সন্তানেরা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত, আশ্রয়কেন্দ্রে দিশাহারা ফারজানা | ##bangladesh
সন্তানেরা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত, আশ্রয়কেন্দ্রে দিশাহারা ফারজানা | ##bangladesh
মাইলস্টোনের উপর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যাদের পাওয়া যাচ্ছে না-
১। সাইবা জাহান (ক্লাস ফোর, আইডি- ২২৭৬)
২। সাজিদ আহমেদ সানি (এইচএসসি ক্যান্ডিডেট)
৩। মাহতাব রহমান (ক্লাস সেভেন, আইডি- ১০১৪)
৪। নুসরাত জাহান আনিকা (ক্লাস থ্রি, মারা গেছে বাবুটা)
৫। এরিকসন (জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে আছে)
৬। নাজিহা (ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আছে)
৭। মোনতাহা তোয়া কর্নো (ক্লাস থ্রি, আইডি- ২০৩১)
৮। আফিয়া উম্মে মরিয়ম (ক্লাস থ্রি, বিভাগ- আকাশ)
৯। সোহান হাসান নিহাদ (খোঁজ পাওয়া গেছে, সুস্থ আছে)
১০। মুহতাসিম হক ফুয়াদ (ক্লাস এইট, সুস্থ আছে পাওয়া গেছে)
১১। আসমাউল হুসনা জায়রা (ক্লাস থ্রি, সুস্থ তবে অভিভাবক খোঁজা হচ্ছে)
১২। সাদ সালাহউদ্দিন (ক্লাস থ্রি)
১৩। লামিয়া আক্তার সোনিয়া (পোড়া রোগীর পকেট থেকে আইডি কার্ড পাওয়া গেছে)
১৪। রাফসি আক্তার রাফি (ক্লাস ফোর, আইডি- ২৩৫৭ ওর বাবা-মা'কে খুঁজছি)
১৫। সায়মা আক্তার (ক্লাস থ্রি, বিভাগ- ক্লাউড, সিএমএইচে মারা গেছে)
১৬। এমডি জিহাদ (কলেজ শিক্ষার্থী, সুস্থ আছে পাওয়া গেছে)
১৭। মেহনাজ আফরিন হুমাইরা (ক্লাস টু, আইডি-১৮২৫ বাবুটা মারা গেছে)
১৮। রাইসা (ক্লাস থ্রি, বার্ন ইনস্টিটিউটে পাওয়া গেছে)
(এই পোস্টটি আপডেট হতে থাকবে)
বার্ণ ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
– এ সর্বশেষ দগ্ধ রোগীদের ভর্তির তালিকা-
তালিকাভুক্ত দগ্ধরা হলেন:
1. শামীম ইউসুফ (১৪)
2. কাব্য (বয়স অনির্দিষ্ট)
3. আবিদূর রহমান (১০)
4. রুফিয়া বড়ুয়া (১০)
5. সায়েম ইউসুফ (১৪)
6. তানভির (বয়স অনির্দিষ্ট)
7. মুনতাহা (১০)
8. নাফি (৯)
9. মেহেনুর (১২)
10. আয়ান (১৪)
11. জায়মা (১৩)
12. লোরিন (৩০)
13. রোহান (১৪)
14. আবিদ (৯)
15. আশরাফ (৩৭)
16. ইউশা (১১)
17. পায়েল (১২)
18. আলবেরা (১০)
19. তাসমিয়া (১৫)
20. মাহিয়া (বয়স অনির্দিষ্ট)
21. সায়েবা (৯)
22. ফয়েজ (১৪)
23. মাসুমা (৩৮)
24. মাহাতাব (১৪)
25. শামীম (১৪)
26. জাকির (৫৫)
27. নিলয় (বয়স অনির্দিষ্ট)
28 . সায়রা (১০)
29. নাফিজ (বয়স অনির্দিষ্ট)
30. তৌফিক (১৩)
31. নিশি (২৮)
32. নুসরাত (১২)
33. আরিয়ান (১৩)
34. বাপ্পি (১০)
35. জুনায়েদ (১২)
36. তাসনুবা মাহবিন (১১)
37. ফারজানা ইয়াসমিন রিনা (৪৫)
38. মাকিন (১৫)
39. শ্রেয়া (৯)
40. ইরিকশন (১৩)
41. রাইসা (১১)
এই ৪২ জন রোগী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন। যাদের সন্তান নিখোঁজ, অনুগ্রহ করে নাম দেখে মিলিয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা
