44 که در ·ترجمه کردن

ডুপ্লেক্স বারান্দা সহ রাজকীয় কাঠের ঘর

image
1 د ·ترجمه کردن

#7
ছোট্ট এক ছেলে ছিলো প্রচন্ড রাগী। তাই দেখে বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে। প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। ....



পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠ বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।



শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে....



সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো..



'তুমি খুব ভাল ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো,এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।...



যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো।মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর......

6 که در ·ترجمه کردن

গল্প : দুলুনি কেদারা

গ্রামের বাড়িটা বিক্রি করার আগে শেষবারের মতো গোছাতে গিয়েছিল অরুণ। দাদুর আমলের অনেক পুরনো জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল একটা কাঠের দুলুনি কেদারা (রকিং চেয়ার)। চেয়ারটা দেখলেই অরুণের ছোটবেলার কথা মনে পড়ত। ঠাকুমা ওই চেয়ারে বসেই তাকে গল্প শোনাতেন। সেদিন রাতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় অরুণ ওই বাড়িতেই থেকে গেল। মাঝরাতে একটা ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেল। সে বসার ঘরে গিয়ে দেখল, দুলুনি কেদারাটা নিজে থেকেই ধীরে ধীরে দুলছে। বাতাস নেই, কিছু নেই, অথচ চেয়ারটা দুলছে। অরুণের মনে হলো, যেন তার ঠাকুমা ওখানে বসে আছেন, যেমনটা তিনি তার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত বসতেন। চেয়ারটা হঠাৎ আরও জোরে দুলতে শুরু করল। অরুণ শুনতে পেল, ঠাকুমার গলায় কেউ যেন তাকে ডাকছে, "অরুণ, কাছে আয় দাদুভাই... গল্প শুনবি না?" ভয়ে অরুণের শরীর হিম হয়ে গিয়েছিল। সে রাতটা কোনোমতে কাটিয়ে পরদিনই সেখান থেকে পালিয়ে আসে।

#রকিংচেয়ার #hauntedchair #পুরনোবাড়িরভূত #ভৌতিকগল্প #প্যারানরমাল

6 که در ·ترجمه کردن

গল্প : অদৃশ্য চোখ

নতুন কেনা ফ্ল্যাটটায় আসার পর থেকেই অনন্যার মনে হতো, কেউ তাকে সারাক্ষণ দেখছে। রান্নাঘরে, শোবার ঘরে, এমনকি বাথরুমেও। কিন্তু সে কাউকে দেখতে পেত না। শুধু একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি, যেন একজোড়া অদৃশ্য চোখ তার প্রতিটি পদক্ষেপ লক্ষ্য করছে। সে তার স্বামীকেও বলেছিল, কিন্তু তিনি উড়িয়ে দেন। একদিন দুপুরে সে যখন বারান্দায় কাপড় মেলছিল, হঠাৎ তার মনে হলো, কেউ তার ঘাড়ে ফুঁ দিল। সে চমকে পেছনে তাকাতেই দেখল, বারান্দার গ্রিলের ওপারে শূন্যে দুটো চোখ ভাসছে—ঘৃণায় ভরা, লাল চোখ। চোখ দুটো তার দিকে তাকিয়েই মিলিয়ে গেল। অনন্যা ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। পরে সে জানতে পারে, ওই ফ্ল্যাটের আগের বাসিন্দা একজন মহিলা ছিলেন, যাকে তার স্বামী বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে খুন করেছিল।

#অদৃশ্যভূত #thewatcher #ভৌতিকঅনুভূতি #ফ্ল্যাটেরভূত #প্যারানরমাল

6 که در ·ترجمه کردن

গল্প : অভিশপ্ত চেয়ার

অফিসের নতুন বড় সাহেব একটা পুরনো অ্যান্টিক চেয়ার কিনেছিলেন তার কেবিনের জন্য। চেয়ারটা দেখতে রাজকীয় হলেও, ওটায় বসলেই তার কেমন অস্বস্তি হতো। মনে হতো, শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে। একদিন তিনি গভীর রাতে একা কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার মনে হলো, পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি চমকে পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলেন না। কিন্তু চেয়ারের চামড়ার ওপর দেখলেন, একটা হাতের ভেজা ছাপ, যেন কেউ এইমাত্র ওটায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে অফিসের পুরনো দারোয়ানের কাছে জানতে পারেন, ওই চেয়ারের আগের মালিক হার্ট অ্যাটাকে ওখানেই মারা গিয়েছিলেন। তার আত্মাই হয়তো চেয়ারটা ছাড়তে পারেনি।


#অভিশপ্তচেয়ার #ভূতেরগল্প #অফিসেরভূত #hauntedobject #রহস্য

6 که در ·ترجمه کردن

গল্প ১: ছায়ামূর্তি

শহরের একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকত অর্ক। সে প্রায়ই রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খেত। একদিন সে দেখল, ঠিক তার উল্টোদিকের বন্ধ ফ্ল্যাটের জানালায় একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তিটা স্থির, কিন্তু অর্কর মনে হচ্ছিল, ওটা তারই দিকে তাকিয়ে আছে। এরপর থেকে প্রায় রাতেই সে মূর্তিটাকে দেখত। একদিন কৌতুহলবশত সে ওই ফ্ল্যাটের খোঁজ নিতে গেল। জানতে পারল, এক বছর আগে ওই ফ্ল্যাটে এক ভদ্রলোক একা থাকতেন, যিনি বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেদিন রাতে অর্ক বারান্দায় গিয়ে দেখল, মূর্তিটা আর জানালায় নেই, বরং তার নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দার ঠিক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে।


#ছায়ামূর্তি #ফ্ল্যাটেরভূত #শহরেরভূত #ভৌতিকঅভিজ্ঞতা #ভয়ঙ্করগল্প