গল্প : শ্যাওড়াগাছের পেত্নী
প্রথম পাঠ
সুহাস নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছে এক প্রত্যন্ত গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। শহরের ছেলে, গ্রামের শান্ত পরিবেশ তার ভালোই লাগছিল। শুধু একটা ব্যাপারেই সে অস্বস্তি বোধ করত। গ্রামের লোকেরা তাকে বারবার সাবধান করে দিত, স্কুলের পেছনের বিশাল শ্যাওড়াগাছটার নিচ দিয়ে যেন সে কখনো সন্ধ্যার পর না যায়। তাদের বিশ্বাস, ওই গাছে এক ভয়ংকর পেত্নী বাস করে। বহু বছর আগে নাকি এক যুবতী বধূ শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে গলায় দড়ি দিয়ে ওই গাছে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকেই তার অতৃপ্ত আত্মা ওই গাছেই থেকে গেছে। সুহাস বিজ্ঞানের ছাত্র, এসব ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করত না। সে গ্রামবাসীদের কুসংস্কার নিয়ে মনে মনে হাসত। একদিন স্কুল থেকে ফিরতে তার বেশ রাত হয়ে গেল। শর্টকাট রাস্তাটা ছিল ওই শ্যাওড়াগাছটার নিচ দিয়েই। গ্রামবাসীদের কথা মনে পড়লেও সে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে সেদিকেই পা বাড়াল। তার উদ্দেশ্য ছিল, এটা প্রমাণ করা যে এসব নিছকই মনের ভুল। চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক আর নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতা। গাছটার কাছাকাছি আসতেই একটা অদ্ভুত পচা গন্ধ তার নাকে এলো।
সে ভেবেছিল, ওই গাছটাকে পেছনে ফেলে এলেই বুঝি মুক্তি, কিন্তু সে জানত না, অশুভ ছায়াটা ইতিমধ্যেই তার সঙ্গী হয়েছে।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱
