শ্রীকান্ত ২য় পর্বের(১৩ম খন্ড) | ##শ্রীকান্ত ২য় পর্বের ১৩
শ্রীকান্ত ২য় পর্বের(১৩ম খন্ড) | ##শ্রীকান্ত ২য় পর্বের ১৩
গল্প : প্রতিশ্রুতির বাঁধন
বিয়ের মাত্র এক মাস পরেই যুদ্ধে মারা যায় সেনাশ্রীকান্ত। তার স্ত্রী মালতীকে সে কথা দিয়েছিল, যেমন করেই হোক সে ফিরে আসবে। শ্রীকান্তর মৃত্যুর পর মালতী শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল। সে সারাদিন শ্রীকান্তর ছবির দিকে তাকিয়ে থাকত। একদিন রাতে মালতীর মনে হলো, ঘরে কেউ এসেছে। সে দেখল, শ্রীকান্তর ইউনিফর্ম পরা ছায়ামূর্তি তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছায়ামূর্তিটা বলল, "আমি কথা রাখতে এসেছি, মালতী।" সেই থেকে প্রতি রাতে শ্রীকান্তর আত্মা তার কাছে আসত। মালতী ধীরে ধীরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিল। সে বলত, "ও আমাকে ডাকছে।" কিছুদিন পর এক সকালে মালতীকে তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। তার মুখে ছিল এক অনাবিল হাসি, যেন সে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে।
#প্রেমেরভূত #অতৃপ্তপ্রেম #প্রতিশ্রুতি #ভৌতিকপ্রেমকাহিনী #romantichorror
বৈষম্যহীন সাহিত্য
Azizur Rahman
১৭/০৬/২০২৫ ইং
সাহিত্য হয় জাতির দর্পণ
চেতনা বোধ শব্দে অর্পণ
আত্ম রক্ষার জন্য,
মানুষের ধ্যান ধারণার রূপ
বৈষম্যহীন সাহিত্যের টোপ
সার্বিক ভাবে হন্য।
নগ্নতা আর অন্যায় কাজে
ধনী গরীব সবার মাঝে
মানবতার বিকার,
ধোঁকাবাজ দল করে বড়াই
অন্ধের মতো স্বার্থের লড়াই
উন্নয়নের স্বীকার।
সাহিত্যের হোক সুন্দর কথা
মধুর আলাপ জাতির প্রথা
অসামাজিক নাশে,
গৌরব উজ্জ্বল নীতির খাতে
সব মানুষের বিরূপ প্রাতে
চাকচিক্যময় হাসে।
মানচিত্রের দিক সীমা ছেড়ে
মানবিক গুণ আসছে তেড়ে
আঁধার ঘরে আলো,
বৈষম্য হোক শূণ্য গর্ভের
আবদ্ধ এক সমাজ পর্বের
জীবনের পথ ভালো।
জাতি বিভেদ ভুল সমাজের
কাজে কর্মে অন্যায় রাজের
প্রাচীর ঘেরা থাকে,
মতলব বাজের আড্ডা খানা
নির্লজ্জ রাজ কাণ্ডের মানা
আলোর পথে ডাকে।
এএসফি বাছাইপর্বের যে সমিকরণে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ...
