একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰
__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏
__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠
__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀
__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔
__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰
__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒
__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔
__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔
__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔
__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।
Khadija💔
@𝑰𝒕'𝒔 𝒚𝒐𝒖𝒓 𝒔𝒉𝒐𝒓𝒐𝒗:বাজারে যাচ্ছিলাম হঠাৎ শুনলাম আপনি পোস্ট করেছেন। তাড়াহুড়ো করে বাড়ি এসে মোবাইল নিয়ে বসলাম। আপনার পোস্টে লাইক কমেন্ট করব বলে , কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস দেখেন গ্রামে থাকি বলে নেটওয়ার্ক ছিল না । তাই শহরের দিকে চলতে শুরু করলাম এবং প্রায় 5 কিলোমিটার যাবার পর মোবাইলে নেটওয়াক আসলো। বসে পড়ি সেখানেই কারণ হার মানতে আমি শিখিনি । পোস্ট দারুন ঝকঝকে হয়েছে ,এই পোস্ট আগামী দিনের ইতিহাস সৃষ্টি করবে । অসাধারণ ভাব ভঙ্গি দিয়ে পোস্টটি করেছেন আপনি। আমাদের এত সুন্দর পোস্ট দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। অপেক্ষা করব আগামী দিন যেন আপনাকে এভাবেই দেখতে পারি।
অসম্ভব ভাল পোস্ট। এক কথায় অনবদ্য। বহুদিন পরে একটা ভাল পোস্ট দেখলাম। একবিংশ শতাব্দীতে এধরনের ছবি আর আগে আসে নি। অনবদ্য এবং অসাধারণ। শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময় উপযোগী পোস্ট তাই নয়, একেবারে অপরূপ সৌন্দর্যের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রীক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই পোস্টের মাঝে আমি খুঁজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা । আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সূক্ষ্ম বার্তা। আপনার এই পোস্ট হতে পারে আই এস এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়ানোর অনুপ্রেরণা। হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ জেতার অনুপ্রেরণা। এই পোস্ট হতে পারে ২০৫০ সালের নতুন লায়লি মজনুর প্রেমের কারণ । আপনার এই পোস্ট হতে পারে বাংলাদেশের প্রথম অস্কার বিজয়ী ছবির অনুপ্রেরণা,আপনার এই ছবি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক যেকোনো প্রক্ষাপট নিমিষে পাল্টে দিতে পারে,এই পোস্ট দেখে একজন ক্ষুদার্থ ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে থাকার যন্ত্রণা নিমিষে ভূলে যেতে পারে, সৌন্দর্য দেখার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার যে প্রয়োজন নেই তা আপনার পোস্ট দেখে আমি অনুধাবন করলাম, আমার ধারনা বিশ্বের বিখ্যাত সব সমালোচকদের এক সাথে করলেও এই পোস্টের কোন ভূল ধরতে পারবে না,খুব বেশি কিছু বলবনা কারন আবেগে চোখে পানি চলে আসছে। ইহা আসলেই একটি দূর্দান্ত পোস্ট ।🐸🙂🙂
__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰
__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏
__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠
__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀
__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔
__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰
__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒
__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔
__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔
__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔
__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।
Khadija💔
__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰
__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏
__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠
__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀
__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔
__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰
__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒
__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔
__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔
__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔
__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।
Khadija💔
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
এক বৃদ্ধের কথা শুনে রাসূল (সাঃ) হেঁচকি দিয়ে কান্না করছিলেন।কিন্তু কেন?কি ঘটেছিলো বৃদ্ধের সাথে?
