33 میں ·ترجمہ کریں۔

জুতা

image
1 میں ·ترجمہ کریں۔

পুরনো জুতা

তানিমের নতুন জুতা নেই। বন্ধুরা হাসে।
শাওন নিজের একটা পুরনো জুতা সাফ করে এনে দেয়।
তানিম জিজ্ঞেস করে, “তুই দিচ্ছিস কেন?”
শাওন বলল, “তোর পা যাতে কাঁদে না।”

2 میں ·ترجمہ کریں۔

রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে লাবিবা। হঠাৎ একজন বলল, “আপনার জুতার ফিতা খোলা।”
সে থেমে গিয়ে বাঁধে। মনে মনে ভাবে, ছোট্ট সতর্কতাও বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।

3 میں ·ترجمہ کریں۔

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
​সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
​নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
​উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
​বংশ: বনু হুজাইল।
​ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
​বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
​ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
​কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
​ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
​ইবাদত ও বিনয়
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
​জিহাদে অংশগ্রহণ
​তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
​মৃত্যু
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

3 میں ·ترجمہ کریں۔

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
​সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
​নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
​উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
​বংশ: বনু হুজাইল।
​ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
​বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
​ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
​কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
​ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
​ইবাদত ও বিনয়
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
​জিহাদে অংশগ্রহণ
​তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
​মৃত্যু
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

3 میں ·ترجمہ کریں۔

Uniform পরে ক্লাসে ঢুকলেও মাথায় থাকে —
লিপবাম ঠিক আছে তো?
জুতা চকচকে তো?
আর একটু পারফিউম দিলেই হতো না?
Uniform পরেও মনের ভেতর ফ্যাশন শো চলতেই থাকে! 😎
#collegelook #uniformbutstylish #campusqueen

5 میں ·ترجمہ کریں۔

ছবিটা ভালো করে দেখুন। হাত এবং পায়ের চামড়া ফেটে গেছে, মাংস গলে ফাঁকা হয়ে গেছে। ৬/৭ মাস ধরে এভাবে তার ফ্ল্যাটে মরে পড়ে আছে পাকিস্তানি এক অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। এতগুলা দিন ধরে একটা মানুষ উধাও অথচ কেউ জানেনা। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে খোঁজ নেবার মতও কেউ নাই। অথচ ক্যামেরার সামনে কত মানুষের সাথে এদের দেখা যায়। কত ভক্তবৃন্দ!!

এখান থেকে একটা শিক্ষা নিতে পারি...
পর্দায় যাদেরকে আমরা দেখে ভাবি না জানি কত আয়েশে আছে তারা। দামী দামী পোশাক, গাড়ি-বাড়ি, জুয়েলারি, সাজানো ঘর কি নেই! আহ কত সুখে। ভ্লগিং করে করে জিরো থেকে হিরো হয়ে যাচ্ছে একেকজন। আর আমরা সেই এক জামা ২/৩ বছর ধরে পরছি। একটা সাধারণ ড্রেস, জুতা, ব্যাগ কিনতে গেলেও কতবার ভাবতে হয়!

বিশ্বাস করেন এই দামী ড্রেস, জামা, জুতার মধ্যে কোনো সুখ নাই যদি থাকত তাইলে তারা এভাবে মরে পড়ে থাকত না। সত্যিকার অর্থে তারা একা, অসহায়, যতই বিলাসী জীবন কাটাক তাদের মনে শান্তি নাই। কারণ তারা তাদের রব থেকে অনেক দূরে।

আমাদের হয়তো অত বিলাসী জীবন নাই কিন্তু ১ঘন্টা বাইরে থাকলে এর ভিতরে মা-বাবা কতবার যে ফোন দিয়ে খোঁজ নেয়। বড় ভাইবোন থাকলে চিল্লাচিল্লি করে। রাগ দেখায়। হয়তো আমাদের বাড়ি এত আলিশান না, জামাকাপড় দামি না কিন্তু আমাদের অন্তরে শান্তি আছে। বিশ্বাস করেন, ভালো থাকার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।

