Bishwajit Mollick    একটি নতুন নিবন্ধ তৈরি করেছেন
14 ভিতরে ·অনুবাদ করা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য | #@adanan

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আমাদের চারপাশের পরিবেশগুলো আসলে অনেক সুন্দর
4 d ·অনুবাদ করা

@𝑰𝒕'𝒔 𝒚𝒐𝒖𝒓 𝒔𝒉𝒐𝒓𝒐𝒗:বাজারে যাচ্ছিলাম হঠাৎ শুনলাম আপনি পোস্ট করেছেন। তাড়াহুড়ো করে বাড়ি এসে মোবাইল নিয়ে বসলাম। আপনার পোস্টে লাইক কমেন্ট করব বলে , কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস দেখেন গ্রামে থাকি বলে নেটওয়ার্ক ছিল না । তাই শহরের দিকে চলতে শুরু করলাম এবং প্রায় 5 কিলোমিটার যাবার পর মোবাইলে নেটওয়াক আসলো। বসে পড়ি সেখানেই কারণ হার মানতে আমি শিখিনি । পোস্ট দারুন ঝকঝকে হয়েছে ,এই পোস্ট আগামী দিনের ইতিহাস সৃষ্টি করবে । অসাধারণ ভাব ভঙ্গি দিয়ে পোস্টটি করেছেন আপনি। আমাদের এত সুন্দর পোস্ট দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। অপেক্ষা করব আগামী দিন যেন আপনাকে এভাবেই দেখতে পারি।
অসম্ভব ভাল পোস্ট। এক কথায় অনবদ্য। বহুদিন পরে একটা ভাল পোস্ট দেখলাম। একবিংশ শতাব্দীতে এধরনের ছবি আর আগে আসে নি। অনবদ্য এবং অসাধারণ। শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময় উপযোগী পোস্ট তাই নয়, একেবারে অপরূপ সৌন্দর্যের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রীক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই পোস্টের মাঝে আমি খুঁজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা । আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সূক্ষ্ম বার্তা। আপনার এই পোস্ট হতে পারে আই এস এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়ানোর অনুপ্রেরণা। হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ জেতার অনুপ্রেরণা। এই পোস্ট হতে পারে ২০৫০ সালের নতুন লায়লি মজনুর প্রেমের কারণ । আপনার এই পোস্ট হতে পারে বাংলাদেশের প্রথম অস্কার বিজয়ী ছবির অনুপ্রেরণা,আপনার এই ছবি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক যেকোনো প্রক্ষাপট নিমিষে পাল্টে দিতে পারে,এই পোস্ট দেখে একজন ক্ষুদার্থ ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে থাকার যন্ত্রণা নিমিষে ভূলে যেতে পারে, সৌন্দর্য দেখার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার যে প্রয়োজন নেই তা আপনার পোস্ট দেখে আমি অনুধাবন করলাম, আমার ধারনা বিশ্বের বিখ্যাত সব সমালোচকদের এক সাথে করলেও এই পোস্টের কোন ভূল ধরতে পারবে না,খুব বেশি কিছু বলবনা কারন আবেগে চোখে পানি চলে আসছে। ইহা আসলেই একটি দূর্দান্ত পোস্ট ।🐸🙂🙂

5 d ·অনুবাদ করা

জাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও, জামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আরও বিস্তারিতভাবে, জাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো হলো:
হজমে সহায়তা:
জামে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
জামে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি উপকারী ফল। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক।
ত্বকের স্বাস্থ্য:
জামে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ:
জামে উপস্থিত পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি দূর করে:
জামে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি:
জাম স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক:
জামে উপস্থিত ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
মাড়ি ও দাঁত মজবুত করে:
জাম মাড়ি ও দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অতিরিক্ত জাম খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে জাম খাওয়া উচিত।

image
5 d ·অনুবাদ করা

বরই পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, চর্মরোগ নিরাময়ে কাজ করে, আলসার প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, বরই পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
বরই পাতার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
বরই পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে:
এটি চর্মরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
হজমে সহায়তা:
বরই পাতা হজমক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং পেটের সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
বরই পাতায় থাকা উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে:
এটি চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
অন্যান্য:
বরই পাতা আলসার প্রতিরোধে, সর্দি-কাশিতে এবং গলা ব্যথায় উপশম দিতে পারে।
বরই পাতা সাধারণত ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বিভিন্ন উপকারিতার জন্য পরিচিত। তবে, কোনো সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

