গল্প : সুন্দরবনের কেন্দুয়াখালি
চতুর্থ পাঠ
সেই পচা হাতটা নৌকোটাকে ধরে সজোরে ঝাঁকাতে শুরু করল। আমরা সবাই পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। সাহা বাবু ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার ব্যাগ থেকে একটা ছুরি বের করে হাতে আঘাত করতে গেলেন। কিন্তু তার আগেই হাতটা জলে অদৃশ্য হয়ে গেল। কিন্তু বিপদ কাটল না। এবার আমরা স্পষ্ট শুনতে পেলাম, কেউ যেন ফিসফিস করে কথা বলছে, "মধু... আমার মধু... সব নিয়ে গেলি..."। কণ্ঠস্বরটা বিকৃত, অমানবিক। মনে হচ্ছে, কণ্ঠটা যেন জলের ভেতর থেকেই আসছে। আমাদের নৌকোটা নিজে থেকেই ঘুরতে শুরু করল, আরও গভীর জঙ্গলের দিকে। আমার মনে হলো, গফুরের আত্মাই আমাদের ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে ফেরা অসম্ভব। একজন গবেষক ভয়ে জ্ঞান হারালেন। আমি বুঝতে পারলাম, আজ রাতে আমাদের বাঁচা কঠিন। এই অতৃপ্ত আত্মা আমাদের সবাইকে না নিয়ে ছাড়বে না।
গফুরের আত্মার লক্ষ্য ছিল শুধু ভয় দেখানো নয়, তার লক্ষ্য ছিল আমাদের সবাইকে তার সঙ্গী বানানো, এই অন্ধকারের গভীরে।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Lamiya Khatun
删除评论
您确定要删除此评论吗?