এখান থেকে আরো একটা শিক্ষা নিন...
এ তো গেলো দুনিয়ার কথা। বডিটার দিকে তাকান দেখেন আশে পাশে কত লক্ষ পোকা। এই বডিকে সুন্দর করতে তার কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, গ্ল্যামারস ধরে রাখতে কত দামী দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়েছে। কি পরিমান এফোর্ট দিয়েছে অভিনয়ে। আজ তার কিছুই কাজে লাগেনি। তার আমল সে যত টুকু করেছে সেটুকুই তার সম্বল। তাই সব মেয়েদের জন্য এটা শিক্ষা, গ্ল্যামার কখনও জীবন নয় জীবন সেটাই যা আল্লাহ ও রাসুল শিখিয়েছেন। মানুষের কিসের এত অহংকার? হে মানুষ কিসে তোমাকে তোমার রব থেকে ভুলিয়ে রাখলো।

image
7 میں ·ترجمہ کریں۔

জুতা

image
8 میں ·ترجمہ کریں۔

জামাত কেনো তাহাকে জুতার মালা দিলো না জানিতে চাই...
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেফতার

image
8 میں ·ترجمہ کریں۔

যদি যেতে চাও
আজিজুর রহমান

যদি যেতে চাও, এভাবেই যেও--
ঠিক যেভাবে গেছ
ঠিক যেভাবে, আলগোছা, টের
না পাই
দরজা আধখোলা রেখে
ফিরে আসবে ভেবে যেন কোনদিনও
দরজা বন্ধ করি না।

যেও, যেতেই যদি হয়--
দু চারটা কাপড় ভুলে
আলনায় ফেলে যেও--
এভাবেই স্নানঘরে রেখে যেও তোয়ালে
এক জোড়া জুতা--
এভাবেই।

দমকা বাতাসও কড়া নাড়ে সময় সময়
কোনও
কোনও রাতে এরকমও ভেবে নেব,
বুঝি ফিরেছিলে বেঘোরে ঘুমিয়েছিলাম
বলে চলে গেছ।

যদি যেতে চাও
আজিজুর রহমান

যদি যেতে চাও, এভাবেই যেও--
ঠিক যেভাবে গেছ
ঠিক যেভাবে, আলগোছা, টের
না পাই
দরজা আধখোলা রেখে
ফিরে আসবে ভেবে যেন কোনদিনও
দরজা বন্ধ করি না।

যেও, যেতেই যদি হয়--
দু চারটা কাপড় ভুলে
আলনায় ফেলে যেও--
এভাবেই স্নানঘরে রেখে যেও তোয়ালে
এক জোড়া জুতা--
এভাবেই।

দমকা বাতাসও কড়া নাড়ে সময় সময়
কোনও
কোনও রাতে এরকমও ভেবে নেব,
বুঝি ফিরেছিলে বেঘোরে ঘুমিয়েছিলাম
বলে চলে গেছ।

যদি যেতে চাও
আজিজুর রহমান

যদি যেতে চাও, এভাবেই যেও--
ঠিক যেভাবে গেছ
ঠিক যেভাবে, আলগোছা, টের
না পাই
দরজা আধখোলা রেখে
ফিরে আসবে ভেবে যেন কোনদিনও
দরজা বন্ধ করি না।

যেও, যেতেই যদি হয়--
দু চারটা কাপড় ভুলে
আলনায় ফেলে যেও--
এভাবেই স্নানঘরে রেখে যেও তোয়ালে
এক জোড়া জুতা--
এভাবেই।

দমকা বাতাসও কড়া নাড়ে সময় সময়
কোনও
কোনও রাতে এরকমও ভেবে নেব,
বুঝি ফিরেছিলে বেঘোরে ঘুমিয়েছিলাম
বলে চলে গেছ।

8 میں ·ترجمہ کریں۔

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কচুরিপানা এবং রিসাইকেল জিন্স দিয়ে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই জুতা তৈরি করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের ৪ শিক্ষার্থী।

বর্তমানে বাংলাদেশের জলাশয়ে যে কচুরিপানা দেখা যায় ১৫০ বছর আগেও এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না এখানে। মূলত ১৮৮৪ সালের দিকে ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গল থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয় এটি। দেশের জন্য যেন এক অভিশাপ ছিল এই উদ্ভিদ। কারণ খুব সহজেই বংশ বিস্তার করতে পারে এটি। যার কারণে জলাশয়ে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মারা যায় অনেক মাছ এবং উদ্ভিদ।

কচুরিপানার এই সমস্যার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ডেনিম (জিন্সের প্যান্ট বা জ্যাকেট তৈরি হয় যে কাপড় দিয়ে) থেকে তৈরি বর্জ্য একটি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর ২.১৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডেনিম বর্জ্য তৈরি হয় যার বেশিরভাগেরই শেষ স্থান হয় ল্যান্ডফিলে৷

এত সব সমস্যা সমাধানে বুটেক্সের ৪ শিক্ষার্থী মিলে প্রথমবারের মত কচুরিপানা এবং অব্যবহৃত বা ফেলা দেওয়া ডেনিম কাপড় দিয়ে তৈরি করেছে পরিবেশ বান্ধব জুতা। যার নাম তারা দিয়েছে ইকো-স্টেপ। এই জুতার ইনসোল এবং ডেকোরেশনের কাজে ব্রেইড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে কচুরিপানা। অপরদিকে জুতার উপরের বাইরের আবরণ তৈরি করা হয়েছে ডেনিম কাপড় দিয়ে।

মূলত জুতার ইনসোল ব্রেইডেড উইভ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। ভেজা কুচরিপানার কান্ডগুলো শুকিয়ে এরপর তা দিয়ে হাতে ব্রেইডিং করে লম্বা স্ট্র্যান্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপর এই ব্রেইডেড স্ট্র্যান্ড পেঁচিয়ে জুতার সোলের আকৃতি গঠন করা হয়। গঠিত অংশগুলো সেলাই (স্টিচিং) করে ইনসোল সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুধু ইনসোলেই নয়, কচুরিপানার তৈরি এই ব্রেইডেড স্ট্র্যান্ড জুতার চারপাশে ডেকোরেটিভ লেইস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে, যা এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হস্তশিল্পের ছাপ যুক্ত করেছে। এর সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য অনুযায়ী কচুরিপানা এবং ডেনিম ব্যবহারের কারণে জুতাটি যেমন পরিবেশবান্ধব হয়েছে, একইভাবে কচুরিপানার উইভের উঁচু নীচু গড়নের কারণে জুতাটি পড়তেও অনেক আরামদায়ক।

সঠিক ভাবে যত্ন নিলে কচুরিপানার এই জুতা ১ বছরেও ক্ষয়ের শিক্ষার হবে না। এছাড়া কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এই ব্যবহার উপযোগিতা ২-৩ বছর পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। কচুরিপানা ও তুলা দিয়ে তৈরি ডেনিম ব্যবহার করায় মাটিতে ফেলে দেওয়ার ৩-৪ মাসের মধ্যেই ইনসোল, লেইস এবং ১০-১২ মাসে ডেনিম সম্পূর্ণ মাটির সাথে মিশে যাবে৷ অন্যান্য পরিবেশ বান্ধব জুতার থেকেও এটি সাশ্রয়ী বলে জানিয়েছে তারা। প্রতি জোড়া জুতা তৈরি করতে খরচ হবে মাত্র ৪০০-৫০০ টাকা।

মূলত বুটেক্সের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ল্যাবের অংশ হিসেবে এই জুতাটি তৈরি করেছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী তাশফিক হোসাইন, অর্ণব হালদার অভি, ফারদীন বিন মনির এবং অন্বয় দেবনাথ৷ এছাড়া সুপারভাইজার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বুটেক্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মার্জিয়া দুলাল।