image
5 d ·অনুবাদ করা

আম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আম খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
আমে ভিটামিন এ এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে:
আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
আমে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
আমে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:
আমে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
আমে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
আম খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া উচিত, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে হজমের সমস্যা বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

image
5 d ·অনুবাদ করা

📍📍নীরবতার সৌন্দর্য: যখন শব্দেরা মূল্য হারায়
মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শব্দ দিয়ে, কিন্তু টিকে থাকে বোঝাপড়া ও মানসিক সংযোগে। আমরা কথা বলি, অনুভূতি প্রকাশ করি, নিজের অবস্থান বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় সব কথা সবার কাছে মূল্য পায় না। কখনো কখনো আমরা এমন কারো সঙ্গে কথা বলি, যিনি আমাদের অনুভব করতে চান না, বুঝতে চান না, কেবল নিজের ব্যাখ্যা বা সুবিধাই খোঁজেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই সবচেয়ে মূল্যবান ভাষা হয়ে ওঠে নীরবতা।

🧘‍♂️ সব কথার উত্তর শব্দে দিতে হয় না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সব কথার উত্তর উচ্চারণ করতে হয় না। অনেক সময় নীরবতা এমন কিছু বলে দেয়, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়। কেউ যদি বারবার আপনার কথা অস্বীকার করে, আপনার যুক্তিকে অবজ্ঞা করে, কিংবা আপনার আবেগকে তুচ্ছ করে দেয় তবে সেখানে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাই অধিক অর্থবহ।

কারণ, প্রতিবার ব্যাখ্যা দেওয়া মানেই নিজেকে ছোট করা নয়, বরং একজন অপাত্রের সামনে বারবার নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করা মানে নিজের মানসিক শান্তিকে উৎসর্গ করা। আর যে জায়গায় আপনার আবেগ, অভিমত কিংবা ভালোবাসার ভাষার কোনও মূল্য নেই, সেখানে নীরবতা আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

🪞 নীরবতা কখনো কখনো আত্মরক্ষা

নীরবতা মানেই দুর্বলতা নয়। বরং এটি অনেক সময় আত্মসংযমের চূড়ান্ত রূপ। আপনি যখন দেখেন কেউ আপনার কথা বুঝছে না, বা বোঝার চেষ্টাটুকুও করছে না তখন বারবার কথা বলার চেষ্টা আপনাকে ক্লান্ত, আহত ও অবমূল্যায়িত করে তোলে। এরচেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে, নিজের সম্মানকে রক্ষা করে চুপ থাকা অনেক বেশি শক্তির পরিচয়।

এটি কোনো পরাজয়ের চিহ্ন নয়, বরং একটি শান্ত ও পরিণত মানুষের সিদ্ধান্ত যিনি জানেন কোন যুদ্ধ লড়তে হয়, আর কোনটি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

🌿 নীরবতাই অনেক সময় সবচেয়ে জোরালো প্রতিবাদ

বিশ্বের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে নীরব প্রতিরোধের মাধ্যমে। গৌতম বুদ্ধ থেকে শুরু করে গান্ধীজী পর্যন্ত তাদের অনেক বড় প্রতিবাদ ছিল নিরবতা ও আত্মসংযমের এক অনন্য উদাহরণ।

ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত জীবনে, সম্পর্কের টানাপোড়েনে, কিংবা সামাজিক অযাচিত ব্যবহারের মুখে নিরবতা কখনো কখনো হয়ে ওঠে সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর। কারণ, তা ভদ্রতা রাখে, কিন্তু আত্মসম্মান ছাড়ে না।

💬 যখন নীরবতা বলে, "আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না"

নীরবতা সব সময় দুরত্ব তৈরি করে না, বরং অনেক সময় তা আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। আপনি যখন নীরব হয়ে যান, তখন অন্যপক্ষ উপলব্ধি করতে বাধ্য হয় আপনার কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মানে শুধু না বলা নয়, তা একরকম দৃঢ় বার্তা। আপনি বুঝিয়ে দেন “আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না, কারণ তুমি বোঝার মতো জায়গায় নেই।”

উপসংহার

"যখন কারো কাছে কোনো কথার মূল্য থাকে না, তখন নীরবতা বেছে নেওয়াই শ্রেয়।"
এই বাক্যটি কেবল একটি অভিমানের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা আত্মমর্যাদা, ধৈর্য ও আত্মনির্ভরতার পরিচয়। আমরা সবাই চাই, আমাদের কথা গুরুত্ব পাক, ভালোবাসা মূল্য পাক, এবং অনুভূতি সম্মান পাক। কিন্তু যেখানে তা অনুপস্থিত, সেখানে নিজেকে রক্ষা করতে হলে, নীরবতা-ই শ্রেষ্ঠ উপায়।

