম।



যাত্রা পথের বর্ণনাঃ

নৌকা ছাড়ার কিছু পরেই মাঝি গান ধরলো “মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না।’’ নৌকায় ওঠার পর যদিও আমাদের একটু একটু ভয় লাগছিলো কিন্তু মাঝির এমন মনোমুগ্ধকর গানের সুরে আমাদের ভয় পুরোপুরি কেটে গেলো। বৈঠা ও পানির মিলিত ছন্দ আর সেই সাথে মাঝির গাওয়া গান আমাদের মনে এক অভূতপূর্ব দোলা দিয়ে গেল। আমরা নৌকার গলুইয়ে মুগ্ধ হয়ে বসে মাঝির গান শুনছিলাম। এরই মধ্যে স্রোতের টানে নৌকা কখন যে মাঝনদীতে এসে পড়েছে আমরা টেরই পেলাম না। ততক্ষণে অন্য মাঝিও সুর ধরেছে। দুজনে মনের সুখে মাঝে মাঝে ভাটির গান ধরেছে-
5 w ·çevirmek
নৌকায় দুপুরের খাবারঃ

ফিরে এসে দেখলাম একজন মাঝি নৌকাতেই বানানো মাটির চুলায় ভাত রান্না করছে। আর অন্যজন মাছ কুঁটছে। খেতে বসে টের পেলাম আমাদের সবার পেট ক্ষুধায় চোঁ চোঁ করছে। নৌকায় বসে গরম ভাত আর নদীর টাটকা মাছের ঝোল খেতে অমৃতের মতো লাগলো। চেটেপুটে খাওয়া শেষ করে নৌকার ছইয়ের নিচে সবাই একটু জিরিয়ে নিয়ে, রোদ একটু পড়ে এলেই আবার যাত্রা শুরু করলাম। এবার বাড়ি ফেরার পালা।
5 w ·çevirmek
নদীর সূর্য অস্তঃ

দুপুরের খাবার একটু দেরিতে খাওযায় খুব তাড়াতাড়ি যেন বিকেল হয়ে গেল। শীতের বিকেলে নদীর ঠান্ডা বাতাসে একটু একটু শীত লাগছিল। কিন্তু তবু বিকেলের শান্ত নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে করতে এগিয়ে চললাম। যতই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিলো ততোই নদীর নিস্তব্ধতা ভেঙে পাখিরা কলকালিতে মেতে উঠলো। সূর্যটাও যেন দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে ধীরে ধীরে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়তে লাগলো। আস্তে আস্তে পশ্চিমের আকাশ সূর্যের রক্তিম আভায় লাল হয়ে উঠলো। আরো কিছুক্ষণ পর সূর্যি মামা যেন নদীর পানিতেই ডুব দিলেন। আমরা সবাই নৌকা বসে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করলাম। আমার জীবনে এই প্রথম আমি নদীতে সূর্য অস্ত যাবার দৃশ্যটি দেখলাম, যা আমার স্মৃতিতে চির অমলিন হয়ে থাকবে।
5 w ·çevirmek

"ভালোবাসা যখন ফিরে তাকায় না, তখন বিকেলও বিষণ্ন হয়ে পড়ে…"//

পড়ন্ত বিকেল।
ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।
আকাশে মেঘের জলরাশিকে অস্তমিত সূর্যের আলো এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করছে।
মনে হচ্ছে সোনালি মেঘখণ্ডগুলো আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।
তখনই মনে পড়ে যায়—তোমাকে।

আমার ভালোবাসা আজ দুঃখের অশ্রু ঝরাচ্ছে।
জানিনা কীভাবে আমার ভালোবাসা প্রকাশ করবো।
অনুভবে, অনুক্ষণে যার অস্তিত্ব অনুভব করি—সে কেন বোঝে না,
কি কারণে আমার এই নির্বাসন?

প্রথমত "তোমাকে চাই"—এই কথাটি বলার স্বপ্ন
ভাঙা ঘুমের মতো বিষণ্ন এক প্রহরে
আমি চেয়ে দেখি, তুমি নাই।

আমার কষ্টের দেয়ালটা ঘুমকাতুরে জোছনায় সময় কাটিয়েছিল।
আজ কেন দুঃস্বপ্ন এসে বাসা বাঁধে ঐ দুটি চোখে?
কেন দুঃস্বপ্ন তোমাকে আমার কাছ থেকে বারবার কেড়ে নিয়ে যায়?

আমার মাঝে—আমার ভালোবাসার এই বিশাল হৃদয়ের গভীরে—তুমি ঘুমিয়ে ছিলে।
জোছনা রাতে তুমি এখানটেই বিলিয়ে দিতে তোমার ভালোবাসা,
কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে রূপ নিতে।

এই আলো-আঁধারের খেলায় তুমি আমায় ক্লান্ত করে দিয়েছো,
ভুলিয়ে দিয়েছো আমার অচেনা অতীত।



#ভেতরঘরেরশব্দ
#মনখারাপেরবিকেল
#নীরবভালোবাসা
#bengalipoetry #poetry