একবার রাসূল (সাঃ) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললো, হে রাসূল (সাঃ), আমার বাবা আমার সম্পদ খরচ করে ফেলে কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করে না। রাসূল (সাঃ) উত্তরে বললেন, তোমার বাবাকে ডেকে আনো।
যখন বৃদ্ধ বাবাকে ডাকা হলো, তখন তিনি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে নবী (সাঃ) কেন আমাকে ডেকেছেন? উত্তর নবী (সাঃ) বললেন, আপনার ছেলে অভিযোগ করছে।
এই কথা শুনে বৃদ্ধ বাবা খুবই কষ্ট পেলেন এবং মনে মনে দু:খে কয়েকটি ছন্দ পড়লেন। পড়তে পড়তে তিনি সভার ভিতরে আসলেন।
যখন তিনি দরজা দিয়ে দরবারে ভিতরে আসলেন, তখন জীবরাঈল (আ আসলেন নবীর কাছে।
বললেন, হে রাসূল (সা, আল্লাহ বলেছেন এই ব্যক্তির সমস্যা পরে শুনবেন, প্রথম ওই কবিতা শুনেন যেটা তিনি ছেলের কষ্টে মনে মনে বলেছেন। উনি সবার সামনে বলেন নি, কিন্তু আল্লাহ শুনেছেন।
অত:পর রাসূল (সাঃ) বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন, আপনার সমস্যার কথা পরে শুনি, আগে আপনি ওই কবিতা শুনান যেটা একটু আগে আপনি মনে মনে পড়লেন।
বৃদ্ধ লোকটি বললেন,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল।হে আল্লাহ রাসূল (সাঃ) আমি দুংখে কয়েকটি ছন্দ মনে মনে বলেছিলাম,জোরে বলে নি।
তবুও আপনার আল্লাহ সেটা আরশের উপর থেকে শুনেছেন।সত্যিকার অর্থেই আপনি সত্য এবং আপনার রব সত্য।
রাসূল (সাঃ) বললেন,কি বলেছিলেন?
বৃদ্ধ বললেন আমি মনে মনে বললাম,হে আমার পুত্র,যেদিন তুই জন্ম নিয়েছিলি,সে দিন থেকে আমি নিজের জন্যে জীবনযাপন করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা তোর জন্যে জীবনের সফর শুরু করেছিলাম।
তোকে শীতল ছায়া বসানোর জন্যে,নিজে গরম বাতাসের সাথে লড়েছি।তোকে ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচানোর জন্যে বরফের মধ্যে কাজ করেছি।তোর একটু হাসি দেখার জন্যে,সারারাত ছটফট করেছি।
নিজের সম্পূর্ণ যৌবনের শক্তি দিয়ে সারারাত নির্বোধ ষাঁড়ের মত খেটেছি,তোকে বড় করার জন্যে।
আমি বৃদ্ধ হতে লাগলাম,তুই যুবক হতে শুরু করলি।আমার কোমর কুঁজো হতে লাগলো তোর কোমর মজবুত হতে থাকলো।
আমার পা থেকে প্রাণ বের হয়ে গেলো,তোর পা শক্ত হলো।আমার হাত কাঁপতে শুরু লাগলো,তোর হাত মজবুত হলো।আমি দুর্বলতায় গড়াগড়ি করতে লাগলাম,তুই অংহকারী হতে লাগলি।
তখন আমার মনে পড়লো,যেমন আমি আমার ছেলের জন্যে ধাক্কা খেতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে ছটফট করতাম।আজকে মনেহয় আমার এই পড়ন্ত বয়সে,ও আমার আশ্রয় হবে।
কিন্তু তোর মধ্যে যখন যৌবনের তরঙ্গ দৌড়াচ্ছিলো, আর বার্ধক্য আমাকে খেয়ে ফেললো।যখন যৌবন তোকে সোজা করলো আর বার্ধক্য আমাকে বাকা করে দিলো,কোমর কুঁজো করে দিলো।
তুই আমাকে একদম এমনভাবে দেখতে লাগলি যেন, তুই মালিক আর আমি চাকর।
তোর এমন চাহনি দেখে, আমি আমার ত্রিশ বছরের জীবন ভুলে গেছি। আর বলতে লাগলাম, হ্যাঁ হ্যাঁ আমি বাবা না, আমি চাকর।
হে আমার নবী (সাঃ),আপনিই বলুন,যদি ও আমার সন্তান হতো,তাহলে এভাবে না তাকাতো।