কথা বলা যেমন এক ধরণের শক্তি, তেমনি চুপ থেকে নিজের শান্তি রক্ষা করাও এক অনন্য জ্ঞান। কখন কথা বলতে হবে আর কখন চুপ থাকতে হবে এই ভারসাম্য বুঝতে পারাটাই পরিণত মানুষের পরিচয়।

6 d ·অনুবাদ করা

প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী

জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।

জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।

জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।

আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼

1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
​Mi 11 Ultra সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। এটি Xiaomi-এর একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন যা এর অসাধারণ ক্যামেরা এবং প্রিমিয়াম ফিচারের জন্য পরিচিত। আমি এই ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে আপনার সামনে তুলে ধরছি।
Mi 11 Ultra হলো Xiaomi-এর একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন যা ২০২১ সালের এপ্রিলে বাজারে আসে। এটি তার অত্যাধুনিক ক্যামেরা সেটআপ, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের জন্য পরিচিত।
​এখানে Mi 11 Ultra সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​১. ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি:
​মেটেরিয়াল: এটি একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস, যার সামনে Corning Gorilla Glass Victus প্রোটেকশন, সিরামিক ব্যাক (Ceramic Black এবং Ceramic White কালারে পাওয়া যায়) এবং অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম রয়েছে।
​ওজন ও ডাইমেনশন: ফোনটি বেশ ভারী (প্রায় ২৩৪ গ্রাম) এবং বড়, যার পরিমাপ ১৬৪.৩ x ৭৪.৬ x ৮.৪ মিমি। এর পুরুত্ব প্রধানত এর বড় ক্যামেরা মডিউলের কারণে।
​IP রেটিং: এতে IP68 রেটিং রয়েছে, যার অর্থ এটি ধুলো এবং ১.৫ মিটার পর্যন্ত জলের নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে পারে।
​সেকেন্ডারি ডিসপ্লে: পেছনের ক্যামেরা মডিউলে একটি ছোট ১.১ ইঞ্চির AMOLED সেকেন্ডারি ডিসপ্লে আছে। এটি সেলফি তোলার সময় ভিউফাইন্ডার হিসেবে, নোটিফিকেশন দেখতে বা সময় দেখার জন্য ব্যবহার করা যায়।
​২. ডিসপ্লে:
​টাইপ ও সাইজ: ৬.৮১ ইঞ্চির WQHD+ AMOLED DotDisplay।
​রেজোলিউশন: 3200 x 1440 পিক্সেল (QHD+), যার পিক্সেল ডেনসিটি ৫১৫ ppi।
​রিফ্রেশ রেট: ১২০Hz অ্যাডাপ্টিভসিঙ্ক ডিসপ্লে (৩০Hz/৬০Hz/৯০Hz/১২০Hz), যা স্ক্রলিং এবং গেমিংয়ের জন্য অত্যন্ত মসৃণ অভিজ্ঞতা দেয়।
​ব্রাইটনেস: এর ডিসপ্লেটি অসাধারণ উজ্জ্বল, যার সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস ১৭০০ নিটস (পিক ব্রাইটনেস) পর্যন্ত যায়। এটি HDR10+ এবং Dolby Vision সমর্থন করে।
​টাচ স্যাম্পলিং রেট: ৪৮০Hz টাচ স্যাম্পলিং রেট, যা গেমিংয়ের জন্য খুবই কার্যকর।
​৩. পারফরম্যান্স:
​প্রসেসর: Qualcomm Snapdragon 888 5G (5nm) ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর। এটি তখনকার সবচেয়ে শক্তিশালী চিপসেটগুলোর মধ্যে একটি ছিল, যা যেকোনো হাই-এন্ড গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়।
​GPU: Adreno 660 GPU।
​RAM ও স্টোরেজ: LPDDR5 RAM এবং UFS 3.1 স্টোরেজ। বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়, যেমন:
​৮জিবি RAM + ২৫৬জিবি স্টোরেজ
​১২জিবি RAM + ২৫৬জিবি স্টোরেজ
​১২জিবি RAM + ৫১২জিবি স্টোরেজ
​অপারেটিং সিস্টেম: এটি Android 11 সহ লঞ্চ হয়েছিল এবং পরবর্তীতে Android 13 এবং MIUI 14 পর্যন্ত আপডেট পেয়েছে।
​৪. ক্যামেরা:
এটি Mi 11 Ultra-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক। এর ক্যামেরা সেটআপকে "ট্রিপল সিনেমা ক্যামেরা" বলা হয়।
​প্রধান ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল (MP) Samsung GN2 সেন্সর (f/1.95 অ্যাপারচার, ১/১.১২" সেন্সর সাইজ)। এটি একটি অত্যন্ত বড় সেন্সর, যা কম আলোতে চমৎকার ছবি তুলতে এবং প্রাকৃতিক বোকেহ প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম। এতে অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন (OIS) এবং Dual Pixel Pro autofocus রয়েছে।
​আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল (MP) Sony IMX586 সেন্সর (f/2.2 অ্যাপারচার, ১২৮° ফিল্ড অফ ভিউ)। এতেও অটোফোকাস রয়েছে, যা এটিকে ম্যাক্রো শটের জন্যও ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
​টেলিফটো ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল (MP) Sony IMX586 সেন্সর (f/4.1 অ্যাপারচার, OIS)। এটি 5x অপটিক্যাল জুম, 10x হাইব্রিড জুম এবং 120x ডিজিটাল জুম সমর্থন করে।
​সামনের ক্যামেরা: ২০ মেগাপিক্সেল (MP) (f/2.2 অ্যাপারচার)।
​ভিডিও রেকর্ডিং: 8K@24fps, 4K@30/60fps, 1080p@30/60/120/240/480/960/1920fps ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম।
​৫. ব্যাটারি ও চার্জিং:
​ব্যাটারি: ৫০০০ mAh Li-Po ব্যাটারি।
​চার্জিং:
​৬৭W ওয়্যারড ফাস্ট চার্জিং (প্রায় ৪৩ মিনিটে ১০০% চার্জ)।
​৬৭W ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিং (প্রায় ৩৯ মিনিটে ১০০% চার্জ)।
​১০W রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং।
​৬. অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
​অডিও: Harman Kardon টিউন করা ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার, যা চমৎকার অডিও অভিজ্ঞতা দেয়।
