গল্প : পোড়োবাড়ির রহস্য
তৃতীয় পাঠ
চেয়ার নড়ার ঘটনাটা আমরা মনের ভুল বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভয়টা ভেতরে ভেতরে জেঁকে বসছিল। সুমন বলল, "চল, দোতলায় গিয়ে দেখি।" আমরা সাবধানে ভাঙাচোরা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে লাগলাম। দোতলার বারান্দাটা বেশ লম্বা। দু'পাশে সারি সারি ঘর। বেশিরভাগেরই দরজা ভাঙা। আমরা একটা বড় ঘরে ঢুকলাম। মনে হলো এটা জমিদারের শোবার ঘর ছিল। বিশাল একটা পালঙ্ক, তবে তোশক বা চাদরের কোনো চিহ্ন নেই, শুধু কাঠের কাঠামোটা দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের এক কোণে একটা বড় আয়না। রাজু মজা করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ছবি তুলতে গেল। কিন্তু ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বলার সাথে সাথেই আমরা সবাই দেখলাম, আয়নার ভেতরে রাজুর পাশে ঘোমটা পরা এক মহিলার আবছা প্রতিবিম্ব! রাজু ভয়ে চিৎকার করে ক্যামেরাটা ফেলে দিল। আমরা টর্চের আলো আয়নার দিকে ফেললাম, কিন্তু সেখানে কিচ্ছু নেই। শুধু আমাদের চারজনের আতঙ্কিত প্রতিবিম্ব কাঁপছে। ঠিক তখনই ঘরটার দরজাটা সশব্দে বন্ধ হয়ে গেল। আমরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম, আমরা এখানে একা নই। এই বাড়িতে সত্যিই কিছু আছে।
আমরা বুঝতে পারছিলাম, বাইরের বিপদ থেকে পালানো যায়, কিন্তু ঘরের ভেতরেই যখন বিপদ হানা দেয়, তখন পালানোর কোনো পথ থাকে না।
# রহস্যময়😱😱😱