এই ছেলে আমার রাত জেগে ছটফট করাকে ভুলে গেছে,দিনের পর দিন আমার শীত-গরমের সাথে লড়াই করা ভুলে গেছে,নির্বোধ ষাঁড়ের মতো খাটুনিকে ভুলে গেছে,আমার সকল সুখ-দুংখকে দাফন করার কাহিনী ভুলে গেছে।
সব ভুলে আজকে আমার সাথে এমনভাবে কথা বলছে, যেন সে আমার মনিব।ঠিক আছে,আমার সন্তান আমি চাকরই,তুই আমার মালিক কিন্তু প্রতিবেশী তো।
মানুষ তো,প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করে,কেমন আছে, কোন প্রয়োজন আছে কিনা?মাঝে মাঝে এইটুকুই জিজ্ঞেস করতি।
এই ঘটনা শুনে,আমার নবী (সাঃ) কান্না করতে করতে হেঁচকি দিয়ে ফেলেন।
এরপর রাসূল (সাঃ),ওই ছেলের কাঁদ ধরে বললেন,বাহির হয়ে যাও আমার সামনে থেকে,চোখের সামনে থেকে দূরে চলে যাও।তোমার সকল সম্পদ তোমার বাবার,আর এই বাবাই আজকে তোমার হাতে অপমানিত হলো।
📍📍নীরবতার সৌন্দর্য: যখন শব্দেরা মূল্য হারায়
মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শব্দ দিয়ে, কিন্তু টিকে থাকে বোঝাপড়া ও মানসিক সংযোগে। আমরা কথা বলি, অনুভূতি প্রকাশ করি, নিজের অবস্থান বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় সব কথা সবার কাছে মূল্য পায় না। কখনো কখনো আমরা এমন কারো সঙ্গে কথা বলি, যিনি আমাদের অনুভব করতে চান না, বুঝতে চান না, কেবল নিজের ব্যাখ্যা বা সুবিধাই খোঁজেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই সবচেয়ে মূল্যবান ভাষা হয়ে ওঠে নীরবতা।
🧘♂️ সব কথার উত্তর শব্দে দিতে হয় না
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সব কথার উত্তর উচ্চারণ করতে হয় না। অনেক সময় নীরবতা এমন কিছু বলে দেয়, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়। কেউ যদি বারবার আপনার কথা অস্বীকার করে, আপনার যুক্তিকে অবজ্ঞা করে, কিংবা আপনার আবেগকে তুচ্ছ করে দেয় তবে সেখানে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাই অধিক অর্থবহ।
কারণ, প্রতিবার ব্যাখ্যা দেওয়া মানেই নিজেকে ছোট করা নয়, বরং একজন অপাত্রের সামনে বারবার নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করা মানে নিজের মানসিক শান্তিকে উৎসর্গ করা। আর যে জায়গায় আপনার আবেগ, অভিমত কিংবা ভালোবাসার ভাষার কোনও মূল্য নেই, সেখানে নীরবতা আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
🪞 নীরবতা কখনো কখনো আত্মরক্ষা
নীরবতা মানেই দুর্বলতা নয়। বরং এটি অনেক সময় আত্মসংযমের চূড়ান্ত রূপ। আপনি যখন দেখেন কেউ আপনার কথা বুঝছে না, বা বোঝার চেষ্টাটুকুও করছে না তখন বারবার কথা বলার চেষ্টা আপনাকে ক্লান্ত, আহত ও অবমূল্যায়িত করে তোলে। এরচেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে, নিজের সম্মানকে রক্ষা করে চুপ থাকা অনেক বেশি শক্তির পরিচয়।
এটি কোনো পরাজয়ের চিহ্ন নয়, বরং একটি শান্ত ও পরিণত মানুষের সিদ্ধান্ত যিনি জানেন কোন যুদ্ধ লড়তে হয়, আর কোনটি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
🌿 নীরবতাই অনেক সময় সবচেয়ে জোরালো প্রতিবাদ
বিশ্বের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে নীরব প্রতিরোধের মাধ্যমে। গৌতম বুদ্ধ থেকে শুরু করে গান্ধীজী পর্যন্ত তাদের অনেক বড় প্রতিবাদ ছিল নিরবতা ও আত্মসংযমের এক অনন্য উদাহরণ।
ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত জীবনে, সম্পর্কের টানাপোড়েনে, কিংবা সামাজিক অযাচিত ব্যবহারের মুখে নিরবতা কখনো কখনো হয়ে ওঠে সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর। কারণ, তা ভদ্রতা রাখে, কিন্তু আত্মসম্মান ছাড়ে না।
💬 যখন নীরবতা বলে, "আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না"
নীরবতা সব সময় দুরত্ব তৈরি করে না, বরং অনেক সময় তা আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। আপনি যখন নীরব হয়ে যান, তখন অন্যপক্ষ উপলব্ধি করতে বাধ্য হয় আপনার কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মানে শুধু না বলা নয়, তা একরকম দৃঢ় বার্তা। আপনি বুঝিয়ে দেন “আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না, কারণ তুমি বোঝার মতো জায়গায় নেই।”
উপসংহার
"যখন কারো কাছে কোনো কথার মূল্য থাকে না, তখন নীরবতা বেছে নেওয়াই শ্রেয়।"
এই বাক্যটি কেবল একটি অভিমানের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা আত্মমর্যাদা, ধৈর্য ও আত্মনির্ভরতার পরিচয়। আমরা সবাই চাই, আমাদের কথা গুরুত্ব পাক, ভালোবাসা মূল্য পাক, এবং অনুভূতি সম্মান পাক। কিন্তু যেখানে তা অনুপস্থিত, সেখানে নিজেকে রক্ষা করতে হলে, নীরবতা-ই শ্রেষ্ঠ উপায়।
কথা বলা যেমন এক ধরণের শক্তি, তেমনি চুপ থেকে নিজের শান্তি রক্ষা করাও এক অনন্য জ্ঞান। কখন কথা বলতে হবে আর কখন চুপ থাকতে হবে এই ভারসাম্য বুঝতে পারাটাই পরিণত মানুষের পরিচয়।
🌟 আমানত: একজন মুসলমানের পরীক্ষার আসল মাপকাঠি 🌟
🔸 “আমানত” মানে শুধু কারো জিনিস রাখার দায়িত্ব নয়—এটি বিশ্বস্ততা, সততা ও চরিত্রের পরিচয়।
🕋 আল্লাহ বলেন:
> “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমাদের নিকট আমানত রাখা হলে তা তার যথাযথ হকদারের কাছে ফিরিয়ে দাও।”
📖 সূরা আন-নিসা, আয়াত ৫৮
🤍 হাদীসে রাসূল (সা.) বলেন:
> “যার মধ্যে আমানতের গুণ নেই, তার কোনো ঈমানও নেই।”
📚 তিরমিজি, হাদিস: ১১৩২
🔹 আজকের সমাজে বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ আমরা আমানতের মর্যাদা ভুলে গেছি।
🔹 কথা হোক, কাজ হোক বা সম্পদ—সব কিছুতেই আমানতদার হওয়া একজন প্রকৃত মুমিনের চিহ্ন।
💬 আসুন, আমানতের গুণে নিজেকে গড়ি—বিশ্বস্ততার আলোয় সমাজকে আলোকিত করি।
---
🔖 #amanah #islamicreminder #trustworthiness #ইমান #আমানত #সততা #kuakatasecondaryschool #এসোইসলামকেজানি
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
🎉 ৫০০০ ফলোয়ার পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ উপহার! 🎉
আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের ভালোবাসা ও সাথের জন্য আমরা আজ ৫০০০ ফলোয়ারের মাইলফলকে পৌঁছেছি।
এই খুশির মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে একজনকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে সাবরের একটি ঘড়ি
🎁 কে পাবেন এই উপহার?