​কানেক্টিভিটি: 5G, Wi-Fi 6E, Bluetooth 5.2, NFC, ইনফ্রারেড ব্লাস্টার (IR Blaster)।
​সেন্সর: ইন-ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার, জাইরো, কম্পাস, কালার স্পেকট্রাম সেন্সর।
​বাংলাদেশে Mi 11 Ultra-এর দাম:
Mi 11 Ultra এখন আর শাওমির অফিশিয়াল স্টোরগুলোতে নতুন পাওয়া যায় না, কারণ এটি পুরোনো ফ্ল্যাগশিপ মডেল। তবে, বাংলাদেশে এটি আনঅফিশিয়াল বাজার বা ব্যবহৃত (used) ফোন হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।
​আনঅফিশিয়াল নতুন দাম: শুরুর দিকে এর আনঅফিশিয়াল দাম প্রায় ৳৮৩,০০০ থেকে ৳১,৩০,০০০ (ভেরিয়েন্ট ভেদে) পর্যন্ত দেখা গেছে।
​ব্যবহৃত ফোনের দাম: বর্তমানে, ব্যবহৃত Mi 11 Ultra বাংলাদেশে ৳৩২,০০০ থেকে ৳৪০,০০০ এর মধ্যে পাওয়া যায়, যা এর স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট, কন্ডিশন এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে।
​উপসংহার:
Mi 11 Ultra এমন একটি ফোন যা তার সময়ে ক্যামেরা প্রযুক্তিতে একটি মাইলফলক ছিল। এর শক্তিশালী প্রসেসর, চমৎকার ডিসপ্লে, দ্রুত চার্জিং এবং প্রিমিয়াম বিল্ড এটিকে একটি সম্পূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ প্যাকেজ তৈরি করেছে। যদিও এটি এখন পুরোনো মডেল, তবুও ফটোগ্রাফি প্রেমী এবং যারা একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফ্ল্যাগশিপ ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য ব্যবহৃত অবস্থায় এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ একজন গরীবকে দেওয়ার বিস্তারিত
​আপনার এই উদ্যোগকে সফল করতে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি। নিচে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
​১. কেন এই উদ্যোগ?
​মানবতার সেবা: অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়।
​সাদকা জারিয়া: ইসলামে দরিদ্রদের সাহায্য করাকে সাদকা জারিয়া (চলমান দান) বলা হয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।
​ব্র্যান্ডিং ও সুনাম: এই মহৎ উদ্যোগ আপনার অ্যাপের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে এবং এর প্রতি মানুষের আস্থা ও আকর্ষণ বাড়াবে।
​২. অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া
​অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে, যেমন:
​বিজ্ঞাপন: অ্যাপে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়।
​ইন-অ্যাপ পারচেজ: অ্যাপের মধ্যে কোনো বিশেষ ফিচার বা ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়।
​সাবস্ক্রিপশন মডেল: নির্দিষ্ট সুবিধার জন্য ব্যবহারকারীদের থেকে মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন ফি নেওয়া।
​ডোনেশন বা অনুদান: ব্যবহারকারীদের সরাসরি অনুদান দেওয়ার সুযোগ রাখা।
​৩. অর্থ বিতরণের পদ্ধতি
​অর্থ বিতরণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি থাকা উচিত:
​সুবিধাভোগী নির্বাচন:
​ব্যক্তিগত যাচাই: একজন প্রকৃত অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি সত্যিই এই সাহায্যের যোগ্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা বা নির্ভরযোগ্য সামাজিক সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
​নির্দিষ্ট মানদণ্ড: কে এই সাহায্যের যোগ্য হবেন, তার কিছু মানদণ্ড ঠিক করা যেতে পারে। যেমন: পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, অসুস্থ ব্যক্তি, এতিম, বিধবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি।
​স্বচ্ছতা:
​প্রকাশনা: যদি সম্ভব হয়, তবে অ্যাপের মধ্যে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (গোপনীয়তা বজায় রেখে) অর্থ প্রদান সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কত টাকা সংগ্রহ হলো এবং কাকে সাহায্য করা হলো, তার একটি সাধারণ বিবরণ।
​হিসাবরক্ষণ: সংগৃহীত ও বিতরিত অর্থের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা উচিত।
​বিতরণ প্রক্রিয়া:
​সরাসরি প্রদান: অ্যাপের পক্ষ থেকে সরাসরি সুবিধাভোগীর কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়া।
​বিশ্বস্ত সংগঠনের মাধ্যমে: যদি সরাসরি সম্ভব না হয়, তবে কোনো বিশ্বস্ত এনজিও বা দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে।
​৪. আইনি ও ইসলামিক দিক
​শরিয়া সম্মতি: অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি এবং বিতরণের প্রক্রিয়া ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী হালাল কিনা, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রয়োজনে বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
​আইনি প্রক্রিয়া: যদি বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে, তবে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি নিবন্ধন এবং অনুমতি নেওয়া যেতে পারে।
​৫. প্রচার ও প্রচারণা
​এই মহৎ উদ্যোগটি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য অ্যাপের বর্ণনা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অন্যান্য প্রচারে এর উল্লেখ করা যেতে পারে। এতে মানুষ আপনার অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং অর্থ দান করতে উৎসাহিত হবে।
​এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি। আপনার এই মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হোক, এই কামনা করি।

