গল্প : সুন্দরবনের কেন্দুয়াখালি

দ্বিতীয় পাঠ
কেন্দুয়াখালির মুখে পৌঁছাতেই পরিবেশটা কেমন বদলে গেল। পাখিদের কিচিরমিচির থেমে গেল। নদীর জলটাও যেন অস্বাভাবিক শান্ত, কালো। চারদিকে একটা গুমোট ভাব। গবেষকরা এসব দেখে রোমাঞ্চিত, কিন্তু আমার বুকের ভেতরটা ভয়ে শুকিয়ে যাচ্ছিল। আমরা খাঁড়ির ভেতরে যত এগোতে লাগলাম, জঙ্গলটা তত ঘন হতে লাগল। সূর্যের আলো প্রায় পৌঁছাচ্ছে না। দিনের বেলাতেই যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। হঠাৎ করেই আমাদের নৌকোর ইঞ্জিনটা বন্ধ হয়ে গেল। আমি অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু কিছুতেই চালু করতে পারলাম না। গবেষকরা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। আমরা খাঁড়ির মাঝখানে আটকে পড়লাম। ঠিক তখনই আমরা একটা অদ্ভুত শব্দ শুনলাম। কেউ যেন নদীর জলে ঝাঁপ দিল। কিন্তু আশেপাশে তো কোনো মানুষ বা জীবজন্তু নেই। আমার মনে পড়ে গেল লোকমুখে শোনা কথা—গফুরের আত্মা নাকি এভাবেই তার অস্তিত্ব জানান দেয়। আমি বিড়বিড় করে দোয়া পড়তে শুরু করলাম।

আমরা তখন খাঁড়ির জলে নয়, আটকে পড়েছিলাম এক অতৃপ্ত আত্মার পাতা ফাঁদে।

#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

image