এর জন্য আমরা আয়োজন করছি একটি ছোট্ট কুইজ প্রতিযোগিতা। সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের প্রশ্ন টি হলো :
👉 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সর্ব প্রথম ইসলামি পদ্ধতিতে কে সালাম দিয়েছিলেন ।
ক) খাদিজা রা.
খ) আবু বকর রা.
গ) আবু যর গিফারী রা.
ঘ) আলি রা.
📌 উত্তর দেওয়ার শেষ সময়: ৯আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
📌 উত্তর দিতে হবে কমেন্টে এবং আমাদের পেজ ফলো করতে হবে এবং নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করতে হবে
📌 বিজয়ীর নাম ঘোষণা: ১০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
⏳ সময় শেষ হওয়ার আগেই অংশগ্রহণ করুন। এটা শুধুই আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
ভবিষ্যতেও এমন আরও আয়োজন থাকবে, ইনশাআল্লাহ!
#৫০০০ফলোয়ার
#কুইজপ্রতিযোগিতা
#উপহার
#ঘড়ি
#boikarvan
মেয়ে মানেই দুর্বল"—এই কথাটা যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা প্রমাণ করে যাবো, মেয়েরা পারেই!
#girlscandoanything #empoweredwomen #banglagirlpower
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
হযরত উসমান (রাঃ) ইসলামের তৃতীয় খলিফা এবং একজন প্রখ্যাত সাহাবী। তিনি ইসলামের ইতিহাসে 'যুন-নুরাইন' (দুই নূরের অধিকারী) এবং 'গনী' (ধনী) উপাধি লাভ করেছিলেন। এখানে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
প্রাথমিক জীবন ও ইসলাম গ্রহণ
হযরত উসমান (রাঃ) ৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু উমাইয়া গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কুরাইশদের অন্যতম ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা এবং শালীনতার জন্য তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই সমাজে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের (আস-সাবিকুনাল আওয়ালুন) মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
তিনি নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দুই কন্যা রুকাইয়া (রাঃ) এবং উম্মে কুলসুম (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। এ কারণেই তাঁকে "যুন-নুরাইন" বা দুই নূরের অধিকারী বলা হয়।
খিলাফত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান
হযরত উমর (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে একটি ছয় সদস্যের কমিটির মাধ্যমে হযরত উসমান (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর খিলাফতকাল ছিল প্রায় ১২ বছর। এই সময়ে তিনি ইসলামের বিস্তারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
কুরআন সংকলন: এটি ছিল তাঁর খিলাফতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ। বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআনের ভিন্ন ভিন্ন পাঠভঙ্গির কারণে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিতে শুরু করলে তিনি হযরত হাফসা (রাঃ)-এর কাছে সংরক্ষিত মূল কপি থেকে একাধিক প্রামাণ্য কপি তৈরি করান এবং সেগুলো বিভিন্ন প্রদেশে প্রেরণ করেন। আজ আমরা যে কুরআনের সংস্করণ ব্যবহার করি, তা মূলত তাঁর তত্ত্বাবধানে সংকলিত হয়েছে।
নৌবাহিনী গঠন: তাঁর সময়ে মুসলিম সাম্রাজ্যের সুরক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করা হয়। এই নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে এবং সাইপ্রাস ও রোডস দ্বীপ জয় করে।
সাম্রাজ্যের বিস্তার: তাঁর সময়ে ইসলামি সাম্রাজ্য উত্তর আফ্রিকা, আর্মেনিয়া এবং পারস্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত হয়।
শাহাদাত
হযরত উসমান (রাঃ)-এর খিলাফতের শেষ দিকে কিছু ষড়যন্ত্রকারীর কারণে মুসলিমদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এবং বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহ একসময় চরম আকার ধারণ করে। ৩৫ হিজরীর ১৮ই জিলহজ, বিদ্রোহীদের একটি দল তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে। তিনি শান্ত থাকতে এবং রক্তপাত এড়াতে চেয়েছিলেন, তাই প্রতিরোধ করতে নিষেধ করেন। অবশেষে, রোজা অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করার সময় বিদ্রোহীরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর শাহাদাত ছিল ইসলামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা, যা পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে মতভেদের সূচনা করে।
আমি জিমিনিকে প্রশ্ন করেছিলাম যে এ আই মানুষের উপকার করে না ক্ষতি করে ??
সে আমাকে এই উত্তর দিয়েছে
উত্তর -----------------------
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আপনি জানতে চেয়েছেন যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) মানুষের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যার উত্তর বেশ জটিল। AI-এর সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই আছে।
আমি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য খোঁজার জন্য কিছু অনুসন্ধান করতে পারি। এর জন্য, আমি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খুঁজে দেখতে চাই:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানুষের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর, এই প্রশ্নের উত্তরটা কোনো একটি দিকে সীমাবদ্ধ নয়। এআই একদিকে যেমন অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে, তেমনই এর কিছু গুরুতর ঝুঁকিও রয়েছে। এটি নির্ভর করে আমরা কীভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করি তার ওপর।
AI-এর সুবিধা
দক্ষতা বৃদ্ধি: এআই সিস্টেমগুলো মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে। যেমন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এআই খুব দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে পারে, যা সময় ও জীবন বাঁচায়।
স্বয়ংক্রিয়তা: বিপজ্জনক বা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো এআই-এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করানো যায়। এতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং মানুষ আরও সৃজনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারে।
শিক্ষায় সহায়তা: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সহায়তা করার জন্য এআই ব্যক্তিগতকৃত গাইড বা চ্যাটবট হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও সাহায্য করে।
নতুন আবিষ্কার: এআই বৈজ্ঞানিক গবেষণায়, যেমন নতুন ওষুধ বা উপাদান আবিষ্কারে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল সমস্যার সমাধানেও সহায়তা করতে পারে।
AI-এর অসুবিধা ও বিপদ
বেকারত্ব: এআই এবং রোবটিক্স অনেক মানুষের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে ফেলছে, যার ফলে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছু সাধারণ কাজ, যেমন ডেটা এন্ট্রি বা উৎপাদন খাতের অনেক কাজ ভবিষ্যতে এআই দখল করে নিতে পারে।
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা: এআই বিশাল পরিমাণ ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। যদি এই ডেটা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয় বা হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়ে।
ভুল তথ্য ও ডিপফেক: এআই ব্যবহার করে খুব সহজে ভুয়া খবর, ছবি বা ভিডিও (ডিপফেক) তৈরি করা যায়, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে।
নৈতিক সমস্যা: এআই যদি পক্ষপাতপূর্ণ ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ পায়, তাহলে এটি পক্ষপাতপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন, বিচারব্যবস্থায় যদি এআই ব্যবহার করা হয় এবং তাতে কোনো ধরনের পক্ষপাত থাকে, তাহলে তা ন্যায়বিচারকে ব্যাহত করতে পারে।
সব মিলিয়ে, বলা যায় এআই একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এর সম্ভাবনা যেমন অপরিসীম, তেমনই এর অপব্যবহারের ঝুঁকিও অনেক বেশি। এটিকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য আমাদের কঠোর নীতিমালা তৈরি করা এবং এর নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।
আমরা কেন পৃথিবীতে এসেছি?
কুরআন ও হাদিসের আলোকে, মানুষের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনা করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “আমি জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)।
এই ইবাদতের অর্থ শুধু নামাজ, রোজা, হজ বা যাকাতের মতো আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়। বরং জীবনের প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়, তাহলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। যেমন—সৎ পথে জীবিকা উপার্জন, বাবা-মায়ের সেবা করা, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, জ্ঞান অর্জন, এমনকি ঘুমও যদি আল্লাহর ওপর ভরসা করে হয়, তবে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
এই জীবন মূলত একটি পরীক্ষা। আল্লাহ আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে, আমরা তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলছি কি না। এর ওপর ভিত্তি করেই আমাদের পরকালের জীবন নির্ধারিত হবে।
পৃথিবীতে এসে আমরা কী করছি?
একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের প্রধান কাজগুলো হলো:
আল্লাহর আনুগত্য করা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ মেনে চলা এবং তার প্রেরিত নবী-রাসূলদের দেখানো পথে চলা।
সৎ কাজ করা: নেক আমল বা ভালো কাজ করা, যেমন—যাকাত দেওয়া, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা, সত্য কথা বলা এবং মানুষের প্রতি দয়া করা।
অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা: শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা), মিথ্যা কথা বলা, চুরি, সুদ, ঘুষ এবং অন্যান্য গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
দ্বীনের দাওয়াত: নিজে ভালো কাজ করার পাশাপাশি অন্যকেও ইসলামের পথে আহ্বান করা।
পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন: পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করা।
জ্ঞান অর্জন: ইসলামে জ্ঞান অর্জনের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি ফরজ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যাব?
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর আমরা অন্য একটি জগতে প্রবেশ করব, যাকে বারযাখ বলা হয়। এই বারযাখ হলো দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝখানের একটি অন্তর্বর্তীকালীন জীবন।
কিয়ামতের দিন: বারযাখের জীবন শেষ হওয়ার পর এক মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এরপর আল্লাহ সবাইকে আবার জীবিত করবেন।
হিসাব-নিকাশ: কিয়ামতের ময়দানে সবার ভালো-মন্দ কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব নেওয়া হবে। আমাদের প্রতিটি কাজের সাক্ষী থাকবে আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পৃথিবী এবং ফেরেশতারা।
জান্নাত ও জাহান্নাম: এই হিসাব-নিকাশের পর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জান্নাত। এটি হলো চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তির জায়গা। আর যারা আল্লাহর অবাধ্য হবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জাহান্নাম, যা হলো কঠিন শাস্তি ও কষ্টের জায়গা। জান্নাত এবং জাহান্নামের জীবন হবে অনন্তকালের।
সংক্ষেপে, ইসলাম আমাদের শেখায় যে এই দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমাদের আসল ঠিকানা হলো পরকাল। তাই আমাদের উচিত এই সংক্ষিপ্ত জীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি ও সফলতা অর্জনের জন্য এই ছোট্ট জীবনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা খুবই জরুরি। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:
জীবনের উদ্দেশ্য বোঝা
আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। যখন আমরা এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে জীবন পরিচালনা করি, তখন প্রতিটি কাজ ইবাদতে পরিণত হয়। নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ - এই ফরয ইবাদতগুলো নিয়মিত ও আন্তরিকতার সাথে আদায় করতে হবে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার
সময় খুব মূল্যবান। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে সময়ের কসম খেয়েছেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা, জ্ঞান অর্জন করা, এবং ভালো কাজে সময় ব্যয় করা উচিত।
নেক আমল বৃদ্ধি করা
ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদত করা, যেমন - তাহাজ্জুদ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, এবং সাদকা করা। এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা যায়।
মানুষের সেবা করা
ইসলামে মানুষের সেবা করাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অসহায়, দরিদ্র, এবং অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা, এবং তাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখানো আল্লাহ তা'আলার কাছে অনেক প্রিয়।
গুনাহ থেকে দূরে থাকা
ছোট্ট হোক বা বড়, সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোনো গুনাহ হয়ে যায়, তবে সাথে সাথে আন্তরিকভাবে তওবা করা এবং ভবিষ্যতে সেই গুনাহ আর না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
জ্ঞান অর্জন
ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরয। কুরআন, হাদিস, এবং ইসলামী ফিকাহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে সঠিক পথে চলা সহজ হয়।
এভাবে এই ছোট্ট জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি হাসিল করতে পারি।
Rakibul Hasan
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Amader Mahin
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?