image
1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ একজন গরীবকে দেওয়ার বিস্তারিত
​আপনার এই উদ্যোগকে সফল করতে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি। নিচে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
​১. কেন এই উদ্যোগ?
​মানবতার সেবা: অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়।
​সাদকা জারিয়া: ইসলামে দরিদ্রদের সাহায্য করাকে সাদকা জারিয়া (চলমান দান) বলা হয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।
​ব্র্যান্ডিং ও সুনাম: এই মহৎ উদ্যোগ আপনার অ্যাপের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে এবং এর প্রতি মানুষের আস্থা ও আকর্ষণ বাড়াবে।
​২. অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া
​অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে, যেমন:
​বিজ্ঞাপন: অ্যাপে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়।
​ইন-অ্যাপ পারচেজ: অ্যাপের মধ্যে কোনো বিশেষ ফিচার বা ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়।
​সাবস্ক্রিপশন মডেল: নির্দিষ্ট সুবিধার জন্য ব্যবহারকারীদের থেকে মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন ফি নেওয়া।
​ডোনেশন বা অনুদান: ব্যবহারকারীদের সরাসরি অনুদান দেওয়ার সুযোগ রাখা।
​৩. অর্থ বিতরণের পদ্ধতি
​অর্থ বিতরণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি থাকা উচিত:
​সুবিধাভোগী নির্বাচন:
​ব্যক্তিগত যাচাই: একজন প্রকৃত অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি সত্যিই এই সাহায্যের যোগ্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা বা নির্ভরযোগ্য সামাজিক সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
​নির্দিষ্ট মানদণ্ড: কে এই সাহায্যের যোগ্য হবেন, তার কিছু মানদণ্ড ঠিক করা যেতে পারে। যেমন: পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, অসুস্থ ব্যক্তি, এতিম, বিধবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি।
​স্বচ্ছতা:
​প্রকাশনা: যদি সম্ভব হয়, তবে অ্যাপের মধ্যে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (গোপনীয়তা বজায় রেখে) অর্থ প্রদান সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কত টাকা সংগ্রহ হলো এবং কাকে সাহায্য করা হলো, তার একটি সাধারণ বিবরণ।
​হিসাবরক্ষণ: সংগৃহীত ও বিতরিত অর্থের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা উচিত।
​বিতরণ প্রক্রিয়া:
​সরাসরি প্রদান: অ্যাপের পক্ষ থেকে সরাসরি সুবিধাভোগীর কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়া।
​বিশ্বস্ত সংগঠনের মাধ্যমে: যদি সরাসরি সম্ভব না হয়, তবে কোনো বিশ্বস্ত এনজিও বা দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে।
​৪. আইনি ও ইসলামিক দিক
​শরিয়া সম্মতি: অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি এবং বিতরণের প্রক্রিয়া ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী হালাল কিনা, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রয়োজনে বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
​আইনি প্রক্রিয়া: যদি বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে, তবে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি নিবন্ধন এবং অনুমতি নেওয়া যেতে পারে।
​৫. প্রচার ও প্রচারণা
​এই মহৎ উদ্যোগটি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য অ্যাপের বর্ণনা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অন্যান্য প্রচারে এর উল্লেখ করা যেতে পারে। এতে মানুষ আপনার অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং অর্থ দান করতে উৎসাহিত হবে।
​এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি। আপনার এই মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হোক, এই কামনা করি।