২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে গতকাল ২-১ গোলে সিঙ্গাপুরের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
গতকাল হারার পরও এএফসি বাছাইপর্বের গ্রুপ সি তে তৃতীয় অবস্থানে আছে হামজা-জামালের বাংলাদেশ।
এদিকে হংকং এর সাথে ১-০ গোলে হারের পর ভারত গেছে তলানিতে। গতকালকের ম্যাচে ১ গোল করে গোল ব্যাবধান ও পয়েন্টে সমান থাকলেও পারফরম্যান্স এর কারনে গ্রুপে ভারতের উপরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
গ্রুপ সি তে এখনো বাকি আছে ৪ ম্যাচ৷ পরবর্তীতে কাবরেরার অধিনে বাংলাদেশের ম্যাচ হংকং এর সাথে। তবে ৪ ম্যাচ হাতে থাকলেও সমিকরণ সহজ হচ্ছে না বাংলাদেশের।
সি গ্রুপে শীর্ষে থাকা দলই যাবে এএফসি কাপে খেলতে। আপাতত গ্রুপের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর যদি সব ম্যাচেই জিতে যায় তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। আবার তালিকার ২য় স্থানে অবস্থান করা হংকংও একই সমিকরণে দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তাদের ৪ ম্যাচে জয় পেলেও অর্জন করবে ১৩ পয়েন্ট।
এদিকে তলানিতে থাকা ভারতও সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্টই অর্জন করতে পারবে৷
বাংলাদেশের সমিকরণ নির্ভর করছে হংকং এর সাথে ম্যাচে আগামী অক্টোবরে। ৫ দিনের ব্যাবধানে ২ বার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ -হংকং।
বাংলাদেশ যদি সব ম্যাচ জিততে পারে তবে পয়েন্ট হবে ১৩, আবার সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ এওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে সিঙ্গাপুরও যদি ১৩ পয়েন্ট এ নেমে আসে, তবে হেড টু হেড হিসেব হবে ট্রাইব্রেকারে।
হেড টু হেড অনুযায়ী পয়েন্টে সমান থাকলে, জয় দেখবে ম্যানেজমেন্ট, আর তাতেও সমান থাকলে দেখা হবে গোলের সংখ্যা।
এ যেন কঠিন সমিকরণে দাঁড়িয়ে হামজা-জামালরা। এ সমিকরণ ভেদ করে এএফসি কাপ খেলতে পারবে তো বাংলাদেশ?
#bdarchive #bdarchivenews #bdarchivesports #football #bangladeshfootball #hamzachoudhury
সিঙ্গাপুর বনাম বাংলাদেশ: ফুটবল মাঠে এক লড়াকু মুখোমুখি
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর—দুই এশীয় দেশের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ একটি চিরচেনা আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছবি তুলে ধরে, যেখানে কৌশল, মানসিক দৃঢ়তা এবং জাতীয় গর্ব একত্রে মিশে যায়। এই দুই দেশের ফুটবল ইতিহাসে এমন ম্যাচগুলো একদিকে যেমন খেলোয়াড়দের মেধা ও পরিশ্রমের পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, তেমনি সমর্থকদের আবেগও বিপুল মাত্রায় উস্কে দেয়। এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের পটভূমি, বিশ্লেষণ, কৌশলগত দিক এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব।
---
পটভূমি ও প্রস্তুতি
সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ উভয় দলই এশিয়ান ফুটবলে মধ্যম সারির প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। যদিও দুই দলের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, তবুও ম্যাচের মাঠে এমন পার্থক্য খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না, কারণ ফুটবল মূলত এক অনিশ্চয়তার খেলা। ২০২৫ সালের এই ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অংশ, যেখানে দুই দলই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লক্ষ্যে খেলতে নেমেছিল।
বাংলাদেশ দল নতুন কোচের অধীনে খেলায় নামে, যেখানে তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর দল অভিজ্ঞতা ও নিরবিচার পাসিং ফুটবলের ওপর ভরসা রেখেছিল। উভয় দলই ম্যাচের আগে দীর্ঘ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল; বাংলাদেশে অনুশীলন ক্যাম্পে বিভিন্ন প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়।
---
ম্যাচ বিশ্লেষণ
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত জাতীয় স্টেডিয়ামে, যেখানে হাজারো সমর্থক উপস্থিত থেকে তাদের প্রিয় দলকে উৎসাহ দিয়েছে। শুরু থেকেই খেলা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুর অধিক বল দখলে রাখলেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ অত্যন্ত দৃঢ়তা নিয়ে খেলেছে।
