গল্প : শ্যাওড়াগাছের পেত্নী
দ্বিতীয় পাঠ
শ্যাওড়াগাছটার নিচে পৌঁছাতেই সুহাসের গা ছমছম করে উঠল। চারপাশটা হঠাৎ করেই যেন বেশি ঠান্ডা হয়ে গেল। বাতাসের কোনো শব্দ নেই, ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকও থেমে গেছে। একটা অস্বাভাবিক নিস্তব্ধতা। সুহাস একটু ভয় পেলেও সাহসের ভান করে এগিয়ে চলল। হঠাৎ তার কানে এলো নুপুরের হালকা রুনুঝুনু শব্দ। সে চমকে দাঁড়িয়ে গেল। আশেপাশে তো কেউ নেই! তাহলে শব্দটা আসছে কোথা থেকে? সে ভাবল, হয়তো মনের ভুল। কিন্তু শব্দটা আবার হলো, এবার আরও স্পষ্ট। মনে হচ্ছে, কেউ যেন তার পেছন পেছন আসছে। সুহাস দ্রুত পায়ে হাঁটতে শুরু করল। কিন্তু নুপুরের শব্দটাও তার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত হতে লাগল। সে আর সাহস করে পেছনে তাকাতে পারল না। প্রায় দৌড়ে সে নিজের থাকার জায়গায় পৌঁছাল। দরজা বন্ধ করে হাঁপাতে লাগল। সেই রাতে তার ঘুম এলো না। বারবার কানে বাজছিল সেই নুপুরের শব্দ আর নাকে আসছিল সেই পচা গন্ধটা। সে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করল, সবই তার মনের বিকার, অতিরিক্ত ক্লান্তির ফল।
সে নিজেকে যতই বোঝানোর চেষ্টা করুক, তার অবচেতন মন জানত, সেই রাতের আতঙ্কটা কেবল শুরু হয়েছিল মাত্র।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Rohim Roy Roy
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?