1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়ারাহমাতুল্লাহি।

​হযরত উমর (রা.) আনুমানিক ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল খাত্তাব ইবনে নুফাইল এবং মায়ের নাম ছিল হানতামা বিনতে হিশাম। তিনি শৈশবে উট চরাতেন এবং কুরাইশদের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী লেখা, পড়া ও বংশতালিকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
​ইসলাম গ্রহণ
​ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন ইসলামের ঘোর বিরোধী। তিনি রাসূল (সা.) এবং মুসলমানদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন। একবার তিনি রাসূল (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তরবারি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে জানায় যে তার নিজের বোন ও ভগ্নিপতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এ কথা শুনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হন। সেখানে তিনি সূরা ত্ব-হা-এর কিছু আয়াত পাঠ করেন এবং এর সৌন্দর্য ও সত্যতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের ফলে মুসলমানরা প্রকাশ্যে কাবা ঘরে সালাত আদায় করার সাহস পায়। রাসূল (সা.) তাকে "আল-ফারুক" (সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত করেন।
​খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
​হযরত আবু বকর (রা.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার খিলাফতের মেয়াদকাল ছিল ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি এই সময়ে ইসলামী সাম্রাজ্যকে পারস্য, বাইজান্টাইন এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করেন। তার শাসনামলেই ইসলাম এক বিশাল শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
​শাসন ব্যবস্থা ও অবদান
​হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামল ছিল ন্যায়, সুবিচার এবং প্রজাহিতৈষী শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান নিচে উল্লেখ করা হলো:
​ন্যায়পরায়ণতা: তিনি একজন কঠোর ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—সকলের জন্য তার বিচার ছিল সমান।
​প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশকে বিভক্ত করে সেখানে গভর্নর, বিচারক, ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেন।
​অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: তিনি যাকাত এবং কর আদায়ের জন্য আলাদা বিভাগ স্থাপন করেন। সরকারি কোষাগার (বায়তুল মাল) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেনাবাহিনীর জন্য নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
​নাগরিক সুবিধা: তিনি বিভিন্ন শহরে রাস্তাঘাট, সেতু, মসজিদ এবং সরাইখানা নির্মাণ করেন।
​শিক্ষার প্রসার: তিনি শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্ব দেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
​শাহাদাত
​৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে (২৩ হিজরীর ২৬শে জিলহজ্জ), একজন পারসিক দাস আবু লু'লু'র হাতে ফজরের সালাত আদায় করার সময় তিনি শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর হযরত উসমান (রা.) তৃতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত উমর (রা.)-কে মসজিদে নববীতে রাসূল (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)-এর পাশেই দাফন করা হয়।
​যদি আপনার তার জীবনের কোনো নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে