Salma Akter    Creó nuevo artículo
45 w ·Traducciones

কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণ ও মুহাম্মাদের মধ্যস্থতা | ##কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণ ও মুহাম্মাদের মধ্যস্থতা

কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণ ও মুহাম্মাদের মধ্যস্থতা

কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণ ও মুহাম্মাদের মধ্যস্থতা

কা‘বাগৃহ পুনর্নির্মাণ ও মুহাম্মাদের মধ্যস্থতা আলোচনা
9 w ·Traducciones

যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইরানের সাথে মধ্যস্থতার জন্য নেতানিয়াহুর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!

মস্কোর মাধ্যমে ইরানের প্রতিক্রিয়া এড়াতে ইসরায়েল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রাশিয়া দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং মধ্যস্থতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

~ সূত্র = রুশ : নিউজ (টুইটার)

image
10 w ·Traducciones

🌆 ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুনর্নির্মাণের গল্প (বাংলায়)

🗓 ঘটনা: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১
সেই দিন ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে। দুইটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে জঙ্গিরা আঘাত হেনেছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে। মুহূর্তেই ধসে পড়ে দুটি বিশাল ভবন। প্রাণ হারান প্রায় ৩,০০০ মানুষ।

🏗️ কীভাবে পুনরায় গড়ে তোলা হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার?

১. পরিকল্পনা শুরু (২০০২–২০০৩):

২০০২ সালেই শুরু হয় নতুন একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কমপ্লেক্স তৈরি করার পরিকল্পনা।
নতুন ডিজাইনের মূল প্রতীক হিসেবে স্থির হয় একটি বিশাল টাওয়ার — যেটাকে পরে নাম দেওয়া হয় One World Trade Center (বা Freedom Tower)।

২. প্রতিযোগিতা ও ডিজাইন নির্বাচন:

বিশ্বজুড়ে নামকরা আর্কিটেক্টদের মাঝে ডিজাইন প্রতিযোগিতা হয়।
জয়ী হন David Childs এবং Daniel Libeskind।
তাঁরাই নতুন টাওয়ার এবং আশেপাশের কমপ্লেক্সের মূল নকশা তৈরি করেন।

৩. নির্মাণ শুরু (২০০৬):
• ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের ভিত্তি স্থাপন শুরু হয়।
• প্রায় ৮ বছর ধরে চলে নির্মাণ।
• ভবনটি বানাতে ব্যবহৃত হয় অতি আধুনিক প্রযুক্তি, যাতে ভবিষ্যতে এমন হামলা হলে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে।

🗼 One World Trade Center (ফ্রিডম টাওয়ার):
• উচ্চতা: ১,৭৭৬ ফুট (৫৪১ মিটার) — এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার বছর ১৭৭৬-র স্মৃতিচিহ্ন।
• মেঝে সংখ্যা: ১০৪ তলা।
• উদ্বোধন: ৩ নভেম্বর, ২০১৪।

এটি এখন আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু ভবন, এবং সারা বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত ভবন হিসেবে বিবেচিত।

🕊️ মেমোরিয়াল ও যাদুঘর:

পুরনো টাওয়ার যেখানে ছিল, সেখানে তৈরি হয়েছে National September 11 Memorial & Museum।
দুটি বড় জলাধারে খোদাই করে লেখা আছে সেদিন নিহত হওয়া সব মানুষের নাম।

🔚 উপসংহার:

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হয়ে যাওয়া শুধু একটা ভবন হারানোর গল্প নয় — এটা ছিল পুরো জাতির ওপর একটা আঘাত। কিন্তু তারা হেরে যায়নি। অনেক কষ্ট, পরিকল্পনা আর শক্তি নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে একটা নতুন প্রতীক — স্বাধীনতা ও প্রতিরোধের টাওয়ারl

image
11 w ·Traducciones ·Bangladesh

সত্যবাদী হযরত মুহাম্মদ (সা.)
মানবজাতির ইতিহাসে এমন কিছু মহান ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যাঁদের জীবন ও কর্ম আজও মানুষকে আলো দেখায়। তাঁদের জীবন ছিল সত্য, ন্যায়, এবং মানবতার মশাল। এমনই একজন অনন্য ও মহান ব্যক্তিত্ব হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি ছিলেন ইসলামের শেষ নবী, যার জীবন ও বাণী আজও কোটি কোটি মানুষের জীবনের দিশারী। তিনি শুধু একজন ধর্মপ্রচারক নন, বরং ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ, আদর্শ বন্ধু, আদর্শ স্বামী, আদর্শ নেতা ও সত্যের প্রতীক। তাঁর চরিত্রের অন্যতম প্রধান গুণ ছিল সত্যবাদিতা।