বাংলাদেশের মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়ার নেতৃত্বে মাঝমাঠে দারুণ সমন্বয় দেখা গেছে। তিনি বল কন্ট্রোল ও পাসিংয়ে দলের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। অপরদিকে সিঙ্গাপুরের আক্রমণভাগ বারবার বাংলাদেশের বক্সে ঢুকে পড়লেও গোলকিপার আনিসুর রহমানের চমৎকার সেভগুলো ম্যাচকে জমিয়ে তোলে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি বাড়ে। ৬৫তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড একটি দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়। তবে বাংলাদেশ হাল ছাড়েনি। ৭৮তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় রাকিব হাসান একটি দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ম্যাচটি ড্র হয়।
---
কৌশলগত দিক
বাংলাদেশ ম্যাচে ৪-৩-৩ ফর্মেশন নিয়ে নামে, যেখানে উইং থেকে আক্রমণের প্রবণতা দেখা গেছে। রক্ষণভাগে তরুণ ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত চমৎকার খেলেছেন। সিঙ্গাপুর ছিল কিছুটা বেশি বল দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া দল, তারা ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ব্যবহার করেছে যাতে মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করে।
বাংলাদেশের কৌশল ছিল সিঙ্গাপুরের মাঝমাঠ ভেঙে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক চালানো। কোচের নির্দেশনা ছিল ডিপ ডিফেন্স থেকে বল কেটে দ্রুত দুই উইং দিয়ে আক্রমণ গড়ে তোলা। এটি আংশিকভাবে সফলও হয়েছে।
---
প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
ম্যাচ শেষে উভয় দেশের কোচ ও খেলোয়াড়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, “এই ম্যাচ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস এনে দিল। আমরা এখন জানি, এশিয়ার যেকোনো দলের সঙ্গে লড়াই করে পয়েন্ট নেওয়া সম্ভব।”
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, বিশেষ করে গোলদাতা রাকিব হাসান এবং গোলকিপার আনিসুর রহমান।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর মিডিয়া এই ড্রকে কিছুটা হতাশাজনক ফলাফল হিসেবে দেখেছে, কারণ তারা আশা করেছিল ঘরের মাঠে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করবে। তবে তারা স্বীকার করেছে যে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ তাদের বেশ ভুগিয়েছে।
---
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও শিক্ষা
এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ যে শিক্ষা নিতে পারে তা হলো—আন্তর্জাতিক ম্যাচে ধৈর্য, কৌশলগত স্থিরতা এবং মানসিক দৃঢ়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের এমন আরও সুযোগ দেওয়া জরুরি, কারণ তাদের মাধ্যমেই দলকে নবজীবন দেওয়া সম্ভব।
সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রেও এটি একটি সতর্কবার্তা, যে অপেক্ষাকৃত নিচু র্যাঙ্কিংয়ের দলগুলোকেও হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। তাদের জন্য প্রয়োজন আরও আক্রমণাত্মক ফিনিশিং এবং গঠনমূলক আক্রমণের ধার বাড়ানো।
---
উপসংহার
সিঙ্গাপুর বনাম বাংলাদেশ ফুটবল ম্যাচ ছিল এক দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই, যা শুধু ফলাফলের বিচারে নয়, খেলার গুণগত মানের দিক থেকেও দর্শকদের সন্তুষ্ট করেছে। বাংলাদেশ দল প্রমাণ করেছে যে তারা উন্নতির পথে আছে এবং সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম।
ফুটবল কেবল একটি খেলা নয়, এটি একটি জাতির আবেগ, সম্মান এবং একতার প্রতীক। এই ম্যাচটি সেই আবেগকে আরও গভীর করেছে এবং দুই দেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
🚨 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গর্ব নাবিল ইরফান কাতার জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছেন! 🇶🇦🙌🏻
এই প্রতিভাবান ডিফেন্ডার কাতারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য গর্বের বিষয়।
নাবিল ইরফান বর্তমানে কাতারের আল-ওয়াকরাহ এসসি ক্লাবে খেলছেন এবং ২০২৪ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাতারের হয়ে অভিষেক করেন।
বাংলাদেশের মাটি থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করা নাবিল ইরফান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। 💥
Sadia Akter
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?
Iftekhar Rahat
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?