মাইলস্টোনের উপর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যাদের পাওয়া যাচ্ছে না-
১। সাইবা জাহান (ক্লাস ফোর, আইডি- ২২৭৬)
২। সাজিদ আহমেদ সানি (এইচএসসি ক্যান্ডিডেট)
৩। মাহতাব রহমান (ক্লাস সেভেন, আইডি- ১০১৪)
৪। নুসরাত জাহান আনিকা (ক্লাস থ্রি, মারা গেছে বাবুটা)
৫। এরিকসন (জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে আছে)
৬। নাজিহা (ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আছে)
৭। মোনতাহা তোয়া কর্নো (ক্লাস থ্রি, আইডি- ২০৩১)
৮। আফিয়া উম্মে মরিয়ম (ক্লাস থ্রি, বিভাগ- আকাশ)
৯। সোহান হাসান নিহাদ (খোঁজ পাওয়া গেছে, সুস্থ আছে)
১০। মুহতাসিম হক ফুয়াদ (ক্লাস এইট, সুস্থ আছে পাওয়া গেছে)
১১। আসমাউল হুসনা জায়রা (ক্লাস থ্রি, সুস্থ তবে অভিভাবক খোঁজা হচ্ছে)
১২। সাদ সালাহউদ্দিন (ক্লাস থ্রি)
১৩। লামিয়া আক্তার সোনিয়া (পোড়া রোগীর পকেট থেকে আইডি কার্ড পাওয়া গেছে)
১৪। রাফসি আক্তার রাফি (ক্লাস ফোর, আইডি- ২৩৫৭ ওর বাবা-মা'কে খুঁজছি)
১৫। সায়মা আক্তার (ক্লাস থ্রি, বিভাগ- ক্লাউড, সিএমএইচে মারা গেছে)
১৬। এমডি জিহাদ (কলেজ শিক্ষার্থী, সুস্থ আছে পাওয়া গেছে)
১৭। মেহনাজ আফরিন হুমাইরা (ক্লাস টু, আইডি-১৮২৫ বাবুটা মারা গেছে)
১৮। রাইসা (ক্লাস থ্রি, বার্ন ইনস্টিটিউটে পাওয়া গেছে)
(এই পোস্টটি আপডেট হতে থাকবে)
বার্ণ ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
– এ সর্বশেষ দগ্ধ রোগীদের ভর্তির তালিকা-
তালিকাভুক্ত দগ্ধরা হলেন:
1. শামীম ইউসুফ (১৪)
2. কাব্য (বয়স অনির্দিষ্ট)
3. আবিদূর রহমান (১০)
4. রুফিয়া বড়ুয়া (১০)
5. সায়েম ইউসুফ (১৪)
6. তানভির (বয়স অনির্দিষ্ট)
7. মুনতাহা (১০)
8. নাফি (৯)
9. মেহেনুর (১২)
10. আয়ান (১৪)
11. জায়মা (১৩)
12. লোরিন (৩০)
13. রোহান (১৪)
14. আবিদ (৯)
15. আশরাফ (৩৭)
16. ইউশা (১১)
17. পায়েল (১২)
18. আলবেরা (১০)
19. তাসমিয়া (১৫)
20. মাহিয়া (বয়স অনির্দিষ্ট)
21. সায়েবা (৯)
22. ফয়েজ (১৪)
23. মাসুমা (৩৮)
24. মাহাতাব (১৪)
25. শামীম (১৪)
26. জাকির (৫৫)
27. নিলয় (বয়স অনির্দিষ্ট)
28 . সায়রা (১০)
29. নাফিজ (বয়স অনির্দিষ্ট)
30. তৌফিক (১৩)
31. নিশি (২৮)
32. নুসরাত (১২)
33. আরিয়ান (১৩)
34. বাপ্পি (১০)
35. জুনায়েদ (১২)
36. তাসনুবা মাহবিন (১১)
37. ফারজানা ইয়াসমিন রিনা (৪৫)
38. মাকিন (১৫)
39. শ্রেয়া (৯)
40. ইরিকশন (১৩)
41. রাইসা (১১)
এই ৪২ জন রোগী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন। যাদের সন্তান নিখোঁজ, অনুগ্রহ করে নাম দেখে মিলিয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা
**"তারপর থেকে একশো বছর"**
মেঘনা আর আদিত্যের প্রেম শুরু হয়েছিল রেইনট্রিতে, এক বিকেলে। কলেজের ছাদে দাঁড়িয়ে মেঘনা বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছিল, আদিত্য হঠাৎ এসে ছাতা ধরল তার মাথায়। "বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে," সে বলেছিল। মেঘনা জবাব দিয়েছিল, "জীবনে কিছু না ভিজলে অভিজ্ঞতা বাড়ে না।"
সেই থেকে তাদের প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় দেখা হতো কলেজ গেটে। আদিত্য মেঘনাকে নিয়ে যেত পুরনো বইয়ের দোকানে, আর মেঘনা আদিত্যকে শেখাত কিভাবে রোদে পুড়ে আঁকা যায়। তাদের ভালোবাসা ছিল নিঃশব্দ, কিন্তু স্পষ্ট—যেমন রাতের আকাশে ধ্রুবতারা।
কিন্তু আদিত্য ছিল দরিদ্র, মেঘনার পরিবার ছিল ধনী। একদিন মেঘনার বাবা আদিত্যকে ডেকে বললেন, "তুমি আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছ।" আদিত্য চুপ করে চলে গেল। পরদিন থেকে সে আর কলেজ গেটে দাঁড়ায়নি।
মেঘনা অপেক্ষা করত, দিনের পর দিন। এক বছর পর সে শুনল আদিত্য দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তারপরও সে প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় কলেজ গেটে দাঁড়াত, শুধু এই ভেবে যে হয়তো কোনো দিন আদিত্য ফিরে আসবে।
বছরগুলো কেটে গেল। মেঘনা বিয়ে করল, সংসার করল, কিন্তু তার ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা থাকত— *"আজও বিকেল পাঁচটা হয়ে গেল, তুমি আসোনি।"*
পঞ্চাশ বছর পর এক শীতের সন্ধ্যায় বৃদ্ধা মেঘনা কলেজ গেটে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ একজন বৃদ্ধ এসে তার পাশে দাঁড়াল—চুল পাকা, চোখে চশমা, কিন্তু সেই একই হাসি।
"বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে," আদিত্য বলল।
মেঘনার চোখে পানি এসে গেল, "জীবনে কিছু না ভিজলে অভিজ্ঞতা বাড়ে না।"
তারা দুজনেই জানত, এই দেখা শেষ দেখা। আদিত্য ক্যান্সারে আক্রান্ত, মেঘনার হৃদয়ও দুর্বল। কিন্তু সেই রাতেই তারা কলেজের ছাদে বসলাম, যেখানে একদিন প্রথম দেখা হয়েছিল। আদিত্য বলল, "আমি প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় এই গেটের দিকে তাকিয়েছি, শুধু তোমাকে মনে করার জন্য।"
মেঘনা হাসল, "আমিও প্রতিদিন লিখেছি, 'আজও তুমি আসোনি'। কিন্তু আসলে তুমি এসেছিলে, আমার মনে।"
সেই রাতেই আদিত্য চোখ বন্ধ করল। মেঘনার ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা হলো— *"আজ বিকেল পাঁচটায় তুমি এলেই, আমার সব অপেক্ষা পূর্ণ হলো।"*
**[সমাপ্ত]**
"ভিজে ডায়েরির পৃষ্ঠা"
ফারজানা একদিন কাফির দেওয়া ডায়েরিটা ফেরত দিয়ে গেল।
"তোর লেখা ভালো, কিন্তু আমার জীবনটা অন্য পথে চলে গেছে," বলল সে।
ডায়েরির পাতাগুলো এখন ভিজে। হয়তো বৃষ্টিতে না, হয়তো কাফির চোখের জলে।
সব শব্দগুলো যেন কাঁদছে। প্রতিটা বাক্য বলছে—
“ফারজানার ভালোবাসা মিথ্যে ছিল না, কিন্তু সময়টাই ঠিক ছিল না।”
কাফি আজও সেই ডায়েরি পড়ে, আর ভাবে—
যদি কিছুটা সময়কে ধরে রাখা যেত!
Samiul Islam
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