জন্ম ও শৈশব
হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, আরবের মক্কা নগরীতে। তাঁর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। তিনি জন্মের আগেই পিতৃহীন হন, এবং অল্প বয়সেই মাতাকেও হারান। এরপর তিনি দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বড় হন।

ছেলেবেলা থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চরিত্র ছিল অতুলনীয়। মক্কার লোকেরা তাঁকে 'আল-আমিন' (বিশ্বস্ত) এবং 'আস-সাদিক' (সত্যবাদী) নামে ডাকত। কখনও কেউ তাঁর মুখে মিথ্যা কথা শোনেনি। তিনি কখনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতেন না। তিনি সকলের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতেন, ধনী-গরীব, আপন-পর সবাইকে ভালোবাসতেন।

ব্যবসায়ী জীবনে সত্যবাদিতা
যৌবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। খাদিজা (রাঃ) নামক এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নারী তাঁকে তার ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। মুহাম্মদ (সা.) সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন এবং মুনাফা এনে দেন। কিন্তু ব্যবসার লাভের জন্য কখনো মিথ্যা বলেননি, প্রতারণা করেননি, বরং ন্যায়ের পথে অটল থেকেছেন।

এই গুণে খাদিজা (রাঃ) তাঁর প্রতি মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। বিয়ের সময় মুহাম্মদ (সা.)-এর বয়স ছিল ২৫ বছর এবং খাদিজার বয়স ছিল ৪০ বছর। এই দাম্পত্য ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুখের। খাদিজা (রাঃ) তাঁর নবুয়তের প্রথম দিন থেকেই তাঁর পাশে ছিলেন।

নবুয়তের ঘোষণা
৪০ বছর বয়সে তিনি নবী হিসেবে আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। হেরা গুহায় ধ্যান করার সময় তিনি জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে প্রথম ওহী লাভ করেন। তখন থেকেই তিনি মানুষকে এক আল্লাহর উপাসনায় আহ্বান করতে শুরু করেন। কিন্তু মক্কার কাফেররা তাঁর এই সত্যবাণীকে মেনে নেয়নি। তাঁরা তাঁকে কটূক্তি করে, নিপীড়ন চালায়, এমনকি হত্যার চেষ্টাও করে।

তবে এসব নির্যাতন সত্ত্বেও তিনি ধৈর্য হারাননি। তিনি কোনোদিন মিথ্যা বলেননি, কাউকে অভিশাপ দেননি। বরং যারা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে, তাঁদের জন্যও দোয়া করেছেন। এটাই ছিল একজন সত্যবাদী ও সহনশীল নেতার পরিচয়।

সত্যবাদিতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে বহু ঘটনা রয়েছে, যা তাঁর সত্যবাদিতার প্রমাণ দেয়। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হলো:

কাবাঘরের পাথর স্থাপন:
কাবা পুনর্নির্মাণের সময় 'হাজরে আসওয়াদ' (কালো পাথর) স্থাপন নিয়ে কুরাইশ গোত্রগুলোর মধ্যে বিবাদ হয়। সবাই চায় তার গোত্র প্রধান এই পাথর স্থাপন করুক। তখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, মসজিদের প্রথম যিনি প্রবেশ করবেন, তাঁর রায় মানা হবে। মুহাম্মদ (সা.) তখন প্রথম প্রবেশ করলে সবাই খুশি হয়, কারণ তিনি ছিলেন ‘আল-আমিন’। তিনি একটি চাদর বিছিয়ে তার উপর পাথর রাখেন এবং প্রত্যেক গোত্রপ্রধানকে চাদরের একেকটি প্রান্ত ধরতে বলেন। পরে তিনি নিজ হাতে পাথর স্থাপন করেন। এতে সকলেই সন্তুষ্ট হয়।

বদর যুদ্ধের আগে প্রতিশ্রুতি রক্ষা:
এক সাহাবি মুসলিম সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি বললেন, “আমি কুরাইশদের সঙ্গে চুক্তি করেছি যে, আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো না।” মুহাম্মদ (সা.) বললেন, “তুমি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারো না। ইসলাম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে শেখায়।” এই ঘটনাও তাঁর সত্যবাদিতার উদাহরণ।

বাহিরে রেখে যাওয়া আমানতের হেফাজত:
হিজরতের রাতে যখন মক্কার লোকেরা তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হয়, তখনও তাঁর কাছে বহু লোকের আমানত ছিল। তিনি সেগুলো ফিরিয়ে দেবার জন্য আলী (রাঃ)-কে দায়িত্ব দেন। নিজেকে রক্ষা করার চেয়ে তিনি আমানতের হেফাজতকে অগ্রাধিকার দেন।

সত্যবাদিতার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন
মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বাস করতেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং সত্য বলার সাহস। তিনি বলেন:

“তোমরা সবসময় সত্য কথা বলো, কারণ সত্য নেক কাজের দিকে নিয়ে যায়, আর নেক কাজ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়।”
— সহিহ মুসলিম

তিনি মিথ্যার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন:

“মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়, আর পাপ তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।”

এই শিক্ষা তিনি কেবল মুখে বলেননি, নিজের জীবনে শতভাগ বাস্তবায়ন করেছেন।

বিদায় হজ্জের ভাষণ ও মানবতা
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণ। এই ভাষণে তিনি মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সাম্য, নারীর মর্যাদা, দাসের অধিকার, এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে সত্য ও ন্যায়ের শিক্ষা দেন। তিনি বলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ কারো উপরে শ্রেষ্ঠ নয়, শুধুমাত্র তাকওয়ার ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে।”

এই ভাষণ প্রমাণ করে, তিনি কতটা মানবতাবাদী এবং সত্যবাদিতায় বিশ্বাসী ছিলেন।

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
৬৩ বছর বয়সে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই দুনিয়া ত্যাগ করেন। তিনি রেখে যান এক অমূল্য উত্তরাধিকার—পবিত্র কুরআন, তাঁর সুন্নাহ, এবং একটি আদর্শ জীবন। তিনি কোন রাজ্য রেখে যাননি, কোন ধনসম্পদ জমা করেননি। তিনি রেখে গেছেন এমন একটি জীবনচিত্র, যা অনুসরণ করলে মানুষ সুখী, শান্তিপূর্ণ, এবং সফল হতে পারে।
#face
#national
#bangladesh
#international
#aface1

Bangladesh
11 w ·Traducciones

মুহাম্মাদ হলেন আল্লাহর শেষ বার্তাবাহক, যিনি তাঁর বাণীগুলোকে মানবজাতির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহ ২২ বছর ধরে মুহাম্মাদকে বাণী পাঠিয়েছিলেন। এই বাণীগুলোকে একত্রে কুরআন বলা হয়। ফেরেশতা জিবরাইল আল্লাহর বাণীগুলোকে মুহাম্মাদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। মুহাম্মাদ এই বাণীগুলোকে মনে (মুখস্থ) রাখতেন এবং অন্যান্য লোকদের কাছে পৌঁছে দিতেন। মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর, তাঁর সাহাবারা এই বাণীগুলোকে একত্রিত করে একটি কিতাব তৈরি করেছিলেন।[৪৯] কুরআন হলো আল্লাহর সর্বশেষ বাণী, যা তাঁর ইচ্ছার প্রতিফলন। কুরআনে আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ রয়েছে, যা মুসলমানদের অনুসরণ করতে হবে। কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে, যা ইসলামের ধর্মীয় ভাষা হিসেবে বিবেচিত। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, কুরআন আল্লাহ‌র নিকট হতে মানুষের প্রতি পাঠানো

11 w ·Traducciones

ফেরেশতারা মিরাজ সম্পর্কিত ইসলামি সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলামি বিশ্বাসে, মিরাজ হলো মুহাম্মাদের এক বিশেষ রাত্রিকালীন যাত্রা, যেখানে তিনি জান্নাতে গমন করেন এবং সেখানে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই যাত্রাপথে তিনি একাধিক ফেরেশতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জিবরাইল ও মিকাইল।[৩০] অন্যান্য অনেক ফেরেশতা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং কিয়ামতের ঘটনার বিবরণে বিভিন্নভাবে চিত্রিত হন। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, ফেরেশতারা কিয়ামতের দিন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মানুষের কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করবেন এবং বিচার দিবসে সৎ ব্যক্তিদের জান্নাতে ও অসৎ ব্যক্তিদের জাহান্নামে পৌঁছে দেবেন। ফেরেশতারা ইসলামি ধর্মতত্ত্বে আল্লাহর সৃষ্টিরূপে বিবেচিত হন এবং তার ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়। ইসলামি দর্শনে তাদেরকে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩৯]